Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

নবান্ন অভিযান নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল

রাত পোহালেই পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান। অশান্তির আশঙ্কায় প্রস্তুত প্রশাসন। এবার এই নবান্ন অভিযান নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের। অশান্তি পাকাতে আগামিকালের জন্য বিজেপি ভয়ংকর প্লট তৈরি করেছে বলেই দাবি কুণাল ঘোষের। দুটি ভিডিও দেখিয়ে তৃণমূল নেতার আরও দাবি, গুলি চালানো এমনকী ওই মিছিল থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে খুনের ষড়যন্ত্রও করা হতে পারে।সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে দুটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওগুলিতে একাধিক ব্যক্তির মুখ থেকে ‘বডি চাই’ শব্দবন্ধ শোনা গিয়েছে। যদিও এই ভিডিও দুটির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। ‘বডি চাই’ শব্দবন্ধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কুণাল ঘোষ বলেন, “মঙ্গলবারের মিছিল নিয়ে একটা চক্রান্ত চলছে। আমরা তৃণমূলের সবাই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকে আর জি করের ঘটনার বিচার চাই। আপনারা যদি বলেন, জাস্টিস ফর আর জি কর। আমরা বলব তোমার আমার এক স্বর। কিন্তু যদি বলেন রিজাইন মমতা। তবে আমরা বলব, ময়দানে বুঝে নেবে বাংলার জনতা। কিন্তু মঙ্গলবারের ওই মিছিল বেআইনি এবং অবৈধ। ওই মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়নি।”আশঙ্কা প্রকাশ করে তৃণমূল মুখপাত্র আরও বলেন, “একটা চক্র কাজ করছে। তার মধ্যে বিজেপি, এবিভিপি, আরএসএস প্রমোট করছে। সিপিএম মনোভাবাপন্ন কিছু গোষ্ঠী মধ্যে রয়েছে। বঙ্গবিরোধী কিছু গোষ্ঠী-অপশক্তি, যাঁরা এলোমেলো করে দিতে চাইছে বাংলাকে। আমাদের আশঙ্কা, আমরা বারবার পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টা বলেছি। ওই মিছিলে বাইরের রাজ্য থেকেও লোক আনা হতে পারে। এমনকি, তাদের পুলিশের নকল পোশাক পরিয়ে গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। একটা বড় চক্রান্ত চলছে কালকের মিছিল ঘিরে। শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি। ওরা বলছে বডি চাই। সোশাল মিডিয়ায় লোক খেপিয়ে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চলছে। তদন্তে সিবিআই, মামলা সুপ্রিম কোর্টে দিল্লিতে, আর কলকাতায় নবান্ন চলো বলে গদির রাজনীতি করা হচ্ছে। যাঁরা বাংলায় নির্বাচনের মানুষের দ্বারা প্রত্যাখিত হয়েছে, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা অন্য কোনও শক্তিকে জড়িত করার চেষ্টা করছে।” এছাড়া নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া ছাত্রনেতা শুভঙ্কর হালদারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগও তুলেছে তৃণমূল।  যদিও কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের জোরাল সমালোচনা করেছেন বিজেপি মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আন্দোলন গতি পাওয়ায় তৃণমূল হতাশায় ভুগছে, তাই এমন অদ্ভুত আচরণ।”

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডে বিপাকে সরকার!

