CATEGORY games:

Card image cap

ব্যাটিং ব্যর্থতায় রনজিতে প্রবল চাপে বাংলা

রনজি ট্রফিতে দ্বিতীয় দিনেই হার মানতে হল ঋষভ পন্থের দিল্লিকে। নেপথ্যে বল হাতে রবীন্দ্র জাদেজার ম্যাজিক। অন্যদিকে হরিয়ানার বিরুদ্ধে প্রবল চাপে বাংলা। ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলিংয়েও আশার আলো দেখাতে পারলেন না মুকেশ কুমাররা। দ্বিতীয় দিনের শেষে অনুষ্টুপ মজুমদাররা পিছিয়ে আছেন ১৯০ রানে।ঘরোয়া টুর্নামেন্টে কেন তারকা ক্রিকেটাররা খেলেন না? এই নিয়ে উত্তাল ভারতীয় ক্রিকেট। অবশেষে রোহিত-পন্থরা রনজিতে নামলেও চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেন। আবার ১২ উইকেট নিয়ে সৌরাষ্ট্রের হয়ে জাদু দেখালেন জাদেজা। প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ১৮৮ রান তোলে। ঋষভ পন্থ মাত্র ১ রান করেন। জাদেজা তোলেন ৫ উইকেট। জবাবে ২৭১ রান করে সৌরাষ্ট্র। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং ব্যর্থতার শিকার হল দিল্লি। জাদেজার বলে মাত্র ১৭ রান করে আউট হন পন্থ। এই ইনিংসে জাড্ডু তোলেন ৭ উইকেট। দিল্লির ইনিংসও শেষ হয়ে যায় ৯৪ রানে। কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৫ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় সৌরাষ্ট্র।
অন্যদিকে কল্যাণী স্টেডিয়ামে ক্রমশ চাপ বাড়ছে বাংলার উপর। প্রথম ইনিংসে সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের বোলিংয়ে মাত্র ১৫৭ রানে গুঁটিয়ে যায় হরিয়ানার ইনিংস। কিন্তু ব্যাটাররা ভরসা দিতে পারলেন না। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় বাংলা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রেকর্ড ভেঙে অভিষেক হওয়া ১৫ বছরের অঙ্কিত চ্যাটার্জি করেন ২৯ রান। অভিষেক পোড়েল ৩১ রান করে লড়াই করেন। কিন্তু মাত্র ১২৫ রান সব উইকেট হারায় বাংলা। হরিয়ানার অনুজ হীরা ঠাকরাল ৬ উইকেট তোলেন।দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নামে হরিয়ানা। কিন্তু এবার পালটা আঘাত করতে পারলেন না বোলাররা। মুকেশ কুমারদের আক্রমণ সহজেই সামলে নিলেন হিমাংশু রানারা। দ্বিতীয় দিনের শেষে হরিয়ানার রান ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৮। এগিয়ে আছে ১৯০ রানে। ফলে ম্যাচ ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বাংলার।

Card image cap

ইডেনে প্রথম একাদশে নেই শামি

একবছরেরও বেশি সময় পরে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু মাঠে নামা হল না। ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টি-২০র দলেই রাখা হল না মহম্মদ শামিকে। বুধবার ক্রিকেটের নন্দনকাননে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। কিন্তু নিজের ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক করতে পারলেন না বঙ্গ পেসার। সূত্রের খবর, শামি নাকি পুরোপুরি ফিট নন। সেকারণেই তাঁকে এদিনের ম্যাচে দলে রাখা হয়নি। যদিও অনুশীলনে শামিকে প্রচণ্ড গতিতে পুরোদমে বোলিং করতে দেখা গিয়েছে।২০২৩-র বিশ্বকাপে ভারতের জার্সিতে শেষবার নেমেছিলেন। তারপর দীর্ঘ চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছেন। রনজি ট্রফি বা বিজয় হাজারে ট্রফির একাধিক ম্যাচে ভালো পারফর্ম করেছেন। কিন্তু জাতীয় দলের দরজা খোলেনি। হাল না ছেড়ে লাগাতার পরিশ্রম করে গিয়েছেন বঙ্গ পেসার। অবশেষে জাতীয় দল কামব্যাক। ইংল্যান্ড সফর এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা পেয়েছেন তারকা পেসার।প্রথমটায় বিশ্বাস হচ্ছিল না ধারাভাষ্যকারদের। বিশ্বাস কি করতে পেরেছিলেন স্বয়ং রবি শাস্ত্রীও। সূর্য বললেন, ''টস জিতে আমরা প্রথমে বল করব। কারণ শিশির সমস্যা।'' 
শাস্ত্রী প্রথম একাদশ জানতে চাইলে সূর্য বললেন, ''আমরা আমাদের শক্তি অনুযায়ী এগোব। প্রথম একাদশে রাখা হয়নি সামি, ধ্রুব জুড়েল, ওয়াশিংটন সুন্দর ও হর্ষিত রানাকে।'' 

দিন কয়েক ধরে সামি সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন। তিনি আগে বলেছিলেন, জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরার জন্য খিদে থাকতে হবে। তাঁর কোচ বদরুদ্দিন সিদ্দিকি বলেছিলেন, ''অস্ট্রেলিয়ায় কোনও অবদান রাখতে না পারায় কাঁদত সামি। অস্ফুটে বলত, আমি যদি থাকতাম, তাহলে দেশের জন্য কিছু করতে পারতাম।''

সেই সামিকেই প্রথম একাদশে রাখা হল না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তো করতে হবে মাত্র চার ওভার। ঘরোয়া ক্রিকেটে রঞ্জি ট্রফিতে নাগাড়ে বল করে গিয়েছেন সামি। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি খেলেছেন, খেলেছেন বিজয় হাজারে ট্রফি। ইডেনে কি চার ওভার করতে পারতেন না? 

