Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল IMA

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের জের। সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এর আগে ন্যাশনাল অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশনও সাসপেন্ড করে সন্দীপকে।ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের পর স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে আইএমএ। আরভি অশোকানের নেতৃত্বে একটি কমিট গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্যরা নির্যাতিতার বাড়িতে যান। তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাও বলেন। এই কমিটি মনে করছে, সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা মোটেও সন্তোষজনক নয়। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সহানুভূতিরও যথেষ্ট অভাব ছিল।এছাড়া প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। সন্দীপের বিরুদ্ধে এই পেশাকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে শাস্তির দাবিও উঠেছে। তাই আইএমএ-র বাংলা শাখার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্দীপকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, বলে রাখা ভালো, সন্দীপ আইএমএ-র কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট করছিলেন তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তার পর থেকেই তাঁর পদত্যাগের দাবি ওঠে। চাপের মুখে পড়ে এই ঘটনার ‘নৈতিক দায়’ কাঁধে নিয়ে ‘স্বেচ্ছা’য় পদত্যাগও করেন সন্দীপ। বর্তমানে সিবিআই ও ইডি স্ক্যানারে প্রাক্তন অধ্যক্ষ। দফায় দফায় তাঁকে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তাঁর বাড়িতেও গত রবিবার তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কেন তাঁকে এখনও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, উঠেছে সেই দাবিও।

Card image cap

সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদে সিদ্ধিলাভ কাদের?

চাঁদ আজ গোটা দিন রাত জুড়ে বুধের রাশি মিথুনে অবস্থান করবে। শাস্ত্র অনুসারে বুধ হল চন্দ্রদেবতার ছেলে। এর ফলে শুভ সংযোগ গঠিত হবে। এই সময় সূর্য অবস্থান করছে সিংহ রাশিতে। পঞ্জিকা অনুসারে আজ ভাদ্র কৃষ্ণা দশমী তিথি। এই তিথিতে মহালক্ষ্মী যোগ ও সর্বার্থ সিদ্ধি যোগের প্রভাব থাকছে। এর পাশাপাশি আজ থাকবে প্রথমে মৃগশিরা ও পরে আর্দ্রা নক্ষত্রের শুভ সংযোগ। আজকের দিনটি কোনও কোনও রাশির জাতকদের জন্য বিশেষ ভাবে শুভ। অন্যান্য রাশির জাতকদের আজ নানা ছোট বড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে। আজ সিদ্ধিদাতা গণেশের প্রভাবে কোন রাশির সময় ভালো, কাদের সাবধান থাকতে হবে, তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।


​আজকের মেষ রাশিফল​:

মেষ রাশির জাতকরা আজ পরিবারের কোনও সদস্যের স্বাস্থ্যের কারণে চিন্তিত থাকবেন। অর্থ ব্যয় বাড়বে। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন এই রাশির জাতকরা। ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে সহযোগিতা প্রদান করবেন। ভাইয়ের পরামর্শে ব্যবসায় উন্নতি হবে। প্রেম জীবনে অবসাদ দেখা দেবে, ভেবেচিন্তে কথা বলুন। রুষ্ট সঙ্গীর রাগ দূর করতে বিলম্ব করবেন না। বিবাহযোগ্য জাতকদের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

ভাগ্য ৭১ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। চন্দনের তিলক লাগান।

​আজকের বৃষ রাশিফল​:

বৃষ রাশির জাতকদের মায়ের সঙ্গে বিচারধারায় মত পার্থক্য দেখা দিতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার পথে বাধার সম্মুখীন হবেন। পরিবারের দৈনন্দিন ব্যয়ের পরিমাণ বাড়তে পারে, যার ফলে চিন্তিত হয়ে পড়বেন। কোনও সমস্যা হলে সন্ধ্যাবেলা তার সমাধানে প্রতিবেশীদের সাহায্য লাভ করবেন। সন্তানকে ধর্মীয় কাজে লিপ্ত দেখে আনন্দিত হবেন।

৭৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। বিষ্ণুর পুজো করুন।

​আজকের মিথুন রাশিফল​​:

মিথুন রাশির জাতকরা নতুন কাজে লগ্নির পরিকল্পনা করে থাকলে তাতে সফল হবেন। কোনও কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মনোমালিন্য হতে পারে। জীবন আনন্দে কাটবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা আপনাদের দুশ্চিন্তায় ফেলবে। ভাই-বোনের বিবাহ প্রসঙ্গ প্রবল হবে। মা-বাবার সেবার সুযোগ পাবেন।

ভাগ্য ৬১ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। শিব চালিসা পাঠ করুন।