কর্তব্যরত অবস্থায় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোড়ন ফেলা এবং আলোচিত ঘটনা। এ নিছক এক নারী নির্যাতনের ঘটনাই, তুলে দিয়েছে হাজারও প্রশ্ন। ঘটনার পরেরদিনই অভিযুক্ত সন্দেহে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তার পর অবশ্য মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু তার পর থেকে আর একজনও গ্রেপ্তার হয়নি। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করছে স্বয়ং প্রশাসন। এর জেরে মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্যমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তুলেছে বাম-বিজেপি। এই পরিস্থিতি সরকারের উপর চাপ বাড়ছে, সরকার বিপাকে পড়েছে – এমন প্রচারও চলছে। এই পরিস্থিতিতে অধ্যাপক সংগঠন WBCUPA-র তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।তাদের বক্তব্য, ”আমাদের মধ্যে অনেকেরই মনে হচ্ছে, এই আর জি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল বিপাকে পড়েছে। এই ধারণা ছড়ানো হচ্ছে। জনমানসে, মধ্যবিত্তের মাঝে তৃণমূল বিশ্বাস হারিয়েছে। এসব কথা ছড়ানো হচ্ছে। আমাদের মনে হয়, আমাদের শহরকেন্দ্রিক, সমাজমাধ্যম সর্বস্ব, উনিশ শতকীয় ভুয়ো ভাঁওতা রেনেসাঁ বিশ্বাসী মনের প্রতিফলন এটি। আমাদের ব্যক্তিগত ধারণার ফসল। মাটি বিচ্যুত সম্পূর্ণ ভারচুয়াল একটি ভাবনা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের মৃত্যু (বীভৎস, নারকীয় ঘটনা ও মৃত্যু) নিয়ে কাঙালপনা আর হাহাকার! যারা সবাই অলস জীবনে, দেরিদার ভাষায় ইভেন্ট খুঁজি বেড়ায় তাদের বেহায়াপনা। গালভরা কথায় resonate করেছে, তাই রাস্তায় এইসব বলেন। আসলে এটাকে মনস্তত্ত্বের ভাষায় ফ্যাড বলে।”ওয়েবকুপার দাবি, বাস্তব অন্য কথা বলছে। গ্রাম বাংলার চিত্র ভিন্ন। এখন চাষের মরশুম। বর্ষার সময়। সবার মুখে ভাত ও সবজি তুলে দেওয়ার কাজে তাঁরা ব্যস্ত। এ বিষয়ে বিবৃতিতে সংগঠনের সদস্যরা বলছেন, ”বিনিময়ে তাঁদের রুজি হয় হয়তো। কিন্তু জীবনদায়ী বস্তুর কোনও বিনিময় মূল্য হয় না। যাঁদের শহরে কাজের লোক আছে, মাস মাইনের নিশ্চিত জীবন আছে, এই ভয়ংকরতম মানবতা বিরোধী ঘটনা নিয়ে তাঁরা মিডিয়ার সঙ্গে নিয়ে বিলাসিতা দেখাতে পারেন। মনে মনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন, ড্রয়িং রুমে নিজেদের হোমে বসে বড় বড় হোম হয়ে উঠছেন। আসলে ওটা অবদমিত যৌনতা এবং পাশবিক আনন্দ।”এমনকী ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে আর জি করে হামলার ঘটনারও নিন্দায় মুখর ওয়েবকুপা । তা নিয়ে তাদের বক্তব্য, ”ঘটনার তিনদিন পরে স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে একটি আড়াল থেকে সংগঠিত মুখোশধারী ‘মাকু’ কিছু স্বতঃস্ফূর্ত মানুষকে ভিড়ে ঠেলে নিজেদের ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছিলেন মধ্যরাতে। তারপর থেকে পুরোটা রাজনৈতিক খেলা। রামেরা ঘাবড়ে আছে বামেরা বুঝি বেশি স্কোর করলো, আবার মাকুরা ভাবছে শূন্যের মহিমা কীর্তন করতে গিয়ে আমরা পিছিয়ে পড়লাম না তো? এর ফলে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতার আমদানি হয়েছে, আর যার শিকার প্রতিদিন আমজনতা অফিস যাওয়া কিংবা ফেরা, বিশেষত ফেরার সময় হচ্ছেন, যাঁদের বাসে, ট্রেনে যাতায়াত একটু কান পাতলেই শুনতে পাবেন। এখন এই ফেসবুকীয়, হোয়াটসঅ্যাপি মানুষজন একটু জেগে উঠেছেন, বিংশ শতাব্দীর শুরুতে আমাদের বাংলায় যে স্বদেশী আন্দোলনের হুজুগ উঠেছিল, ঠিক ওই একই রকম কায়দায়, মিছিল আয়োজন করছেন। মিছিলে যোগ দিতে হয়, না হলে পিছিয়ে পড়তে হয়, তার ডিপি দিতে হয়, স্ট্যাটাস দিতে হয়, ডিপিতে কখনও প্রতিবাদী আলো মোমবাতি আবার কখনও আলো নিভে গেছে নিস্তেজ অন্ধকার দেখাতে হয়। রাস্তায় না বেরলে ঠিক ঠিক প্রতিবাদী হওয়া যায় না। আপনাকে ভারচুয়াল সমাজে একঘরে করে দেওয়া হবে। তার ভয় আছে। সবই ওই স্বদেশী সময়ের দৃশ্য, ছবি।”এই ঘটনার পর পর বিরোধীরা রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ শুরু হয়েছিল। তা নিয়ে শাসকদলের অনেকেই তোপ দেগেছেন। অধ্যাপক সংগঠনের তরফে বলা হচ্ছে, ”গ্রামবাংলার মেয়েরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে আছে। বাজার গরম করে লাভ নেই। জ্বালা আমরা বুঝি, ভোটের সময় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাড়িয়ে দেব, আর হেরে গিয়ে মাস্টার স্ট্রোকের বিরোধিতা করব। এসব পুরোনো খেলা আর খেলবেন না। মানুষের পাশে যান, মানুষকে বুঝুন সঙ্গে থাকুন, তাতেই রাজনৈতিক স্কোর বাড়বে। খুনির কথা, হতভাগ্য মেয়েটির কথা না বলে কলকাতা তথা বাংলাকে হারিয়ে দেওয়ার, বদনাম করার চক্রান্ত ধরা পড়ে গিয়েছে। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচে। চক্রান্ত করে সেই ব্যবস্থাকে অচল করলে গ্রাম শহরের সাধারণ মানুষ আপনাদের ছাড়বে না। এই ফেকু আন্দোলনের বিসর্জনের দিন ঘনিয়ে এসেছে। শুধু কয়েকটা দিনের অপেক্ষা।”