ধারাভাষ্যকাররা কোনও কারণ খুঁজে পাননি। তাঁরা বলছিলেন, ''একমাত্র অধিনায়কই আসল কারণটা বলতে পারবেন।'' সূর্য নিজেও বরফ গলাননি। সাদা বল হাতে সামিকে বল করতে দেখতে চেয়েছিল ইডেন। তাঁর নামে জয়ধ্বনি দেওয়ার জন্য তৈরি ছিল নন্দনকানন। সামি নেই প্রথম একাদশে, অনেকটাই যেন উৎসাহ কমল ক্রিকেটভক্তদের। বঙ্গপেসার ঘরের মাঠেই ব্রাত্য থেকে গেলেন। 

পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ বার বল করতে  দেখা গিয়েছিল সামিকে। এদিনও প্রত্যাবর্তন না হওয়ায় আরও দীর্ঘায়িত হল সামির ফেরা। 

Card image cap

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা ভারতের

প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে ঘোষিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতীয় দল। নজরে ছিল একাধিক বিষয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেখানে চোট কাটিয়ে মহম্মদ শামি কি দলে ফিরছেন? বুমরাহর চোটের কী অবস্থা? বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় দলের দুর্দশা কাটাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাফল্য পাখির চোখ হবে। সেই সব প্রশ্নের উত্তর-সহ জানিয়ে দেওয়া হল ভারতীয় দল।এই দলই খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে। বাড়তি হিসেবে দলে থাকছেন হর্ষিত রানা। তার বাইরে মূল লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই। সেখানে অধিনায়ক থাকছেন রোহিতই। এদিন তিনি ও প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর সাংবাদিক সম্মেলন করে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করলেন। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভমান গিলকে। সাম্প্রতিক সময়ে সেভাবে ছন্দে নেই। তাঁকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়ায় কি প্রথম একাদশে তাঁর জায়গা একপ্রকার পাকা হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো তাঁকে ওপেন করতে দেখা যাবে। অবশ্য রোহিত-বিরাট-গিল ছাড়াও রয়েছে তরুণ যশস্বী জয়সওয়াল। মাঝের সারিতে ভরসা রাখা হয়েছে শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, পন্থদের উপরই। কিন্তু রাহুল ও পন্থের মধ্যে প্রথম একাদশে কাকে রাখা হবে, সেটা নজরে থাকবে। তবে দলে হার্দিক পাণ্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর ও রবীন্দ্র জাদেজার মতো ভরসাযোগ্য অলরাউন্ডার আছেন। জাদেজার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। বরং তরুণ নীতীশ কুমার রেড্ডি সম্ভাবনা জাগিয়েও ১৫ জনের দলে ঢুকতে পারেননি। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মূলত দুজন। মহম্মদ শামি ও জশপ্রীত বুমরাহ। প্রথমজন চোটের জন্য দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে। দ্বিতীয়জন সদ্য চোট পেয়েছেন। ফলে দুজনের খেলা নিয়েই সংশয় ছিল। যদিও ১৫ সদস্যের দলে জায়গা পেলেন দুজনেই। বুমরাহর চোট নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা মেটেনি। সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিম। তবে বাদ পড়লেন মহম্মদ সিরাজ। 

৮ বছর পর প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। এবারের টুর্নামেন্টে খেলবে মোট ৮টি টিম। গ্রুপ এ-তে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ বি-তে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হবে ২০২৫-এর ১৯ ফেব্রুয়ারি। সেমিফাইনাল হবে ৪ মার্চ ও ৫ মার্চ। ফাইনাল ৯ মার্চ। ভারতের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ম্যাচটি হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। আর ভারত-পাকিস্তান মহারণ ২৩ ফেব্রুয়ারি। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিল (সহ অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটকিপার), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), হার্দিক পাণ্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, জশপ্রীত বুমরাহ, অর্শদীপ সিং, মহম্মদ শামি, কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা। 

Card image cap

উত্তরপ্রদেশের সাংসদের সঙ্গে বিয়ে রিঙ্কুর!

নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন রিঙ্কু সিং? অন্তত সেরকমই জল্পনা সোশাল মিডিয়ায়। শোনা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির সাংসদ প্রিয়া সরোজের সঙ্গে বাগদান পর্ব সারা হয়ে গিয়েছে কেকেআরের ক্রিকেটারের। তবে এই বিষয়ে দুজনের কেউই প্রকাশ্যে কিছু জানাননি।২২ জানুয়ারি থেকে শুরু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেই দলে আছেন রিঙ্কু। ইডেন থেকেই শুরু হবে নতুন বছরে তাঁর ক্রিকেট অভিযান। তার আগেই রিঙ্কুকে নিয়ে শুরু নতুন জল্পনা। সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রিয়ার সঙ্গে বাগদান পর্ব সেরে ফেলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার। সোশাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে জোর গুঞ্জন।উত্তরপ্রদেশের মছলিশহর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন প্রিয়া। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি-র বিপি সরোজকে ৩০ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বাবা তুফানি সরোজ তিনবার সাংসদ ছিলেন। বর্তমানে তিনি কেরাকাটের বিধায়ক। ২৬ বছর বয়সি প্রিয়া আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রথমে বিচারক হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও পরে বাবার মতো রাজনীতিতে যুক্ত হন। তবে প্রিয়ার পরিবার থেকে বাগদান পর্বের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। অন্যদিকে রিঙ্কুকে এবার ১৩ কোটি টাকায় রিটেইন করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এমনকী অধিনায়ক হওয়ার দৌড়েও আছেন উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটার। গত আইপিএলে সেভাবে ফর্মে ছিলেন না। তবে ফিনিশারের দায়িত্ব এবারও তাঁর উপরেই থাকবে। সম্প্রতি বাড়িও কিনেছেন রিঙ্কু। সেসবের মধ্যে নাইট তারকার বিয়ে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