​আজকের কর্কট রাশিফল​​:

কর্কট রাশির জাতকদের উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন করার জন্য সময় বের করতে পারেন। আলস্য ত্যাগ করুন। বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত জাতকরা কাজে সাফল্য লাভ করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আধিকারিকরা আপনার কাজ দেখে প্রভাবিত হবেন। বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার সাহায্যে কোনও কাজ করে থাকলে তাতে সাফল্য লাভ করবেন। পরিবারের ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে ভালো সময় কাটাবেন। আকস্মিক ধনলাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ ৮২ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। হলুদ কাপড়ে ছোলা ও গুড় বেঁধে বিষ্ণুর মন্দিরে নিবেদন করুন।

​আজকের সিংহ রাশিফল:

সিংহ রাশির জাতকরা বিদেশে বসবাসকারী পরিবারের কাছ থেকে সুসংবাদ পাবেন। বিবাহযোগ্য জাতকরা ভালো প্রস্তাব পাবেন। দরিদ্রদের সাহায্যের জন্য কিছু অর্থ ব্যয় করতে পারেন এই রাশির জাতকরা। এর ফলে মানসিক শান্তি পাবেন। জীবনসঙ্গীর আপনার কাজে সহযোগিতা প্রদান করবেন। ধর্মীয় কাজে আগ্রহ বাড়বে। নিজের কর্মকৌশলের মাধ্যমে সকলকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারবেন। ছাত্রদের টাকাপয়সার দরকার পড়বে।

৯১ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনাদের পক্ষে। দরিদ্রদের বস্ত্র ও ভোজন দান করুন।

​আজকের কন্যা রাশিফল:

কন্যা রাশির জাতকদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছু অর্থ ব্য়য় করতে হবে। তবে এই ব্যয় আপনার আর্থিক পরিস্থিতিতে প্রভাবিত করবে না। বন্ধুদের সাহায্য করার সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে নিজের ভাষা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এই রাশির জাতকদের, তা না হলে বিবাদ বাধিয়ে ফেলতে পারেন। প্রেম জীবনে সুখপূর্ণ অনুভূতি অর্জন করতে পারবেন। ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাবেন। সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা সমাপ্ত হবে।

ভাগ্য ৬৯ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। ব্রাহ্মণদের দান করুন।

​আজকের তুলা রাশিফল​​:

তুলা রাশির জাতকরা ব্যবসায় পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা লাভ করবেন। অধিক কাজের কারণে স্বাস্থ্য দুর্বল হবে এই রাশির জাতকদের। চাকরিজীবীদের অধিকার বাড়বে। আপনাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। আপনার প্রকল্পের সাফল্য দেখে সকলে আপনার সাহসও পরাক্রমের প্রশংসা করবেন। ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সংকট দূর হবে। সন্ধেবেলা কোনও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করবেন না, হতাশ হতে পারেন।

ভাগ্য ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। শনির দর্শন ও তেল নিবেদন করুন।

​আজকের বৃশ্চিক রাশিফল​:

বৃশ্চিক রাশির জাতকরা নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। খাওয়া-দাওয়ার যত্ন নিন, তা না-হলে পেটের রোগ হতে পারে। ব্যবসায় কিছু পরিকল্পনা করতে পারেন, এর দ্বারা ভবিষ্যতে লাভবান হবেন বৃশ্চিক রাশির জাতকরা। ব্যবসায় নতুন পরিবর্তন করতে পারবেন। অবিবাহিত ছেলে বা মেয়ের বিবাহ প্রস্তাব আসতে পারে। সন্তান সংক্রান্ত কোনও সুসংবাদ পাবেন।

আজ ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। রোজ রাতে শেষ রুটি কালো কুকুরকে খাওয়ান।

​আজকের ধনু রাশিফল​​:

ধনু রাশির জাতকদের পদোন্নতি হবে। আধিকারিকদের পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন। পদ, মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে। প্রেম জীবনে নতুন শক্তি সঞ্চারিত হবে। দাম্পত্য সম্পর্ক মজবুত হবে। ব্যবসায়ীরা আটকে থাকা টাকা ফিরে পেতে পারেন। ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের সহযোগিতা লাভ করবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের পথ প্রশস্ত হবে। সন্ধেবেলা আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন করার সময় পাবেন।

ভাগ্য ৮১ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার পক্ষে। গণপতিকে দূর্বা নিবেদন করুন।

​আজকের মকর রাশিফল​​:

মকর রাশির জাতকদের দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে। ধর্মীয় কাজে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। কাজের ব্যস্ততা সত্ত্বেও প্রেম জীবনের জন্য সময় বের করতে পারবেন, যা দেখে জীবনসঙ্গী খুশি হবে। পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সাহায্যে মিটে যাবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতার দ্বারা লাভবান হবেন। সম্পত্তিতে লগ্নির জন্য আজকের দিনটি খুব ভালো।

ভাগ্য আজ ৭৩ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে থাকবে। সাদা চন্দনের তিলক লাগান।

​আজকের কুম্ভ রাশিফল​​:

কুম্ভ রাশির জাতকদের আজকের দিনটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য অত্যন্ত লাভজনক। কোনও কাজ করার আগে মা-বাবার আশীর্বাদ নিতে ভুলবেন না, সফল হবেন। ভালো কাজ করে পরিবারের নাম উজ্জ্বল করতে পারেন। ব্যবসায় কিছু সমস্যা উৎপন্ন হতে পারে, তবে আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোনও বিষয় আলোচনা হতে পারে। পরিবারের সদস্যদের পরামর্শের প্রয়োজন দেখা দেবে। মায়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

ভাগ্য ৮৪ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। শিবকে তামার পাত্র থেকে জল নিবেদন করুন।

​আজকের মীন রাশিফল​​:

মীন রাশির জাতকদের সন্তান ও জীবনসঙ্গীর প্রতি প্রেমের অনুভূতি বৃদ্ধি পাবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে অন্য কোনও ব্যক্তির কারণে হঠাৎ চিন্তিত হয়ে পড়তে পারেন। বাবার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। শ্বশুরবাড়ির তরফে লাভবান হবেন। চাকরিজীবীদের কাজের দায়িত্ব বাড়তে পারে।

আজ ৬৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। বিষ্ণুকে বেসনের লাড্ডুর ভোগ নিবেদন করুন।

Card image cap

ইন্ডাস্ট্রিতে নারী নিগ্রহে একজোট টলিপাড়া

একদিকে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের ঝড়, অন্যদিকে হেমা কমিটির রিপোর্ট ঘিরে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতের উত্তাল পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন ঋতাভরী চক্রবর্তী। রূপাঞ্জনা মিত্র, অনীক দত্ত, পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়রাও তাঁকে সমর্থন করেন। এমন অবস্থায়, টলিউডে কাজের পরিবেশ ঠিক রাখা তথা টলিউডের অন্দরে ঘটে চলা নারী নিগ্রহের বিরুদ্ধে দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে উইমেনস’ ফোরাম ফর স্ক্রিন ওয়ার্কাস।ইম্পা, আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন ও টেলি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর সেখানে আর জি কর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা, সিরিয়াল ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করা মহিলাদের যৌন হেনস্তার অভিযোগ কথা জানানো হয়েছে। চিঠিতে লেখা, “প্রত্যেকদিন আমাদের নানা ভাবে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়। পাশাপাশি নিয়মিতভাবে নারী, শিশু এবং প্রান্তিক পরিচয়ের মানুষদের নির্যাতনের কথাও শোনা যায়। তবুও, আমাদের কাছে এমন কোনও কার্যকরী সহায়তা ব্যবস্থা নেই যেখানে ভারতীয় আইন অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিকারের দাবি জানাতে পারি।”এই সমস্ত বিষয়ের প্রতিকারের দাবিই জানানো হয়েছে চিঠিতে। প্রশ্ন করা হয়েছে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্তার অভিযোগ জানানোর জন্য কোনও প্রতিষ্ঠান কি রয়েছে? পকসো আইনের শর্তগুলো কি মেনে চলা হচ্ছে? ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের জন্য যথাযথ ভাবে ইন্টিমেসি কোর্ডিনেটর বা ডিরেক্টর নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।এই চিঠি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ”প্রতিষ্ঠানের সভাপতির পাশাপাশি একজন মেয়ে হিসেবে চাইছি, অন্যায়ের প্রতিবাদ অবশ্যই হওয়া উচিত। আর এই নিয়ে যদি কমিটি তৈরির প্রস্তাব বাংলা বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত নারীদের তরফ থেকে আসে, অবশ্যই বাকি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসব।”
অন্যদিকে, আর্টিস্ট ফোরামের সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ”প্রথমে আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠিটি আমাদের হাতে বা দফতরে আসুক। তা হলে কথা বলতে সুবিধে হবে।”
চিঠিতে অপর্ণা সেন, শাশ্বতী গুহঠাকুরতা, অনুরাধা রায়, শকুন্তলা বড়ুয়া, চৈতালী দাশগুপ্তর মতো বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর নাম যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, দামিনী বেণী বসু, সোহিনী সরকার, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, প্রিয়াঙ্কা সরকারদের নাম। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দামিনী জানান, খুবই সাধারণ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছে। গোটা দেশে যা পরিস্থিতি। তার উপরে হেমা কমিটির রিপোর্ট। এমন পরিস্থিতিতে সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। একজন ডাক্তার খুন হওয়ার পর তাঁকে ভিক্টিম ব্লেম করতে ছাড়ছে না লোকজন। এমন অবস্থায় স্টুডিওতে কোনও অভিনেত্রী খুন হলে, তাঁকে যে স্লাট শেমিং করা হবে না, সেটা নিশ্চিত করে বলা তো যায় না। তাই কথাগুলো বলা প্রয়োজন।

