CATEGORY tour:

Card image cap

অ্যাডিলেডে ‘স্যান্ডপেপার’ হাতে ভারতীয় ভক্ত

অ্যাডিলেড টেস্টে  ঝামেলা বেঁধেছিল মহম্মদ সিরাজ ও ট্র্যাভিস হেডের মধ্যে। তার জল অনেক দূর গড়িয়েছে। কিন্তু পিঙ্ক বল টেস্টের বিতর্ক এর মধ্যেই থেমে থাকেনি। নাটক ছিল মাঠের বাইরেও। সেখানে স্যান্ডপেপার নিয়ে উপস্থিত এক ভারতীয় দর্শক। ভাইরাল ভিডিওয় উসকে উঠল পুরনো স্মৃতি। অবশ্য তাঁকে মাঠের বাইরে বের করে দেওয়া হয় বলেই জানা যাচ্ছে।কিন্তু স্যান্ডপেপার নিয়ে কী এমন নাটক হল, যা ফের হঠাৎ শিরোনামে। ক্রিকেটভক্তরা নিশ্চয়ই ভোলেননি ২০১৮ সালের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ চলছিল অস্ট্রেলিয়ার। সেখানে চোখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন ব্যানক্রফট স্যান্ডপেপার দিয়ে বল বিকৃত করছেন। ঘটনার দায় নেন ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। যার ফলে তাঁদের এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। স্মিথের নেতৃত্ব যায়। ব্যানক্রফটকে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। এই ঘটনা পরিচিত হয় ‘স্যান্ডপেপার গেট’ নামে।অ্যাডিলেডে পিঙ্ক বল টেস্ট চলাকালীন সেই স্মৃতিই ফিরিয়ে দিলেন এক ভারতীয় ভক্ত। ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যায়, দেশের টেস্ট জার্সি পরা এক ব্যক্তি হাতের স্যান্ডপেপার উঁচু করে দেখাচ্ছেন। আর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বের করে দিচ্ছেন। ওই ব্যক্তির ডান হাত আটকালে বাঁ হাতে, আবার বাঁ হাত আটকালে ডান হাত উঁচু করে স্যান্ডপেপার তুলে ধরছেন। স্পষ্টতই অস্ট্রেলিয়াকে ব্যঙ্গ করার জন্যই তাঁর এই কীর্তি। অবশ্য ওই ভক্তই প্রথম নয়। এর আগেও বিশ্বের বিভিন্ন ‘স্যান্ডপেপার গেট’-এর জন্য কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল অজি ক্রিকেটারদের।

Card image cap

সস্তায় প্রি ওয়েডিং শুটের নয়া ডেস্টিনেশন বর্তির বিল

প্রি ওয়েডিং ফটোশুট মানেই বর্তির বিল! ক্যামেরার লেন্সের হাত ধরে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বর্তির বিল নিয়ে এখন এমনই বলছেন সবাই। তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নির্জন এই এলাকাতেও খুব দ্রুত ভিড় বাড়ছে, গজিয়ে উঠেছে দোকান। পড়ন্ত সূর্যের আলোমাখা বিকেলে বিল ঘোরানোর জন্য রংবেরঙের নৌকার সংখ্যাও এখন বেড়েছে। তাই বর্তির বিলকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়তে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। শীতে পর্যটনের মরশুমে বর্তির বিল পর্যটকদের আর বেশি করে টানবে বলে মনে করা হচ্ছে। আপনিও ঝটপট জেনে নিন ঠিকানা।উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার তাড়াবেড়িয়ে ও বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েতের মাঝে অবস্থান বর্তির বিলের। সেখানে সহজে পৌঁছনোর রাস্তা হল, বারাসত-বারাকপুর রোড ধরে সোজা চলে যাওয়া। নীলগঞ্জ ব্যাঙ্ক মোড় থেকে বাইক বা টোটোয় খুব বেশি হলে সময় লাগে ২০-২৫মিনিট। মূলত বর্ষার জলেই কয়েকশো বিঘের বিলটি ভরাট থাকে। তাই কড়া গ্রীষ্মেও বৃষ্টি হলেই সেখানে ভিড় বাড়তে শুরু করে। বিলে ঘোরার জন্য থাকে ২৫-৩০টি রঙিন নৌকা। আর রাস্তার দুধারে সারি সারি পাটকাঠি দাঁড়ানো। আকাশ পরিষ্কার থাকলে তো ফটোশুটের জন্য একদম আদর্শ পরিবেশ! একটি নৌকায় ‘হবু দম্পতি’, অন্য নৌকায় ফটোগ্রাফার। আধঘন্টার জন্য মাথা পিছু ভাড়া ১৫০ টাকা করে। ফলে বিয়ের আগে দারুণ লোকেশনে সস্তায় সারাদিনে মনের মতো অনেক ফটোই তোলা হয়ে যায়।বারাসতের বাসিন্দা ফটোগ্রাফার বিশ্বরূপ ঘোষ বললেন, “ওখানে পরিবেশ, মানুষ খুবই ভালো। বিলে যে নৌকা চলে তাতে সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকা থাকে। ফলে ছবি তুললে নৌকার প্রজেকশন খুব ভালোভাবে বোঝা যায়। ড্রোনে তুললে তো এই দৃশ্য অপূর্ব লাগে। প্রতিদিনই প্রায় ৭-১০ জন সেখানে প্রি ওয়েডিং ফটোশুটের জন্য আসে। এলাকার আশপাশ থেকে তো বটেই কন্টাই, বালি, কাটোয়া থেকেও অনেককে বর্তির বিলে প্রি ওয়েডিং ফটো শুটে যেতে দেখেছি।” তাই স্থানীয়রাও চাইছেন তাদের ‘বর্তির বিল’ সংলগ্ন এলাকা আরও সাজিয়ে তুলে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠুক।এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা তথা সমাজসেবী মহম্মদ জয়নাল হালদার বলেন, “যেভাবে বর্তির বিলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে তাতে পর্যটক কেন্দ্র গড়লে এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। গ্রামের মানুষের রোজগার বাড়বে।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, “জেলাশাসকের সঙ্গে এলাকাটি প্রদর্শন করেছিলাম। সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার যথেষ্ট সম্ভবনা আছে। এনিয়ে স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করব। তার পর প্রয়োজনীয় ডিপিআর তৈরি করে পর্যটন দপ্তরের কাছে পাঠানো হবে।”

Card image cap

দিঘা-মন্দারমণি ছেড়ে লং উইকএন্ডে ঘুরে আসুন এই ৫ নির্জন সৈকতে

সামনেই লং উইকএন্ড। ১৫ অগস্ট বৃহস্পতিবার। শুধু ১৬ অগস্টের ছুটিটা অফিসে ম্যানেজ করতে হবে। তারপর ১৯ অগস্টের পর্যন্ত ছুটি। এই সুযোগে সমুদ্রতটে ঘুরে আসবেন নাকি?


বাঙালির কাছে সমুদ্র সৈকত বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে দিঘা, পুরী। আজকাল এই তালিকায় যোগ হয়েছে মন্দারমণি, তাজপুরও। তবে, এসব জায়গাও অনেকের কাছে একটু পুরনো হয়ে গিয়েছে।


লং ড্রাইভ ভালবাসলে আর নির্জন সৈকত ভালবাসলে দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর ছেড়ে একটু অন্য জায়গা ঘুরে আসুন। কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে ৫ সমুদ্র সৈকত, এই লং উইকএন্ডে যেতে পারেন সেখানে।


 

কাঁথি থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে বগুরান জলপাই। শান্ত ও নির্জন সমুদ্র সৈকত। রয়েছে ঘন ঝাউবন। দেখা মেলে লাল কাঁকড়ারও। প্রিয় মানুষের সঙ্গে লং উইকএন্ড কাটাতে যেতে পারেন বগুরান জলপাই।


মন্দারমণি থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর। এই সমুদ্র সৈকতে মন্দারমণির থেকেও পর্যটকদের সংখ্যা কম। এখানেও আপনি প্রচুর লাল কাঁকড়া দেখতে পাবেন। পড়ন্ত বিকেলে সূর্যাস্ত দেখতে যেতে পারেন দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর।


 

পুরী ওভাররেটেড। ওড়িশার বাগদা কিংবা ডুবলাগড়ি যেতে পারেন। বালাসোর স্টেশন থেকে খুব কাছেই অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকত। চাইলে কলকাতা থেকেও গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন ডুবলাগড়ি। সমুদ্রের কাছাকাছি মাটির তৈরি রিসর্ট‌ থাকার সুযোগ রয়েছে এখানে।


ওড়িশায় রয়েছে আরও একটি সমুদ্র সৈকত যমুনাসুল। বাস্তা স্টেশন থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই যমুনাসুল। শান্ত, নিরিবিলি সমুদ্র সৈকত। মানুষের কোলাহল বিন্দুমাত্র নেই।


 

নামখানার খুব কাছেই অবস্থিত লালগঞ্জ। সমুদ্র সৈকতে তাঁবুতে থাকার ইচ্ছে হলে লালগঞ্জকে বেছে নিতে পারেন। কলকাতা থেকে মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকত।


Card image cap

গরমে হাঁসফাঁস করছেন? কম খরচে ঘুরে আসুন নর্থ বেঙ্গল

Offbeat Destination: গরমে হাল বেহাল বঙ্গবাসীর। এই অবস্থায় খনিকের রেহাই পেতে কম খরচে ঘুরে আসুন নর্থ বেঙ্গলের কটি অফ বিট জায়গায়। কম খরচে এবং কাছেপিঠে পাহাড় বলতে বাঙালির দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শি‌য়াং। এসব পাহাড়ে জনপদেও অফবিট ডেস্টিনেশন রয়েছে। বাজেট যদি ৫০০০-৬০০০ টাকা থাকে, এই ৬ জায়গাকে রাখতে পারেন ট্রাভেল লিস্টে।


 
১) দার্জিলিঙের কোলে অবস্থিত ছোট্ট চা বাগান পুবুং। চা বাগানকে ঘিরে গড়ে উঠেছে গোটা পর্যটন কেন্দ্র। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটারের রাস্তা পুবুং। সবুজে ঘেরা চা বাগান আর অর্কিডের মেলা। পাহাড়ের ধাপে-ধাপে গড়ে উঠেছে বসতি। ঠিক যেন ছবির মতো সাজানো গ্রাম পুবুং। এখানেই পেয়ে যাবেন থাকার জন্য হোমস্টে।

২) দার্জিলিং যাওয়ার পথে পড়ে চটকপুর। সেনচাল অভয়ারণ্যের মধ্যে অবস্থিত চটকপুর। সেনচাল অভয়ারণ্যের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে চাইলে চটকপুরকে বেছে নিন। এখান থেকে আপনি ঘুরে নিতে পারেন টাইগার হিল।

৩) প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে স্বর্গোদ্যান লুংচু। লাভা থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত লুংচু। এটি ন্যাওড়াভালি ন্যাশানাল পার্কের মধ্যে অবস্থিত। এপ্রিলে এখানে গেলে দেখা মিলবে রডোড্রেনডনের। হিমালয়ান পাখি আর কাঞ্চনজঙ্ঘা, দুটোই দেখা যাবে।

৪) কালিম্পং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রামধূরা। এক সময় ভার্জিন স্পট ছিল এই রামধূরা। বর্তমানে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে রামধূরায়। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে মাত্র ৮৬ কিলোমিটারের রাস্তা রামধূরা।

৫) কালিম্পং বেড়াতে গেলে ঘুরে আসতে পারেন পানবু। পানবুদারা ৫৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এখান থেকে স্পষ্ট দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার। একই ফ্রেমে ধরা পড়তে পারে সেভকের রেল ব্রিজ আর করোনেশন ব্রিজ। তার সঙ্গে রয়েছে তিস্তা।

৬) ডুয়ার্স বেড়াতে গেলে ঝালং, বিন্দুর সঙ্গে ঘুরে নিন প্যারেন। ভারত-ভুটান সীমান্তের শেষ জনপদ প্যারেন। এখানে পশ্চিমবঙ্গ বন দফতরের একটা কটেজ রয়েছে। একমাত্র রাত্রিবাসের ঠিকানা। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটারের পথ প্যারেন। ঝালং থেকে প্যারেনের দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। 

Card image cap

গ্রীষ্মের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার কয়েকটি নতুন ডেস্টিনেশন!

Summer Holiday Destinations: গরমে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা উঠলেই বাঙালির প্রথমেই মনে পড়ে দার্জিলিং কিংবা গ্যাংটকের কথা। তবে গরমে এই জায়গাগুলিতে ভিড় বেশি থাকে। শহুরে কোলাহল থেকে ছুটি নিয়ে আবার ভিড়ে মিশে গেলে খুব যে স্বস্তি পাবেন, তা নয়। তার চেয়ে একটু বাজেট বাড়িয়ে চলে যেতে পারেন নতুন কোনও জায়গায়। রইল তেমন কয়েকটি জায়গার হদিস।

১. গুলমার্গ
এপ্রিল-মে মাসে গুলমার্গ মন্ত্রমুগ্ধ করে দিতে পারে আপনাকে। হিমালয়ের পশ্চিমাংশের পীর পাঞ্জাল পর্বতশ্রেণির কাছে অবস্থিত গুলমার্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মাঝেমাঝেই থাকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এই অঞ্চলে বরফের মধ্যে স্কিয়িং করার ভরপুর আনন্দ আপনার অভিজ্ঞতা স্মরণীয় করে রাখতে পারে।
২. সোলং ভ্যালি
হিমাচল মানেই সিমলা, কুলু, মানালি নয়। মানালি থেকে লেহ-মানালি হাইওয়ে ধরে রোটাং পাস যাওয়ার পথে ১৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সোলাং ভ্যালি। হিমাচলপ্রদেশের আকর্ষণীয় জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম। সমুদ্রতল থেকে ৮ হাজার ৪০০ ফুট উঁচুতে এর অবস্থান। রোটাং পাস খোলা থাক বা না থাক, ফেরাবে না সোলাং ভ্যালি। সব সময়ে জমজমাট থাকে এই উপত্যকা। কুলু জেলার সোলাং ভ্যালি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য। পাহাড়ের চূড়া ছুঁয়ে ঘন জঙ্গলের মাথার উপর দিয়ে প্যারাগ্লাইডিং করে ডানা মেলে পাখির মতো ওড়ার মজাই আলাদা! এ ছাড়াও রয়েছে ট্রেকিং, ক্যাম্পিং করার সুযোগ।
৩. কুর্গ
পশ্চিমঘাট পর্বতের ঢালে কোদাগু জেলায় পাহাড়ঘেরা জায়গার নাম কুর্গ। সবুজের আধিক্য এবং কাবিনী নদী কুলুকুল শব্দে ভরে যাবে মন। ইদানীং ঘুরতে যাওয়ার জায়গা বাছতে গিয়ে বাঙালি কর্নাটকের এই মনোরম জায়গাটি পছন্দ করছেন। উঁচু-নিচু পাহাড়, আঁকাবাঁকা পথ, বিরামহীন ছোট ছোট ঝর্না, একরের পর একর জমিতে কফি চাষ— শহুরে কোলাহলের বাইরে যেন এক টুকরো স্বর্গ। মিলবে রিভার রাফটিং, জ়িপলিং, ট্রেকিং ও কায়াকিংয়ের সুযোগ।
৪. আলমোড়া
উত্তরাখণ্ডের একটি সেনা ছাউনিপ্রধান শহর আলমোড়া। স্থানীয়রা বলেন, এই অঞ্চল থেকে নাকি শীতকালে তুষারাবৃত হিমালয়ের অনন্য এক রূপ দেখা যায়। পাইন এবং ওক গাছ দিয়ে ঘেরা এই শহর সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের জন্য বিখ্যাত। চিতোই এবং নন্দাদেবীর মতো মন্দিরগুলি আলমোড়ার বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র।

Card image cap

ইতিহাস প্রেমীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি ঐতিহাসিক স্থান

ইতিহাস প্রেমীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি ঐতিহাসিক স্থান। বিস্তারিত জেনে নিন। 

পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাসে ঠাসা একটি রাজ্য। শুধু স্থাপত্যের বিষয় নয়, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যবাহী অনুশীলন, ইতিহাস এবং স্থাপত্যের একটি সুন্দর মিশ্রণ রয়েছে এই রাজ্যে। যা ইতিহাসপ্রেমীদের আকর্ষণ করে। পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি ঐতিহ্যবাহী স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

১. শান্তিনিকেতন ও বোলপুর
সাংস্কৃতিকভাবে আগ্রহপূর্ণ ভ্রমণকারীরা শান্তিনিকেতন এবং বোলপুর পছন্দ করবেন। কলকাতা থেকে আনুমানিক ১৫২ কিমি উত্তরে, বীরভূম জেলায়, শান্তিনিকেতন এবং বোলপুর দুটি শহর। এখানে বাউল গায়কদের বাড়ি। বাউল গায়কেরা কোনো প্রচলিত ধর্ম বা সঙ্গীতের ধরনে আবদ্ধ নয়। তাঁরা হলেন ভ্রমণকারী রহস্যবাদী যারা তাঁদের অতীন্দ্রিয় শ্লোক গেয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়। গানগুলো বেশিরভাগই সুফি ও বৈষ্ণব সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রাণিত। এটি সংস্কৃতির একটি অনন্য রূপ। শান্তিনিকেতন এবং বোলপুর এখন সেরা ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। এখানে আপনি অনেক বাউল মেলার অংশও হতে পারবেন।

২. কলকাতা
কলকাতার সমৃদ্ধ ইতিহাস শহরের বিশাল স্থাপত্যে দেখা যায়। কলকাতায় অতীত এবং বর্তমানের খুব সুন্দর মিশ্রণ রয়েছে। যেখানে আধুনিক হাইরাইজ রয়েছে, সেখানে আবার শতবর্ষ-পুরনো বাড়ি এবং ব্রিটিশ আমলের অত্যাশ্চর্য ভিক্টোরিয়ান-শৈলীর স্থাপত্যও রয়েছে। কলকাতাকে বুঝতে এবং সত্যিকার অর্থে অভিজ্ঞতার জন্য এই ঐতিহাসিক কোয়ার্টার এবং ভবনগুলি পরিদর্শন করতে হবে। সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু আকর্ষণ হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ফোর্ট উইলিয়াম, হাওড়া ব্রিজ, মার্বেল প্যালেস, রাইটার্স বিল্ডিং এবং কলকাতার বিখ্যাত রাজবাড়ি। রাজবাড়ি হল কলকাতার সম্ভ্রান্ত পরিবারের পুরনো বাড়ি। তাদের মধ্যে একটি হল শোভাবাজার রাজবাড়ি, এর ইতিহাস ১৭০০ এর দশকের গোড়ার দিকে।

৩. মুর্শিদাবাদ
নবাবদের পূর্ববর্তী আসন, মুর্শিদাবাদের একটি ইতিহাস রয়েছে যা কেবল বিশাল নয়, অনন্য এবং সুন্দরও। হাজারদুয়ারি প্রাসাদে ভ্রমণের চেয়ে মুর্শিদাবাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অভিজ্ঞতার আর কী ভালো উপায় হতে পারে? ১৮৩৭ সালে নির্মিত, তিন তলা প্রাসাদটি এখনও তার সৌন্দর্য ধরে রেখেছে। ১০০০-দরজার প্রাসাদটি নবাব নাজিম হুমাউন জাহের জন্য ডানকুন ম্যাকলিওড দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। আজিমগঞ্জের চর বাংলা মন্দিরটিও দেখার মতো। এর পোড়ামাটির প্যানেলগুলি পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।

৪. দার্জিলিং
দার্জিলিং সম্পর্কে একটি প্রিয় জিনিস চিহ্নিত করা খুবই কঠিন কাজ। নৈসর্গিক চা বাগান, শক্তিশালী মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা, সুন্দর মঠ, পুরনো ঔপনিবেশিক বাড়ি, ঔপনিবেশিক অতীতে সমৃদ্ধ সুন্দর অদ্ভুত রাস্তা, এই সমস্ত অভিজ্ঞতা যা দার্জিলিং পৌঁছানোর সাথে সাথেই উপভোগ করা যায়। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ট্রেন, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর), যা টয় ট্রেন নামে পরিচিত। আইকনিক টয় ট্রেনে উঠুন এবং স্টার হিল স্টেশনের সৌন্দর্য অন্বেষণ করুন। এছাড়াও, দার্জিলিং-এর হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে (এইচএমআই) একটি পরিদর্শন আবশ্যক, ভারতের পর্বতারোহণের ইতিহাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য এটি সেরা জায়গা।

৫. বিষ্ণুপুর
কলকাতা থেকে আনুমানিক ১৩০ কিমি দূরে অবস্থিত বিষ্ণুপুর, পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধিক দর্শনীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান। কী এই জায়গাটিকে এত বিশেষ করে তোলে? ১৭ এবং ১৮ শতকের টেরাকোটা মন্দিরগুলি এখানকার বিশেষ আকর্ষণ। এগুলি অঞ্চলের জন্য অনন্য। সবচেয়ে বিশিষ্ট কিছু হল জোড় বাংলা মন্দির, মদন মোহন মন্দির, পঞ্চমুখী শ্যাম রায় মন্দির এবং রাস মঞ্চ।

Card image cap

দোলে কাছে পিঠে ভ্রমনের প্ল্যানিং, প্রকৃতির মাঝে এই জায়গায় ঘুরে আসুন

হোলির লম্বা ছুটি। সপ্তাহান্তে কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই প্ল্যানিং শুরু করে দিয়েছেন। যাঁরা কাছে পিঠে কোথাও যাওয়ার প্ল্যানিং করছেন তাঁদের জন্য সেরা ডেস্টিনেশন ঘরের কাছেই পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা এই নেচার ক্যাম্পে।এখানে নেচার ক্যাম্পের কটেজ থেকেই দেখা যায় পাহাড়-জঙ্গল। নানা রকমের নাম না জানা সব পাখির দেখা মেলে এখানে। চলে আসুন কলকাতার কাছেই এই অফবিট লোকেশনে। পাশের রাজ্য ওড়িশাতেই রয়েছে সিধামুলা নেচার ক্যাম্প। মহানদী পেরিয়ে যেতে হবে সেখানে।একরাতের সফরেই সেখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে। গাড়িতেও নিজেরা চলে আসতে পারেন। পাহাড়-জঙ্গল-ঝরনার সহাবস্থান। রাত পেরিয়ে সকালে যেখানে গিয়ে পৌঁছবেন সেখানে মুহূর্তে প্রকৃতি পরিবর্তন হয়ে যাবে। মহানদীর গা ঘেঁসেই রয়েছে সিধামুলা পাহাড়। সেখানেই রয়েছে এই নেচার ক্যাম্প। সেকারণে মহানদীর উপরে সুদীর্ঘ ব্রিজ পেিরয়ে পৌঁছে যেতে হয় সেখানে।এখান থেকে সাতকোশিয়া ঘুরে আসা যায়। সেখানে বোটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। মহানদীতে ঘুরতে ঘুরতে কুমীরের দর্শনও পেয়ে যেতে পারেন। আশপাশে মাছরাঙারা টুপ করে ডুব দিয়ে মাছ তুলে নিয়ে যায়। সে এক অনন্য দৃশ্য। মহানদীর এই প্রমোদ বিহারের পর চলে আসুন সিধামুলা নেচার ক্যাম্পে। জঙ্গলের মধ্য দিয়ে চলে গিয়েছে রাস্তা। ওড়িশার গ্রামের পরিবেশ মুগ্ধ করবে।এই নেচার ক্যাম্পে ওড়িশা ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের বাংলো রয়েছে। ছোট ছোট কটেজ থেকে প্রিমিয়াম কটেজও রয়েছে। ওড়িশা ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে অনলাইনে বুকিং করা যায়। তাই আগে থেকে বুকিং করে আসা ভাল। এই নেচার ক্যাম্পের কটেজের ব্যালকনিতে দাঁড়াতে দেখা যায় মহানদীর বিস্তীর্ণ অংশ। সেই সঙ্গে দূরের পাহাড়। সে এক অসাধারণ সৌন্দর্য। এই নেচার ক্যাম্পেক চারপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা। কাজেই যাঁরা দোলে একটু প্রকৃতির কোলে থাকতে চান তাহলে চলে আসুন এই অফবিট লোকেশনে।