Card image cap

দ্রাবিড়ের উত্তরসূরিকে বিরাটদের কোচ করল বিসিসিআই

গৌতম গম্ভীরের ‘ডানা ছাঁটা’র প্রক্রিয়া শুরু করে দিল বিসিসিআই। ভারতীয় দলে ‘জিজি’র পছন্দের ব্যাটিং কোচ থাকা সত্ত্বেও নতুন করে ব্যাটিং কোচ নিয়োগ করল বোর্ড। এনসিএতে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থাকা সীতাংশু কোটাককে ভারতীয় দলের নতুন ব্যাটিং কোচ নিযুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এতদিন ধরে ব্যাটিং কোচের ভূমিকায় থাকা অভিষেক নায়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে।৫২ বছর বয়সি সীতাংশু কোটাক ২০ বছর সৌরাষ্ট্রের হয়ে রনজি খেলেছেন। অধিনায়ক ছিলেন দলের। ক্রিকেট কেরিয়ার শেষে তিনি দীর্ঘদিন এনসিএতে কাজ করেছেন ব্যাটিং কোচ হিসাবে। সিনিয়র দল এবং ভারতীয় এ দলের হয়ে বেশ কয়েকবার বিদেশ সফরেও দেখা গিয়েছে সীতাংশুকে। গত বছর ভারতীয় এ দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে জশপ্রীত বুমরাহর নেতৃত্বে ভারতীয় দল আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়েছিল, সেখানেও ব্যাটিং কোচ ছিলেন সীতাংশু। ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া বেশ ভালো বলেও শোনা গিয়েছে।এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই ভারতীয় দলের নতুন ব্যাটিং কোচ হিসাবে বেছে নেওয়া হল সীতাংশুকে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসে ইংল্যান্ড সিরিজ থেকেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। বোর্ড সূত্রে খবর, ব্যাটিং কোচ হিসাবে অভিষেকের ভূমিকা নিয়ে সংশয় থাকছে। ব্যাটারদের মোটেই সাহায্য করতে পারছেন না তিনি। অন্যদিকে সীতাংশু দীর্ঘদিন ধরে ব্যাটিং কোচ হিসাবে কাজ করেছেন। ক্রিকেটাররা তাঁকে ভরসাও করেন।আরও শোনা গিয়েছে, অজি সফরে ব্যর্থতার পরে রিভিউ মিটিংয়ে গম্ভীর নিজেই নাকি জানিয়েছিলেন, একজন ব্যাটিং কোচের প্রয়োজন আছে ভারতীয় দলে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এতদিন সহকারী কোচ এবং ব্যাটিং কোচ হিসাবে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন অভিষেক। কিন্তু গম্ভীরের ‘প্রিয়পাত্র’ অভিষেকের অবদান কতখানি? উল্লেখ্য, গত বছর ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে গম্ভীরকে বেছে নেওয়া হয়। তারপরেই দীর্ঘদিনের প্রথা ভাঙেন ‘জিজি’। এনসিএর সঙ্গে যুক্ত থাকা কোচদের উপর মোটেই আস্থা রাখতে পারেননি তিনি। বরং কেকেআরে মেন্টর থাকাকালীন যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, সেই সাপোর্ট স্টাফকেই তুলে নিয়ে যান জাতীয় দলে। এবার সেই সাপোর্ট স্টাফকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গম্ভীর নিজেই।

Card image cap

ক্ষীণ বুমরাহর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফেরার আশা

ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য ঘোর দুঃসংবাদ। যা পরিস্থিতি তাতে বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার জশপ্রীত বুমরাহকে আদৌ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে ঘোরতর অনিশ্চয়তা। শোনা যাচ্ছে, বুমরাহর পিঠে এখনও ফলা রয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে পুরোপুরি বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এমনকী কবে তাঁর স্ক্যান হবে সেটাও স্পষ্ট নয়।বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির শেষ ম্যাচ অর্থাৎ সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আচমকাই মাঠে ছেড়ে বেরিয়ে যান বুমরাহ। দ্বিতীয় ইনিংসে আর বল করতে পারেননি। ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়কের পিঠে ব্যাথা (ব্যাক স্প্যাজম) হয়েছে। চোট কতখানি গুরুতর, তার উপরে নির্ভর করছে আগামী দিনে তাঁর মাঠে নামা। সাধারণত গ্রেড ১ ক্যাটেগরির ব্যাক স্প্যাজম হলে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ রিহ্যাব করে তারপর মাঠে নামা যায়। গ্রেড ২ চোট হলে অন্তত ৬ সপ্তাহ, গ্রেড ৩ চোট পেলে অন্তত তিনমাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে তারকা পেসারকে।বিসিসিআই বুমরাহকে নির্দেশ দিয়েছিল দেশে ফিরে এনসিএ-তে রিপোর্ট করতে। কিন্তু এখন তিনি পুরোপুরি বিশ্রামে অর্থাৎ বেড রেস্টে। আপাতত তাঁকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। থাকতে হবে পূর্ণ বিশ্রামে। বেশি হাঁটা চলা করতেও বারণ করা হয়েছে। ফলে এনসিএ-তেও যেতে পারেননি। আসলে বছর দেড়েক আগে পিঠে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন বুমরাহ। সেখানেই ফের ফুলে গিয়েছে। আপাতত যা পরিস্থিতি বুমরাহর চোট কতটা গুরুতর সেটা স্পষ্ট নয়। তিনি এনসিএ-তে না যেতে পারায় তাঁর চোট কতটা গুরুতর সেটার পরীক্ষাও হয়নি। ফলে তাঁর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ল।প্রথমে মনে করা হয়েছিল বুমরাহর ব্যাক স্প্যাজম গ্রেড ওয়ান বা টু-এর। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হয়। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, ৬ সপ্তাহে হয়তো মাঠে ফিরতে পারবেন না ভারতীয় দলের তারকা পেসার। সেটা হলে আদৌ তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নামতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বোর্ডের সূত্রও বলছে, পুরোপুরি ফিট না হলে বুমরাহকে নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। 