Card image cap

আইটিআই পড়ুয়া ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

আইটিআই পড়ুয়া এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। মঙ্গলবার সকালে ইসলামপুর শহরের কলেজ পাড়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ছাত্রীর নাম রূপা সিনহা (২১)। তাঁর বাড়ি মালদার পাকুয়া এলাকায়। তিনি ইসলামপুর আইটিআই-এর ছাত্রী ছিলেন।পড়াশোনার কারণে ইসলামপুরের কলেজ পাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ছাত্রীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যু নিছকই আত্মহত্যা নাকি পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে মৃত ছাত্রীর পরিবারকে। ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জবি থমাস বলেন, ‘মৃত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক ধরে মালদার পাকুয়ার বাসিন্দা ওই ছাত্রী ইসলামপুর শহরের কলেজ পাড়ায় পেশায় শিক্ষক সুরেশ বিশ্বাসের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার সকালে ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে বাড়ির মালিক ও অন্যরা দেখতে পান, গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরে ঝুলছে ছাত্রীর দেহ।সুরেশবাবু বলেন, ‘সকালে দেখি ঘরের বাইরে ওই ছাত্রীর এক বান্ধবী এসে অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করছে। আমিও বারবার ডাক দিলেও সাড়া না পেয়ে একটি শাবল এনে আমার ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতেই ঘরের দরজা ভাঙি। মেয়েটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আর ঘরে ঢুকিনি, কাউকে ঢুকতেও দিইনি। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তাঁরাই এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।’
সুরেশবাবুর দাবি, মেয়েটি এমনিতেই শান্ত। কী ভাবে তাঁর এমন পরিণতি হলো তা বুঝে উঠতে পারছেন না।

Card image cap

ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগান

ম্যাচের ৬৮ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে। সেখান থেকে মাত্র ১৯ মিনিটের মধ্যে দুরন্ত কামব্যাক। ডুরান্ডের সেমিফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মোহনবাগানের। সমতা ফেরানোর পরে ম্যাচ গড়াল পেনাল্টি শুট আউটে। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ হাসি হাসল মোহনবাগান। কোয়ার্টার ফাইনালের মতো ফের সবুজ-মেরুন শিবিরের ত্রাতা হয়ে উঠলেন বিশাল কাইথ। পরপর দুটি শট বাঁচিয়ে দলকে তুললেন ডুরান্ডের ফাইনালে।ম্যাচের আগের দিন সবুজ-মেরুন কোচ মোলিনা জানিয়েছিলেন, দিমিত্রি পেত্রাতোস বা জেসন কামিংস পুরো ৯০ মিনিট খেলার মতো অবস্থায় নেই। কিন্তু বেঙ্গালুরু এফসির মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুই অস্ত্রকেই শুরু থেকে নামান মোলিনা। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল বেঙ্গালুরুর কাছে। তার পর থেকে বেশ কয়েকটি সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের কাছেও। ২৭ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু। ম্যাচের প্রথম গোল এল পেনাল্টি থেকে। লিস্টন কোলাসোর ফাউলে পেনাল্টি বক্সে পড়ে যান ভিনিথ। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি সুনীল ছেত্রী। এক গোলে এগিয়ে থেকে হাফটাইমে যায় বেঙ্গালুরু। বিরতির পরে দুরন্ত গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন ভিনিথ। ২-০ এগিয়ে থেকে ফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছিল বেঙ্গালুরু। ৬৮ মিনিট পরে এটাই ছিল ম্যাচের স্কোর।তার পর থেকেই পালটাতে থাকে ম্যাচের রং। ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করেন দিমি। ৮৪ মিনিটে দূরপাল্লার শটে গোল করে সমতা ফেরালেন অনিরুদ্ধ থাপা। নির্ধারিত সময়ের পরে পেনাল্টি শুট আউটে প্রথম চারটি শটে গোল করেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। প্রথম তিন শটে পরাস্ত হন পালতোলা নৌকার শেষ প্রহরী বিশালও। তবে বেঙ্গালুরু হয়ে চতুর্থ পেনাল্টি নিতে আসা নার্জারির শট বাঁচিয়ে দেন। ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে দলের পঞ্চম শট মিস করেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। শেষ মুহূর্তে ইভানোভিচের শট বাঁচিয়ে দলকে ফাইনালে তুললেন বিশাল। 

