CATEGORY state:

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Card image cap

ফের শহরে হেলে পড়ল বহুতল!

বাঘাযতীন কাণ্ডের ছায়া এবার ট্যাংরায়। ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ল নির্মীয়মাণ বহুতল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে নির্মীয়মাণ বাড়ি হওয়ার সেখানে কেউ ছিলেন না। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।জানা গিয়েছে, ক্রিস্টোফার রোডে দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলছিল এই বহুতলটির। বাইরে প্রাথমিক কাজ শেষ হয়ে গেলেও ভিতরের কাজ বাকি ছিল বলেই খবর। এরই মাঝে বুধবার সকালে ভয়ংকর কাণ্ড! স্থানীয়রা দেখেন বহুতলটি একদিকে হেলে পড়েছে। বাঘাযতীনের ক্ষত টাটকা, ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। পাশেই রয়েছে আরেকটি বহুতল, স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার বাসিন্দারাও ভয়ে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুরসভায়। কেন এই ঘটনা, কার গাফিলতিতে পুরোপুরি তৈরির আগেই বিপত্তি, সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। প্রোমোটার সুভাষ রায় ও আট বাসিন্দার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তাতে বলা হয়েছে, প্রশাসনকে না জানিয়েই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করা হয়েছিল। মাটি পরীক্ষা না করে চলছিল ‘হাইড্রলিক জ্যাকিং’। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রোমোটারকে।

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডে ডিএনএ রিপোর্টে লালারস সঞ্জয়েরই

আর জি কর হাসপাতালের মর্গের এক কর্মীর গাফিলতিতেই নির্যাতিতার ডিএনএ পরীক্ষায় অন‌্য এক মহিলার ডিএনএ-র ‘উপস্থিতি’ সামনে আসে। বিচারপর্ব চলাকালীন এই ডিএনএ রিপোর্ট দেখে সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, একাধিক ব‌্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তাই পুরো ঘটনার ফের তদন্তের প্রয়োজন। যদিও ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতের মন্তব‌্য, ডিএনএ রিপোর্ট দেখে এটা স্পষ্ট যে, সঞ্জয় রায় একমাত্র খুন ও ধর্ষণের পিছনে রয়েছে। এর পিছনে অন‌্য কেউ থাকার প্রসঙ্গ সহজেই উড়িয়ে দেওয়া যায়।এই ব‌্যাপারে আদালত নির্দেশে জানিয়েছে, নির্যাতিতার ডিএনএ পরীক্ষার জন‌্য তাঁর বক্ষস্থল থেকে লালারস সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় ফরেনসিকে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের ভিডিও দেখে এটা প্রমাণিত যে, মর্গে নির্যাতিতা ছাড়াও অন‌্য কয়েকজন মহিলার দেহ রাখা ছিল। এ ছাড়াও যে ট্রেতে নির্যাতিতার দেহ রাখা ছিল, সেটি আগে জীবাণুমুক্ত করা হয়নি। আবার মর্গের যে কর্মী এই দেহ থেকে সোয়াব সংগ্রহ করছিলেন, তিনি গ্লাভস ও পোশাক বা অ‌্যাপ্রন পাল্টাননি।ময়নাতদন্তের সময় যে কাঁচি, ছুরি ব‌্যবহার করা হয়, সেগুলিও জীবাণুমুক্ত করা হয়নি। সেই ক্ষেত্রে বলা যায়, মর্গে ময়নাতদন্তের সময় প্রয়োজনীয় প্রোটোকল মেনে চলা হয়নি। মর্গে খারাপ পরিকাঠামো থাকার কারণেই তা হয়েছে। ভিডিও দেখে স্পষ্ট যে, মর্গে ডিএনএ ‘কন্টামিনেশন’ বা দূষণ হওয়া সম্ভব। কিন্তু তার জন‌্য কোনও চিকিৎসককে দোষ দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছে আদালত। আদালতের মতে, এটা স্পষ্ট যে ডিএনএ রিপোর্ট দেখে বোঝা গিয়েছে, ওই লালারস সঞ্জয় রায়ের। আর তা দেখে প্রমাণিত যে, একমাত্র সঞ্জয় রায় নির্যাতিতার দেহের সংস্পর্শে এসেছিল।

Card image cap

পরপর মেট্রো বাতিল

পরপর তিনটে মেট্রো বাতিল! যার জেরে বুধবার দুপুরে তুমুল ভিড় একের পর এক স্টেশনে। সমস্যায় পড়লেন যাত্রীরা। ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে দমদম স্টেশনে এক মহিলা যাত্রী পড়ে গিয়ে জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় দমদম স্টেশনে।কলকাতা মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষের উদ্দেশে একটি মেট্রো রওনা দেওয়ার সময় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। কিছুতেই মেট্রোটি স্টার্ট হচ্ছিল না। ফলে মেট্রো ফাঁকা করে দেওয়া হয়। লাইন থেকে রেকটি সরিয়ে দেওয়ার পর নতুন করে পরিষেবা চালু হয়। মেট্রোর দাবি, মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে পরের রেকটি রওনা দেয়। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, পরপর অন্তত তিনটে মেট্রো বাতিল হয়েছে। ফলে দক্ষিণেশ্বর থেকে একের পর এক স্টেশনে ভিড় জমতে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পরপর তিনটে মেট্রো চালানো হয়। তাতেও ভিড় সামাল দেওয়া যায়নি। দমদমে একটি মেট্রো ঢুকতেই তাতে ওঠার চেষ্টা করেন বেলঘরিয়ার বাসিন্দা পুতুল দে। সেই সময় পিছন থেকে অন্য যাত্রীরা ধাক্কা মারায় সঙ্গে সঙ্গে মেট্রোর ভিতরে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান তিনি। তাঁর পায়ে চোট লাগে। যদিও হুড়োহুড়ির কথা অস্বীকার করে মেট্রোর এক আধিকারিক দাবি করেন, “যাত্রীদের মধ‍্যে কোনও হুড়োহুড়ি দেখা যায়নি। আমরা প্রতি মুহূর্তে সিসি ক‍্যামেরায় নজরদারি রেখেছি।”

Card image cap

'ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম' : মমতা

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা সর্বোচ্চ সাজার যোগ্য, এমনই মনে করেন অধিকাংশ নাগরিক। অথচ সোমবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক মৃত্যুদণ্ড নয়, দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে। তাতে নাগরিক সমাজে তুমুল আলোড়ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও তেমনই মত। এদিন সাজার খবর শুনে মালদহ থেকে তিনি বললেন, ”আমরা প্রথম দিন থেকে ফাঁসির দাবি করেছিলাম। এখনও তাই করছি। আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলব না। আমরা তো তিনটে মামলায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা করিয়ে দিয়েছি, ৫৪ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে। এই মামলাও আমাদের হাতে থাকলে অনেক আগেই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করিয়ে দিতাম। কিন্তু কেসটা আমাদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের নরপিশাচের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।”সোমবার থেকে জেলা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে মুর্শিদাবাদ রওনা হওয়ার আগেই তিনি বলেছিলেন, ”আমি তো ফাঁসির দাবিতে পথে নেমেছিলাম। আমরা চাই, ফাঁসি হোক। সবাই চাই চান। তবু বিচারককে অনেক দিক খতিয়ে দেখে তবে রায় দিতে হয়। তাই সময় লাগবে।” সবদিক খতিয়ে দেখে এদিন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস জানান, অপরাধ বিরলতম, তা বলা যাবে না। তাই আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল।সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার পর অনেকেরই মন ভেঙে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও আশাহত হয়েছেন। তা গোপনও করেননি। আমৃত্যু যাবজ্জীবনের সাজা শুনে  মালদহে পৌঁছে কার্যত আক্ষেপ করলেন তিনি। বললেন,  ”আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলব না। আমরা তো তিনটে মামলায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা করিয়ে দিয়েছি, ৫৪ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে। এই মামলাও আমাদের হাতে থাকলে অনেক আগেই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করিয়ে দিতাম। কিন্তু কেসটা আমাদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমি জানি না, কীভাবে কেসটা সাজানো হয়েছে। কীসের ভিত্তিতে সাজা ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের নরপিশাচের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি হলে আমরা মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।”

Card image cap

সাজা ঘোষণার পর মন ভাঙল আর জি করের চিকিৎসকের বাবা-মায়ের

সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আদালতে বসে কেঁদে ফেলেছিলেন। জোড় হাত করে শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। মেয়ের নৃশংস মৃত্যুর বিচারের লড়াইতে একধাপ এগোলেন বলে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। ভেবেছিলেন দোষী সিভিক ভলান্টিয়ারকে ফাঁসির সাজা শোনাবেন বিচারক। সোমবার প্রথমার্ধের শুনানি পর্যন্ত আশায় বুক বেঁধেছিলেন সন্তানহারারা। সাজা ঘোষণার পর আরও একবার মন ভাঙল আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মায়ের। সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ে হতাশ তাঁরা।তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর ১৬৪ দিনের মাথায় শিয়ালদহ আদালতের বিচারক সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের কথা শোনান। রাজ্য়কে আদালতের নির্দেশ, নির্যাতিতার বাবা-মাকে ১৭ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করতে হবে। এই রায় শুনে ডুকরে কাঁদতে থাকেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বিচারককে তাঁরা প্রশ্ন করেন, “আর্থিক সাহায্য নিয়ে কী করব? টাকা আমাদের লাগবে না। আমরা মেয়ের মৃত্যুর সুবিচার চাইছি।” বিচারক বলেন, “আর্থিক সাহায্য নিয়ে কী করবেন, তা আপনাদের বিষয়। মৃত্যুর ক্ষতি টাকা দিয়ে মেটাচ্ছি মনে করবেন না। আপনাদের আর্থিক সাহায্য করা রাজ্যের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।” এরপর সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর মতে, “সঞ্জয়কে ঠিকমতো জেরা হয়েছে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ আছে। সিবিআই প্রমাণই করতে পারল না বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। তাই আদালত এই সাজা দিয়েছে সঞ্জয়ের। তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।” তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের। ওই রাতেই শেষবার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। পরদিন সকালে বাড়িতে ফোন যায়। জানানো হয় দুঃসংবাদ। তড়িঘড়ি সোদপুরের বাড়ি থেকে সোজা আর জি করের উদ্দেশে রওনা দেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। তারপরই তাঁরা জানতে পারেন, হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়। তার পরদিনই গ্রেপ্তার হয় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। মেয়ের মৃত্যুর সুবিচারের দাবিতে বারবার পথে নেমে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছন নির্যাতিতার বাবা-মা। মেয়ের মৃত্যুর ১৬৪ দিনের মাথায় আদালতের সাজা ঘোষণায় ক্ষুব্ধ তিলোত্তমার পরিবারের লোকজন।

Card image cap

‘বদনাম হয়ে গেলাম’, সাজা শুনে বলল সঞ্জয়

‘বদনাম হয়ে গেলাম’। আর জি কর কাণ্ডে রায় ঘোষণার পর কাঠগড়ায় বিড়বিড় করতে দেখা গেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায়কে। ফাঁসির বদলে, আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে  সিভিক ভলান্টিয়ারের। তা নিয়ে অবশ্য নির্লিপ্তই সে।সোমবার দুপুর শিয়ালদহ আদালতে ২১০ নম্বর ঘরে বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে রায়দানের আগে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করতে দেখা গিয়েছিল সঞ্জয়কে। গত কয়েক দিনের মতোই এদিন সাজা ঘোষণার আগেও নিজেকে বারবার নির্দোষ বলে দাবি করতে থাকে সে। দাবি করে, সে খুন-ধর্ষণ কিছুই করেনি। ফাঁসানো হয়েছে। প্রমাণ লোপাট হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা এই কুকীার্তি করেছে বা কারা প্রমাণ লোপাট করেছে, তা নিয়ে সঞ্জয়ের মুখে কুলুপ আঁটা। এদিনও কারও নাম উল্লেখ করেনি সে। গত শনিবার অভয়া কাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকেই গোটা দেশের নজর ছিল শাস্তির দিকে। সোমবার সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় শিয়ালদহ কোর্ট চত্বর।  এদিন সঞ্জয়ের সঙ্গে কথা বলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। কড়া সুরেই বললেন, “নিজেকে নির্দোষ দাবি করা ছাড়া অন্য কিছু বলুন।” কাঠগড়ায় কেঁদে ফেলে সঞ্জয়। বারবার বলেন, “আমি নির্দোষ, আমি কিছু করিনি।” সিবিআই জোর করে বয়ানে সই করিয়েছে বলেও দাবি করে সে। পালটা বিচারক বললেন, “চার্জ প্রমাণিত। আপনি জানেন কী করেছেন। সব প্রমাণ রয়েছে।” নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও অন্য কারও নাম বলতে শোনা যায়নি তাকে। তবে রায় ঘোষণার পর কিছুটা নির্লিপ্তভাবে বিড়বিড় করতে শোনা গেল সঞ্জয়কে। বলল, “বদনাম হয়ে গেলাম।”

Card image cap

ইট ছোড়াছুড়ি ভারত ও বাংলাদেশি কৃষকদের

বাংলাদেশি কৃষকদের বিরুদ্ধে ফসল কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ফের উত্তপ্ত মালদহের সুখদেবপুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। যার জেরে দুই সীমান্তে জড়ো হন কৃষকরা। দুপক্ষই গালিগালাজ ও পাথর ছুড়তে থাকে বলে বিএসএফ সূত্রের খবর। পরে ভারতীয় জওয়ানরা কৃষকদের সরিয়ে নিয়ে আসেন। তবে বিকেল পযর্ন্ত আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৫০-৭৫ মিটারের মধ্যে কিছু বাংলাদেশি কৃষককে দেখা গিয়েছে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে কাঁটাতার বিহীন এলাকায় ভারতীয় কৃষকরা চাষ করতে যান। ওপারে কাজ করছিলেন বাংলাদেশি কৃষকরাও। সেই সময় ফসল চুরির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। দুপক্ষেরই প্রচুর কৃষক জড়ো হন সীমান্তে। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিএসএফ। আসেন বিজিবির জওয়ানরাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। আগামীতে এই রকম ঘটনা ঘটলে কৃষকরা যেন বিএসএফকে জানায়, সেই কথা বলা হয়েছে স্থানীয় চাষিদের।গত রবিবার থেকে উত্তেজিত হয়ে রয়েছে সুখদেবপুর সীমান্ত। সেদিন বিএসএফ ভারতীয় ভূখণ্ডে কাঁটাতার বসানোর কাজ শুরু করলে আপত্তি তোলে বিজিবি। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। এই বিষয়ে বিজিবির সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং করে বিএসএফ। চাপা উত্তেজনা ছিলই। এই আবহে ফসল কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদহের সুখদেবপুর।

Card image cap

ব্যবসায়ীর নগদ ১ কোটি লুট!

৫ দিনের মাথায় খাস কলকাতায় ফের ছিনতাই। আবারও বাইক চেপে এসে টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে নারকেলডাঙা-এপিসি রোড ক্রসিং চত্বরে। সূত্রের খবর, ছিনতাই হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। তদন্তে নেমেছে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। চলতি মাসের ১৩ তারিখ একই কায়দায় পার্ক সার্কাস এলাকা থেকেও টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই হয়েছিল।পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ টাকা নগদ ভর্তি ব্যাগ নিয়ে নারকেলডাঙা চত্বরে হেঁটে যাচ্ছিলেন ৪২ বছরের ইফতিকার আহমেদ খান। পেশায় ছাগল ব্যবসায়ী। এদিন সকীলে ব্যবসার টাকা নিয়েই যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই দুটি বাইকে চেপে আসে জনা কয়েক দুষ্কৃতী। একজন ইফতিকারের চোখে রাসায়নিক স্প্রে করে। অন্য একজন ছুরি দিয়ে তাকে ভয় দেখায়। তবু বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন ইফতিকার। তখনই ছুরি দিয়ে তাঁর বা হাতে জোরাল আঘাত করে ব্য়াগ ছিনিয়ে চম্পট দেয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, ব্যাগে প্রায় এক কোটি টাকা ছিল। মনে করা হচ্ছে, দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই রেইকি করে গিয়েছিল। ছিনতাইয়ের মতলব নিয়ে তক্কেতক্কে ছিল তারা। এদিন সেই সুযোগ মেলে। তবে সকালে জনবহুল রাস্তা থেকে যেভাবে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই হল, তা যথেষ্ট আতঙ্কের।প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি পার্ক সার্কাস চত্বর থেকে একইভাবে ১২ লক্ষ টাকা ছিনতাই হয়।  বাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। এবার ফের একবার একই কায়দায় ছিনতাই হল। তবে কড়েয়া থানার ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১০ লক্ষ টাকাও উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে দুটি বাইকও। 

Card image cap

দোষী সাব্যস্ত হয়েই কাঠগড়ায় চিৎকার সঞ্জয়ের

দোষী সাব্যস্ত হয়েও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি আর জি কর কাণ্ডের একমাত্র দোষী সঞ্জয় রায়ের। শনিবার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তার চিৎকার, “আমি কিছু করিনি। যারা করেছে তাদের কেন ছাড়া হল? আমার কোনও দোষ নেই। সবাই মিলে করেছে।”১৬২ দিনের মাথায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদহ আদালত। আদালতের বাইরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। তবু ভিড় জমিয়েছিল বহু মানুষ। সকলেই বিচারকের রায়ের অপেক্ষা করছিলেন। বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে হাজির করা হয়েছিল সঞ্জয়কেও। কোর্ট রুমে হাজির ছিলেন ‘অভয়া’র মা-বাবা-সহ পরিবারের ৫ সদস্য। তাদের সামনেই সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অপরাধের বিবরণ শোনানো হয়। বিচারক বলেন, “যেভাবে আপনি গলা চেপে ধরে খুন করেছেন তাতে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে আপনি দণ্ডিত হতে পারেন।” সাজা ঘোষণা সোমবার।দোষী সাব্যস্ত হতেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ওঠে সঞ্জয়। বলে, ” আমি কিছু করিনি। যারা করেছে তাদের কেন ছাড়া হল। আমার কোনও দোষ নেই। সবাই মিলে করেছে।” তার আরও দাবি, “আমি পাপ করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে এই অপরাধ করব!” সঞ্জয়ের যুক্তি,” আমি যদি এই অপরাধ করতাম তাহলে রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে পড়ে যেত। স্যার, আপনি বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই যে আমাকে পুরো ফাঁসানো হচ্ছে।” পুলিশের এক কর্তার দিকেও আঙুল তোলে সে। কাঠগড়ায় কথা বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার। তাকে শান্ত হতে বলেন তার আইনজীবী। এর মাঝেই সঞ্জয়কে থামিয়ে দিয়ে বিচারক বলেন, “সব সাক্ষীকে জেরা করে আপনার বিরুদ্ধে যা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আপনার শাস্তি আপনাকে পেতে হবে। কী শাস্তি হবে, সেটা সোমবার জানানো হবে। সোমবার আপনার কথাও শুনব।” এরপর সঞ্জয় হাতজোর করে বিচারককে বলে, “আপনি তো স্যার দোষী সাব্যস্ত করেই দিলেন। আমি গরিব। আমি এই কাজ করিনি। যারা করেছে তারা কেন বাইরে রয়েছে? আমি একজন আইপিএসকেও বলছি।” এদিন কাঠগড়া থেকে নামতে চায়নি সঞ্জয়। আদালত থেকে বের করার সময় সে বারবার বলতে থাকে, “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” এ প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থসারথী দত্ত বলেন, “সঞ্জয়ের কথার কোনও ভিত্তি নেই। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।”তবে এদিন সঞ্জয়ের দাবি ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। নিজেকে বাঁচাতেই কি নানা যুক্তি খাড়া করছে সে? সিবিআই থেকে শুরু করে আদালতে সামনে সঞ্জয় কোনও ব্যক্তি বিশেষের নাম উল্লেখ করেনি। তাহলে এক্ষেত্রে ‘সবাই’ বলতে কাদের বোঝাচ্ছে সঞ্জয়?  কলকাতা পুলিশ এবং সিবিআইয়ের তদন্তে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে, তা সূক্ষ্মভাবে খতিয়ে দেখেই রায় দিয়েছেন বিচারক। ফলে একাংশের মতে, কাঠগড়ায় সঞ্জয়ের প্রলাপ অপরাধ গোপনের চেষ্টামাত্র। 

Card image cap

ফরেন্সিক পরীক্ষাতেই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে প্রমাণ, ফাঁসি অথবা যাবজ্জীবনের সাজা হবে, জানিয়ে দিল আদালত

আর জি কর ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত আসামি সঞ্জয় রায়। সোমবার সাজা ঘোষণা। শনিবার বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে বহু প্রতীক্ষিত এই মামলার রায়দান হয়। ১৬২ দিন বিচার পেল তিলোত্তমা।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৯ আগস্ট, হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে। তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। ১০ আগস্ট এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১২ আগস্ট নির্যাতিতার বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। শোকস্তব্ধ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গত ১৩ আগস্ট CBI তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।গত ১৪ আগস্ট রাতদখল করেন মহিলারা। ওই রাতেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চলে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। গত ১৮ আগস্ট এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়। গত ২ এবং ৩ সেপ্টেম্বর জুনিয়র চিকিৎসকরা লালবাজার অভিযান করেন। ১০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকরা অবস্থান আন্দোলন শুরু করেন। ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের ডাক দেন। তবে দুদিনই বৈঠক ভেস্তে যায়।১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্বাস্থ্যভবনে চিকিৎসকদের অবস্থান মঞ্চে আচমকা পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সিপি বিনীত গোয়েলকে সরানো হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থান প্রত্যাহার করেন। আর জি কর আন্দোলনের মাঝে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের উপর হামলা করা হয়। মারধরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু হয়। স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ, নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে গত ৫ অক্টোবর ধর্মতলায় অনশন আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।গত ৭ অক্টোবর মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের নাম উল্লেখ করে সিবিআই চার্জশিট পেশ করে আদালতে। গত ১৯ অক্টোবর মুখ্যসচিবের মাধ্যমে অনশনকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের ফের বৈঠক হয়। অনশনকারীরা তাঁর লাইভ সম্প্রচার দেখেন। বৈঠকের পর ওইদিনই অনশন প্রত্যাহার করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গত ৪ নভেম্বর সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। ১১ নভেম্বর শিয়ালদহ আদালতে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। ১৮ জানুয়ারি সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।এদিনে রায় ঘোষণার আগে আদালত চত্বরে ভিড় জমান বহু সাধারণ নাগরিক। বাংলা পক্ষের সমর্থকরা সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। নির্যাতিতার পরিবারের ৫ সদস্য আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তবে সাধারণ মানুষকে আদালত কক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রায়দানের শুরুতে সঞ্জয়কে কাঠগড়ায় তুলে বিচারক জানিয়ে দেন, তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয়কে। ধারাগুলি হল বিএনএস – ৬৪ (ধর্ষণ), বিএনএস ৬৬ (ধর্ষণের জন্য মৃত্যু), বিএনএস ১০৩(১) – খুন সোমবার সাজা ঘোষণা। সঙ্গে সঙ্গে সঞ্জয় চিৎকার করে ওঠে। সে দাবি করে, “আমি কিছু করিনি। যারা করেছে তাদের কেন ছাড়া হল? আমার কোনও দোষ নেই। সবাই মিলে করেছে।আমি পাপ করিনি। দোষ করলে গলার রুদ্রাক্ষ খুলে পড়ে যেত।”  বিচারক জানিয়ে দেন, সোমবার সাজা ঘোষণা। সেদিন সঞ্জয়কে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। ফলে ১৬২ দিন পর দোষী সাব্যস্ত হল আর জি কর ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। 

Card image cap

কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত জাকির গ্রেপ্তার

 ডিজি রাজীব কুমারের জেলা সফরের মাঝে তৃণমূল কর্মী খুনের তদন্তে একধাপ এগোল জেলা পুলিশ। শুক্রবার কালিয়াচকের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে জাকির শেখকে গ্রেপ্তার করা হল। এর আগে জাকির ঘনিষ্ঠ হামজাকে জালে এনেছিল পুলিশ। তাকে লাগাতার জেরা করে জাকির শেখের সন্ধান মেলে। ঘটনার তিনদিন পর অবশেষে তাকেও গ্রেপ্তার করলেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, কালিয়াচকের তৃণমূল নেতা বকুল শেখকে টার্গেট করে হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারী সে-ই। সেদিন বরাতজোরে যদিও বকুল শেখ রক্ষা পান। শুটআউটে খুন হয়ে যান বকুলের সঙ্গী হাসা শেখ।মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী। ঘটনায় এবার গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত জাকির শেখ। তৃণমূল কর্মী খুনের ৩ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্তকে। 

Card image cap

আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লাকে তলব

ডিগ্রি ভাঁড়িয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিকিৎসার অভিযোগে এবার আরও বিপাকে আর জি করের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া। বৃহস্পতিবার  প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অভিযোগে তাঁর কাকদ্বীপের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। আর শুক্রবার আসফাকুল্লাকে সমন পাঠাল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। আগামী সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে তাঁকে পুলিশ কমিশনারেটে হাজিরা দিতে হবে বলে নোটিসে উল্লেখ রয়েছে।  কাগজের এক বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার নিজের নামের পাশে লেখা M.S (ENT) ডিগ্রি। আর তা ঘিরেই যত বিতর্কের সূত্রপাত। আরও  অভিযোগ, প্রাইভেটে চুটিয়ে প্র্যাকটিস করছেন আসফাকুল্লা নাইয়া, যা নিয়ম বহির্ভূত। এনিয়ে সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় আদালতের সমন নিয়ে বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্টে আসফাকুল্লার বাড়িতে পৌঁছেছিল পুলিশ। চলে তল্লাশিও। বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়।এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পথে নামেন জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদাররা, কিঞ্জল নন্দরা। তাঁদের অভিযোগ, আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠায় আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ পুলিশের। যদিও সেসব উড়িয়ে তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির অন্যতম সদস্য কুণাল ঘোষ দাবি করেন, আন্দোলন করার সঙ্গে আইন ভাঙার কোনও সম্পর্ক নেই। একজন জুনিয়র চিকিৎসক হিসেবে প্রাইভেটে চিকিৎসা এবং ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়ে তিনি আইন ভেঙেছেন। সেইমতো পদক্ষেপ করা হয়েছে।  এর বেশি কিছুই নয়। যদিও পুলিশি তলব নিয়ে আসফাকুল্লার প্রতিবাদী স্বর নেই। ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’-কে তিনি জানালেন, ”পুলিশের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সোমবার যাব। তাঁরা যা জানতে চাইবেন, জবাব দেব। যদি প্রয়োজন মনে করি সঙ্গে আইনজীবীকে নিয়ে যাব।”

Card image cap

ফের কলকাতায় আগুন

ফের কলকাতায় আগুন। হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিটের একটি আবাসনে অগ্নিকাণ্ড। বহুতলের ছাদে আগুন লেগে যায় বলেই খবর। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। আবাসিকদের আবাসন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ঘড়ির কাঁটায় দুপুর ১টা ৩০ মিনিট। শুক্রবার দুপুরে মিন্টো পার্কের কাছে ৯ হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিটের একটি বহুতলের ছাদ থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। অভিজাত ওই বহুতলের ছাদে স্টোররুমে আগুনের লেলিহান শিখাও দেখতে পাওয়া যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। মিনিট দশেকের মধ্যে একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই বহুতল থেকে আবাসিকদের বের করে দেওয়া হয়। আতঙ্কিত আবাসিকরা। প্রাণভয়ে কোনওক্রমে বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।আবাসিকদের দাবি,গিজার থেকে সম্ভবত শর্ট সার্কিট হয়েছে। তার জেরে আগুন লেগে যায়। ওই বহুতলের পাশেই রয়েছে নামী বেসরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি স্কুল। তাই আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে নজর রেখেছেন দমকল কর্মীরা। একটি সংবাদমাধ্যমে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানান, আপাতত ওই বহুতলটির আগুন নিয়ন্ত্রণে। চলছে কুলিং প্রসেস। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ওই বহুতল লাগোয়া রাস্তায় আপাতত যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। 

Card image cap

স্নিফার ডগের গতিবিধিতেই কালিয়াচকের দোষীদের ধরার চেষ্টা পুলিশের

কালিয়াচক কাণ্ডের পর পেরিয়েছে ২ দিন। এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত জাকির শেখ। স্নিফার ডগের গতিবিধির ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজে বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা ওড়াল পুলিশ। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এদিন নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি।ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। ওইদিন সকালে মালদহের কালিয়াচকের নওদা-যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সালেপুর নয়াবস্তি এলাকায় একটি রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলায় খুন হন তৃণমূল নেতা হাসা শেখ ওরফে আতাউর। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখকেও খুনের চেষ্টা করা হয়। গুরুতর জখম হন বকুল ও তাঁর ভাই তথা প্রাক্তন প্রধান রাজু ওরফে এসারুদ্দিন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যেই ১০ জনকে আটক ও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু বেপাত্তা মূল অভিযুক্ত জাকির।পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধীদের শনাক্ত করতে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্নিফার ডগ। গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে দৌড় শুরু করে কুকুরটি। প্রায় চার কিলোমিটার দূরে গিয়ে থমকে যায়। পাশেই ফাঁকা নির্জন মাঠ, ঝোপ ও লিচুবাগান। তাতেই পুলিশের অনুমান, সেই নির্জন মাঠেই রয়েছে দুষ্কৃতীদের ডেরা। কালিয়াচক কাণ্ডে অভিযুক্ত জাকির শেখ সেখানে লুকিয়ে থাকতে পারে। তাঁর খোঁজেই বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় পুলিশ ড্রোন ওড়ায়। কিন্তু হদিশ মেলেনি কারও। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে টহলদারি পুলিশ। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব স্থানীয়ার।