Card image cap

নজির গড়ে সেঞ্চুরি স্মৃতির

ফের নজির গড়ল ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। দিন কয়েক আগেই ভারতের মহিলাদের ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন জেমাইমা রদ্রিগেজরা। করেছিলেন ৩৭০ রান। আর এদিন সেই রানও টপকে গেলেন স্মৃতি মন্ধানারা। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে করলেন ৪৩৫ রান। ভারতের পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রান। সেই সঙ্গে ভারতের মহিলাদের ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানের নজির গড়লেন স্মৃতি।এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন স্মৃতিরা। ওপেনিং জুটিতেই উঠে যায় ২৩৩ রান। প্রতিকা রাওয়াল করেন ১৫৪ রান। এটাই ওয়ানডেতে তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে নজির গড়লেন স্মৃতি মন্ধানা। মাত্র ৭০ বলে সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। ভারতের মহিলাদের মধ্যে এটাই দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে হরমনপ্রীত কৌর ৮৭ বলে শতরান করেছিলেন। অন্যদিকে এই সেঞ্চুরির দৌলতে ওয়ানডেতে ১০টি সেঞ্চুরি হয়ে গেল স্মৃতির। মহিলাদের ক্রিকেটে সেঞ্চুরির নজিরে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি ৮০ বলে ১৩৫ রান করেন।তারপর ঝড় তোলেন রিচা ঘোষ। ৪২ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। ৫ উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ওঠে ৪৩৫। এর আগে এক ইনিংস ভারতের মহিলা ব্রিগেডের সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৭০। দিন কয়েক আগে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেই এই স্কোর উঠেছিল। এদিন শুধু সেটাকে ছাপিয়ে গেলেন না ভারতের মেয়েরা, সেই সঙ্গে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে ভারতীয় ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানও করলেন। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৪১৮ রান করেছিল পুরুষ দল। সেখানে ডবল সেঞ্চুরি করেছিলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। এদিন সেই রান টপকে গেলেন স্মৃতিরা। অন্যদিকে মহিলাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের নজিরে চতুর্থ স্থানে উঠে এল ভারত। ৪৯৪ রান করে এই তালিকায় প্রথম স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড।

Card image cap

বিশ্বসেরা ক্রিকেটার বুমরাহ

আইসিসি টেস্ট ক্রমতালিকায় তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই শীর্ষস্থানে। বলা ভালো টেস্ট ক্রিকেটে রাজত্ব করছেন জশপ্রীত বুমরাহ। এবার তাঁকে স্বীকৃতি দিয়ে দিল আইসিসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বলে দিল, এই মুহূর্তে বিশ্বসেরা ক্রিকেটার বুম-বুমই। আইসিসির মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন ভারতীয় পেসার।ডিসেম্বর মাসে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার হিসাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বুমরাহ। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ডেন প্যাটারসন। দুজনকে হারিয়ে বুমরাহই আইসিসির মাসের সেরা নির্বাচিত হলেন। প্যাট কামিন্স লড়াই দিলেও তিনি পারলেন না। আইসিসি মেনে নিল এই মুহূর্তে বিশ্বসেরা ক্রিকেটার বুমরাহই।আসলে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে আগুনে ফর্মে ছিলেন বুমরাহ। সিরিজের পাঁচ টেস্টে ৩২ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। প্রথম টেস্টে অজিদের কার্যত বুমরাহর একার কাছেই হারতে হয়েছে। এই আগুন ফর্মেরই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পারথে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বুমরাহ। সেই টেস্টে জয়ও পেয়েছিল ভারত।  শুধু ডিসেম্বর মাসের হিসাব করলে বুমরাহর উইকেট সংখ্যা ২২। গোটা মাসে তাঁর গড় ছিল মাত্র ১৪.২২। যা এককথায় অবিশ্বাস্য। সেই আগুনে ফর্মেরই স্বীকৃতি পেলেন ভারতীয় পেসার।ডিসেম্বরের মাসের সেরা ক্রিকেটার হওয়ায় শুধু নয়, বুমরাহ আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়েও রয়েছেন। তবে আপাতত পিঠের চোটে কাবু ভারতীয় দলের ব্রহ্মাস্ত্র। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তিনি ফিট হতে পারেন কিনা, সেদিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ভারতীয় সমর্থকরা।

Card image cap

১৪ মাস পর ফিরলেন শামি

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের দল ঘোষণা করল বিসিসিআই। ১৪ মাস বাদে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হল মহম্মদ শামির। তবে শামির প্রত্যাবর্তন ছাড়া দলে বড় কোনও চমক নেই।২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষবার ভারতের জার্সিতে খেলেছেন শামি। তারপর চোট সারিয়ে ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিন্তু জাতীয় দলের দরজা খোলেনি। বরং হাঁটু ফুলে যাওয়ার কারণে শামিকে এনসিএতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রিহ্যাব করতে। একটা সময় শোনা যাচ্ছিল, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে শেষদিকে খেলানো হতে পারে বঙ্গ পেসারকে। কিন্তু এনসিএ ফিট সার্টিফিকেট না দেওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। অবশেষে শনিবারই এনসিএ থেকে শামিকে পুরোপুরি ফিট ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরই তাঁকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ দলে রাখা হল। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে অনেকদিন থেকেই ব্রাত্য ছিলেন শামি। তবে নির্বাচকরা সম্ভবত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তাঁকে বেশি করে ম্যাচ প্র্যাকটিস দিতে চাইছেন।শামির দলে ফেরা ছাড়া টি-২০ দলে বিশেষ চমক নেই। যথারীতি অধিনায়ক করা হয়েছে সূর্যকুমার যাদবকে। তবে দলের সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে অক্ষর প্যাটেলকে। ১৫ সদস্যের দলে রাখা হয়েছে ৪ স্পিনার। এবং ৩ পেসারকে। আগামী ২২ জানুয়ারি ইডেন গার্ডেন্সে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলবে টিম ইন্ডিয়া।
১৫ সদস্যের ভারতীয় দল:
সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), সঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা, হার্দিক পাণ্ডিয়া, রিঙ্কু সিং, নীতীশ কুমার রেড্ডি, অক্ষর প্যাটেল (সহ-অধিনায়ক), হর্ষিত রানা, অর্শদীপ সিং, মহম্মদ শামি, বরুণ চক্রবর্তী, রবি বিষ্ণোই, ওয়াশিংটন সুন্দর, ধ্রুব জুরেল।