Card image cap

অনুপ দত্তের এবার পলিগ্রাফ টেস্ট

ক্যামেরা দেখেই রীতিমতো দৌড়েছিলেন। এবার সেই এএসআই অনুপ দত্তের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেল সিবিআই। সম্ভবত আগামিকালই হতে পারে টেস্ট।কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর অনুপ দত্ত। কলকাতা পুলিশ কর্মীদের সংগঠন ‘ওয়েলফেয়ার কমিটি’র সদস্য ছিলেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, এএসআই অনুপ দত্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ‘ঘনিষ্ঠ’। এএসআই কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। তবে তিনি বালুরঘাটের বাদামাইলের বাসিন্দা। আর জি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তারের পর উঠে আসে অনুপ দত্তের নাম। তদন্তভার হাতে নিয়ে অনুপকে তলব করে সিবিআই। প্রথমদিন হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে কার্যত দৌড়েছিলেন তিনি। যা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে শনিবার নথি নিয়ে সিবিআই দপ্তরে যান। টানা জেরায় বক্তব্যে অসংগতি মেলে বলেই খবর।এর পরই কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তের পলিগ্রাফ টেস্টের সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে অনুমতির আবেদন করা হয়। জানা গিয়েছে, আদালত অনুপ দত্তের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিয়েছে। আগামিকাল এই টেস্ট হতে পারে বলে খবর। এর আগে আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে। প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডের রহস্যভেদে মরিয়া সিবিআই। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর থেকেই একাধিক ব্যক্তিকে তলব করে জেরা করেছে। 

Card image cap

বুধে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট বিজেপির

তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মঘটের ডাক বিজেপির। বুধবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক গেরুয়া শিবিরের। এদিকে, আগামিকাল বাংলাকে সচল রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। তৃণমূলেরও হুঁশিয়ারি, “কাল কোনও ধর্মঘট হবে না।”‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে’র ডাকে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। তা রুখতে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করে রাজ্য প্রশাসন। যদিও তা সত্ত্বেও মিছিল বের হয়। নবান্নে পৌঁছতে না পারায় দফায় দফায় ব্যারিকেড ভাঙেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়া হয়। পালটা আন্দোলনকারীদের হঠাতে কোথাও কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামানকে কাজে লাগানো হয়। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন। চোটাঘাত লাগে আন্দোলনকারীদেরও। পুলিশের ভূমিকার সমালোচনায় সরব বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বুধবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেন। বলেন, “শান্তিপূর্ণ মিছিলে কেন পুলিশ লাঠিচার্জ করল? কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল? আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়। বাংলার ছাত্র সমাজকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রক্তস্নান করাতে চাইছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আর পারবেন না আটকাতে। বাংলার মানুষের জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।” আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী কর্মসূচিও ঘোষণা করেন সুকান্ত। বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মতলায় লাগাতার ধরনা কর্মসূচির কথাও জানান। এছাড়া তিনি আরও বলেন, “নবান্ন অভিযানে আক্রান্তদের আইনি বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা করা হবে। চালু করা হয়েছে হেল্পলাইনও। আগামী ৩০ আগস্ট  রাজ্য মহিলা কমিশন ঘেরাও করা হবে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর গোটা রাজ্যে জেলাশাসকের দপ্তর দিনভর ধরনা দেবেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ৪ সেপ্টেম্বরের বদলে ৬ সেপ্টেম্বর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দুঘণ্টার চাক্কা জ্যাম।”যদিও ধর্মঘট যে কোনওভাবে মানা হবে না, তা সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “ছাত্রদের প্রতি পূর্ণ সমবেদনা আছে। যে মর্মান্তিক অপরাধ হয়েছে তার সুবিচার সকলেই চাইছি। এখন তদন্তভার সিবিআইয়ের কাছে। সুবিচার চাওয়ার অধিকার সকলের আছে। আজ মহানগরী তথা বাংলাকে স্তব্ধ ও অচল করার যে প্রয়াস হচ্ছে, তা অসমর্থনযোগ্য। শারদোৎসবের বেচাকেনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-সহ সকল জনক্ষেত্র বিপন্ন। আগামিকালের প্রস্তাবিত ধর্মঘটকে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অংশ নেবেন না। সব কিছু চালু থাকবে। অফিস-কাছারিতে আসতে হবে সরকারি কর্মীদের। দোকানপাট খুলে রাখবেন। যানবাহন স্বাভাবিক রাখতে হবে। বেসরকারি বাস, মিনিবাস মালিকদের প্রতিও একই অনুজ্ঞা। বাংলাকে সর্বতভাবে সচল রাখতে হবে।”  তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেন, “আগামিকাল কোনও বন্‌ধ হবে না। মানুষ বাংলা বন্‌ধের ডাক ব্যর্থ করুন। চক্রান্ত ভেস্তে গিয়েছে বলে ধর্মঘটের ডাক। জনজীবন স্বাভাবিক রাখুন। এটা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।” নবান্ন অভিযানের চূড়ান্ত সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “নবান্ন অভিযান নয়, সমাজবিরোধীদের অভিযান। এখন জাস্টিস নয়, চেয়ার চাই। বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। বিজেপির কিছু গুন্ডা অরাজকতা করেছে। এর মধ্যে অনেক বাংলা বিরোধী অপশক্তি আছে। একটা বড় প্লট। পুলিশ সমস্ত আক্রমণের মুখে পড়ে, রক্তাক্ত হয়েও গোটা পুলিশবাহিনী সংযমের পরিচয় দিয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে হঠাতে যা করার তাই করেছে।”

