CATEGORY health:

Card image cap

গাড়িতে চড়লেই বমি করা যাদের অভ্যেস, তাদের জন্য এক ম্যাজিক ট্রিক

বাস বা গাড়িতে চেপে লম্বা সফর করলেই বমি বমি ভাব। অনেকেরই এই সমস্যা রয়েছে। এটা কিন্তু কোনও রোগ নয়। এটা আসলে Motion Sickness. অনেকে বাস বা গাড়ি চেপে কিছুক্ষণ সফর করলেই বমি করে ফেলেন। কারও আবার লম্বা সফরের পরও দু-তিনদিন বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে তো বমির ভয়ে লম্বা সফরে যেতে রাজি হন না।



কিন্তু গাড়িতে চড়লেই বমি করা যাদের অভ্যেস তাদের জন্য কী উপায়? গাড়িতে দূরে কোথায় ভ্রমণ করলেও আপনার কখনোই বমি বমি ভাব হবে না। আপনার ভ্রমণ হতে ফুরফুরে, আনন্দময়। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যাপারে একটু মেনে চললেই সফর করার সময় বমি ভাবের সমস্যা কাটাতে পারবেন।


এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটা সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই এই সমস্যা এড়ানো যেতে পারে।


মানুষের শরীরে ৩টি অংশ গতি নির্ণয় করতে পারে এবং সেই তথ্য মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। এই তিনটি অংশ হল- চোখ, অন্তঃকর্ণ এবং ত্বক। এদের 'সেন্সরি রিসেপ্টর' বলা হয়। যখনই এই ৩ সেন্সরের মধ্যে কোনও অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়, তখনই মূলত মোশন সিকনেস দেখা দেয়।


চলুন এ সংক্রান্ত কিছু টিপস জেনে নিই-


১. গাড়িতে বসে সামনের দিকে না তাকিয়ে রাস্তার দিকে তাকানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।


২. যাত্রাপথের গতির বিপরীতে তাকাতেও নিষেধ করছেন ডাক্তাররা।


৩. তেলের গন্ধ কাটাতে ভাল মানের এবং ভাল গন্ধের এয়ারফ্রেশনার কাজে দিতে পারে।


৪. চলতি পথে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নিতে পারলে ভাল হয়।


৫. গাড়ির ভেতর মোবাইল ফোন বা ট্যাব ব্যবহার না করাই ভাল।


৬. যে সিটে কম ঝাঁকুনি, তা বেছে নিতে হবে।


৭. জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়তে হবে।


৮. সুন্দর, সুরেলা, স্নিগ্ধ গান শোনা যেতে পারে।


৯. গাড়িতে উঠার আগে লবঙ্গ পিষে রাখতে পারেন সঙ্গে। বমি বমি ভাব হলে অল্প লবঙ্গের গুঁড়ো অল্প চিনি দিয়ে মুখের ভিতর ফেলে রাখুন।


১০. তুলসী পাতার গন্ধ নিলে বমি ভাব কাটাতে পারে।


১১. বাসের সিটে খবরের কাগড় বা পেপার পাতুন। সেই পেপারের উপর বসলে অনেক সময় বমি ভাব রোধ করা যেতে পারে

Card image cap

অনবরত গা চুলকাচ্ছে! কোন ভিটামিনের অভাবে গা-হাত-পা চুলকায় জানেন?

  ত্বকে ঘন ঘন চুলকানি, শুষ্কতার একাধিক কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, যাঁদের ঘন ঘন শরীরের বিভিন্ন অংশ চুলকায়, বা যাঁদের ত্বক শুষ্ক থাকার প্রবণতা রয়েছে, তার অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি। বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, এমন ৫টি ভিটামিন রয়েছে, শরীরে যার ঘাটতির কারণে চুলকানি এবং শুষ্ক ত্বকের মতো সমস্যা হতে পারে।



 ভিটামিনের ঘাটতির কারণে চুলকানি, ত্বকে ফাটল এমনকি সংক্রমণের মতো সমস্যাও হতে পারে। ত্বকের উপরের স্তর বা এপিডার্মিস সঠিকভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত হাইড্রেশন প্রয়োজন। চর্বি, প্রোটিন এবং জল ত্বককে নমনীয় এবং হাইড্রেটেড রাখতে কাজ করে।

 ভিটামিন এবং খনিজ ঘাটতি বিভিন্ন উপায়ে ত্বককে প্রভাবিত করে এবং শুষ্ক এবং ফ্ল্যাকি ত্বকের কারণ হয়। তাই ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে খাদ্যের মাধ্যমে বা সাপ্লিমেন্টের সাহায্যে ভিটামিন এবং খনিজ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাঃ রিঙ্কি কাপুর, কনসালটেন্ট ডার্মাটোলজিস্ট, কসমেটিক ডার্মাটোলজিস্ট এবং ডার্মাটো-সার্জন দ্য এস্থেটিক ক্লিনিকের পক্ষ থেকে আমাদের জানাচ্ছেন ঠিক কোন কোন ভিটামিনের অভাব আমাদের চুলকানির মতো সমস্যা হয়, এবং আমাদের খাদ্যে কোন ভিটামিন অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

 ভিটামিন এবং খনিজ ঘাটতি বিভিন্ন উপায়ে ত্বককে প্রভাবিত করে এবং শুষ্ক এবং ফ্ল্যাকি ত্বকের কারণ হয়। তাই ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে খাদ্যের মাধ্যমে বা সাপ্লিমেন্টের সাহায্যে ভিটামিন এবং খনিজ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাঃ রিঙ্কি কাপুর, কনসালটেন্ট ডার্মাটোলজিস্ট, কসমেটিক ডার্মাটোলজিস্ট এবং ডার্মাটো-সার্জন দ্য এস্থেটিক ক্লিনিকের পক্ষ থেকে আমাদের জানাচ্ছেন ঠিক কোন কোন ভিটামিনের অভাব আমাদের চুলকানির মতো সমস্যা হয়, এবং আমাদের খাদ্যে কোন ভিটামিন অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

 ভিটামিন এ: ত্বকের কোষ মেরামত ও নতুন কোষ তৈরির জন্য এই ভিটামিনের প্রয়োজন। অভাবের ফলে ত্বকের মৃত কোষ জমে, যা আরও একজিমা এবং প্রদাহের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই সবুজ, হলুদ ও কমলা সবজি যেমন গাজর, পালং শাক, মিষ্টি আলু, কমলা লেবু, আম, পেঁপে, খাসির মাংস, মুরগি, মাছ, ডিম, গম, সয়াবিন ইত্যাদি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খান। এতে ভিটামিন এ পাওয়া যায়।

 ভিটামিন ডি: রোদ বা সূর্যালোক ভিটামিন নামেও পরিচিত, এই ভিটামিন হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের এপিডার্মিসে ভিটামিন ডি উপস্থিত থাকে এবং শুষ্ক ত্বক ভিটামিন ডি-এর অভাবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। ভিটামিন ডি ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক বাধা গঠনের জন্যও দায়ী যা ত্বককে তার প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে এবং এমনকি ব্রণ, বলি এবং সূক্ষ্ম রেখা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

 আপনি সূর্যের আলো (নিরাপদ সময়ে) এবং লাল মাংস, ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত মাছ, প্রাতঃরাশের সিরিয়াল, কমলা, সয়া দুধ, মাশরুম, ওটমিল ইত্যাদি খাবার থেকে ভিটামিন ডি পেতে পারেন।

 ভিটামিন ই: এটি একটি অপরিহার্য ভিটামিন যা ত্বককে হাইড্রেটেড এবং ময়শ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই হল লিপিডের জন্য তেলের ভিত্তি এবং প্রদাহ এবং বার্ধক্যের প্রাথমিক প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই-এর অভাব ত্বকে শুষ্কতা এবং ফাটল সৃষ্টি করতে পারে। ভিটামিন ই ত্বকের ফাটল বন্ধ করার জন্য এবং ত্বককে আরও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্যও প্রয়োজনীয়। আপনি সূর্যমুখীর বীজ, বাদাম, চিনাবাদাম, কুমড়ো, গোলমরিচ, কুসুম এবং সয়াবিন তেল ইত্যাদি থেকে ভিটামিন ই পেতে পারেন।

 ভিটামিন সি: আপনি ত্বক রক্ষাকারী হিসাবে ভিটামিন সি এর কথা শুনে থাকতে পারেন তবে এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়। এই ভিটামিনের অভাবে ত্বক থেকে পানির ক্ষয় বেড়ে যায় যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সর্বাধিক ত্বক সংরক্ষণের সুবিধার জন্য, সাইট্রাস ফল, গোলমরিচ, ক্যান্টালপ, স্ট্রবেরি, ব্রকোলি ইত্যাদি থেকে আপনার ভিটামিন সি পেতে পারেন।

জিঙ্ক: সামান্য জিঙ্ক অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে যেমন সোরিয়াসিস, শুষ্ক মাথার ত্বক, এটোপিক ডার্মাটাইটিস ইত্যাদি এমনকি একজিমা। অতএব, আপনার ত্বক সুরক্ষিত আছে তা নিশ্চিত করার জন্য একটি সমৃদ্ধ জিঙ্ক খাদ্য বেছে নিন। জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ঝিনুক, লাল মাংস, মুরগি, কার্বোহাইড্রেট, লবস্টার, মটরশুটি, বাদাম ইত্যাদি।

 ত্বকের পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যের জন্য শরীরের সর্বদা একটি সুষম খাদ্য প্রয়োজন। অতএব, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি সর্বদা একটি সঠিক খাদ্য গ্রহণ করুন এবং খাদ্যতালিকাগত সম্পূরকগুলি সম্পর্কে আপনার চিকিত্সকের সাথে পরামর্শ করুন যা ঘাটতিগুলি পূরণ করতে সহায়তা করতে পারে। 

Card image cap

বয়স' অনুযায়ী কতটুকু হাঁটা 'পারফেক্ট'...? আপনি 'বেশি' হাঁটছেন না 'কম'?

  ওজন কমাতে আর ডায়াবেটিস-কোলেস্টেরল কন্ট্রোলে রাখতে রোজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটছেন? ভাবছেন মাইলের পর মাইল হাঁটলেই সুস্থ থাকবেন? আগে জানুন বয়স অনুয়ায়ী কতটা হাঁটা উচিত। এই রইল আসল হিসেব। তালিকা দেখে বুঝে নিন চটপট।


  সুস্থ জীবনের আকাঙ্ক্ষা সবার মনেই থাকে, কিন্তু বর্তমান জীবনের ব্যস্ততার কারণে তা বজায় রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।


বস্তুত বর্তমান লাইফস্টাইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে কাজ, শরীরচর্চায় অবহেলা আর ব্যাপক অর্থে ভুল খাদ্যাভাস ইত্যাদি বাড়িয়ে দিচ্ছে শরীরে রোগের ঝুঁকি।


  স্থূলতার মতো রোগ তাই বাড়ছে ঘরে ঘরে। ভুল জীবনধারা ডেকে আনছে সুগার-কোলেস্টেরলের মতো একাধিক সমস্যাও। সুস্থ থাকতে তাই প্রতিদিন হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। হাঁটা নিঃসন্দেহে সবথেকে সহজ ও কার্যকরী ব্যায়াম।


  বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দিনের যে কোনও সময়ে হাঁটা মাস্ট। তবে অনেকেরই আক্ষেপ থাকে, নির্দিষ্ট পরিমাণ হাঁটার পরও ওজন কমছে না। সেক্ষেত্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটাহাঁটির আগে জানুন বয়স অনুযায়ী আপনার ঠিক কতটা হাঁটা উচিত।


  সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, প্রত্যেক মানুষের রোজ ৮ কিলোমিটার হাঁটা উচিত। আবার ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের পরামর্শ, নিয়মিত ১৫০ মিনিট মাঝারি থেকে বেশি এক্সারসাইজ শরীরের জন্য ভাল। অর্থাৎ সেই হিসেবে ৩০ মিনিট হাঁটা জরুরি।


  এখন প্রশ্ন হল কোন বয়সে কতটুকু হাঁটা 'সঠিক'। এক্ষেত্রে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে সপ্তাহে অন্তত তিনবার ৫,০০০-এর বেশি কদম হাঁটা উচিত। এই ভাবে হাঁটলে তা শুধু আমাদের আয়ু বাড়াতে পারে না বরং জীবনধারা সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।


  আপনার বয়স অনুযায়ী হাঁটুন: লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রতি সপ্তাহে তিনবার ৫,০০০ পা হাঁটা একজন ব্যক্তির আয়ু তিন বছর বাড়িয়ে দিতে পারে।


  একজন ব্যক্তিকে প্রতিদিন কত পদক্ষেপ হাঁটা উচিত?

সাধারণত, দিনে ১০,০০০ কদম হাঁটা আদর্শ বলে মনে করা হয়। তবে বয়স ও স্বাস্থ্য অনুযায়ী এই সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে সপ্তাহে তিনবার ৫,০০০ কদম হাঁটাও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।


  একইসঙ্গে আবার সায়েন্টিফিক আমেরিকানের রিপোর্ট বলছে, ৬০ বছরের কম বয়স হলে ৮০০০ থেকে ১০০০০ স্টেপ হাঁটতে হবে। যদিও রোজ একই নিয়মে হাঁটা সম্ভব নাও হতে পারে। তবে ১০ হাজার পা হাঁটার লক্ষ্যপূরণ করার চেষ্টা করা যেতেই পারে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার স্টেপ হাঁটা হৃদরোগ-সহ সার্বিক সুস্থতায় সাহায্য করবে।


  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত ৩-৪ কিলোমিটার হাঁটা শরীরের জন্য ভাল। বয়স ৬০ বছরের কম হলে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার হাঁটা উচিত। ধীরে ধীরে হাঁটার পরিমাণ বাড়াতে পারেন।


  ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের অন্তত এক ঘণ্টা এক্সারসাইজ অথবা ৩-৪ কিলোমিটার হাঁটা বা অন্য এক্সারসাইজ করতে হবে। হাঁটার বদলে খেলাধুলা করাও যেতে পারে।


  আবার একইসঙ্গে গবেষণা বলছে যে কোনও বয়সের জন্যই ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটা ভাল। নিয়মিত হাঁটলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা পাওয়া যায়। শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, স্ট্রেস কমে, মন ফুরফুরে থাকে। ফলত এনার্জি বেড়ে যায়। রোজ হাঁটাহাঁটি করলে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।


  শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: হাঁটা হার্টবিট উন্নত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি জয়েন্টের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়। এ ছাড়া নিয়মিত হাঁটা শরীরকে সচল রাখে এবং সারাদিনের কাজকর্ম সহজ করে।


  হাঁটা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার মতো মানসিক সমস্যাগুলি কমাতে সহায়ক, যাতে আপনি একটি সুখী এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন।


  আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা

স্মার্ট ওয়াচের ভূমিকা: আজকাল আধুনিক প্রযুক্তি, স্মার্ট ঘড়ির মতো গ্যাজেট হাঁটার অভ্যাসকে আরও সুবিধাজনক করে তুলেছে। এই ডিভাইসগুলি কেবল সময়ই বলে দেয় না, আপনি যে পদক্ষেপগুলি নিয়েছেন তার রেকর্ডও রাখে, যাতে আপনি সহজেই আপনার শারীরিক অগ্রগতি ট্র্যাক করতে পারেন।

Card image cap

বাজারে তো অনেক রকম ইয়োগার্ট পাওয়া যায়, তার মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যকর?

টক দই নয়, বন্ধুর পরামর্শে ইয়োগার্ট খেতে শুরু করেছেন অনেক দিন। বাড়িতে পাতা টক দইয়ের তুলনায় খেতে ভাল। এক একটিতে এক একরকম গন্ধও থাকে। কোনওটিতে আবার প্রোবায়োটিক বেশি। কোনওটির কদর রয়েছে 'লো ফ্যাট' বলে। তা ছাড়া ইয়োগার্টে প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, ভাল মানের ব্যাক্টেরিয়া তো আছে।


এই সমস্ত উপাদানই শরীরের জন্য ভাল। তাই বলে যে কোনও ধরনের ইয়োগার্ট কি যে কেউ খেতে পারেন? ইয়োগার্ট কেনার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন? 


১) যাঁরা ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা প্রথমেই দেখে নেবেন ইয়োগার্টে চিনি দেওয়া আছে কি না। থাকলেও তা যেন ৫ গ্রামের বেশি না হয়। 


২) বেশ কয়েকটি সংস্থা ইয়োগার্টে চিনির বিকল্প হিসাবে কৃত্রিম শর্করা ব্যবহার করে থাকে। রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত করে এই ধরনের শর্করারও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। 


৩) ইয়োগার্টে যে ধরনের প্রোটিন থাকে তা শরীরের জন্য ভাল। গ্রিক ইয়োগার্টে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। তাই এই ধরনের ইয়োগার্ট বেছে নিতেই পারেন। 


৪) সুস্থ থাকতে রোজের রুটিন থেকে ফ্যাট একেবারে বাদ দেওয়া মোটেও ভাল নয়। ফ্যাট ভাল তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন স্বাস্থ্যকর হয়। ইয়োগার্টে যে ধরনের ফ্যাট থাকে তা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। 


৫) সাধারণ ইয়োগার্টে প্রোবায়োটিকের পরিমাণ বেশি। তাই কৃত্রিম স্বাদ, গন্ধ বা বর্ণ-যুক্ত ইয়োগার্টের চাইতে সাধারণ ইয়োগার্ট বেছে নেওয়াই ভাল।

Card image cap

ঋতু পরিবর্তনে জয়েন্টে ব্যথা?

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সর্দি-কাশি, জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন অনেকেই। চল্লিশের উপরে যাদের বয়স, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। ব্যথার কারণে রাতের ঘুমও ঠিকভাবে হচ্ছে না অনেকের। তাই এই সময়ে থাকতে হবে বিশেষ সতর্ক। কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হতে পারে।


তবে সমস্যা না সারলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।


হলুদের ব্যবহার


আমাদের সবার রান্নাঘরেই এটি পরিচিত মসলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হলুদে রয়েছে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য। আপনি যদি দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন তবে তা শরীরে আরও ভালো কাজ করবে। ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেই মুখের আলসারে ভুগে থাকেন। তারা ক্ষত স্থানে ও নারিকেল তেলের সঙ্গে হলুদের পেস্ট লাগিয়ে নিলে দ্রুত মুক্তি পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদের মধ্যে থাকে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য। তাই জয়েন্টের ব্যথায় কার্যকরী একটি সমাধান হতে পারে হলুদের ব্যবহার।


লবঙ্গের ব্যবহার


ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে জয়েন্ট ব্যথা হলে লবঙ্গ চিবিয়ে মুখে রেখে দিন। এতে উপকার পাবেন। রাতে জয়েন্টের ব্যথা বাড়লে লবঙ্গ তেল দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পারে। লবঙ্গ তেলের সক্রিয় উপাদান ইউজেনল রক্তকে স্বাভাবিকভাবে পাতলা করতে সাহায্য করে। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকেও রক্ষা করে এই তেল।


আদার কার্যকারিতা


রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে কাজ করে আদা। সেইসঙ্গে জয়েন্টের ব্যথা কমাতেও কার্যকরী এই উপাদান। এতে আছে ফাইটোকেমিক্যালস, যা ব্যথা সৃষ্টিকারী হরমোনের উৎপাদন ও নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। আদা চা শরীরের শক্তি এবং সতেজতার একটি চমৎকার উৎস। তাই জয়েন্ট ব্যথা সারাতে আদা যোগ করুন বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে।


তুলসি খাবেন যে কারণে


তুলসি হলো একটি ভেষজ ওষধি। এটি ব্যবহৃত হয় আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতেও। তুলসিতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। এগুলো ব্যথা দূর করতে কাজ করে। জয়েন্টের ব্যথা সারাতেও সমান কার্যকরী তুলসি। এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ তুলসির রস মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। এতে সমস্যা দ্রুতই কমে আসবে।


রসুনের উপকারিতা


শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কাজ করে রসুন। সেইসঙ্গে এটি সাহায্য করে ১০ থেকে ১৫% পর্যন্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও। বিশেষজ্ঞদের বলছেন, রসুনে আছে অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্যও। এটি জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে কার্যকরী। এছাড়াও ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝেইমার্সের মতো রোগ দূরে রাখতে কাজ করে রসুন।

Card image cap

অ্যাসিডিটির সমস্যা কিছুতেই কমছে না?

বুক জ্বালা করা, ঢেকুর ওঠা, বমিভাব, পেটে ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, অল্প খেলেই ভরাপেট অনুভূত হওয়া, পিঠে ও বুকে ব্যথা হয় অনেকেরই। বেশ কিছু খাবার থেকে এটা হয়, আবার অনেক সময় না খেয়ে থাকলেও খারাপ লাগে।



অ্যাসিডিটির সমস্যার সমাধানে ঘরোয়া উপায়-


দারুচিনি


এই মসলাটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে।


এটি হজম প্রক্রিয়া ও শোষণক্রিয়া শক্তিশালী করে পাকস্থলীর সমস্যা দূর করবে। পাকস্থলীর নালীগুলোর ইনফেকশন থেকে মুক্তি পেতে দারুচিনির চা পান করুন।


জিরা


জিরা বীজ অ্যাসিড প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। হজম প্রক্রিয়ায় সহায়ক এবং পাকস্থলীর ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। ভাজা জিরা গুঁড়া করে এক গ্লাস জলের সঙ্গে মিশিয়ে অথবা এক কাপ সেদ্ধ জলে ১ চা চামচ জিরা বীজ মিশিয়ে প্রতিবেলা খাবারের পর পান করুন।


তুলসী পাতা


তুলসী পাতা থেঁতো করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সুফল পাওয়া যায়।


আপেল সাইডার ভিনেগার


এক গ্লাস হালকা গরম জলে দুই চা চামচ ভিনেগার মেশান। খালি পেটে পান করুন পেটে গ্যাস জমবে না।


আনারস


আনারস প্রাকৃতিক উপায়ে খাদ্য ভেঙে হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে।


ঠাণ্ডা দুধ


দুধে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরিতে বাধা দেয়। অ্যাসিডিটিতে আক্রান্ত হলে একগ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করুন।


জল


পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে। তবে খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট পরে জল পান করুন, এতে খাবারের পরিপাক ভালো হয়।


পরিমিত খাবার খেতে হবে, কম তেল মশলায় রান্না করার অভ্যেস করাও জরুরি। আর দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। কুমড়া, মূলা, পেঁয়াজ, মরিচ ও নারিকেল, মাংসসহ রিচ ফুড এড়িয়ে চললে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

Card image cap

মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে এই ভাইরাস

করোনা মহামারীর পর আরও এক মহামারীর আশঙ্কা ঘনাচ্ছে বিশ্বে। গোটা বিশ্বের রীতিমতো রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে আরও এক ভাইরাস, যার নাম হল মাঙ্কিপক্স Monkeypox Virus।



আফ্রিকার দেশ কঙ্গো, কেনিয়া, রুয়ান্ডা ও উগান্ডাসহ ১০টি দেশে বর্তমানে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।


এই পক্সের আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO আশঙ্কা করছে, আফ্রিকার সব দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই মারণ ভাইরাস।


গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে কঙ্গোতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এটি কঙ্গোর প্রতিবেশীদের মধ্যে একটি নতুন স্ট্রেন আবিষ্কারের দিকে পরিচালিত করেছে, ডাব্লুএইচও দ্বারা উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে যে এই রোগটি বিশ্বের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করেছে।


আফ্রিকার দেশগুলিতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি ভারতে মানুষের মধ্যেও উদ্বেগও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস কী তা বোঝা জরুরি। জেনে নিন এই মাঙ্কিপক্স জিনিসটি আসলে কী? কতটা ক্ষতিকারক? মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের কারণে অ্যামপক্স হয়। এটি একটি সংক্রামক রোগ যা সংক্রামিত ব্যক্তি বা প্রাণীর সংস্পর্শের মাধ্যমে ঘটে। মাঙ্কিপক্স অর্থোপক্সভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত, যা গুটিবসন্তের মতো দেখতে। এর মধ্যে ভেরিওলা ভাইরাসও রয়েছে।


মাঙ্কিপক্স দেখা দেওয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা এবং গা হাত পা ফোলা রয়েছে। এর পরে একটি পিম্পল হয় যা সাধারণত মুখে শুরু হয় এবং সারা শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। লক্ষণগুলি সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহ স্থায়ী হয়।

Card image cap

সস্তার ভেজানো চিনেবাদাম না কি দামি কাঠবাদাম?

সকালে উঠে ভেজানো চিনেবাদাম খাওয়ার অভ্যাস বহুদিনের। হালে চিনেবাদামের জায়গা দখল করেছে কাঠবাদাম। হুজুগে গা ভাসিয়ে সেই বাদামই খেতে শুরু করেছেন। তবে মধ্যবিত্ত বাঙালি গেরস্ত বাড়িতে চিনেবাদাম যতটা সহজলভ্য কাঠবাদাম ততটা নয়। দামও চিনেবাদামের তুলনায় বেশি। তাই চাইলেই সকলে কাঠবাদাম খেতে পারেন না।


তাতে কি পুষ্টিগুণের সঙ্গে আপস করা হয়? 


ভেজানো চিনেবাদামে কী এমন আছে? 


১) উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হল চিনেবাদাম। শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে এই বাদাম ভিজিয়ে খাওয়াই যায়।


২) চিনেবাদামে রয়েছে মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই দু'ধরেনর ফ্যাটই হার্টের জন্য ভাল। 


৩) এ ছাড়া চিনেবাদামে রয়েছে ভিটামিন বি, ই, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাঙ্গানিজ়। শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে এই সমস্ত ভিটামিন এবং খনিজেরর প্রয়োজন হয়। 


৪) বাদামে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা প্রদাহজনত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। 


ভেজানো কাঠবাদামে কী এমন আছে? 


১) কাঠবাদামেও প্রোটিন রয়েছে। তবে তা চিনেবাদামের চাইতে কম। 


২) চিনেবাদামের মতো কাঠবাদামেও রয়েছে মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই দু'ধরেনর ফ্যাটই হার্টের জন্য ভাল। 


৩) তবে কাঠবাদামে ভিটামিন ই-এর পরিমাণ বেশি। ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাসের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এই বাদাম হাড়ের জন্যও ভাল। 


৪) এ ছাড়া কাঠাবাদামে রয়েছে ফাইবার। ভেজানো কাঠবাদাম সহজপাচ্য। এ ছাড়া বেশ কিছু প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে এই বাদামে। 


কিন্তু পুষ্টিগুণের বিচারে কোনটি উত্তম? 


দু'ধরনের বাদামই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। কে কোনটি খাবেন তা নির্ভর করবে তাঁর রুচি এবং পছন্দের উপর। তবে যাঁরা অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছেন বা শরীরে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে তাঁদের ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।


Card image cap

ক্যান্সার নিয়ে বড় তথ্য সামনে এল!

দেশ জুড়ে ক্রমশ বেড়েই চলেছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ভারতে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। 


এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, ভারতে যত সংখ্যক মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ২৬ শতাংশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে ক্যান্সার বাসা বাঁধছে আক্রান্তের ঘাড়ে বা মাথায়।


চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানিয়েছেন যে, ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হল সিগারেট বা তামাকজাতীয় দ্রব্য। 


ক্যান্সারমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে একটি ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরটি হল, ৯৩৫৫ ২০২। সোমবার থেকে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ওই নম্বরে ফোন করলে সাহায্য পাওয়া যাবে।

Card image cap

রোজ ভিজছেন বৃষ্টিতে? সকালে খালি পেটে চুমুক দিন তুলসীর চায়ে,

বাঙালির বাড়িতে আলাদা করেই স্থাপন করা থাকে তুলসীর মঞ্চ। তুলসী গাছের ঔষধি গুণ প্রায় সকলেরই জানা। রোগ সারাতে অনেকেই সকালে তুলসী পাতা চিবিয়ে খান। আবার অনেকে বাচ্চাদের জ্বর-সর্দি থেকে রক্ষা করতে তুলসী পাতার রস ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খাইয়ে থাকেন। তুলসীর আয়ুর্বেদিক গুণের কোনও বিকল্প নেই।


বর্ষার সময় তুলসী পাতার রস দিয়ে তৈরি চা অত্যন্ত কার্যকরী। রোদ-বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে প্রতিদিনই বাড়িতে ফিরছেন? তারপরই গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, নাক দিয়ে সর্দি পড়া, জ্বর জ্বর ভাব, খুসখুসে কাশির সম্ভাবনা তৈরি হয়। বর্ষার বৃষ্টিতে ভেজার পরই অনেকেই ভাইরাল ফিভারের কোপে পড়ছেন। হাতের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘরোয়া টোটকায় যদি রোগভোগ থেকে মুক্তি পেতে চান , তাহলে তুলসীর চা হল মোক্ষম দাওয়াই।


ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীর ফিট রাখা বেশ চ্যালেঞ্জের। অ্যালার্জি, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। বৃষ্টির দিনে হার্বাল চায়ে চুমুক দিলে মন-প্রাণ সবটাই পরিশ্রান্ত হয়। তবে কোন হার্বাল কোন রোগের জন্য উপযুক্ত তা জানেন না অনেকেই।


 

বর্ষার দিন তুলসীর চা-ই হল একমাত্র স্বাস্থ্যকর সঙ্গী। এর পুষ্টির গুণ রয়েছে হাজারো। ফিট থাকার পাশাপাশি শরীরকে হাইড্রেটিং রাখতে ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার সেরা দাওয়াই হল এই তুলসীর চা। বর্ষার সময় তুলসীর চা কেন খাবেন?


তুলসীতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। স্যাঁতসেঁতে, আর্দ্র আবহাওয়ায় সাধারণ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আরও শক্তিশালী করতে এই হার্বাল চায়ের কোনও তুলনা হয় না।


 

তুলসীতে থাকা অপরিহার্য তেলে এক্সপেক্টোরেন্ট ও ডিকনজেস্ট্যান্ট প্রভাব রয়েছে। শ্বাসকষ্ট, কাশি ও সাইনাসের সমস্যাগুলি উপশম করতে সাহায্য করে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শারীরিক সমস্যাগুলি উবে যায় এক নিমেষের মধ্যে।


বর্ষার সময় শুধু শারীরিক অসুস্থতাই নয়, মানসিক চাপের মাত্রাও বেড়ে যায়। এই হার্বাল চায়ে রয়েছে অ্যাডাপ্টোজেন গুণ, যা স্ট্রেসকে হ্রাস করতে সাহায্য করে। সকালে গরম গরম তুলসী চায়ের এক চুমুক দিলেই আরামের অনুভূতি জাগবে সারা শরীরে। সারাদিন মন ও শরীর চাঙ্গা রাখতেও এই চায়ের জুড়ি মেলা ভার।


 

বর্ষার বৃষ্টির কারণে কখনও কখনও হজমের সমস্যা হতে পারে। হামেশাই এই সময় বদহজম বা পেট ফোলার সমস্যা দেখা যায়। সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নীত করতে সাহায্য করে এই ভেষজ চা। গ্যাস, ফোলাভাব ও বদহজম কমাতে সাহায্য বৃষ্টির দিনে এই চা খেতে পারেন রোজ।


বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত ঘাম হলে তুলসীর চায়ের কাপে চমুক দিতে পারেন। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে ও ইলেক্টোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই ভেষজ চা। সমাগ্রিকভাবে শরীরকে তরতাজা রাখতে ও ফিট রাখতে এই চা আপনি সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। ফল মিলবে হাতেনাতে।

Card image cap

খাবার খাওয়ার সময় ঘন ঘন জল পান করা কি ঠিক

স্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি। জল আমাদের শরীর সচল রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও জল শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরে অক্সিজেনের জোগান দেয়ার মতো কাজও করে জল। তাইতো প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।


অনেকেই মনে করেন বেশি বেশি জল খেলেই সুস্থ থাকবেন।


 মোটেও সঠিক নয়। কারণ জলের সব গুণ পেতে হলে তা খেতে হবে ঠিকভাবে, কয়েকটি নিয়ম মেনে। না হলে গ্লাসের পর গ্লাস জল পান করে ফেললেও মিলবে না সুফল। বরং প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রের মতে, ভুল পদ্ধতিতে জল পান করলে উল্টো কুপ্রভাব পড়তে পারে শরীরের উপর। খাবার হজমে সমস্যা হতে পারে এক্ষেত্রে।


প্রথমত কোনো ভারী খাবার খাওয়ার মধ্যে জল পান করতে ‌একেবারেই নিষেধ করা হয়। এমনকি, খেতে বসার ঠিক আগে কিংবা খেয়ে উঠে সঙ্গে সঙ্গেই জল পান করলেও হতে পারে হজমের সমস্যা। কারণ এ সময়ে শরীরে জল ঢুকে গ্যাসট্রিক জ্যুসের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। তার ফলে তার কাজের ক্ষমতা কমে গিয়ে খাবার হজম হতে বেশি সময় লাগতে পারে।


তাই খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে নতুবা খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর জল পানের পরামর্শ দেয়া হয়। তবে খাওয়ার মাঝে এক-দুই চুমুক জল খাওয়াই যায়। তবে এই সময়ে হালকা উষ্ণ জল পান করাই ভালো। হজমে সাহায্য করে উষ্ণ জল। শরীরও বেশি আর্দ্র থাকে। তাছাড়া একবারে ঢকঢক করে জল খাওয়াও উচিত নয়। ধীরে সুস্থে খাওয়াই ভালো।

Card image cap

খাবার ভালভাবে চিবিয়ে খেলে কী কী উপকার পাবেন?

স্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিষয়ে আমরা সচেতন হলেও, খাবার সঠিকভাবে খাওয়ার বিষয়ে খুব একটা সচেতন নই।খাবার পরিপূর্ণভাবে চিবিয়ে খাওয়া সুস্বাস্থ্যের জন্যে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হলেও এ বিষয়ে বেশ অনেকটা উদাসীন আমরা।


অথচ খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া না হলে খাদ্য উপাদান থেকে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া সম্ভব নয়।


এছাড়া খাদ্য উপাদান সঠিকভাবে পরিপাক হওয়ার জন্যেও খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া প্রয়োজন।


খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া হলে শরীর খাবার পরিপাকের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান এনজাইম নিঃসৃত করে, যা সহজেই খাবার পরিপাক করে। তবে খাবার সঠিকভাবে পরিপাক না হলে পরিপাকজনিত শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু হয়। এতে করে পেটফোলা ভাব, পেটব্যথা, হজমজনিত সমস্যা, গ্যাসভাব দেখা দেওয়া, কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাসহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে থাকে।


ফলে যেকোন খাবারই ৫-১০ বার মুখের ভেতর কয়েকভাবে চিবিয়ে এরপর খেতে হয়। অপেক্ষাকৃত নরম খাবার কয়েকবার চিবিয়ে খেলেই হয়, তবে আঁশযুক্ত ও তুলনামুলক শক্ত খাবারের বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। এছাড়া খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়ার ক্ষেত্রে আরো বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা।


দাঁতের জন্য উপকারী

খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়ার ফলে দাঁত ও দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়। খাবার সঠিকভাবে চিবানোর ফলে নিঃসৃত স্যালাইভা দাঁতের ভেতর আটকে থাকা খাদ্যাংশ পরিষ্কার করে। এতে করে দাঁতের সমস্যা দেখা দেওয়ার হার কমে যায়।


পরিমিত খাবার গ্রহণ

খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়ার ফলে প্রতি লোকমা খাবার নির্দিষ্ট সময় নিয়ে চিবিয়ে খেতে হয়। এতে করে খাবার খাওয়ার জন্য লম্বা সময় প্রয়োজন হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাবার গ্রহণের মাত্রা কমে আসে এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।


ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিহত করে

আমাদের খাওয়া প্রায় প্রতিটি খাবারেই নানান ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়ার ফলে স্যালাইভা নিঃসৃত হয়। এই স্যালাইভা বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়াকে ধবংস করতে কাজ করে। ফলে খাবার যতখানি ধীরে ও ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া হবে, ততই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো


Card image cap

আলমন্ড খোসা সহ খাওয়া উচিত নাকি খোসা ছাড়া?

আলমন্ড খুবই পুষ্টিকর খাবার। আলমন্ড খাওয়ারও অনেক উপকারিতা আছে। কিন্তু জানেন কি আলমন্ড খোসা সহ খাওয়া উচিত নাকি খোসা ছাড়া? আলমন্ড টিস্যু মেরামত করে এবং ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে।


কিন্তু আলমন্ড খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় কী যাতে উপকার সবচেয়ে বেশি?


আলমন্ডের খোসা হজম করা কঠিন, তাই এটি ভিজিয়ে খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।


 আলমন্ড সহজে হজম হয়। আলমন্ডে প্রচুর ভিটামিন এবং মিনারেল পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন ই, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি চমৎকার উৎস। এই সমস্ত পুষ্টির সম্পূর্ণ উপকার পেতে, সারারাত আলমন্ড ভিজিয়ে রাখা ভাল বলে মনে করা হয়।


আলমন্ড না ভিজিয়ে ও খোসা না ছাড়িয়ে খেলে রক্তে পিত্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। সবচেয়ে ভালো উপায় হল আলমন্ড উষ্ণ গরম জলে ভিজিয়ে সারারাত রেখে খোসা ছাড়িয়ে সকালে খেয়ে নিন। এগুলির সঙ্গে কিসমিস ও খেজুরও খেতে পারেন। আপনি দিনে ১০টি আলমন্ড খেতে পারেন তবে খালি পেটে শুধুমাত্র আলমন্ড খাওয়া এড়িয়ে চলুন। পেট খালি থাকলে সবজি ও ফলমূলের সঙ্গে বাদাম খেতে পারেন।


খালি পেটে আলমন্ড খেলে পিত্ত বাড়ে এবং হজমের সমস্যা হয়। ভেজানো এবং কাঁচা আলমন্ড খাওয়া শুধুমাত্র স্বাদের বিষয় নয়, এটি স্বাস্থ্যকরও।


এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন বাদাম ভেজানো ও খোসা ছাড়াই খাওয়ার উপকারিতা কী? 


প্রথম কথা হল আলমন্ডের ত্বকে ট্যানিন থাকে যা পুষ্টির শোষণে বাধা দেয়।আলমন্ড ভিজিয়ে রাখলে খোসা সহজে উঠে আসে এবং তখন শরীরে আলমন্ডের সমস্ত উপকার পেতে কোনো বাধা থাকে না। ভেজানো আলমন্ডের অনেক উপকারিতা রয়েছে - হজমে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর।


আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে আলমন্ড খাওয়া আপনার জন্য উপকারী। এটি ক্ষুধা দমনে কাজ করে। এ ছাড়া এটি শরীরে টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।


সব মিলিয়ে খোসা ছাড়ানো বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই কয়েক কেজি ওজন কমতে পারে। এছাড়াও ভিজিয়ে রাখা আলমন্ডে ভিটামিন B17 এবং ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।

Card image cap

ডায়ারিয়ার সময় হাতের কাছে ওষুধ না পেলে এই টিপস মেনে চলুন

বর্ষায় পেটের খুব সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে পেট ব্যথা, বারবার পায়খানা, ডায়ারিয়ার সমস্যা লেগেই থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এমন সময়ে পেট খারাপ হয়, যখন ওষুধ পাওয়া যায় না বা আনার সুযোগ থাকে না। তখন ঘরোয়া কয়েকটি টিপল মেনে চললেই ডায়ারিয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।


বারবার পায়খানা হলে এবং হাতের কাছে ওষুধ না থাকলে ডায়েট সংক্রান্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখা সবচেয়ে জরুরি।


কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত জেনে নিন।


শরীরে জলের ঘাটতি যেন না হয়


বারবার পায়খানার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভয় হল ডিহাইড্রেশন। যার ফলে রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়। তাই নুন-চিনির জল, ইলেক্ট্রোলাইটসের জল এবং ওআরএস ঘন-ঘন দিতে হবে। এটা শরীরে শক্তি জোগায় এবং হাইড্রেটেড রাখতে কাজ করে।


অনেক সময় পেট গরম থেকে পায়খানা হয়। সেক্ষেত্রে পেট ঠান্ডা করা জরুরি। ছাতুর শরবৎ, ডাবের জল, আখের রস এবং টক দই খান। জল ঢালা ভাতও খুব কার্যকরী। তবে ল্যাকটোজে সমস্যা থাকলে দই এড়িয়ে চলুন।


এগুলি খাবেন না


১) পেটের সমস্যা হয়েছে মনে হলে ভাজা, মশলাদার, ভারী খাবার খাওয়া বন্ধ করা উচিত।


২) এমন খাবার খাবেন না, যেগুলি খেলে পেট ভার হয়ে যায় (ময়দা, ছোলা, ছোলা থেকে তৈরি খাবার) বা পেটে গ্যাস তৈরি করে।


৩) পায়খানা হলে প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে উপশম পাওয়া যায়। তবে সমস্যা বাড়তে থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

Card image cap

ওজন কমবে রকেটের গতিতে, গলবে পেটের মেদ

বনযাপনের সমস্যা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের অনেকেরই শরীরে মেদ জমে। কিন্তু রোগটে চেহারায় পেটে মেদ জমলে, সে সম্পর্কে বিশেষ ভাবে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।


রোগা চেহারার মানুষের পেটে মেদ জমলে কী হয়? চিকিৎসকরা বলছেন, এমন হলে অ্যান্টি-ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমতে থাকে।


আর তাতেই বাড়ে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা।


চিকিৎসকরা বলছেন, চেহারার ধরন রোগাটে হলে পেটের মেদের দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিন। গোটা শরীর জুড়ে মেদ জমলে ইনসুলিনের মাত্রা যতটা কমে, শুধুমাত্র পেটে মেদ জমলে ইনসুলিনের মাত্রা তার চেয়ে অনেক বেশি কমে। তাই চেহারার ধরন রোগা হলে পেটে মেদ জমতে দেবেন না। তেমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Card image cap

ধূমপান ত্যাগ করলে যেসব উপকার হয়,

মপানের ক্ষতিকর দিক জানা থাকলেও ধূমপান ছাড়ার ফলে কী কী উপকার মেলে তা হয়ত অনেকেই জানেন না।আসুন জেনে নিই ধূমপান ছাড়ার মধ্যে দিয়ে কী কী উপকার মেলে।


২০ মিনিট পরে: রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে থাকে ।


৩ থেকে ৮ ঘণ্টা পরে: রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হয় এবং নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা কমা শুরু করে।


৯ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরে: শরীর কার্বন মনোক্সাইড অপসারণ করে এবং যকৃত মিউকাস ও অন্যান্য ধোঁয়ার অংশ-বিশেষ পরিষ্কার করে। আপনার স্বাদ ও গন্ধের চাহিদায় পরিবর্তন আসে।


৭২ ঘণ্টা পরে: নিয়মিত ধূমপান করলে শ্বাস গ্রহণে যে সমস্যা দেখা দেয় তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। কর্মশক্তি বৃদ্ধি নিজেই বুঝতে পারবেন।


২ থেকে ১২ সপ্তাহ পরে: শরীরে সার্বিক রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি ঘটবে।


৩ থেকে ৯ মাস পরে: যকৃতের কার্যকারিতা বাড়বে। এতে কাশি ও মাথা ঘোরানোর সমস্যা ১০ শতাংশর মতো কমে আসে।


১ বছর পরে: স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ধূমপায়ীদের তুলনায় অর্ধেক কমে আসে।


৯ থেকে ১০ বছর পরে: ধূমপায়ীদের তুলনায় যকৃতে ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমে আসে এবং হৃদপিণ্ড অধূমপায়ীদের মতোই হয়ে যায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক কমে।

Card image cap

সকাল সকাল স্নান করলেই মিলবে উপকার,

রীর সুস্থ ও সতেজ রাখতে নিয়মিত স্নান বিকল্প নেই। স্নান শুধু রোগ প্রতিরোধ বাড়ায় না বরং শরীর ও মনকে আরও ফুরফুরে করে তোলে। যদি প্রশ্ন করা হয় আপনি কখন স্নান করেন?

তাহলে বেশিরভাগ মানুষই উত্তর দেবেন দুপুরে। তবে কর্মজীবীরা আবার সকালে কিংবা রাতেই স্নান সারেন। আবার অনেকেই দিনের দিনের বিভিন্ন সময়ে কিংবা একাধিকবার স্নান করেন।


তবে স্নান সঠিক সময় কখন, এ বিষয়ে অনেকেরই ধারণা নেই।


আয়ুর্বেদের তথ্যমতে, দিনের যে কোনো সময়ের চেয়ে সকালে স্নান করা বেশি উপকারী। সকালে স্নান করলে একাধিক রোগ থেকে রক্ষা মেলে। একই সঙ্গে সারাদিন সতেজ থাকতেও সাহায্য করে। সকালে স্নান অনেক বৈজ্ঞানিক উপকারিতা আছে।


ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল ইনফরমেশনে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, স্নান মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। যারা নিয়মিত স্নান করেন তাদের তুলনায় যারা প্রতিদিন স্নান করেন তাদের মধ্যে ব্যথা, মানসিক চাপ ও বিষণ্নতার মতো উপসর্গ কম দেখা যায়।


ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ঐশ্বরিয়া সন্তোষ সম্প্রতি ইনস্টাতে একটি পোস্টের মাধ্যমে স্নান সঠিক সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, স্নান আয়ুর্বেদের একটি থেরাপিউটিক কার্যকলাপ। যা শরীর ও মনকে সতেজ রাখতে কাজ করে।



এই চিকিৎসক জানান, আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে সকালে স্নান করলে একাধিক উপকার মেলে। সকালে শরীরচর্চা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনই এরপর স্নানও জরুরি। সকালে সূর্যোদয়ের আগে বা সূর্যাস্তের আগে স্নান করা সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়।


প্রতিদিন স্নান করলে কী হয়?


>> হৃদরোগের ঝুঁকি কমে

>> শ্বাসযন্ত্র শক্তিশালী হয়

>> হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে

>> ত্বকের জন্য উপকারী

>> অস্টিওআর্থারাইটিসের ঝুঁকি কমায় ও

>> শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।


অনেকেই খাওয়ার পরে স্নান করেন, যা একেবারেই ভুল কাজ। খাওয়ার পর স্নান করলে খাবার হজমে সাহায্যকারী এনজাইমগুলো বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে খাবার হজম হয় না ও পেট সংক্রান্ত নানা রোগের জটিলতা বাড়ে।


আবার রাতে স্নান করাও বেশ কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে যাদের চুল ঘন ও লম্বা তারা রাতে স্নান করলে চুল ঠিকমতো শুকায় না ও মায়োসাইটিস নামক রোগের ঝুঁকি থাকে। তাই চুল সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করুন।

Card image cap

আঙুলের আলতো ছোঁয়া বলে দেবে আপনি হার্টের রোগে আক্রান্ত কিনা

আপনার হার্ট ঠিক মতো কাজ করছে কিনা জানতে একটা সহজ পদ্ধতি আছে। কী সেই পদ্ধতি জানেন? একবার চেষ্টা করে দেখুন তো আপনার হাতের আঙুল পায়ের পাতা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে কিনা? এমনটা করার মাধ্যমেই কিন্তু আপনি বুঝে যেতে পারবেন আপনার হার্ট অসুস্থ কিনা। মানে! কীভাবে এমনটা সম্ভব? সেই উত্তর পেতে গেলে একবার যে চোখ রাখতে হবে বাকি প্রবন্ধে।


একাধিক গবেষণাতেও একথা প্রমাণিত হয়েছে যে পায়ের আঙুল ছোঁয়ার মাধ্যমে হার্টের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব। তাই এই নিয়ে কোনও বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই যে এই পদ্ধতি বাস্তবিকই কার্যকরী। আসলে এই সব স্টাডিতে দেখা গেছে শরীরের সঙ্গে আর্টারির ইলাস্ট্রিসিটির একটা যোগ রয়েছে। তাই তো যারা পায়ের পাতা বা আঙুল ছুঁতে পারেন না, তাদের ব্লাড ভেসেল খুব স্টিফ হয়। ফলে এমন মানুষদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অন্যদের থেকে বেশি থাকে। কিছু ক্ষেত্রে তো এমন মানুষদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও থাকে। তাই যদি দেখেন আপনি পায়ের আঙুল ছুঁতে পারছেন না, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরমার্শ নেবেন। অপরদিকে যারা সোজা দাঁড়িয়ে হাত দুটি উপরে থেকে একেবারে নিচে এনে পায়ের আঙুল ছুঁতে পারেন তাদের হার্টের স্বাস্থ্য যে বেজায় ভাল সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

ধাপ ১: মাটিতে বসে নিয়ে পা দুটি সামনের দিকে সোজা করে রাখুন। যেমনটা উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে। রাবড়ি খেতে ভালবাসেন?

ধাপ ২: খেয়াল করবেন পায়ের আঙুলগুলি যেন ভাঁজ হয়ে না থাকে। এক বাটি গরম জলেই ফিরবে ত্বকের জেল্লা!

ধাপ ৩: এবার চেষ্টা করুন পায়ের আঙুলগুলি ছোঁয়ার। পারলেন ছুঁতে?

ধাপ ৪: যদি আঙুল ছুঁতে পারেন তাহলে বুঝবেন আপনার হার্ট একেবারে চাঙ্গা আছে।

ধাপ ৫: আর যদি না পারেন। তাহলে বুঝবেন আপনার ব্লাড ভেসেলগুলি ফ্লেক্সিবেল বা নমনীয় নয়। যে কারণে আপনি পায়ের আঙুল ছুতে পারছেন না। এমনটা হলে যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

ধাপ ৬: ব্লাড ভেসেল যদি নমনীয় না হয় তাহলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। ধাপ ৭: তবে অনয়নীয় ব্লাড ভেসেল মানেই আপনার হার্টের রোগ আছে, এমনও নয় কিন্তু! আপনার বয়স কত, কোনও ধরনের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ, যেমন-উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টরল প্রভৃতি রোগে আপনি আক্রান্ত কিনা, ওজন স্বাভাবিক আছে কিনা, জীবনযাত্রা কেমন এই সব নানা ফ্যাক্টর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ধাপ ৮: এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরমর্শ নেওয়াই সব থেকে নিরাপদ। কারণ তিনি প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা করে আপনাকে বলে দিতে পারেন বাস্তবিকই আপনার হার্টে কোনও সমস্যা আছে কিনা।