Card image cap

সম্পূর্ণ বেআইনি কর্মসূচি’, নবান্ন অভিযান নিয়ে দাবি রাজ্য পুলিশের

আর জি কর কাণ্ডের সুবিচার, মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে যে ব্যাপক অশান্তি ছড়াতে পারে,  আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আসলে এটি অশান্তির ষড়যন্ত্র – এমন অভিযোগ বারবার শোনা গিয়েছে শাসকদলের নেতাদের গলায়। এবার রাজ্য পুলিশের এই প্রতিবাদ মিছিলকে ‘বেআইনি’ বলে ঘোষণা করে দিল।সোমবার নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ADG, আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা জানালেন, ”কোনও ছাত্র সংগঠনের তরফে আমাদের কাছে ২৭ আগস্টের অভিযান নিয়ে কোনও অনুমতি চায়নি। নবান্ন উচ্চ নিরাপত্তার এলাকা। রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন। এখানে কোনও অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মসূচি পালন করা যায় না। তাই এই মিছিল বেআইনি।”  তাঁর আরও সতর্কবার্তা,  এর আড়ালে প্রতিবাদীদের সঙ্গে মিশে কেউ বা কারা অশান্তি ছড়াতে পারে। সাধারণ মানুষকে এসব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ। যদিও মঙ্গলবার শহরের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। রাজ্যের এডিজি, আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা বলেন, ”নবান্ন নয়, অন্য কোনও জায়গায় এই মিছিলের অনুমতি চাইলে পুলিশ তা দিতে প্রস্তুত।  আর তাছাড়া ২৭ তারিখ NET আছে। পরীক্ষা দেবেন বহু পরীক্ষার্থী। তাঁদের যাতে পথেঘাটে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য় পুলিশ সবরকমভাবে তৈরি। রাস্তায় অতিরিক্ত বাস থাকবে।” গোয়েন্দা দপ্তরের রিপোর্টে এই বেআইনি মিছিলের আড়ালে দুষ্কৃতীরা ঢুকে অশান্তি বাঁধাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, এমনই জানিয়েছেন মনোজ বর্মা।

Card image cap

আর জি কর আবহে মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা চিঠি কেন্দ্রের

আর জি কর কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষণের দ্রুত বিচার চেয়েছিলেন। কড়া আইন কার্যকর করার দাবি জানিয়েছিলেন। এবার মমতাকে পালটা চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় ৪৮ হাজার ৬০০টি ধর্ষণ ও পকসো মামলা ঝুলে রয়েছে। তার পরেও রাজ্য সরকার অনুমোদিত অধিকাংশ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করেনি। পকসো মামলার জন্য মাত্র ৬টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি হয়েছে।প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে দাবি জানানো হয়েছিল, দেশে ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন রুখতে কড়া আইন আনতে হবে। আজকের চিঠিতে এর জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন রুখতে দেশে যথেষ্ট কড়া আইন রয়েছে। ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইনের শাস্তির ধারাগুলি উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে এই আইন কার্যকরের বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী নিজের চিঠিতে এই ধরনের মামলার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে আর্জি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রকে। জবাবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষণের দ্রুত বিচার নিয়ে প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। কিন্তু সেই প্রকল্প বাংলায় ঠিকমতো কার্যকর করা হয়নি বলে দাবি তাঁর। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র। বাংলার জন্য প্রথমে ১২৩টি কোর্টের অনুমোদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০টি ছিল পকসো মামলার বিচারের জন্য। কিন্তু ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত একটিও কোর্টও চালু করা হয়নি। এর পর ওই বছরের ৮ জুন কেন্দ্রকে চিঠি দেয় রাজ্য। যেখানে তারা এই প্রকল্পে অংশ নিতে চায়। সেই সময় রাজ্যকে ১৭টি ফাস্ট ট্র্যাক অনুমোদিত হয়। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছটি পকসো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছটি পকসো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, এ রাজ্যে ৪৮ হাজার ৬০০টি ধর্ষণ এবং পকসো মামলার বিচার ঝুলে রয়েছে। তা সত্ত্বেও অনুমোদন দেওয়া বাকি ১১টি কোর্ট চালু করতে পারেনি রাজ্য সরকার। 

Card image cap

কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, জানুন কোন রাশির লাভ!

আজ পালিত হচ্ছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। চাঁদ আজ সারা দিন রাত ধরে বৃষ রাশিতে অবস্থান করবে। জন্মাষ্টমীতে চাঁদ বৃষ রাশিতে থাকা অত্যন্ত শুভ। এই সময় সূর্য অবস্থান করছে সিংহ রাশিতে। শাস্ত্র অনুসারে সোমবার বা বুধবার জন্মাষ্টমী পড়লে তার বিশেষ মাহাত্ম্য থাকে। এই তিথিতে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ ও হর্ষণা যোগের প্রভাব থাকছে। এর পাশাপাশি আজ থাকবে প্রথমে রোহিণী নক্ষত্রের শুভ সংযোগ। শ্রীকৃষ্ণের যেদিন জন্ম হয়েছিল, সেদিনও ছিল রোহিণী নক্ষত্র। আজকের দিনটি কোনও কোনও রাশির জাতকদের জন্য বিশেষ ভাবে শুভ। অন্যান্য রাশির জাতকদের আজ নানা ছোট বড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে। আজ শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে কার কেমন দিন কাটবে তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।