Card image cap

‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলনে অশান্তির ছক?

আরজি করের হামলার ঘটনায় ছবি দিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করার জন্য সমাজমাধ্যমে সাহায্য চেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের উপর হামলাকারীদের ছবি দিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হল। পুলিশের উপর ইটবৃষ্টি, আক্রমণ করার বেশ কিছু ছবি দেওয়া হল সমাজমাধ্যমে।সমাজমাধ্যমে ছবিগুলি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।’ কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের তরফে মোট ১০টি ‘সুয়োমোটো’ মামলা রুজু করা হয়েছে। এর মধ্যে আলিপুর, ময়দান, হেয়ার স্ট্রিট, মুচিপাড়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, বড়বাজার, নর্থ পোর্ট থানা, জোড়াসাঁকো থানা এবং হেস্টিংস থানায় দুটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের অধীনে মোট ২৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে।কলকাতা পুলিশের তরফে যে ছবিগুলি শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু আক্রমণাত্মক আন্দোলনকারী রাস্তা থেকে ইট কুড়িয়ে পুলিশের ব্যারিকেডের দিকে ছুড়ছেন। এমনকী, কয়েকজন হাতে লাঠি নিয়ে তেড়েও যাচ্ছেন। পুলিশ কর্মীদের উপর আক্রমণের ছবিও ধরা পড়েছে। আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করতে পারলে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
নবান্ন অভিযানের পরেই দক্ষিণবঙ্গ এডিজি সুপ্রতিম সরকার আগেই বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে প্ররোচনা দেওয়া হবে, যাতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। এদিন আমাদের সেই আশঙ্কা অনেকটাই সত্যি হয়েছে।’ এটা কোনওভাবেই ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না, বরঞ্চ এটা ‘দুষ্কৃতী’দের আন্দোলন ছিল বলেই জানিয়েছেন তিনি। এই আন্দোলনের পেছনে কোনও 'বড় শক্তি'র হাত রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।এদিন মিছিল শুরু হওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু জায়গায় অশান্তির সৃষ্টি হয়। একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের দিকে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল, বোতল। পাল্টা পুলিশের তরফে জলকামান দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। বেশ কিছু জায়গায় লাঠিচার্জ করা হয়। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। উল্লেখ্য, এই আন্দোলনের পেছনে বিজেপি ও আরএসএসের স্পষ্ট মদত রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। এমনকী, ছাত্র সমাজ নামে সংগঠনের প্রথম সারির এক প্রতিনিধি শুভঙ্কর হালদার নিজে আরএসএস-এর সদস্য বলেও মেনে নেন গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে।