Card image cap

লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানলে সর্বস্বান্ত মার্কিন সাঁতারু

প্রবল দাবানলে পুড়ে খাক লস অ্যাঞ্জেলস। তারকা থেকে আমজনতা, সকলের বাড়িই জ্বলে গিয়েছে আগুনের লেলিহান গ্রাসে। তার মধ্যে অন্যতম গ্যারি হল জুনিয়র। অলিম্পিকে ১০টি পদক জিতেছেন এই মার্কিন সাঁতারু। কিন্তু আগুনে ঝলসে গিয়েছে তাঁর প্রত্যেকটি পদক। সব হারিয়ে এখন হতাশাই তাঁর সঙ্গী।২০০০ সালের সিডনি এবং ২০০৪ সালের অ্যাথেন্স অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন গ্যারি। সবমিলিয়ে পাঁচটি সোনা জিতেছেন সুইমিং পুল থেকে। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে তিনটি রুপো এবং দুটি ব্রোঞ্জ পদকও। সাঁতারু হিসাবে কেরিয়ার শেষ হওয়ার পরে লস অ্যাঞ্জেলসে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন গ্যারি। সেখানে নতুন ব্যবসাও শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুই চলে গিয়েছে আগুনের গ্রাসে। প্রাণের চেয়ে প্রিয় ১০টি অলিম্পিক পদকও পুড়ে ছারখার।সব হারিয়ে বিপর্যস্ত গ্যারি। সেই সঙ্গে তাড়া করছে দাবানলের আতঙ্কও। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার যে সিনেমাগুলো দেখি, তার চেয়েও হাজার গুণ ভয়ংকর এই দাবানল। বাড়ির চারপাশে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছিল। কোনওমতে লাফিয়ে গাড়িতে উঠে পালিয়েছি। শুধু নিজের কুকুরটা, আর কয়েকটা দরকারি জিনিস নেওয়ার সময় পেয়েছিলাম। অলিম্পিক পদকগুলি ছাড়া বাঁচতে পারি না আমি। কিন্তু সেগুলো নেওয়ার সময়টুকুও ছিল না।”উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সান্টা মনিকা ও মালিবুর মধ্যবর্তী অন্তত ১২৬২ একর জমি দাবানলে জ্বলতে শুরু করে। শুকনো আবহাওয়ায় প্রবল হাওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। টানা চারদিন ধরে জ্বলছে ক্যালিফোর্নিয়া। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০। যদিও অসমর্থিত সূত্রের দাবি, মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, পুড়ে গিয়েছে অন্তত ১০ হাজার বাড়ি। ১ লক্ষেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার নানা এলাকা থেকে। জরুরি অবস্থা জারি করে চলছে আগুন নেভানোর চেষ্টা।

Card image cap

ডিভোর্স জল্পনার মধ্যেই চাহালের সঙ্গে ক্রিসমাস লাঞ্চে সুন্দরী

দিনকয়েক আগে এক রহস্যময়ীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল যুজবেন্দ্র চাহালকে। তারপর ফের এক সুন্দরীর সঙ্গে দেখা গেল তারকা স্পিনারকে। কেবল একফ্রেমে ধরা দেওয়াই নয়, এক টেবিলে বসে লাঞ্চ সারতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। তারপর থেকেই রহস্যময়ীর সঙ্গে চাহালের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।গত বছর থেকেই স্ত্রী ধনশ্রী ভার্মার সঙ্গে চাহালের সম্পর্কে ফাটলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। চাহাল নিজের সোশাল অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন, ‘নতুন জীবনের সূচনা হচ্ছে।’ যদিও চাহাল তখন ডিভোর্সের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার পরই স্বামীর পদবি নিজের নামের পাশ থেকে মুছে ফেলেছিলেন ধনশ্রী। দিনকয়েক আগে ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বিচ্ছেদের জল্পনা। কারণ সোশাল মিডিয়া থেকে ধনশ্রীর সমস্ত ছবিই নাকি সরিয়ে ফেলেছেন ভারতীয় স্পিনার! ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো করে দিয়েছেন তারকা দম্পতি।বিচ্ছেদ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই এক রহস্যময়ীর সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হন তারকা স্পিনার। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, এক মহিলার সঙ্গে হাঁটছেন চাহাল। ক্যামেরা থেকে বাঁচতে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নিতেও দেখা যায় তাঁকে। যদিও ওই তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। তবে নেটদুনিয়ায় তুমুল জল্পনা, চাহাল-ধনশ্রীর বিচ্ছেদে অনুঘটক হতে পারেন এই রহস্যময়ী। ওই ছবি ভাইরাল হওয়ার পরে চর্চা শুরু হয়েছে আরও এক সুন্দরীকে নিয়ে। কারণ তাঁর সঙ্গে বসে ক্রিসমাস লাঞ্চ করেছেন তারকা স্পিনার।কে এই সুন্দরী? জানা গিয়েছে, তাঁর নাম মাহভাশ। পেশায় রেডিও জকি। নিজের কাজের দুনিয়ায় তিনি বেশ জনপ্রিয়। মাত্র ২৪ বছর বয়সে দিল্লির এই রেডিও জকি যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছেন। এ জে কে মাস কমিউনিকেশন রিসার্চ সেন্টারের ছাত্রী ছিলেন তিনি, যেখান থেকে পড়াশোনা করেছেন শাহরুখ খানও। দেশের প্রথম মহিলা প্র্যাঙ্কস্টার হিসাবেও পরিচিত মাহভাশ। গত বড়দিনে চাহালের সঙ্গে ক্রিসমাস লাঞ্চ সেরেছিলেন তিনি। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লেখেন, “পরিবারের সঙ্গে লাঞ্চ।” এই ক্যাপশন থেকেই প্রশ্ন, তাহলে কি চাহালের পরিবারের একজন হয়ে উঠেছেন মাহভাশ?

Card image cap

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রোহিতদের প্রস্তুতিতে বিশেষ পদক্ষেপ

দীর্ঘ টালবাহানার পরে দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাচ্ছে ভারত। আগামী মাসেই শুরু হবে মেগা টুর্নামেন্ট। তার আগে মরুশহরেই প্রস্তুতি নেবেন রোহিত শর্মারা। টুর্নামেন্টে নামার আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে মেন ইন ব্লু।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমে হাইব্রিড মডেলে রাজি হয়নি পাকিস্তান। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের চাপের মুখে হার মানে পাক বোর্ড। জানানো হয়, দুবাইয়ে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে ভারত। গ্রুপ এ-তে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড। ভারত-পাক মহারণ ২৩ ফেব্রুয়ারি। গ্রুপ পর্বে ভারতের সব ম্যাচ হবে দুবাইয়ে। তবে শুধু গ্রুপ পর্বের ম্যাচ নয়। ভারত সেমিফাইনাল ও ফাইনালে উঠলে সেই ম্যাচগুলোও হবে দুবাইয়েই।আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ভারত। তারপরে দুবাইয়ে পাড়ি দেবে টিম ইন্ডিয়া। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলে টুর্নামেন্ট শুরু করবেন রোহিতরা। সূত্রের খবর, তার আগেই ভারতের জন্য একটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছে আইসিসি।তবে এখানে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হতে পারে আইসিসিকে। কারণ ভারত ছাড়া বাকি সাতটি দল পাকিস্তানে খেলবে। তাই ভারতের বিরুদ্ধে খেলার জন্য কোনও একটি দলকে পাকিস্তান থেকে দুবাইয়ে যেতে হবে। যাত্রার ক্লান্তি, খরচ ইত্যাদি সমস্যায় পড়তে হবে ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গেলে। এতকিছু মাথায় রেখে কোনও দলকে প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য রাজি করানো বেশ কঠিন হতে পারে আইসিসির পক্ষে। তা সত্ত্বেও কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে আইসিসি।অন্যদিকে, একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ৪০ দিন আগেও চুড়ান্ত অপ্রস্তুত পাকিস্তানের দুই স্টেডিয়াম। লাহোরের গদ্দাফি ও করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দীর্ঘদিন ধরেই পুনর্নিমাণের কাজ চলছে। যদিও এই স্টেডিয়ামগুলি নিয়ে আইসিসির তরফে এখনও কোনও আপত্তি জানানো হয়নি।

Card image cap

সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে বোঝালেন শামি

তিনি পুরোপুরি তৈরি। গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে যেন সেই বার্তাই দিলেন মহম্মদ শামি।২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষবার ভারতের জার্সিতে খেলেছেন শামি। তারপর চোট সারিয়ে ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিন্তু জাতীয় দলের দরজা খোলেনি। বরং হাঁটু ফুলে যাওয়ার কারণে শামিকে এনসিএতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রিহ্যাব করতে। শোনা যাচ্ছে, শামি নিজেও বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে খেলা নিয়ে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন না। ফলে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে খেলার পর ফের এনসিএ-তে ফেরেন শামি। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিসিসিআইয়ের তরফে কখনই স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। কেবল চতুর্থ টেস্টের আগে জানানো হয়, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে খেলতে পারবেন না শামি।এসবের মধ্যে অবশ্য সমানে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে গিয়েছেন তিনি। তবু যেন তাঁর ফিটনেস নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। মঙ্গলবার সোশাল মিডিয়ায় ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শামি। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুরো দমে বল করছেন তিনি। বেশ ভালো গতিতে, নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে। কোনও সমস্যা হচ্ছে না বাংলার পেসারের। ক্যাপশনে বঙ্গ পেসার বলছেন, “গতি, নিয়ন্ত্রণ ও আবেগের মিশেলে ক্রিকেটবিশ্বকে দেখাতে তৈরি।”এনসিএ সূত্রের খবর, শামি এখন পুরোপুরি ফিট। বল বা ফিল্ডিং করতে আর কোনও অসুবিধা হচ্ছে না তাঁর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে হলে তার আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে ৩ ওয়ানডের সিরিজ ভারত খেলবে, সেই সিরিজে দলে ফেরা জরুরি। সেটাও ভালোই জানেন শামি। সেই সিরিজকেই আপাতত পাখির চোখ করছেন তিনি।

Card image cap

সন্তোষজয়ী ফুটবলারদের হাতে তুলে দিলেন সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র

মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন সন্তোষ কাপ জয়ী বঙ্গ ফুটবলারদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে যায়। শনিবার আইএফএ দপ্তরে সরকারি কাগজপত্রে সই করেন ফুটবলাররা। আর বুধবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে মহা সমারোহে তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সঞ্জয় সেনের কোচিংয়ে দীর্ঘদিন পর সন্তোষ ট্রফি জিতেছে বাংলা। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘রবি হাঁসদার দুরন্ত গোলে জয় নিশ্চিত হল, যিনি টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ১৩টি গোল করে গোল্ডেন বুট পেয়েছেন। কোচ সঞ্জয় সেনকে আন্তরিক অভিনন্দন।’ পরে তাঁদের সঙ্গে নবান্নে দেখাও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করেন। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সবার সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করার জন্য।তার নিয়োগ প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। যখন তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল, তখন অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি, এত দ্রুত সমস্ত কাজ হয়ে যাবে। এবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বাংলার ফুটবলারদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন। এদিন দুপুরে ধনধান্য অডিটোরিয়ামে সন্তোষজয়ী ফুটবলারদের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হল। কোচ সঞ্জয় সেনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রায় সব ফুটবলাররা। অধিনায়ক চাকু মান্ডি, সৌরভ সামন্ত, আদিত্য পাত্র। পাশে উপস্থিত ছিলেন দেব, জুন মালিয়ারা। ফুটবলাররা পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সাব-ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবলের পদে চাকরি দেওয়া হচ্ছে।উল্লেখ্য, সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে কেরলকে হারিয়েছিল সঞ্জয় সেনের দল। এই নিয়ে ৩৩বার ভারতসেরা হল বাংলা। ফাইনালে জয়সূচক গোলটি করেন রবি হাঁসদা। হায়দরাবাদ থেকে রাজ্যে ফেরার পর বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

Card image cap

বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি হারের পরই গর্জন হরভজনের

ভারতীয় দলে ‘মহাতারকা সংস্কৃতি’ আর মেনে নিতে পারছেন না হরভজন সিং। প্রাক্তন জাতীয় অফস্পিনারের মনে হয়, এ বার কে মহাতারকা, কে তারকা, দল নির্বাচনের সময় সে সমস্ত দেখা বন্ধ করা উচিত। বরং বিচার্য হওয়া উচিত পারফরম্যান্স।“আমাদের টিমে একটা সুপারস্টার কালচার চলে এসেছে। কিন্তু আমাদের কোনও মহাতারকা দরকার নেই টিমে। দরকার পারফর্মার। টিমে যদি পারফর্মার থাকে, তা হলে টিমটা সামনে এগোবে। আর যারা মহাতারকা হতে চায়, তাদের বলব বাড়িতে বসে থাকো। বাড়িতেই ক্রিকেট খেলো,” সোমবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলে দিয়েছেন হরভজন। সঙ্গে যোগ করেছেন, “মনে রাখা দরকার, সামনেই ইংল্যান্ড সফর আসছে। সবাই ইতিমধ্যে বলতে শুরু করেছে, ইংল্যান্ডে কী হবে? কে যাবে, আর কে যাবে না? আমার কাছে ব্যাপারটা খুব সহজ। যারা পারফর্ম করছে, তারা যাবে। কার কত নাম-যশ, তা দিয়ে দল নির্বাচন করা যায় না। সেক্ষেত্রে তো কপিল দেব স্যর কিংবা অনিল (কুম্বলে) ভাইকেও দলে নেওয়া প্রয়োজন! আমার মতে, ভারতীয় বোর্ড এবং জাতীয় নির্বাচকদের সময় হয়েছে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কঠিন হওয়ার। আমার মনে হয় না, মহাতারকা প্রথা আমাদের টিমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে।”সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সফরে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন ভারতের দুই মহাতারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির ন’ইনিংসে কোহলি করেছেন মাত্র ১৯০ রান। এবং ক্রমাগত অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হয়েছেন। আর রোহিত পাঁচ ইনিংসে করেছেন মাত্র ৩১ রান! তা, মহাতারকা বলতে হরভজন কাদের বোঝাচ্ছেন, এরপর বুঝতে খুব অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। এবং ভারতীয় ক্রিকেটের ‘টার্বানেটর’-এর অভিমত হল, যে সমস্ত ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ডের ফ্লাইট ধরতে ইচ্ছুক, তারা আগে নিজেদের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রমাণ করুক। “পরিষ্কার বলছি, দল শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নির্বাচন করা উচিত। বিরাট-রোহিতের ক্ষেত্রেও একই জিনিস প্রযোজ্য হওয়া দরকার। যে যতই নিজেকে বড় মহাতারকা ভাবুক না কেন, ক্রিকেট নামক খেলাটার উপর কেউ নয়। আমি বলছি না, সোজা ওদের বাদ দিয়ে দাও। বলছি না, যারা পারছে না, তাদের রাখার দরকার নেই। কিন্তু তারা গেলে কিছু না কিছু ক্রিকেট খেলে যাক। সেটা কাউন্টি হোক বা যা কিছু।”

Card image cap

১৮৪ স্ট্রাইক রেটে অজি বোলারদের বোমকে দিলেন পন্থ


দ্বিতীয় দিনে শুরুতে আশা জাগালেন বোলাররা। আবার সিডনিতে দ্বিতীয় দিনের শেষে চিন্তায় রাখল সেই ব্যাটিং। মাঝে ঝড় তুললেন ঋষভ পন্থ। ভারতের রান ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১। লিড রয়েছে ১৪৫ রানের। অপরাজিত আছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর। ঋষভ পন্থের ৩৩ বলে বিধ্বংসী ৬১ রানের ইনিংস অস্ট্রেলিয়ার যাবতীয় পরিকল্পনা মাঠেই মেরে দেয়। তৃতীয় দিনে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে জাদেজা-সুন্দরদের। যাতে ম্যাচ জেতার জন্য ফের লড়াই করতে পারেন বোলাররা।প্রথম দিনে টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস গুঁটিয়ে যায় মাত্র ১৮৫ রানে। দিনের শেষে বলে খোয়াজাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বুমরাহ। দ্বিতীয় দিনেও দাপট জারি রাখলেন ভারতীয় বোলাররা। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসকে তাঁরা থামিয়ে দেন মাত্র ১৮১ রানে। বুমরাহ, নীতীশ কুমার রেড্ডিরা পেলেন দুটি করে উইকেট। তিনটি করে উইকেট পান মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। গুরুত্বপূর্ণ ৪ রানের লিড পায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ব্যাটিংয়ের শুরুটা দেখে মনে হয়েছিল, বড় রানের লিড আসতে চলেছে। স্টার্কের এক ওভারে টানা চারটি চার হাঁকিয়ে মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিলেন যশস্বী। বোঝাই যাচ্ছিল, পালটা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছে টিম ইন্ডিয়া। তারপরই সিডনির সবুজ উইকেটে বিষ ছড়ানো শুরু করলেন স্কট বোলান্ড। শুরুটা হল কেএল রাহুলকে। অজি বোলারের ইন সুইংয়ে রাহুলকে বোকা বানিয়ে উইকেট ছিটকে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ফের ধাক্কা। এবার বোলান্ডের শিকার যশস্বী। ৩৫ বলে ২২ রান করে ফিরলেন তিনি। বিরাট কোহলি নামতে আশা-আশঙ্কা দুইই দোলা দিচ্ছিল সমর্থকদের মধ্যে। রান পাবেন, নাকি ফাঁদে পা দেবেন? দ্বিতীয়টিই ঘটল। প্রথম ইনিংসের ‘অ্যাকশন রিপ্লে’র মতো অফ স্টাম্পে খোঁচা দিয়ে ফিরলেন কোহলি। শুধু প্রথম ইনিংস কেন, গোটা সিরিজ জুড়েই এক অবস্থা। কোহলি যখন ফিরছেন, তখন তাঁর রান মাত্র ৬। ভারতের রান ৫৯। কিছুক্ষণের মধ্যে আউট হলেন শুভমান গিলও। ৭৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে ভারত। বোলারদের সমস্ত পরিশ্রম কি তাহলে জলে গেল? ব্যাট করতে এলেন পন্থ। যার বেপরোয়া ব্যাটিং নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। বারবার উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন। কিন্তু এদিনের ইনিংসে পন্থ বুঝিয়ে দিলেন, তিনি পন্থই থাকবেন। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকালেন। সেটা ছিল ট্রেলার। তারপর সিডনিতে উঠল পন্থ-ঝড়। ওয়েবস্টারের এক ওভারে মারলেন তিনটি চার। স্টার্ককে উপহার দিলেন দুটি বিশাল ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৬১ রান করে ফিরলেন পন্থ। স্ট্রাইক রেট ১৮৪। চেনা মেজাজেই ভারতের লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দিলেন।তৃতীয় দিনে ব্যাট হাতে নামবেন জাদেজা ও সুন্দর। তাঁরা দুজনে কত রান জুড়তে পারেন, সেটাই দেখার। সেই সঙ্গে আশঙ্কাও রয়েছে। আচমকাই চোট পেয়েছেন বুমরাহ। তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে পারবেন কিনা, সেই উদ্বেগ থেকে মুক্তি মেলেনি। সিডনিতে সম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ে বুমরাহর উপস্থিতি পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। 

Card image cap

বেহালা চৌরাস্তায় সানার গাড়িতে বাসের ধাক্কা

ভর সন্ধেবেলা বাড়ি ফেরার সময় দুর্ঘটনার কবলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা সানা। এদিন সন্ধ্য়ায় ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে নিজের গাড়ি করে বেহালার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। আচমকাই একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয় সানার গাড়িতে। থেমে যায় গাড়িটি। তাঁর কোনও ক্ষতি না হলেও গাড়িটি দুমড়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর ব্যাপক আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন সানা। তবে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আটক করা হয় বাসের চালককে। সঙ্গে সঙ্গে সানাকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর মানসিক অবস্থা যেমন, তাতে তাঁকে ভয়মুক্ত করেন বাড়ি পৌঁছে দেয় পুলিশ। এই দুর্ঘটনার পর ডায়মন্ড হারবার রোডে সাময়িক যানজট তৈরি হয়। ঠিক কী ঘটেছিল? এদিন সন্ধ্যায় সৌরভের পরিবার সূত্রে খবর, বেহালা চৌরাস্তার কাছে দুটি বেসরকারি বাস রেষারেষি করছিল। সেই সময় সানার গাড়িও সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। রেষারেষির জেরে সানার গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে একটি বেসরকারি বাস। কিন্তু বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন সানা, তিনি একেবারেই অক্ষত। তবে তাঁর গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেসরকারি বাসের চালককে আটক করে। সানাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেয়।সৌরভকন্যা সানা এই মুহূর্তে বেশিরভাগ সময় থাকেন লন্ডনে। সেখানেই তাঁর পড়াশোনা এবং কর্মজীবন।সঙ্গে বেশিরভাগ সময় থাকেন মা ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। মাঝেমধ্যে কলকাতায় আসেন সানা। এবার নববর্ষে উপলক্ষে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে এসেছিলেন। কলকাতার রাস্তায় বেরিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন। নিজে অক্ষত থাকলেও এই দুর্ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত সানা। তাঁর ভয় কাটাতে সর্বক্ষণ পাশে থাকছেন পরিবারের সদস্যরা। দুর্ঘটনা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের কোনও সদস্য।

Card image cap

কনস্টাসের দিকে তেড়ে গেলেন বুমরাহ

সিডনি টেস্টের প্রথমদিন থেকেই উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। দিনের শেষ বলে উসমান খোয়াজাকে ফিরিয়ে স্যাম কনস্টাসের দিকে রীতিমতো তেড়ে যান ভারত অধিনায়ক জশপ্রীত বুমরাহ। সম্ভবত জানিয়ে দিলেন, দ্বিতীয় দিনে বুমরাহর আগুনে বোলিংয়ের মুখোমুখি হতে হবে অজি ওপেনারকে।ঘটনার শুরু অবশ্য তার আগেই। বুমরাহ রান আপ শুরু করার পর বুঝতে পারেন খোয়াজা তৈরিই নয়। বাধ্য হয়েই তাঁকে থেমে যেতে হয়। কিন্তু সেখানে অকারণে ঢুকে পড়েন কনস্টাস। তিনিও বুমরাহকে থামতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ভারত অধিনায়ক, ‘তোমার সমস্যা কোথায়?’ দুজনে মুখোমুখি হওয়ার আগেই মাঠের আম্পায়ার তাঁদের থামিয়ে দেন।সেই বলেই খোয়াজাকে আউট করেন বুমরাহ। অজি ওপেনারের ব্যাটে খোঁচে লেগে বল চলে যায় স্লিপে কেএল রাহুলের হাতে। বুমরাহ উদযাপনের পরই ছুটে যান কনস্টাসের দিকে। আগুনে চোখে তাকান তাঁর দিকে। ভারতীয় দলও চলে আসে সেখানে। কনস্টাসের পাশেই উদযাপনে মেতে ওঠে সকলে। সেটাই ছিল দিনের শেষ বল। চুপচাপ ড্রেসিংরুমে ফিরে যান কনস্টাস।উল্লেখ্য, মেলবোর্ন টেস্টে অভিষেক ঘটে কনস্টাসের। অভিষেকের দিনই কোহলির সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান তিনি। পরে ভারতের উইকেট পতনের সময় দর্শকদের উত্তেজিতও করেন। তার পালটা দিয়েছিল বুমরাহ। এবার দুজনের বিবাদে সিডনি টেস্ট প্রথমদিন থেকেই উত্তপ্ত হতে শুরু করল।