​আজকের মেষ রাশিফল​​:

মেষ রাশির যে জাতকরা বীমার কাজ করেন, তাঁদের জন্য আজকের দিনটি ভালো। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ভালো সময় কাটাবেন। পারিবারিক ব্যয়ের কারণে মানসিক অবসাদ সম্ভব। নতুন কোনও মামলা চললে পরিস্থিতি আপনার পক্ষে আসতে পারে। চাকরিতে কোনও সহকর্মী আপনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে, তাই ভেবেচিন্তে কাজ করুন। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় আগত বাধা দূর হবে।

ভাগ্য ৮৯ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। পিঁপড়েকে আটা খাওয়ান।

​আজকের বৃষ রাশিফল​:

বৃষ রাশির জাতকরা সন্তানের ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত সুখবর পেতে পারেন। ব্যবসায়ীরা সুসংবাদ পেতে পারেন আজ, এর জন্য সফর করতে হবে। সন্ধেবেলা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। ভাইদের সাহায্য পাবেন। সামাজিক কাজ করার ইচ্ছা বাড়বে। মায়ের তরফে লাভ হবে। অতিথি আগমন হতে পারে, যার ফলে পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত হয়ে পড়বে।


৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। সূর্যকে অর্ঘ্য দিন।

​আজকের মিথুন রাশিফল​​:

মিথুন রাশির জাতকদের জন্য আজকের দিনটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে গোপন শত্রু আপনার লোকসান করার সমস্ত ধরনের চেষ্টা করবে, সতর্ক থাকুন। কর্মকৌশলের মাধ্যমে সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আর্থিক জীবনে অবসাদ থাকবে। ব্য়য় নিয়ন্ত্রণে রাখুন। মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য সম্ভব। নিজের কথা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

ভাগ্য ৮৮ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। কৃষ্ণকে মাখন-মিশ্রীর ভোগ নিবেদন করুন।

​আজকের কর্কট রাশিফল​:

কর্কট রাশির জাতকরা জীবনসঙ্গীর আবেগ ও প্রয়োজনীয়তার যত্ন নিন। আপনাদের সম্পর্ক মজবুত হবে। প্রেম জীবন আনন্দে কাটবে। হারিয়ে যাওয়া বস্তু ফিরে পেতে পারেন। ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের সহযোগিতা লাভ করবেন। অসম্পূর্ণ লক্ষ্য পূরণে সফল হবেন। প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজ সম্পন্ন হবে। সমাজসেবায় অর্থ ব্যয় করবেন। অবিবাহিত জাতকরা বিয়ের ভালো প্রস্তাব পেতে পারেন।

আজ ৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। সূর্যকে জলের অর্ঘ্য দিন।

​আজকের সিংহ রাশিফল​​:

সিংহ রাশির জাতকরা বিরোধীদের কারণে সমস্যায় জড়াবেন। কেউ আপনার কাজ সম্পন্ন করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। সন্তানের ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত সুসংবাদ পেতে পারেন। আপনার পথ প্রদর্শনের দ্বারা অন্যেরা লাভান্বিত হবেন। সামাজিক পরিসর বৃদ্ধি পাবে, সকলে আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করবেন। ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষাক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন। ব্যবসায় উন্নতির দ্বারা লাভবান হবেন।

৭১ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনাদের পক্ষে। যোগ প্রাণায়াম অভ্যাস করুন।

​আজকের কন্যা রাশিফল​​:

কন্যা রাশির জাতকদের কর্মক্ষেত্রে বিভ্রান্তির পরিস্থিতি আজ সমাপ্ত হবে। ভালো ভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। প্রিয় মানুষের কাছ থেকে উপহার পেতে পারেন। মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক মধুর হবে। ব্যবসায় আগত বাধা সমাপ্ত হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি হবে। নতুন শত্রু মাথাচাড়া দিতে পারে, সতর্ক থাকুন।

ভাগ্য ৬১ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। লক্ষ্মীকে পায়েসের ভোগ করুন।

​আজকের তুলা রাশিফল:

তুলা রাশির জাতকদের ভবিষ্যতের প্রতি অধিক সতর্ক হতে হবে। সাফল্যের পথে অগ্রসর হবেন। ব্যবসায়িক যাত্রা কঠিন হবে, কিন্তু ভবিষ্যতে এর দ্বারা লাভবান হবেন। সন্তানের বিবাহ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হবে। বিয়ে পাকা হতে পারে। কোনও সদস্যের কাছ থেকে সুসংবাদ পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হবে। আচমকা ধনলাভ হতে পারে। সন্ধেবেলা মা-বাবার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করবেন।

ভাগ্য ৬৫ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। ১০৮ বার বিষ্ণু নাম জপ করুন।

​আজকের বৃশ্চিক রাশিফল:

বৃশ্চিক রাশির জাতকরা নানা বিবাদের মুখোমুখি হবেন। ধৈর্য্য ধরে কাজ করুন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত জাতকদের জন্য সময় ভালো। মান-সম্মান বাড়বে। কর্মক্ষেত্রে নিজের কার্যকৌশল উন্নত করতে হবে, তখনই সমস্যা কমবে। সন্ধেবেলা সামাজিক ও রাজনৈতিক কাজে সময় কাটাবেন। বড়দের সাহায্যে পৈতৃক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান হবে। পারিবারিক ও পেশাগত জীবনে ব্যস্ততা থাকবে।

আজ ৭২ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। দরিদ্রদের খাবার খাওয়ান।

​আজকের ধনু রাশিফল:

ধনু রাশির জাতকরা বিবাদে জয়ী হতে পারেন। আপনার মধুর ব্যবহার সকলকে সন্তুষ্ট ও অনুপ্রাণিত করবে। ভবিষ্যতের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। প্রেম জীবনে মাধুর্য থাকবে। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন করার সংকল্প নেবেন। শ্বশুরবাড়ির কোনও সদস্যের সঙ্গে বিবাদ সম্ভব। জীবনসঙ্গীকে পাশে পাবেন। স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হন। পেটের গোলযোগ হতে পারে।

ভাগ্য ৭৮ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার পক্ষে। সাদা রেশমি বস্ত্র দান করুন।

​আজকের মকর রাশিফল​​:

মকর রাশির জাতকরা নিজের পরিকল্পনা সম্পন্ন করার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেবেন। ব্যবসায় বড় লাভ সম্ভব। সন্ধেবেলা মা-বাবার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সহযোগিতায় কাজ সম্পন্ন হবে। কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীরা সন্তানের সাহায্য পাবেন।

ভাগ্য আজ ৮২ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে থাকবে। সংকটনাশন গণেশ স্তোত্র পাঠ করুন।

​আজকের কুম্ভ রাশিফল:

কুম্ভ রাশির জাতকদের ব্যবসায় প্রতিযোগিতা বাড়বে। কাজে বাধা দেখা দিতে পারে। বাবার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে পারবেন। মানসিক শান্তি লাভ করবেন। একসঙ্গে একাধিক কাজ চলে আসায় দৌড়ঝাপ বাড়বে। জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাবেন। কোনও নতুন কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন।


ভাগ্য ৬৪ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। গোরুকে গুড় খাওয়ান।

​আজকের মীন রাশিফল​​:

মীন রাশির জাতকরা নতুন সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ব্যবসায়িক প্রকল্প তৈরি করবেন। সন্তানের বিয়ের প্রস্তাব পেতে পারেন। প্রেম জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। লগ্নির জন্য আজকের দিনটি ভালো। ঋণমুক্তি সম্ভব। অর্থ বৃদ্ধি পাবে। অংশীদারীর ব্যবসায় লাভান্বিত হবেন এই রাশির জাতকরা। চাকরি ও ব্যবসার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

আজ ৭৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। বজরংবাণ পাঠ করুন।

Card image cap

নেটপাড়ায় ‘দিদি নম্বর ১’ বয়কটের ডাক! কমল TRP

আর জি কর কাণ্ডের পর কেন কুলুপ এঁটেছিলেন? ক্রমাগত এহেন প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে হয়েছে শাসকদলের তারকা সাংসদ, বিধায়কদের। সোশাল মিডিয়ায় তাঁদের ছবি ভাইরাল করে অশ্লীল আক্রমণও করা হয়। শেষমেশ গত ১৫ আগস্ট একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা কিনা নেটপাড়ার একাংশের কাছে ‘যান্ত্রিক’ শোকপ্রকাশ বলেই মনে হয়েছে। অতঃপর ‘দিদি নম্বর ১’ বয়কটের ডাকও তোলেন তাঁরা। সেই প্রভাবই কি পড়ল তবে এবারের টিআরপিতে?‘দিদি নম্বর ১’ শোয়ের গত তিন সপ্তাহের টিআরপি চার্টে চোখ রাখলেই সেটা স্পষ্ট হবে। আর জি কর কাণ্ডের ঠিক আগে, গত ৮ আগস্ট প্রকাশিত টিআরপি চার্টে ‘সানডে ধামাকা’ পর্বে রচনার শোয়ের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৫.৩। সপ্তাহের বাকি দিনে গড়ে ২.৪। পরের সপ্তাহে ১৬ আগস্ট সেই নম্বর হয় ৫.৭, কিন্তু চলতি সপ্তাহে একলাফে ‘দিদি নম্বর ১’-এর টিআরপি কমে হয় ৪.৭। সোশাল মিডিয়ায় যেভাবে রচনার শো বয়কটের যে রব উঠেছিল, তার প্রভাবই কি পড়ল TRP-তে?আর জি কর কাণ্ডের পর থেকেই অযাচিতভাবে নেটপাড়ার রোষানলে সিনেপাড়ার শিল্পীরা। তরুণী ডাক্তারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে আমজনতার মতো সেলেবরাও রাস্তায় নেমেছেন। তবে তাতেও কটাক্ষের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁরা। পান থেকে চুন খসলেই রে-রে করে ধেয়ে আসে কটাক্ষবাণ! এমন আবহেই নির্যাতিতার বিচার চেয়ে কান্নার ভিডিও পোস্ট করেছিলেন ঘটনার দিন কয়েক বাদে। সেই ভিডিও দেখেই নিন্দুকরা ‘কুম্ভীরাশ্রু’ বলে কটাক্ষ করেন! এমনকী নেটপাড়ায় ওঠে ‘দিদি নম্বর ১’ বয়কটের ডাকও। এর মাঝেই শোনা যায়, রায়গঞ্জে নাকি রিয়ালিটি শোয়ের অডিশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কান্নার ভিডিও পোস্ট করার পর। যদিও সেই খবর আদৌ সত্যি কিনা, সেই নিয়েও ধন্দ রয়েছে। তবে এবার চলতি সপ্তাহের টিআরপি লিস্ট প্রকাশ্যে আসতেই দেখা গেল, ‘দিদি নম্বর ১’-এর টিআরপি কমে গিয়েছে।

Card image cap

প্রেমিকে’র সঙ্গে রাত কাটানোর পর উদ্ধার মহিলার দেহ

স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। থাকেন বিহারে। সেই সুযোগেই নাকি ছেলের মেসোশ্বশুরের সঙ্গে তৈরি হয় ঘনিষ্ঠতা। শনিবার রাতে একসঙ্গে রাতও কাটান দুজনে। এর পর রবিবার সকালে রামপুরহাটের নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সম্পর্কে বেয়াইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।নিহত বছর ছত্রিশের ফুচু মাল। বীরভূমের নলহাটি থানা এলাকার বাসিন্দা। ওই মহিলা পেশায় দিনমজুর। তাঁর স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি বর্তমানে বিহারে রয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, স্বামীর অনুপস্থিতিতে ছেলের মেসোশ্বশুর ভানু মালের (৪০) সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ভানু পেশায় রাজমিস্ত্রি। নির্মীয়মাণ বহুতলেই কাজ করছিলেন দুজনে। জানা গিয়েছে, শনিবার ভানু ও ফুচু দুজনেই সাঁইথিয়ায় গিয়েছিলেন। রাতে নির্মীয়মাণ বহুতলেই ছিলেন তাঁরা।রবিবার সকালে অন্যান্য শ্রমিক কাজ করতে গিয়ে দেখেন নির্মীয়মাণ বহুতলের দোতলার ঘরে পড়ে রয়েছেন মহিলা। তড়িঘড়ি রামপুরহাট থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। মৃতার পরিবারের দাবি, ভানুই খুন করেছে মহিলাকে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ভানুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Card image cap

নারী নির্যাতনে কঠোরতম শাস্তি হবেই!

কর্তব্যরত অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। শহর, রাজ্য তো বটেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসকরা যথাযথ নিরাপত্তার দাবিতে রীতিমতো কর্মবিরতি পালন করেছেন। এক চিকিৎসকের উপর এমন নারকীয় ঘটনা কাঁপন ধরিয়েছে সর্বস্তরে। নারী নির্যাতন বিশেষত যৌন হেনস্তার মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে আরও কড়া আইন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরেছেন দলমত নির্বিশেষে রাজনীতিকরা। এমনকী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছেন।এবার সরাসরি আর জি করের নাম না নিয়েও নারীবিরোধী অপরাধে কড়া শাস্তির জন্য প্রয়োজনীয় আইনের কথা বললেন নরেন্দ্র মোদি। মহারাষ্ট্রের জলগাঁও-তে ‘লাখপতি দিদি’দের সম্মেলনে তাঁর মুখে শোনা গেল সেই বার্তা।প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্য, নাবালক-নাবালিকাদের উপর যৌন হেনস্তার মতো ঘটনার শাস্তি হিসেবে এখনকার আইনে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু এসব ছাড়াও তাদের উপর নানাধরনের হিংসার ঘটনা ঘটে। কোন অপরাধে কী শাস্তি, তা নির্দিষ্ট করা নেই। কিন্তু ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় তা স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে। আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি, মহিলাদের উপর সবরকম অত্যাচার বন্ধ করে রাজ্য সরকারগুলির পদক্ষেপে পাশে আছে কেন্দ্র। আমাদের সরকার অপরাধীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।”‘লাখপতি দিদি’ সম্মেলনে নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ”সমাজ থেকে এ ধরনের মানসিকতা মুছে গেলে তবেই আমরা এই অত্যাচার বন্ধ করতে সফল হব।” ভারতীয় ন্যায় সংহিতার কথা উল্লেখ করে মোদির আরও বক্তব্য,  ”আগে এসব ঘটনার ক্ষেত্রে ঠিক সময়ে এফআইআর-ও হতো না। বিচারপ্রক্রিয়ায় গাফিলত হতো, দেরি হতো। কিন্তু আমরা এসব কাজকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এগিয়েছে। এখন মহিলাদের উপর যে কোনও রকম অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে থানায় না এসেও ই-এফআইআর দায়েরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

Card image cap

মেগা কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। ঘটনার ষোলোদিন পরেও আন্দোলনে আঁচ প্রায় একইরকম। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের আরও ঝাঁজ বাড়াতে চলেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।রবিবার শ্যামবাজারের ধরনা মঞ্চ থেকে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। সোমবার বাড়িতে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদের ডাক সুকান্ত মজুমদারের। তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রত্যেক আন্দোলনে আমাদের সমর্থন আছে। আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচার হলে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে পাশে থাকব। আগামী ২৮ আগস্ট থেকে ধর্মতলায় ধরনা। পুলিশ অনুমতি না দিলে, আদালতে যাব। আদালতের পথ খোলা।” রাজ্য মহিলা কমিশনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত। বলেন, “রাজ্য মহিলা কমিশন গোটা বছর ঘুমোয়। যদি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসে তখন জাগে। মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে ঘুমন্ত মহিলা কমিশনের দপ্তরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে।” মূলত গেরুয়া শিবিরের নারী ব্রিগেড আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে। দলের মহিলা সদস্যদের কাছে সুকান্তর আর্জি, কমপক্ষে ১ জন করে পরিচিত মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে যোগদান করতে হবে।আগামী ২৯ আগস্ট জেলায় জেলায় জেলাশাসক দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে থেকে শুরু হবে ঘেরাও। এর পর আগামী ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে বিজেপি কর্মীদের একদিনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা-১২টা প্রতিটি মণ্ডলে রাস্তা অবরোধ করবে বিজেপি। সুকান্তর হুঁশিয়ারি, “ওইদিন একটি যানবাহনও চলতে দেওয়া হবে না। এক ঘণ্টার জন্য বাংলা স্তব্ধ থাকবে। আবশ্যিক পরিষেবায় শুধুমাত্র সহযোগিতা করবেন বিজেপি কর্মীরা।” ওইদিন বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে রাজ্যে অশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

Card image cap

‘দোষীকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে’

তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বেড়েছে নিরাপত্তা। মোতায়েন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে তা সত্ত্বেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দোষীকে এখনও আড়াল করার চেষ্টা চলছে বলেই অভিযোগ তাঁর। আর তার জেরে কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে এখনও অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।রবিবার দুপুরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আন্দোলনকার জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের অভিযোগ,”কেউ নিরাপদ নন। দোষীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যভবনের মদতে দোষীকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। চিকিৎসক খুনে অসংবেদনশীল আচরণ স্বাস্থ্যভবনের। মেডিক্যাল কলেজে ভয়ের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছ, সুষ্ঠ নির্বাচন করতে হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাতে জুনিয়র চিকিৎসকরা কমিটিতে থাকতে পারেন, তার বন্দোবস্ত করতে হবে। যারা সুবিচার পেতে বাধা তৈরি করছে, তাদের সামনে আনা হোক। তথ্যপ্রমাণ লোপাটে যাঁরা যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে।”শনিবার স্বাস্থ্যভবনের শীর্ষকর্তারা বৈঠকে বসেন। তাতে জুনিয়র চিকিৎসকদেরও যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে তা প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, “রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কোনও সমঝোতা চলবে না। সকলের চোখের আড়ালে মিটমাটের চেষ্টা আন্দোলনকে খাটো করে দেখা।” এদিন আরও একবার সন্দীপ ঘোষের সাসপেনশন এবং পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে যে তাঁরা অনড়, তা সাফ জানিয়ে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পরবর্তী কর্মসূচির কথাও জানিয়ে দেন। রবিবার বিকেলে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সংহতি সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। তাতে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের অংশ নেওয়ার কথা। সোমবার বিকেলে কলকাতা মেডিক্যালে গণ কনভেনশন। কেন আর জি করের বদলে কলকাতা মেডিক্যালে গণ কনভেনশন, সে কারণও স্পষ্ট করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
তাঁরা জানান, “আমরা এর আগে গণ কনভেনশন আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, তাই অনুমতি প্রয়োজন ছিল। তাই কলকাতা মেডিক্যালে করা হবে।” সিবিআই তদন্তে পূর্ণ আস্থা রয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের তদন্তে কোন নতুন তথ্য উঠে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে আন্দোলনকারীরা।

Card image cap

কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমি থেকে পদত্যাগ রঞ্জিতের

অন্ধকার ঘরে অশালীনভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছিলেন মালয়ালম সিনেমার পরিচালক রঞ্জিত। এমনই অভিযোগ শ্রীলেখা মিত্রর। এক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে খবর প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল চাঞ্চল্য। এবার গুঞ্জন, শ্রীলেখার অভিযোগের পরই কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রঞ্জিত।সংবাদমাধ্যমকে শ্রীলেখা জানান, মামুতি অভিনীত ‘পালেরি মণিক্যম: ওরু পাথিরাকোলাপাথাকাথিনতে কথা’ সিনেমায় তাঁর অভিনয় করার কথা ছিল। এর জন্যই অভিনেত্রীকে কোচিতে ডাকা হয়েছিল। সেখানে থাকার ব্যবস্থাও ছিল। সকালে সেটে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে ফটোশুট হয়। কস্টিউম এবং অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা হয়। বিকেলে সিনেমা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য পরিচালকের বাড়িতে তাঁকে ডাকা হয়েছিল।অভিনেত্রী জানান, তিনি যখন রঞ্জিতের বাড়িতে যান পরিচালক ফোনে কথা বলছিলেন এবং ড্রয়িং রুমে অনেকে ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ইশারায় শ্রীলেখাকে অন্ধকার বেডরুমে ডাকেন রঞ্জিত। ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। শ্রীলেখা যেতেই তাঁর হাতের চুড়িতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন। অভিনেত্রী তখনই সতর্ক হয়ে ওঠেন। কিন্তু তখনও পরিচালকের অভিসন্ধি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কিন্তু এর পর অভিনেত্রীর চুলে আর ঘাড়ে হাত দিতে থাকেন পরিচালক। অভিনেত্রী আর অপেক্ষা করেননি। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।এই ঘটনার পরই নাকি ছবিতে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলেখা। এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন রঞ্জিত। তাঁর দাবি, চিত্রনাট্যকার শঙ্কর রামাকৃষ্ণণের উপস্থিতিতেই তিনি শ্রীলেখার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। গল্প শোনার পর অভিনেত্রী খুশি হয়েছিলেন, কিন্তু পরিচালক নাকি নিজে সংশয়ে ছিলেন শ্রীলেখাকে নেবেন কিনা। যদিও শেষপর্যন্ত চরিত্রটি আর শ্রীলেখা পাননি। পরিচালকের পালটা অভিযোগ, চরিত্র না পেয়েই অভিনেত্রীর এমন অভিযোগ।
তবে এই ঘটনার পরই রঞ্জিতের কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে নতুন করে জলঘোলা হচ্ছে। এমনিতেই জাস্টিস হেমা কমিটির রিপোর্টকে কেন্দ্র করে তোলপাড় মালয়ালম চলচিত্র জগৎ। শোনা যায়, এই রিপোর্টে সেখানকার বিনোদন জগতের একাধিক কাস্টিং কাউচ, যৌন হেনস্তা ও পারিশ্রমিকের বৈষম্যের কথা লেখা রয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে শুধু শ্রীলেখা নন, জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক ডক্টর বিজুও রঞ্জিতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বলে খবর।

Card image cap

কেকেআরের অধিনায়ক হওয়ার পথে সূর্যকুমার

আগামী মরশুমের আইপিএলের নিলামের দিনক্ষণ এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ক্রিকেটারদের রিটেনশন কীভাবে হবে, তাই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তার মধ্যেই সরগরম দলবদলের বাজার। সূত্রের খবর, পরের আইপিএলে কেকেআর অধিনায়ক হিসেবে দেখা যেতে পারে সূর্যকুমার যাদবকে। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে ক্রিকেটমহলে।গত মরশুমে আইপিএলে একেবারেই ভালো খেলতে পারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লিগ তালিকায় সবার শেষে ছিল পাঁচবারের আইপিএল জয়ী দল। মরশুমের শুরু থেকেই অধিনায়ক বিতর্কে জেরবার ছিল মুম্বই। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে নেতা করায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিল বলে জানা গিয়েছিল। রোহিতের জায়গায় সূর্যকুমার যাদব, জশপ্রীত বুমরাহ নেতৃত্ব পাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেছিলেন অনেকে।এমনকী শোনা গিয়েছিল, সামনের আইপিএলে দলে থাকতে চান না অনেক তারকাই। এবার সেই তালিকায় নাম উঠে এল সূর্যকুমার যাদবের। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে সূর্যকে নাকি কেকেআরের তরফে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও পক্ষই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি বলেই দাবি। তার পরই সোশাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে এই নতুন জল্পনা নিয়ে। উল্লেখ্য এর আগে ২০১৪-১৭ মরশুমে কেকেআরে খেলে গিয়েছেন সূর্য। সম্প্রতি তিনি জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কও হয়েছেন।গত মরশুমে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কেকেআর। মেন্টর গৌতম গম্ভীরের অধীনে ও শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্ব দুরন্ত ক্রিকেট উপহার দিয়েছিল শাহরুখ খানের দল। যদিও তার পরই গম্ভীর জাতীয় দলের কোচ হয়েছেন। শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টিতে একসঙ্গে কাজও করেছেন গম্ভীর ও সূর্যকুমার। আবার ওয়ানডে দলে ফিরে এসেছেন শ্রেয়স। কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী, অধিনায়কের পদে সূর্যকুমারকে ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শ্রেয়সের ভূমিকা কী হবে, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। যদিও পুরো বিষয়টিই রয়েছে জল্পনার স্তরে। শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়, সেটা সময়ই বলবে।