Card image cap

নবান্ন অভিযান থেকে গ্রেপ্তার ২২০ জন, আহত ১৫

নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি সংগঠন। অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সাঁতরাগাছি, ফোরশোর রোড, হাওড়া সেতু, হেস্টিংস এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ। পাল্টা পুলিশের তরফে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান প্রয়োগ করা হয়েছে। এদিনের নবান্ন অভিযানে মোট ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।নবান্ন অভিযানকে ‘বেআইনি’ বলে আগেই জানিয়েছিল পুলিশ। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী এই অভিযানের পুলিশ সূত্রে খবর, এদিনের নবান্ন অভিযান থেকে মোট ২২০ জন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে কলকাতা পুলিশ ১২৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যার মধ্যে ১০৩ জন পুরুষ ও ২৩ জন মহিলা আন্দোলনকারী। এছাড়াও রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃতের সংখ্যা ৯৪ জন। আন্দোলনকারীদের ইটের আঘাতে মোট ১৫ জন পুলিশ কর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ছিলেন চণ্ডীতলা থানা সিআই সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়। মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি।দক্ষিণবঙ্গ ডিজি সুপ্রতীম সরকার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ছাত্র আন্দোলনের নামে ৩ ঘণ্টা ধরে টানা আক্রমণ চালানো হল। এই অভিযানের নামে জনজীবন ব্যাহত করা হয়েছে, একাধিক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। এমনকী, এই অভিযানের নেপথ্যে নিশ্চয়ই কোনও শক্তির ইন্ধন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।দক্ষিণবঙ্গ ডিজি জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে এই আন্দোলন করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। এরপরেও একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা, পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। ডিজি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা প্রথম থেকে বলে আসছিলেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা। অথচ এদিন সকাল থেকেই তাঁরা যেভাবে একের পর এক পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙল, পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে রক্তাক্ত করল, তাতে স্পষ্ট ওরা বড় ধরনের কোনও অশান্তি তৈরি করতে চেয়েছিল।’ তবে পুলিশ ওই প্ররোচনায় পা না দিয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কিছু জায়গায় উন্মত্ত আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে।

Card image cap

ভাঙল ব্যারিকেড, পালটা জলকামান

নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম। পুলিশ ও মিছিলকারীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোড়া হয়। অভিযোগ, সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড ভাঙতেই পালটা লাঠিচার্জ পুলিশের। ফাটানো হয়েছে টিয়ার গ্যাসের শেল। জাতীয় পতাকা হাতে কোণা এক্সপ্রেসওয়েতে বসে পড়েন মিছিলকারীরা।এদিকে, হাওড়া ব্রিজেও চলছে তুমুল অশান্তি। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশের জলকামান। ফোরশোর রোডেও ধরা পড়ে একই অশান্তির ছবি। মিছিলকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে হাওড়ায় জখম হয়েছেন ব়্যাফের এক জওয়ানের। মাথা ফেটে গিয়েছে চণ্ডীতলা থানার সিআইয়ের। আহত পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করলেন আন্দোলনকারীরাই। তবে বেলা বাড়তেই বদলে যায় সাঁতরাগাছি, ফোরশোর রোড, হাওড়া ব্রিজের চেহারা। প্রথমে সাঁতরাছিতে ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙেও ফেলেন তাঁরা। মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। হাওড়া ব্রিজে আন্দোলনকারীদের হঠাতে জলকামান কাজে লাগানো হয়।ইতিমধ্যে হাওড়া ও সাঁতরাগাছি স্টেশন চত্বরেও বাড়তে থাকে জমায়েত। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। ইটবৃষ্টিতে এক পুলিশকর্মীর মাথা ফেটে যায়। তবে জাতীয় পতাকা হাতে অনড় আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় বসে পড়েন মিছিলকারীরা। আবার কোথাও কোথাও ব্যারিকেডের উপর জাতীয় পতাকা হাতেও দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। উল্লেখ্য, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে’র ডাকে সোশাল মিডিয়ায় নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। সেই মতো মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ জড়ো হতে থাকেন। কেউ নদীপথে, কেউ বা ট্রেনে আবার কেউ সড়কপথে মিছিল নিয়ে নবান্নের উদ্দেশে মিছিল করতে থাকেন। এদিকে, আন্দোলনকারীদের আটকাতেও কোমর বেঁধে প্রস্তুত ছিল পুলিশও।  

