CATEGORY district:

Card image cap

মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি ভাঙচুর


মন্ত্রী মলয় ঘটকের আসানসোলের আপনার গার্ডেনের বাড়িতে হামলা। তাঁর বাড়ির অফিসের টেবিলের কাচ ভাঙচুর করা হয় বলেই অভিযোগ। এই ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। খোদ মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে নিরাপত্তা। তবে আইনমন্ত্রীর চোটাঘাত লাগেনি। তিনি সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছেন।বুধবার দুপুরে এক যুবক মন্ত্রীর আসানসোলের আপনার গার্ডেনের বাড়ির সামনে পৌঁছয়। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায় সে। তবে সাক্ষাতের জন্য আগাম সময় চেয়ে রাখা ছিল না যুবকের। সে কারণে নিরাপত্তারক্ষী তাকে বাধা দেয়। অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে মন্ত্রীর বাড়ি লাগোয়া অফিসে ঢুকে পড়ে ওই যুবক। মন্ত্রীর কার্যালয়ে থাকা টেবিলের কাচ ভাঙে সে। ভাঙচুরের শব্দ শুনে দৌড়ে আসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়।খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস, এসিপি সেন্ট্রাল বিশ্বজিৎ নস্করের নেতৃত্বে আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মন্ত্রীর বাসভবনে নিরাপত্তা স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি। তা সত্ত্বেও ওই যুবক ঢুকে পড়ার ঘটনায় বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পুলিশি নিরাপত্তা। তা সত্ত্বেও কীভাবে সে ঢুকে পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও ওই যুবকের দাবি, তাকে কেউ পাঠায়নি। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ না পাওয়ার পর এই কাজ করেছে সে। যদিও পুলিশের তরফে এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই যুবকের অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

Card image cap

বারাকপুরের চিড়িয়ামোড়ে চলল গুলি

ভরদুপুরে বারাকপুরের চিড়িয়ামোড়ে চলল গুলি। জখম এক যুবক। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বারাকপুর কমিশনারেট থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। জখম যুবক মহম্মদ ইমদাদ। বুধবার দুপুরে নিজের বাড়ির সামনে ছিলেন তিনি। সেই সময় বাইকে চড়ে তিন যুবক ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই যুবককে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায় বলে অভিযোগ। পাঁজর ভেদ করে গুলি লাগে তাঁর। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রাই ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বারাকপুর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশবাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা। তবে কে বা কারা গুলি চালাল, গুলি চালানোর নেপথ্য কারণই বা কী, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে ওই যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বারবার বারাকপুরে গুলি চলেছে। এদিনের ঘটনায় আরও একবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি।

Card image cap

কাকিমার লালসার শিকার নাবালক

কাকিমাকে দেখলেই কুঁকড়ে যেত নাবালক। বাড়ির অন্যান্যরা কিছুতেই সেই বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পরে ওই নাবালকের মা আসল ঘটনা জানতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে ছেলেকে ভয় দেখিয়ে যৌন হয়রানি করে যাচ্ছিলেন কাকিমা। দিনের পর দিন কাকিমার লালসার শিকার ওই নাবালক। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও তুলে রাখা হয়েছিল মোবাইলে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই মহিলাকে। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার শলুয়ারদাড়ি এলাকায়। বছর ২৮-এর ওই অভিযুক্ত মহিলার নাম দীপিকা বিশ্বাস ওরফে মাম্পি। ওই নাবালকের মায়ের অভিযোগ, অভিযুক্ত মহিলা দীর্ঘদিন ধরে ছেলেকে যৌন নির্যাতন করছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শলুয়ারদাড়ি এলাকায় দুই ভাইয়ের পরিবার একই বাড়িতে থাকেন। নাবালক ছেলে বেশ কিছুদিন ধরেই স্বাভাবিক আচরণ করছিল না। কেমন একটা ভয়ে ভয়ে থাকছিল সে। কিছু জিজ্ঞেস করলেও বলছিল না।যদিও পরে ওই নাবালক সব কথা বলে। নাবালক হওয়ার অছিলায় তাঁকে ফাঁকা ঘরে ডেকে নিয়ে যেত কাকিমা। কারও কোনও কিছু সন্দেহও হয়নি কখনও। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই শুরু হয় যৌন হেনস্থা। তাঁকে কাছে আসার জন্য বাধ্য করতেন ওই মহিলা। শুধু তাই নয়, সেসব ভিডিও মোবাইলে তুলে রেখে চলছিল ব্ল্যাকমেল। কাউকে কিছু বলতে না পেরে নাবালক কাকিমার কাছে যেতে বাধ্য হত। নাবালক সব কথা মাকে বললে সংসারে জোর অশান্তি শুরু হয়। পরিবারের লোকেরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেন।কিছু দিন বন্ধ থাকার পর ফের সেই মহিলা নাবালককে যৌন হয়রানি শুরু করেন। বৃহস্পতিবার বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালকের মা। একাধিক তথ্য, ভিডিও পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। এদিন তাঁকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Card image cap

ছাগলের টোপেও ধরা দিল না জিনাতের ‘প্রেমিক’

ভিনরাজ্য থেকে এ রাজ্য।  এক জেলা থেকে আরেক জেলা। গ্রাম থেকে আরেক গ্রাম। পথে ছড়িয়ে অসংখ্য পায়ের ছাপ। কিন্তু ১৭ দিন পরও জিনাতের ‘প্রেমিকে’র দেখা নেই। বান্দোয়ানের জঙ্গলে দেওয়া দুটি ছাগলের টোপও ব্যর্থ। মঙ্গলবার রাতে বান্দোয়ানের গঙ্গামান্নার কুইরাপাড়া এলাকার জঙ্গল থেকে উদ্ধার ৪টি ছাগলের খুবলে খাওয়া দেহ। এখনও নিখোঁজ ৬টি ছাগল। তবে সেগুলো বাঘের শিকার কি না, তা অজানা। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির বাঁশপাহাড়ি বনাঞ্চলে ৫০টা নাইট ভিশন ক্যামেরা থেকে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান এক ও যমুনা বনাঞ্চলে ১৫টা ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়ে সেখানে ধরা দেয়নি সে। ঝাড়খণ্ডে থাকাকালীন চান্ডিলের একাধিক জায়গায় বাসিন্দারা রয়্যাল দর্শন করেছিলেন বটে। কিন্তু স্রেফ ওইটুকুই! পদচিহ্ন ছাড়া সরকারিভাবে কিছু পাওয়া যায়নি। তবে মঙ্গলবার ভোরে জিনাতের ‘প্রেমিকে’র পদচিহ্ন পাওয়া যায় পুরুলিয়ার মানবাজার বনাঞ্চলের নেকড়া, সন্নিহিত বেলডুংরি পাহাড় এলাকায়। গ্রামবাসীদের থেকে খবর পেয়ে সেখানে যান পুরুলিয়ার বনকর্তারা।সুন্দরবনের ৫ জনের টিম মঙ্গলবার সকালেই বেলপাহাড়ি থেকে পুরুলিয়ার ওই এলাকায় আসে। নেকড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সোনাঝুরি জঙ্গলে ওই রয়্যাল বেঙ্গল রয়েছে বলে অনুমান। প্রাথমিকভাবে তা বুঝতে পেরে সেখানে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতা হয়। জিনাতের ফেলে আসা পথ বান্দোয়ান ১ বনাঞ্চলের কেশরা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় আরও দুটি ছাগলের টোপ দেওয়া হয়। সেই টোপ ব্যর্থ হয়। তবে মঙ্গলবার রাতে বান্দোয়ানের গঙ্গামান্নার কুইরাপাড়া এলাকার জঙ্গল থেকে ৪টি ছাগলের খুবলে খাওয়া দেহ পাওয়া গিয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে রয়েছে ৬টি ছাগল। তবে বাঘের হামালার কারণে ছাগলগুলির মৃত হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুন্দরবনের ওই টিমে থাকা সজনেখালি বিট অফিসার তথা জিনাতকে ঘুম পাড়ানিগুলিতে শুট করা মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, “আমরা ওই বাঘের মন বুঝে অভিযান শুরু করেছি। দেখা যাক কখন সাফল্য আসে।”এভাবে টোপ সাজিয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই তা পরিষ্কার করে দিয়েছে সুন্দরবনের ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞরা। রেডিও কলারহীন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে বাগে আনতে সেভাবে ঝুঁকি নিচ্ছেন না বনকর্মীরা। বনদপ্তরের নির্দেশ, কোনওরকম তাড়াহুড়ো নয়, একেবারে সতর্ক হয়ে পা ফেলতে হবে। যাতে কোনও রকম অঘটন না ঘটে। এছাড়া বান্দোয়ানের তিন বনাঞ্চল বান্দোয়ান এক, বান্দোয়ান ২, যমুনা ছাড়াও মানবাজার দুই বনাঞ্চলেও মাইকিং করে জঙ্গল সন্নিহিত এলারকার বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগ। ওই বন বিভাগের ডিওএফও পূরবী মাহাতো বলেন, “আমরা সব রকম চেষ্টা করছি যাতে ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটিকে বাগে আনা যায়। ওর গলায় রেডিও কলার না থাকায় ওর সঠিক অবস্থান আমরা বুঝতে পারছি না।”এই রয়্যাল বেঙ্গল যে জিনাতের জন্য পাগলপারা তা বলছেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের বিশেষজ্ঞরা। সেই ৩১ ডিসেম্বর থেকে জিনাতের ফেলে আসা পথেই চড়কিপাক খাচ্ছে এই রয়্যাল। 

Card image cap

গোয়ালপোখরে শুটআউট!

ঠিক যেন বলিউড অ্যাকশন ছবি! ভরা রাস্তায় সার্ভিস রিভলবার ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশকর্মীকে গুলি বিচারাধীন বন্দির। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে তুমুল শোরগোল। ওই দুই পুলিশকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।    বুধবার ইসলামপুর মহকুমা আদালত থেকে ২ বিচারাধীন বন্দিকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। দুই বন্দির মধ্যে একজন করণদিঘি হত্যাকাণ্ডে যুক্ত সাজ্জাদ আলম। আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। প্রিজন ভ্যানে করে ওই ২ বিচারাধীন বন্দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ার একরচালা কালীমন্দিরের কাছে বন্দিদের মধ্যে একজন শৌচকর্ম করবে বলে জানায়। প্রিজন ভ্যান থেকে নামে তারা। অভিযোগ, সেই সময় দুই বন্দি পুলিশকর্মীদের সার্ভিস রিভলবার ছিনিয়ে নেয়। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে দুজনে। দুই পুলিশকর্মী রক্তাক্ত অবস্থায় পথেই লুটিয়ে পড়েন। সেই সুযোগে একটি বাইকে চড়ে চম্পট দেয় দুজনে।এরপর স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে যায়। জখম পুলিশকর্মী নীলকান্ত সরকার এবং দেবেন বৈশ্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই অস্ত্রোপচার চলছে ওই দুই পুলিশকর্মীর। এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। বাইকে করে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুই বিচারাধীন বন্দি। সুতরাং আগে থেকে পরিকল্পনা করে যে তারা এই কাজ করেছে, তা একেবারেই স্পষ্ট। কীভাবে জেলের ভিতরে বসে এমন হাড়হিম করা কাণ্ডের পরিকল্পনা করল বন্দিরা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই দুই বন্দির খোঁজে শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি। তাদের গতিবিধি সম্পর্কিত তথ্যের খোঁজে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

Card image cap

মকর সংক্রান্তিতে দুই জেলায় জোড়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনা

মকর সংক্রান্তির সকালে বন্ধুর সঙ্গে দ্বারকেশ্বর নদে স্নানে নেমে  ডুবে মৃত্যু হল এক নাবালকের। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুরে। অপর বন্ধুকে জয়পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন সে। অন্যদিকে, বিকেলে দুর্গাপুরের অজয় নদে তলিয়ে যায় দুই কিশোর। তারা এখনও নিখোঁজ। তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বারকেশ্বরে তলিয়ে মৃত নাবালকের নাম রুদ্রনারায়ণ কুণ্ডু। বয়স ১৫ বছর। সে পাত্রসায়র থানার বালসি গ্রামের বাসিন্দা। অপরজন তার বন্ধু। জয়পুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে আসে তারা। মঙ্গলবার সকালে দ্বারকেশ্বর নদের পরাশিয়ার ঘাটে স্নান করতে নামে দুই কিশোর। জলের টানে দুজই তলিয়ে যেতে থাকে। তা দেখতে পেয়ে ঘাটে থাকা অন্যান্যরা উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয় জয়পুর থানার পুলিশ। উদ্ধার কাজে হাত লাগায় তারাও।কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় এবং পুলিশের চেষ্টায় তলিয়ে যাওয়া ২ বন্ধুকে উদ্ধার করা হয়। জয়পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে রুদ্রনারায়ণকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। অন্যজনের চিকিৎসা চলছে। জয়পুর থানার এক আধিকারিক বলেন, “উদ্ধার করার পর ২ জনই জীবিত ছিল। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা রুদ্রনারায়ণকে মৃত বলে জানান।”অন্যদিকে, দুর্গাপুরের অজয়ে স্নানে নেমে তলিয়ে গেল দুই কিশোর। ঘটনাটি ঘটে সাড়ে চারটে নাগাদ। এখনও তাদের উদ্ধার করা যায়নি বলে খবর। নিখোঁজ দুই যুবকের নাম রাহুল মরাই ও শুভম মণ্ডল। তারা দুর্গাপুর থানার চাষিপাড়া সংলগ্ন টালিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। এদিন তিন বন্ধু মিলে কাঁকসার শিবপুরের অজয় নদে আসে। দেবাশিস সান্যাল নামের তৃতীয় বন্ধু ঘাটেই দাঁড়িয়ে ছিল। সাঁতার না জানাায় রাহুলরা তলিয়ে যেতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ। কিশোরদের এখনও উদ্ধার করতে না পারায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পুণ্যার্থীরা। ঘটনাস্থলে আসেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (কাঁকসা) সুমনকুমার জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “ডুবুরি ও উদ্ধার দলকে জলে নামানো হয়েছে। উদ্ধারকার্য চলছে।”

Card image cap

রানাঘাটে ধৃত বাংলাদেশি যুবক

ফের পুলিশের জালে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। নদিয়ার রানাঘাটের হাঁসখালি এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম মহম্মদ মিরাজ শেখ। পুলিশের জালে আরও এক দালালও গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কয়েক দিন ধরেই একাধিক অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার হচ্ছেন। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, দত্তপুকুর, মুর্শিদাবাদের সুতি, এলাকা থেকে অতি সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের।
নদিয়ার রানাঘাট জেলা পুলিশে এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। এবার হাঁসখালি থানার পুলিশের জালে গ্রেপ্তার হলে বছর ২৩-এর মহম্মদ মিরাজ শেখ। গতকাল সোমবার রাতে চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ওই যুবক ভারতে এসেছিল। তাঁর গতিবিধি বেশ সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তাঁকে ধরে জেরা করে। তাঁর থেকে কোনও বৈধ কাগজপত্রও পাওয়া যায়নি। চাপ দিতেই জানা যায়, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল জেলায়। অবৈধভাবে ভারতে আসার জন্য গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।এছাড়াও পুলিশের জালে গ্রেপ্তার হয়েছেন আফ্রিদি মণ্ডল এক ভারতীয় দালাল। আফ্রিদি সীমান্ত পেরিয়ে কতজনকে এপারে অবৈধভাবে নিয়ে এসেছেন? সেই বিষয় জানতে চায় পুলিশ। কী কারণে ওই যুবক বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন? নাশকতার ছক নাকি অন্য কোনও বিষয় রয়েছে? সেসব প্রশ্নও মাথাচাড়া দিচ্ছে। এদিন রাণাঘাট আদালতে তোলা হয় ধৃতদের। পুলিশ হেপাজত চেয়েছে পুলিশ।

Card image cap

স্ত্রীকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি

স্বনামধন্য বনেদি পরিবারের ঘর থেকে ভর সন্ধ্যায় আচমকা পরপর গুলির আওয়াজ। স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে দেখেন স্বামীর হাতে রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। গুলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে রয়েছেন স্ত্রী। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে নৈহাটির রাজেন্দ্রপুর এলাকার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জখম স্ত্রী চন্দ্রলেখা ঘোষের হাতে, পায়ে এবং আরেকটি গুলি বুক ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।প্রথমে তাঁকে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে বারাকপুর ওয়ারলেস মোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযুক্ত মহেন্দ্রপ্রতাপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে শিবদাসপুর থানার পুলিশ। এনিয়ে বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (নর্থ) গণেশ বিশ্বাস বলেন, “জখম মহিলা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসক না জানানো পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তদন্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।” পারিবারিক বিবাদের কারণেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মহেন্দ্রর পরিবার অত্যন্ত ধনী ও বনেদি হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তাঁর ঠাকুরদা নীলমণি ঘোষকে বাসিন্দারা মাছের ব্যবসার ‘টাইকুন’ বলেই ডাকতেন। রাজেন্দ্রপুরের মৎসবাজারের ব্যবসা জেলা জড়িয়ে রাজ্যব্যাপী হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। তাই ঘোষ পরিবারের সম্পত্তি প্রচুর। এনিয়েও পারিবারিক বিবাদও রয়েছে বলেই এলাকাবাসী সূত্রে খবর। তাই এদিনের ঘটনাকে পারিবারিক বিবাদ বলেই অভিযোগ করছেন অনেকে। যদিও অভিযুক্তর কাকা প্রতিবেশী বাবলু ঘোষ ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা দাবি করেন। তিনি বলেন, “মহেন্দ্র তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক অনেক দিন পরিষ্কার করেননি। সেটাই এদিন সন্ধ্যায় ঘরে পরিষ্কার করছিলেন। তখন তাঁর স্ত্রী ঘরে ঢুকলে কোনওভাবে বন্দুক থেকে একটি গুলি বেরিয়ে ওর তাঁর গায়ে লাগে। ভয় পেয়ে মহেন্দ্র বন্দুক মাটিতে ফেলতে গেলে আরও দুটি গুলি বেরিয়ে স্ত্রীর গায়ে লাগে।”যদিও এই কথা কতটা বিশ্বাসযোগ্য? তাই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। প্রতিবেশী অনেকেই মদ্যপ অবস্থায় পারিবারিক গণ্ডগোল শুনেছেন বলেও অভিযোগ। বিধায়ক সনৎ দে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই জমি, জায়গা-সহ পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে ওঁদের পরিবারে অশান্তি চলছে বলে শুনেছি।” গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

Card image cap

বনগাঁয় ধৃত ৫ অনুপ্রবেশকারী

চার মেয়েকে নিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশ ফিরছিলেন বাবা। মেয়েরা আবার ভারতের নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে দিব্যি এদেশে থাকছিলেনও! কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। সীমান্ত পেরনোর আগেই তাঁদের গ্রেপ্তার করল বনগাঁ থানার পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার মেয়ের নাম আসমা মৃধা, পুন্নি মৃধা, রিয়া মৃধা ও আলিজা কুরেসি। তাঁরা বছর কয়েক আগেই বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন। তারপর দিল্লিতে পাড়ি জমিয়ে সেখানেই থাকছিলেন। ভারতের পরিচয়পত্রও বানিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। চার বোনের মধ্যে একজন বিয়ে করেছেন। তাঁর আবার এক সন্তানও আছে।বাংলাদেশের রাজনৈতিক আবহ উত্তপ্ত। হিন্দু নির্যাতনের একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাতেও চাপ বাড়ছে জঙ্গি অনুপ্রবেশের। এদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তারও করছে পুলিশ। এদিকে সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যেও বেড়া দেওয়া নিয়ে মালদহ, কোচবিহারে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সেই আবহে বাংলাদেশ থেকে দিন কয়েক আগে চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন নান্নু মৃধা। দিল্লি থেকে মেয়েদের বনগাঁয় নিয়ে আসেন তিনি। পরিকল্পনা ছিল মেয়েদের নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ফের বাংলাদেশে যাওয়া।আজ শনিবার সকালে ওই পাঁচজনকে বনগাঁ বাগদা সড়কের পাশে দেখতে পাওয়া যায়। তাঁদের দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বনগাঁ থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে তাঁদের জেরা করতে শুরু করে। কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। যে সব পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিও নকল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এরপরেই তাঁদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নান্নু মৃধা জেরার স্বীকার করেন, তাঁদের বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানা এলাকায়। তিনি মেয়েদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চোরাপথে এদেশে এসেছিলেন। পুলিশ তাঁদের কথার সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করেছে। দিল্লিতে ওই চার তরুণী কোথায় থাকতেন? সেইসবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিন ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।

Card image cap

মালদহ সীমান্তে গুলি করে পাচার রুখল BSF

ফের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান রুখল বিএসএফ। পাচারকারীরা বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলাও চালিয়েছিল। যদিও সেই হামলা মোকাবিলা করে পালটা আক্রমণে যান জওয়ানরা। দুই রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটল মালদহের নওদা সীমান্তে। জওয়ানরা ওই ঘটনার পর সীমান্ত এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ কফ সিরাপ উদ্ধার করেছেন।বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, ১১৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা নওদার সীমান্তে রাতে পাহারা দিচ্ছিলেন। আনুমানিক রাত ২টোর পর ১৫-২০ জন সশস্ত্র বাংলাদেশি চোরাকারবারী সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তাঁদের চ্যালেঞ্জ করা হয়। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশিরা তারপরও এপারে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। জওয়ানরা তাঁদের আটকাতে বন্দুকের ফাঁকা আওয়াজও করেন। তবুও পাচারকারীরা পিছু হটেনি।জওয়ানদের মুখে জোরালো টর্চের আলো ফেলা হয়। চোখে ধাঁধা লেগে গেলে ধারালো অস্ত্র, লাঠি নিয়ে জওয়ানদের উপর হামলা চালানো হয়। বেগতিক দেখে জওয়ানরা দুই রাউন্ড গুলি চালান। সেসময় পালান পাচারকারীরা। তীব্র শীতের রাতে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান জওয়ানরা। ৫৭২টি কফ সিরাপের বোতল, একটি দূরপাল্লার টর্চ উদ্ধার করা হয়। জওয়ানদের ছোড়া গুলিতে কি কেউ জখম হয়েছেন? সেই সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।বিএসএফের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় জওয়ানরা সদা সতর্ক আছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই নজরদারি আরও জোরালো হয়েছে। শীতের রাতের ঘন কুয়াশার আড়ালে পাচারকারীরা সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টা করেন। পাচার রুখতে কড়া নজরদারি চলছে। মালদহের খুটাদহ সীমান্তেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুয়াশার মধ্যে বাংলাদেশে গরু পাচারের চেষ্টা করে পাচারকারীরা। বিএসএফ জওয়ানরা বাধা দিলে পাচারকারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করে। বাধ্য হয়ে কর্তব্যরত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি ছোড়ে। তাতেই পালিয়ে যান পাচারকারীরা। পরের দিন নওদা সীমান্তে ফের এই ঘটনা।

Card image cap

মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ায় প্রসূতির মৃত্যু!

মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ায় সরকারি হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ! আরও চারজন রোগিনী গুরুতর অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে ভর্তি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। ঘটনার খবর পৌঁছেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরেও। হাসপাতালের কাছেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে খবর। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসব বেদনা নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ২১ বছর বয়সি মামনি রুই দাস। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা এলাকায়। বুধবার তাঁর অস্ত্রোপচার হলে এক সন্তানের জন্মও দিয়েছিলেন মামনি। সেদিন আরও বেশ কয়েক জনের অস্ত্রোপচার হয়। রোগীদের অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে স্যালাইনও দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার থেকে মামনি-সহ পাঁচজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাঁদের সকলকেই আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। আজ, শুক্রবার সকালে মারা যান মামনি রুই দাস। সেই কথা জানার পরেই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হাসপাতাল থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছে বলেই মামনি মারা গিয়েছেন। এমনই গুরুতর অভিযোগ তোলা হল সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। আত্মীয়দের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার থেকেই মামনির বমি-সহ বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যায়। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল। শুধু তাঁরই নয়, বাকিদের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। মৃতার পরিবারের সঙ্গে অন্যান্যরাও তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শুক্রবার এই বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতালে। ঘটনার কথা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছেও গিয়েছে। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে জানতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ফোনও করা হয় বলে খবর। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে তদন্তের জন্য হাসপাতালের তরফে ১০ সদস্যের টিম গঠিত হয়েছে। সত্যিই কি মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল? তার জেরেই কি মামনির মৃত্যু? সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে। 

Card image cap

বিচ্ছেদ হতেই সোশাল মিডিয়ায় ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট প্রাক্তন প্রেমিকের!

বিচ্ছেদ হতেই সোশাল মিডিয়ায় ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট প্রাক্তন প্রেমিকের! অপমানে আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।জানা গিয়েছে, স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকার গড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই দশম শ্রেণির ছাত্রী। অন্যান্যদিনের মতোই বুধবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ে সে। বৃহস্পতিবার বেলা গড়িয়ে গেলেও ওঠেনি। তাতেই সন্দেহ হয় সকলের। ডাকাডাকি করলেও নাবালিকার সাড়া মেলেনি। পরবর্তীতে ঘর থেকে উদ্ধার হয় তার নিথর দেহ। খবর দেওয়া হয় থানায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কেন এই চরম সিদ্ধান্ত?মৃতার পরিবারের সদস্যদের দাবি, এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার। কিন্তু কোনও কারণে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। অভিযোগ, বিচ্ছেদের পরই নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে যুবক। এক পর্যায়ে সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের ঘনিষ্ঠ ছবি নাকি পোস্ট করে নাবালিকার প্রাক্তন প্রেমিক। তাতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ছাত্রী। পরিবারের অনুমান, অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে নাবালিকা। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই সংক্রান্ত কোনও সোশাল মিডিয়া পোস্ট এখনও মেলেনি। বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Card image cap

‘ভুল’ ইঞ্জেকশনে শিশুমৃত্যু

ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুর মৃত্যু। ভুল চিকিৎসার অভিযোগে দুর্গাপুরের অণ্ডাল থানার উখড়া এলাকায় তুমুল উত্তেজনা। চিকিৎসকের চেম্বারে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। উত্তেজিত জনতার ইট ও ঢিলের ঘায়ে মাথা ফাটল ওসির। এই ঘটনার পর থেকে মাধাইগঞ্জ রোডের ওই চিকিৎসক বেপাত্তা। তাঁর খোঁজে চলছে তল্লাশি।দুর্গাপুরের উখড়া সরপি রোডের পুরাতন হাটতলা এলাকায় নিজস্ব চেম্বার রয়েছে রাজেশ মাজি নামের এক চিকিৎসকের। পাণ্ডবেশ্বরের জোয়ালভাঙ্গা এলাকায় বাসিন্দা রাজু বাউড়ির বছর ছয়েকের ছেলে গোবিন্দর দু-তিন দিন ধরে পেটের রোগে ভুগছিল। ডিহাইড্রেশন হয়েছিল গোবিন্দর। চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে শুক্রবার সকালে ডাক্তার রাজেশ মাঝির চেম্বারে নিয়ে যায়। চিকিৎসক শিশুটিকে বেশ কয়েকটি ইনজেকশন দেন। এরপর ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে পরিবার। কিন্তু বাড়িতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সন্ধ্যায় ফের তাকে চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে যায়। তখন চিকিৎসক রাজেশ মাঝি শিশুটিকে তাঁর চেম্বারে ভর্তি করার কথা বলেন। কিছুক্ষণ পরেই চেম্বারে শিশুর মৃত্যু হয়।ভুল চিকিৎসাতে শিশুটি মারা যায় বলে অভিযোগ করেন বাবা রাজু বাউড়ি। এই খবর এলাকায় পৌঁছলে সেখান থেকে আত্মীয়-পরিজন, স্থানীয়রা, চিকিৎসকের চেম্বারে ভিড় করেন। তবে তার আগে সুযোগ বুঝে অভিযুক্ত চিকিৎসক চেম্বার ছেড়ে চম্পট দেন। ক্ষুব্ধ আত্মীয় পরিজনেরা চেম্বারে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উখরা ফাঁড়ি ও অণ্ডাল থানার পুলিশ। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে হঠাতে যায়। আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট, ঢিল। তাতে অণ্ডাল থানার ওসি মেঘনাথ মণ্ডল-সহ কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হন।

Card image cap

বর্ধমানে ফাঁকা বাড়ি পেয়ে অবাধে লুটপাট!

 ইংরেজি বছরের প্রথম দিনেই ভয়াবহ চুরি। শুধু চুরিই নয়, রীতিমতো রান্নাবান্না করে খাওয়াদাওয়াও করেছে দুষ্কৃতী দল! বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর উত্তরপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি মালিক পেশায় রেল কর্মী মৃত্যুঞ্জয় দাস বাড়ি এসে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। ঘরে ঢুকে দেখেন আলমারির তালা ভেঙে সর্বস্ব লুট হয়ে গিয়েছে। সারা ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।তাঁর দাবি, প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি সোনার গয়না চুরি গিয়েছে। তাঁর স্ত্রীর স্কুটিও নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে আরও অবাক করা কাণ্ড, থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে বাড়ি মালিক দেখেন থানাতেই দাঁড় করানো রয়েছে তাঁর স্কুটিটি। পুলিশ জানিয়েছে, রাতে গাড়িটি আটক করা হয়েছে।মৃত্যুঞ্জয়বাবু বর্ধমানেই রেলে চাকরি করেন। বুধবার দুপুরে সপরিবারে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। বড় নীলপুরের বাড়ি তালা দেওয়া ছিল। এদিন সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডিউটিতে চলে যান তিনি। কিন্তু দুপুরে ফিরে দেখেন তালা ভাঙা রয়েছে। ভিতরে ঢুকে দেন নতুন স্কুটিটা নেই। একতলা ও দোতলার ঘরে সব কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। আলমারি ভাঙা। নগদ, সোনাদানা সব চুরি গিয়েছে। তিনি আরও জানান, চোরেরা রান্নাঘরেও ঢুকেছিল। ফ্রিজে থাকা ১০টি ডিমও উধাও। গ্যাসের ওভেনে কড়াই চাপানো রয়েছে।‌ বুঝতে পারেন দীর্ঘসময় ধরে রান্নাবান্না করে খাওয়াদাওয়াও করেছে চোরেরা।বাড়ির মালিক ও তাঁর পরিজনদের অনুমান, পরিচিত কেউ করেছে বা করিয়েছে। রাতে বাড়িতে কেউ নেই, এই খবর পরিচিতই কেউ দিয়েছে নিশ্চয়ই। মৃত্যুঞ্জয়বাবুর শ্যালক রাজু দাস বলেন, “থানায় আমরা অভিযোগ জানাতে এসে দেখি জামাইবাবুদের স্কুটিটি রাখা রয়েছে। আমরা পুলিশকে জানাই বিষয়টা। পুলিশ আমাদের জানায় রাতে টহলদারি পুলিশ সেটি আটক করেছে। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে পুরো ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

Card image cap

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে ‘খুনে’র হুমকি

মালদহে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত বাংলা। এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে খুনের হুমকি। বাড়ির সামনে মিলল হুমকি পোস্টার, গুলি, থান, ধুপকাঠি, সাবান-সহ অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়ার সামগ্রী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল শোরগোল নওদা ব্লকের মধুপুরে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গাধারী এলাকার বাসিন্দা মনিরুল শেখ। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তিনি। শুক্রবার সকালে তাঁদের পুরনো বাড়ির সামনে যেতেই দেখেন ভয়ংকর কাণ্ড। দেখেন, রাখা হুমকি পোস্টার, গুলি, থান, ধুপকাঠি, সাবান-সহ অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়ার সামগ্রী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে ইতিমধ্যেই সমস্ত সামগ্রী উদ্ধার করেছে। কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে তাও খতিয়ে দেখছে নওদা থানার পুলিশ।এবিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্য মনিরুল শেখ বলেন, তাঁর বাবা-মা একসময় পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। তিনি বর্তমানে মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তাঁদের শত্রু বলতে কেউ নেই। কিন্তু কে বা কারা এ ধরনের হুমকি দিল সেটা তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত মনিরুল শেখ ও তাঁর পরিবার।

Card image cap

রাতেও ধরা দিল না বাঘিনী ‘জিনাত’

জ্বালানো হয়েছিল আগুন। ঘেরা হয়েছিল জাল দিয়ে। এমনকী ফ্লাশ লাইটও জ্বালিয়ে দিয়েছিল বনদপ্তর। তারপরেও রাতভর অপেক্ষায় কাটল বনকর্মীদের। দেখা মিলল না বাঘিনী ‘জিনাত’ ওরফে ‘গঙ্গা’র। রবিবার সকালেও তার আতঙ্কে কাঁটা বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহির বাসিন্দারা।শনিবার রাত জেগেছে গোঁসাইডিহি গ্রামের বাসিন্দারা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যা নিয়ে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট তাঁরা। গতকাল সকালেই ওই এলাকারই কংসাবতী রানিবাঁধে বাঘিনির থাবার ছাপ মিলেছিল। বোঝা গিয়েছিল, সেচখালের পাশে দেড় হেক্টর জমিতে আশ্রয় নিয়েছে সে। সেখান থেকেই জিনাতকে ধরার জন্য ডবল নেটের জাল দিয়ে গোটা এলাকা মুড়ে ফেলে বনকর্মীরা। এমনকী, বাঘিনীকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলিও চালান অভিযানের সঙ্গী শুটাররা। তবে ঘুমপাড়ানি গুলিতে জিনাতকে কাবু করা যায়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।বহাল তবিয়তেই গোঁসাইডিহির কংসাবতী সেচখালের পাশে জঙ্গলপূর্ণ জমিতে রাত কাটিয়েছে জিনাত ওরফে গঙ্গা। বাঘিনিটি যাতে নেট ফেনসিং কেটে পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য নেটের বাইরে আগুন জ্বালিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার রাতের শিক্ষা নিয়ে ১০ মিটার অন্তর অন্তর নেট ফেনসিং বরাবর একজন করে কর্মীকে রাখা হয়। সুন্দরবনের দু’জন শুটার গাছের উপরে অপেক্ষায় ছিলেন। বাঘিনির অবস্থানের খুব কাছে একটি জেসিবি রাখা হয়। তার বাকেটে সিমলিপালের শুটার দুজন ছিলেন। আকাশে ড্রোন ওড়ানো হয়। তবে বাঘিনির অবস্থান একই জায়গায় রয়েছে বলে প্রযুক্তির সাহয্যে জানা যায়। এরই মধ্যে সন্ধ্যা নেমে আসায় বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অন্ধকারে নেট ফেনসিংয়ের বাইরে আগুন লাগানো হয়। তাতেও অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। এখনও নাগালের বাইরেই ‘জিনাত’।

Card image cap

দিল্লিতে গ্রেপ্তার মালদহের যুবক

৫০০ টাকার ১৯০টি জালনোট-সহ দিল্লিতে গ্রেপ্তার মালদহের যুবক। সঞ্জয় গান্ধি ট্রান্সপোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে মালদহে পুরনো জিনিসপত্র কেনাবেচার ব্যবসা করে। এরপরই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি দেশে ফের জালনোট কারবারিদের দাপট বেড়েছে?জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম কাউসর আলি। গ্রেপ্তারের সময়ে তার থেকে ৯৫০০০ হাজার টাকা জাল নোট বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃত ব্যক্তি জাল নোটের ব্যবসার কথা স্বীকার করছে। আরও জানা গিয়েছে, কিছু সমাজ বিরোধীদের সংস্পর্শে এসে  জাল নোট ব্যবসা করতে থাকে কাউসর।বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে জাল নোট ধরা পড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ, ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ বাড়ছে। এই আবহে ভারত-বাংলাদশ সীমান্তের শহর মালদহের যুবক জাল নোট নিয়ে রাজধানীতে গ্রেপ্তারির ঘটনা যথেষ্ট সন্দেহের বিষয়। প্রশ্ন জাগছে, ওপার বাংলা থেকে জাল নোট কি ভারতে ঢুকছে? পিছনে হাত কি আইএসআইয়ের? কারণ, যে-কোনও দেশের বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দিলে সে দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করা যায় বলেই মত অর্থনীতিবিদদের। সেই চেষ্টাই কি করা হচ্ছে? পাকিস্তান-বাংলাদেশ থেকে জাল নোট কলকাতা হয়ে কি দেশে জাল নোট ছড়িয়ে পড়ছে? এই গ্রেপ্তারির পর উঠছে সেই প্রশ্নও।

Card image cap

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে জমানো লক্ষ-লক্ষ টাকা উধাও!


রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে জমানো টাকা উধাও! ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট বা সিএসপি থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল মল্লারপুর থানা এলাকায়। ময়ূরেশ্বরের দক্ষিণ গ্রাম এলাকায় গ্রামেরই রামকৃষ্ণ দলুইয়ের মাধ্যমে ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিয়েছিল এলাকার প্রান্তিক চাষিরা। দিন পনেরো আগে বাইক দুর্ঘটনায় রামকৃষ্ণের মৃত্যু হয়। তারপরেই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে গ্রামবাসীরা জানতে পারে তাদের জমানো টাকা উধাও। মল্লারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান বাসিন্দারা। রামকৃষ্ণ দলুইয়ের মৃত্যু হলে তাঁর সহকারী প্রিয়া কোনাই এই কাণ্ডে জড়িত বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। কিন্তু অ্যাকাউন্ট নিয়ে খোঁজখবর শুরু হলে ছেলেকে নিয়ে ঘর বন্ধ করে গাঢাকা দিয়েছে প্রিয়া।ময়ূরেশ্বরের দক্ষিণগ্রামে গ্রাহকদের সুবিধার জন্য গ্রামেরই ছেলে রামকৃষ্ণ দলুই ভাড়া ঘরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক একটি সিএসপির শাখা খোলে। এলাকাটি প্রান্তিক চাষিদের এলাকা। দক্ষিণগ্রাম ছাড়াও রাতগড়া, ধানগড়া, নন্দীগ্রাম-সহ আশেপাশের গ্রামের মানুষ ওই সিএসপি থেকে টাকা জমা ও তোলার কাজ করত। সম্প্রতি গ্রামেরই মোড়ে পথ দুর্ঘটনায় রামকৃষ্ণের মৃত্যু হয়। তারপরেই টাকা তুলতে গিয়ে গ্রাহকরা জানতে পারে তাঁদের অ্যাকাউন্টে একটি টাকাও জমা পরেনি। তাতেই মাথায় হাত গ্রাহকদের।শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এলাকার গ্রাহকরা লিখিতভাবে প্রায় ১০০ জন মল্লারপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, রামকৃষ্ণ গ্রামের ছেলে। গলায় মালা চন্দন ছিল। তুলসী গাছ লাগিয়ে বেড়াত। তাঁকে বিশ্বাস করেই টাকা রেখেছিলাম। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আট বছর ধরে রামকৃষ্ণ ওই সিএসপি চালায়। গত তিনবছর তাঁর সহযোগী হিসাবে গ্রামেরই মেয়ে প্রিয়া কোনাইকে রাখে। গ্রাহকদের অভিযোগ রামকৃষ্ণ ও প্রিয়া যোগসাজশ করে টাকা হাতিয়েছে।গ্রামের গৌতম বায়েন জানান, “বাবার মৃত্যুর পরে কৃষক বন্ধুর জন্য সরকারের দেওয়া দুলক্ষ টাকা আমরা প্রিয়ার হাতে দিয়ে রামকৃষ্ণের মাধ্যমে ফিক্সড করেছিলাম। পুজোর সময় বাইরে ছিলাম। মা তুলসী বায়েন টাকা তুলতে গেলে কাগজে চারটে টিপ ছাপ দিয়ে নেয়। পরে ১০ হাজার টাকা দিয়ে মা কে ছেড়ে দেয়। এখন দেখি চারবার ৩০ হাজার করে টাকা প্রিয়া নিজের অ্যাকাউন্টে ও তার ভাই প্রতাপ কোনাইয়ের নামে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা তুলেছে।” নন্দীগ্রামের বাসিন্দা চাঁদু কোনাই দাবি করেন, “দুবছর আগে আমার কাছে ২ লক্ষ টাকার ফিক্সড করিয়ে নেয় রামকৃষ্ণ। কিন্তু সবার কাছে শুনে ব্যাঙ্কে গিয়ে পাসবই দেখালে ব্যাঙ্ক জানায়, আমার কাছে থাকা কাগজ সব ভুয়ো। আমার অ্যাকাউন্ট ফাঁকা।” প্রান্তিক চাষি সাধন গড়াই বলেন, “গ্রাম সম্পর্কে প্রিয়া আমাকে মামা বলে ডাকে। তাঁদের দুজনের কথায়, আমি আমার কৃষক বন্ধুর ভাতা, ধান বিক্রির টাকা নিয়ে ২০২৩ সালে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জমিয়েছিলাম। সবার কথা শুনে ব্যাঙ্কে গিয়ে অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে জানলাম তাতে একটা টাকাও নাই।”সকলেই শনিবার মল্লারপুর থানায় এসে জমানো টাকা ফেরতের দাবি জানায়। তাঁদের অভিযোগের পর গ্রামের কয়েক শো গ্রাহক সকলেই এখন কামরাঘাটের ওই ব্যাঙ্কের মূল শাখায় ভিড় জমাচ্ছে। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, সিএসপিতে ৯ হাজারের বেশি টাকা ফিক্সড হয় না। তাছাড়া গ্রাহকরা যা কাগজ দেখাচ্ছে তা ভুয়ো। তাহলে অভিযোগটা প্রমাণ হবে কী করে? মল্লারপুর থানা তদন্ত শুরু করেছে বলে জানায়।