Card image cap

যথাসময়ে প্রমাণ দেব’, বলছে কলকাতা পুলিশ

আন্দোলনের আড়ালে ছিল চক্রান্ত। ছিল বাইরের মদত। লাশের রাজনীতির ছক কষে রাজ্য়কে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করা হয় গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে। আন্দোলনের নেপথ্যে ছিল দুষ্কৃতীরা। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সাফ জানালেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, বড়সড় গন্ডগোলের ছক ছিল। সেই পরিস্থিতি এড়াতেই গতকাল থেকে অন্তত ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের অনেকের কাছ থেকেই বোমা-গুলি উদ্ধার হয়েছে। একই কথা শোনা গিয়েছে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মার গলাতেও।নবান্ন অভিযান ঘিরে কলকাতা ও হাওড়ায় ধুন্ধুমার বাঁধে। পুলিশের অনুমতির তোয়াক্কা না করে জমায়েত হয়। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভাঙেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে বলে মত পুলিশ কর্তাদের। এ প্রসঙ্গে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ ও যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের কর্মসূচি ছিল। আমরা অনুমতি দিইনি। আমাদের কাছে নির্দিষ্ট খবর ছিল, সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে কিছু দুষ্কৃতী অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবে। আজকে সেই আশঙ্কা সত্যি হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। আরও অনেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। গতকাল রাতে হাওড়া স্টেশন গ্রেপ্তার ৪। তারা খুনের পরিকল্পনা করেছিল। অস্ত্র, বোমা, গুলি নিয়ে অশান্তি পাকানোর ছক ছিল।” এর পরই তাঁর দাবি, ধৃতদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। যথাসময়ে সেই প্রমাণ দেওয়া হবে। সুপ্রতিম আরও দাবি করেন, “কাল লাশ ফেলতে হবে। বডি ফেলতে হবে। এই ধরনের আলোচনা হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপে পেয়েছি।”আন্দোলনের নামে নবান্ন অভিযানে তাণ্ডবের অভিযোগ এডিজি দক্ষিণবঙ্গের। তিনি বলেন, “আন্দোলনকারীরা সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দানে পুলিশের অনুরোধ না শুনে ব্যারিকেড ভাঙা, গার্ডরেল ওলটানো, ইট-পাথরবৃষ্টি, পুলিশকে মারধর করা, গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাণ্ডব করেছে। বাংলায় শান্তি বজায় রাখতে চূড়ান্ত সংযমের পরিচয় দিয়েছে পুলিশ।” তিনি দাবি করেছেন, সোমবার রাত থেকে এদিন ভোর পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তা করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র-সহ। এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা দাবি করেছেন, এ দিনের গোলমালে ৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ১২৬ জনকে। তাঁদের মধ্যে ২৩ জন মহিলা।পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে নেমে অন্তত ১১  পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা বলেন, “যারা চক্রান্ত করেছে, দলমত নির্বিশেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষ ফাঁদে পা দেননি। আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।”  বুধবার ধর্মঘটের নামে যারা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি এডিজি আইনশৃঙ্খলার। 

Card image cap

আবার আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবি মোহনবাগান ভক্তদের

আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে টিফো দেখা গেল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। মঙ্গলবার ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ম্যাচের শেষে টিফো প্রদর্শন করেন মোহনবাগান সমর্থকেরা।


আদালতের নির্দেশ মেনে মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু সেমিফাইনাল শেষ হওয়ার পর সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা গ্যালারিতে টিফো প্রদর্শন করেন।


তাতে লেখা ছিল, 'হাতে হাত রেখে এ লড়াই, আমাদের বোনের বিচার চাই!' এ দিনের টিফোতেও দেখা গিয়েছে কলকাতার দুই প্রধানের সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্প্রীতির ছবি। খেলায় ব্যবহার করা হয়েছে সবুজ-মেরুন এবং লাল-হলুদ রং। দু'দিকে দু'টি মেয়ের ছবিতেও ছিল দুই প্রধানের জার্সির রং।


আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় গত ১৮ অগস্ট যুবভারতীতে ডুরান্ড কাপের ডার্বি আয়োজনের অনুমতি দেয়নি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। ডার্বি বাতিলের প্রতিবাদ এবং আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে পথে নেমেছিলেন কলকাতার তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডানের সদস্য-সমর্থকেরা। পরে ডুরান্ডের ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হলেও অশান্তির আশঙ্কায় মঙ্গলবার সেমিফাইনালে টিফো নিষিদ্ধ করেছিল বিধাননগর পুলিশ।


সোমবার বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, মঙ্গলবার যুবভারতীতে কোনও টিফো (ব্যানার, পোস্টার) নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। পুলিশের সেই নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ময়ূখ বিশ্বাস। বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়ে জানায়, টিফো নিয়ে মাঠে ঢোকা যাবে। কিন্তু সেই টিফো ভারী কোনও বস্তু দিয়ে তৈরি করা যাবে না। আরও বলা হয়, শুধু খেলা শুরুর আগে বা বিরতির সময় টিফো দেখানো যাবে। যাতে কোনও দর্শকের খেলা দেখতে অসুবিধা না হয়। সেই মতো খেলা শেষ হওয়ার পর টিফো প্রদর্শন করেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা।