Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

১৮ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব সুপ্রিম কোর্টের

আর জি কর ইস্যুতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ। তারই মধ্যে ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের জরুরি ভিত্তিতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে আর জি কর সংক্রান্ত মামলায় নয়। অন্য একটি মামলার ভিত্তিতে আগামী ২৭ আগস্ট ওই ১৮ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে শীর্ষ আদালত হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে।এই ১৮ রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বারবার ডেডলাইন দেওয়া সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিচারবিভাগীয় পে কমিশনের নির্দেশিকা কার্যকর করেনি তাঁরা। ওই জুডিশিয়াল পে কমিশনের রাজ্যের বিচারবিভাগের সঙ্গে যুক্তদের বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া পেনশন এবং অবসরকালীন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। কয়েকটি রাজ্য সেই নিয়ম কার্যকর করলেও ১৮টি রাজ্যে সেই নিয়ম কার্যকর হয়নি। তাতেই ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট।বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২৭ আগস্ট এই ১৮টি রাজ্যের মুখ্যসচিবকেই সশরীরে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে হবে। এর আগে বহুবার তলব করেও সাড়া মেলেনি। মুখ্যসচিবরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সুপ্রিম শুনানিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়। প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, আগামী শুনানিতে হাজিরা দিতেই হবে। না দেওয়া হলে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।যে ১৮টি রাজ্য ও মুখ্যসচিবদের তলব করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বাংলাও। অন্য রাজ্যগুলি হল তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, দিল্লি, অসম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, ঝাড়খণ্ড, কেরল, বিহার, গোয়া, হরিয়ানা এবং ওড়িশা।

Card image cap

ভাইরাল অরিজিৎ সিংয়ের অডিওবার্তা!

আর জি কর কাণ্ডে সরব গোটা দেশ। প্রতিবাদে রাস্তায় মিছিলে নেমেছেন সেলেব থেকে সাধারণ মানুষরা। ঠিক এমন সময়ে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, নানা ভিডিও, নানা অডিও। যা নিয়ে বিভ্রান্তিও ছড়িয়েছে।গত ১৭ আগস্ট হঠাৎই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অরিজিৎ সিংয়ের একটি ভিডিও। গায়ক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ৭ দিনের মধ্যে কিছু না হলে রাস্তায় নামবেন তিনি। অ্যাকাউন্টটি অরিজিতের কি না, তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে। আর এবার সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল একটি অডিও বার্তাও। যেটা কিনা অরিজিতের নাম করে ছড়ানো হচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেসে হু আই এম নামে এক অ্যাকাউন্ট থেকে যে অডিওবার্তা ভাইরাল হয়েছে, সেখানে এক পুরুষকণ্ঠে শোনা গেল, ‘আমি এখন কিছু বলছি না, শুধু সেট আপ করছি। কিছু বলার আগে আমাকেও জানতে হবে, আমি কী বলব। কারণ আমরা জানি, শব্দ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কর্মটাও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শব্দ যদি অর্থহীন হয়, তা হলে কাজের উদ্দেশ্যপূরণ সম্ভব নয়…।’ এই অডিওবার্তার সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। ১৪ আগস্ট রাতজুড়ে প্রতিবাদ মিছিলের পরই সামনে এসেছিল এক ভিডিও। সেখানে সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংকে একটি ঘোষণা করতে দেখা যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জেরই ছেলে তিনি। সেখানেই একটি অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যের ভিডিও হল ভাইরাল।
ওই ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ফেসবুকে আপডেট করলে হবে না কিন্তু কাকা। হ্যাঁ। ফেসবুক, টুইটার করে কিন্তু হবে না। আমি এসব ব্যাপারে আপডেট দিতে পছন্দ করি না। আমি আজ থেকে কাজ শুরু করলাম। তোমরা কে কে কাজ করছ? (উত্তরে সবাই, সবাই” শুনে) থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ। আমাদের ইভেন্ট কোম্পানি অ্যামিগোজ আর আমাদের ট্রাস্ট লেট দেয়ার বি লাইট। প্রচুর সহযোগিতা চাই আপনাদের। আমরা আজ থেকে আমাদের লোগো লঞ্চ করলাম। অ্যান্টি-রেপ। থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ।’

Card image cap

ডুরান্ডের সেমিফাইনালে মোহনবাগান

ডুরান্ডের সেমিফাইনালে উঠে গেল মোহনবাগান। নির্ধারিত সময়ের ম্যাচ শেষ হয় ৩-৩ গোলে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানেই বাজিমাত সবুজ-মেরুনের। বিশাল কাইথের হাতে থেমে গেল পাঞ্জাব এফসির দৌড়। টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে উঠে গেল মোহনবাগান। এদিন জামশেদপুরে যে প্রথম একাদশ নামিয়েছিল মোহনবাগান, সেখানে অধিকাংশ তারকাই উপস্থিত ছিলেন না। রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন শুভাশিস, কামিন্স, পেত্রাতোসরা। স্ট্রাইকার হিসেবে ছিলেন সুহেল ও স্টুয়ার্ট। প্রথমার্ধের খেলা দানা বেঁধে ওঠার আগেই আক্রমণ শানান পাঞ্জাবের বিনীত রাই। বক্সের মধ্যে তাঁকে আলবার্তো ট্যাকেল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে জোরালো শটে গোল করে যান পাঞ্জাব অধিনায়ক লুকা মাইচেন। গোল খাওয়ার পর যদিও কিছুটা ছন্দে ফেরার চেষ্টা করে মোলিনার দল। বল পজিশনেও এগিয়ে যায় তারা। কিন্তু সমতা ফেরানোর গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হল ৪৪ মিনিট পর্যন্ত। স্টূয়ার্টের শট সুহেলের পায়ে রিফ্লেক্ট হয়ে পাঞ্জাবের জালে জড়িয়ে যায়। তবে প্রথমার্ধে বিশাল কাইথ নিশ্চিত গোল না বাঁচালে বিপদ আরও বাড়ত মোহনবাগানের জন্য।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই শুভাশিস, মনবীর ও কামিন্সকে নামিয়ে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন মোলিনা। ঠিক তিন মিনিটের মাথাতেই সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দেন মনবীর। গোলপোস্টের ঠিক কোণায় বল জড়িয়ে দিয়ে চেনা সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন। কিন্তু সেই আনন্দ বেশিক্ষণ রইল না। ৬৩ মিনিটে পাঞ্জাবের হয়ে সমতা ফেরান ফিলিপ। অথচ বক্সের দিকে তিনি যখন বল নিয়ে তীব্র গতিতে ঢুকছিলেন, তখন তাঁকে কোনও বাগান ডিফেন্ডার বাধাই দিলেন না। তাঁর শক্তিশালী শট কাইথকে টপকে গোলে জড়িয়ে যায়। ৭১ মিনিটে ফের আঘাত ভিদালের। এবার আশিস রাইয়ের সামনে থেকে ফের জোরালো শট। বিশাল কাইথ হাতের নাগাল পেয়েও যা আটকাতে পারেননি। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে তার খানিক আগেই পেত্রাতোসকে নামাতে বাধ্য হন মোলিনা। ৭৯ মিনিটে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। মনবীরের থেকে বল পেয়ে গোল করে যান কামিন্স।ছয় গোলের মহাথ্রিলারের পরও নাটক বাকি ছিল। ডুরান্ডে অতিরিক্ত সময়ের বদলে ম্যাচ গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে। সেখানে নায়ক হয়ে উঠলেন বিশাল কাইথ। পাঞ্জাবের ইভান ও ধনচন্দ্রের শট আটকে মোহনবাগানকে সেমিফাইনালে তুললেন তিনি। প্রথমে মোহনবাগানের হয়ে শুট আউট মিস করেন কামিন্স। তার পর একের পর এক গোল। ম্যাচ যখন প্রায় পাঞ্জাবের হাতের মুঠোয় বলেই ধরা নেওয়া হচ্ছিল, তখনই জ্বলে উঠলেন বিশাল। মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন মনবীর, লিস্টন, দিমিত্রি, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, শুভাশিস ও অলড্রেড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নায়কই। তাঁর বিশাল-হাতে ভর করে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে উঠে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

Card image cap

১৫৬টি ‘ককটেল’ ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

ফের বাজার চলতি বহু ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র। এবার সংখ্যাটা ১৫৬। গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় এই ১৫৬টি ‘ককটেল ওষুধ’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই ওষুধগুলি শরীরের জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে।কেন্দ্র যে ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করেছে সেগুলি হল, ডোজ কম্বিনেশন তথা ‘ককটেল ওষুধ’। সাধারণ ভাবে ককটেল ওষুধ বলতে বোঝায়, একটি ওষুধের মধ্যে অনেকগুলি ওষুধের সংমিশ্রণ রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ কমিটি পরীক্ষা করে দেখে যে ওই ওষুধ রোগীদের পক্ষে বিপজ্জনক। সেই রিপোর্ট আসার পর মোদি সরকার ওই ওষুধ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। অভিযোগ, উপযুক্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য ছাড়াই অনেক ওষুধ কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি করছে।সব মিলিয়ে তালিকাটি ১৫৬টি ওষুধের। এর মধ্যে বাজার চলতি অ্যান্টিবায়োটিক এবং পেইন কিলার সংমিশ্রণ। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মেফেনামিক অ্যাসিড + প্যারাসিটামল ইনজেকশন, লিভোসেট্রিজাইন + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল + প্যারাসিটামল, ক্যামিলোফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ২৫ এমজি + প্যারাসিটামল ৩০০ এমজি, প্যারাসিটামল + ক্লোরফেনির্মাইন মালেট + ফেনিল প্রোপানোলামিন সহ একাধিক ওষুধ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত বছরও ১৪টি ককটেল ওষুধকে গুণমানের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্র। তাতে ছিল, এতে রয়েছে সাধারণ সংক্রমণ, সর্দিকাশি ও জ্বর নিরাময়ের ওষুধ। নিমেসুলাইড+ প্যারাসিটামল ডিসপারসিবেল ট্যাবলেট, অ্যামোক্সিসিলিন+ব্রোমহেক্সিনের মতো ককটেল। এর আগে গত বছর গুণমানের পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছিল এদেশে বহুল ব্যবহৃত ৪৮ ওষুধ। যার মধ্যে হার্টের ওষুধ, ডায়াবেটিস, প্রেশার থেকে শুরু করে মাল্টিভিটামিন ইত্যাদি ওষুধ ছিল। পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওষুধগুলির উপাদানে গোলমাল রয়েছে।

Card image cap

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী

বিতর্ক যতই থাক জনপ্রিয়তায় কম যান না উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। লাগাতার তৃতীয়বার দেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর তকমা পেলেন তিনি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের ‘মুড অফ দ্য নেশন’-এর সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের ৩৩ শতাংশের বেশি মানুষ যোগীকে দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনে করেন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।সেরা মুখ্যমন্ত্রী কে তা জানতে দেশজুড়ে ৩০ টি রাজ্যের ১.৩৬ লক্ষ মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়েছিল ‘মুড অফ দ্য নেশন’। যেখানে দেশের ৩৩ শতাংশের বেশি মানুষ মনে করছেন যোগী আদিত্যনাথই সেরা। তবে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও দেশের মাত্র ১৩.৮ শতাংশ মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পছন্দ করেন। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের ৯.১ শতাংশ মানুষ মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পছন্দ করেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। ৪.৭ শতাংশ মানুষ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চান। এবং পঞ্চম স্থানে জায়গা পেয়েছেন সদ্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু। ৪.৬ শতাংশ মানুষ তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এছাড়াও এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে, কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া, অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা, উত্তরাখণ্ডের পুষ্কর সিং ধামী।তালিকায় যোগী আদিত্যনাথকে শীর্ষে রাখার পিছনে মানুষের দাবি, যোগী আদিত্যনাথ আসার পর গত সাড়ে সাত বছরে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া হাতে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। যদিও আইনের চোখে এই কড়া পদক্ষেপ বার বার বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে। বেলাগাম এনকাউন্টার, অপরাধীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, অভিযুক্তের বাড়িতে বুলডোজার চালানোর মতো একাধিক নীতির কড়া সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে বাস্তবে সেই নীতিতেই জনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছেন যোগী।পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদির পর কে হতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর উত্তরসূরি? সে রিপোর্টও প্রকাশ্যে এনেছে ইন্ডিয়া টু-ডে মুড অফ দ্য নেশন সমীক্ষা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির অন্দরে মোদির উত্তরসূরি হিসাবে সবার চেয়ে এগিয়ে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই মুহূর্তে বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ২৫ শতাংশ মানুষ মনে করছেন মোদির উত্তরসূরি হিসাবে শাহই শ্রেষ্ঠ। শাহর পর মোদির উত্তরসূরি হিসাবে বিজেপি সমর্থকদের দ্বিতীয় পছন্দ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ১৯ শতাংশ বিজেপি সমর্থক মনে করছেন, মোদির উত্তরসূরি হতে পারেন যোগী আদিত্যনাথ। ১৩ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, নরেন্দ্র মোদির উত্তরসূরি হতে পারেন সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করি। মোদির উত্তরসূরি হিসাবে শিবরাজ সিং চৌহান এবং রাজনাথ সিংকে পছন্দ করছেন প্রায় ৫ শতাংশ করে মানুষ।

Card image cap

ঘর থেকে উদ্ধার এক পরিবারের তিনজনের দেহ

সন্তান-সহ স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হল ঘর থেকে। শুক্রবার দুপুর নাগাদ ঝুলন্ত অবস্থায় তিনজনের দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল অশোকনগরের নবপল্লি এলাকায়। প্রাথমিক অনুমান, মেয়েকে নিয়েই আত্মঘাতী হয়েছে ওই দম্পতি। কিন্তু কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে পুরোপুরি ধন্দে প্রতিবেশীরা। সকলেরই এক বক্তব্য, পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল না। তাহলে আত্মহত্যার নেপথ্যে কি অন্য কোনও কারণ? তদন্তে নেমেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। অনেকে আবার এই ঘটনার সঙ্গে দিল্লির বুরারি কাণ্ডের তুলনা করছেন। যেখানে এক পরিবারের ছজন একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছিলেন।অশোকনগরের নবপল্লি এলাকায় প্রায় ৬ বছর ধরে বাস দীপক রায়ের পরিবারের। বছর তেতাল্লিশের দীপকবাবু একটি প্লাইউড কারখানায় কাজ করতেন। স্ত্রী প্রিয়া ও ১০ বছরের মেয়ে মিষ্টিকে নিয়ে সংসার। মোটের উপর ভালোই কাটছিল দিন। পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল না। কিন্তু শুক্রবার সকালে তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তিনজনের ঝুলন্ত দেহ। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তিনজনকে দেখতে পান প্রতিবেশীরা। সকলেই হতবাক। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দীপক রায়, প্রিয়া রায় ও মিষ্টি রায়। দীপক ও প্রিয়ার মেয়ে মিষ্টি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মেয়েকে মেরে দম্পতি আত্মঘাতী হয়েছেন।প্রতিবেশী ভবতোষ পাণ্ডে, বলাই দে-রা বলছেন, এই পরিবার খুব মিশুকে। কোনও অশান্তি ছিল না। তবে তাঁদের ঋণ ছিল। যদিও তা মাসে মাসে শোধ করে দিতেন দীপক। এমনই জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু আজকের ঘটনা একেবারেই অপ্রত্যাশিত বলে জানাচ্ছেন সকলে। একজন জানালেন, সকালে দীর্ঘক্ষণ বাড়ির দরজা বন্ধ দেখে তাঁরা ডাকতে গিয়েছিলেন। দেখেন, ভিতর থেকে দরজা বন্ধ। দরজা ভেঙে ঢোকার পর তিনজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আঁতকে ওঠেন সকলে। খবর পেয়ে অশোকনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। গোটা পরিবার এভাবে শেষ হয়ে যাওয়ায় মর্মাহত প্রতিবেশীরা।

Card image cap

সঞ্জয়ের সঙ্গে সন্দীপেরও হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

জেল হেফাজতে আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে কড়া নিরাপত্তায় শুক্রবার তাকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আগামী ১৪ দিন তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই রাখা হবে তাকে। এদিকে, পলিগ্রাফ টেস্টে সঞ্জয় রায় সম্মতি দিয়েছে বলেই খবর। সুতরাং আর কোনও বাধাই থাকল না। জেল হেফাজতে থাকাকালীন তাকে এই পরীক্ষা করানোর জোরাল সম্ভাবনা রয়েছে।গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে। গত ১৩ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্ত শুরু করার পর সঞ্জয় নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হেফাজতে থাকাকালীন এক এক সময় এক এক রকম তথ্য দিয়ে সিবিআইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে সঞ্জয়। হাসপাতালে ঢোকার কারণ, হাসপাতালে ঢোকার সময়, হাসপাতালের সেমিনার হলে ঢোকার কারণ নিয়েও নাকি সঞ্জয় বার বার বিভ্রান্ত করছে বলেই খবর। সে কারণে তার পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে মরিয়া সিবিআই। সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ টেস্টে সম্মতি দিয়েছে সঞ্জয় রায়ও।এদিকে, আর জি কর কাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও সাতজনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) আদালত। সন্দীপ ঘোষ এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে ফের হাজিরা দেন। এই নিয়ে অষ্টম দিন সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন তিনি। আবার সন্দীপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভারও সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের রায়ের বিরোধিতায় হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে সন্দীপ। 

Card image cap

পথে নামছেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা!

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে সুবিচারের দাবিতে পথে নামতে পারেন নিহতের বাবা-মা-ও। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেকথা জানিয়েছেন সদ্য সন্তানহারারা। তাঁরা পথে নামলে আন্দোলনের ঝাঁজ যে নিমেষে আরও কয়েকগুণ বাড়বে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।তরুণী চিকিৎসকের বাবা এদিন বলেন, “ছাত্র আন্দোলনের পাশে আমরা আছি। প্রয়োজন হলে আমরাও যোগ দেব। আমরা বিচার চাই। বিহিত চাই। নিরপেক্ষভাবে যে আমাদের ডাকবে আমরা তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেব।” তরুণীর মা প্রায় কাঁদো কাঁদো গলায় আরও বলেন, “আমরা ছাত্রদের সঙ্গে থাকতে চাই। আমাদের মেয়ে চলে গিয়েছে। মেডিক্যাল পড়ুয়াদের এখন আমরা ছেলেমেয়ে মনে করছি। আমরা সবসময় ওদের পাশে থাকব।”গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। পরদিন হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি। তবে ঘটনার পর তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে জানানো হয়, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। সেকথা উল্লেখ করে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিহতের বাবা। তদন্তভার নেওয়ার পর দিনদশেক কেটে গেলেও সিবিআইয়ের তরফে তদন্তে তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়নি। তাতে কিছুটা হলেও ধৈর্য হারাচ্ছেন বলেই দাবি তরুণী চিকিৎসকের বাবার। তবে সিবিআই তদন্তে আস্থা হারাননি তিনি। সদ্য সন্তানহারা বাবা-মায়ের একটাই আর্জি, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কূলকিনারা করুক।”

Card image cap

সিবিআইয়ের সঙ্গে দেখা করেও কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যামামলার তদন্তের অগ্রগতি কী? তা জানতে শুক্রবার সরাসরি সিবিআই দপ্তরে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় সংস্থার উত্তরের উপর নির্ভর করছিল তাঁদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। কিন্তু সিবিআই-সাক্ষাতেও মিলল না সুরাহা। এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনও তথ্যই পাননি তাঁরা। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা সাফ জানালেন, সুবিচারের প্রশ্নে ‘নো কম্প্রোমাইস’। তদন্তের বিষয়টিও ৯ আগস্ট যেখানে ছিল, আজও সেই তিমিরেই। তাই তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।শুক্রবার বিকেলে আর জি কর হাসপাতালের আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে থাকা ডাক্তার অনির্বাণ মাহাতো-সহ বেশ কয়েকজন পৌঁছে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে, সিবিআই দপ্তরে। এখানেই গত ৮ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সেদিনের ঘটনার আশেপাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী, সহকর্মীদের। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি কী? তা জানতেই সিবিআই দপ্তরে যায় আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল। আগেই তাঁরা জানিয়েছিলেন, সিবিআইয়ের উত্তর সন্তোষজনক মনে হলে তাঁরা কর্মবিরতি তুলে কাজে ফিরবেন। অন্যথায় নয়।এদিন প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা । তার পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ”তদন্তের অগ্রগতি আমরা জানতে চেয়েছিলাম। তাতে তাঁরা (সিবিআই) জানিয়েছেন যে তদন্তের বিষয় কিছু প্রকাশ করা যাবে না। তাতে আমরা বলি, কিন্তু এর উপর তো নির্ভর করছে আমাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়টি। তাতে সিবিআই জানিয়েছে, তাদের উপর ভরসা রাখতে। সেই ভরসা হয়ত আমাদের আছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের এহেন উত্তরে আমরা মনে করছি, তদন্তের প্রশ্নে ৯ তারিখ যেখানে ছিলাম, আজও সেখানেই আছি। তাই আপাতত আমাদের কর্মবিরতি তোলার প্রশ্ন নেই।” 

Card image cap

দুর্গাপুজোয় সুখবর, কলকাতা রুটে অতিরিক্ত বিমান চালু করছে Air India

এই সময় বাঙালি যেখানেই থাকুক না কেন, ঘরে ফিরবেই। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই পুজোর সময় অতিরিক্ত বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নিল এয়ার ইন্ডিয়া। জানানো হয়েছে, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদ- এই চারটি বড় শহর থেকে কলকাতায় অতিরিক্ত বিমান চালানো হবে।


এই পরিষেবা চালু হচ্ছে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে।


চলবে একমাস। প্রতিদিন বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদ থেকে বিমান আসবে কলকাতায়। শুধু তাই নয়, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে মুম্বই-কলকাতা রুটে অতিরিক্ত বিমান চালানোর ঘোষণাও করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যে ১৫ অগাস্ট থেকে দিল্লি-কলকাতা রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট চালাতে শুরু করেছে বিমান সংস্থা।


পুজোর সময় প্রতি বছরই অতিরিক্ত বিমান চালায় এয়ার ইন্ডিয়া। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, দিল্লি-কলকাতা রুটে সাপ্তাহিক ২৮টি ফ্লাইটের জায়গায় বাড়িয়ে ৩৫টি ফ্লাইট করা হবে। অন্য দিকে, মুম্বই-কলকাতা রুটে ২১টি সাপ্তাহিক ফ্লাইটের জায়গায় বাড়িয়ে ২৮টি করা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধা হয় এমন সময়েই বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত, চলতি বছর আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি রুটেও নতুন বিমান পরিষেবা চালু করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। গত ১ মে থেকে দিল্লি-দুবাই রুটে থেকে উড়ছে এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন বিমান এ-৩৫০। এরপর এই নতুন এ৩৫০ বিমান লন্ডন এবং নিউ ইয়র্ক রুটেও প্রতিদিন চালানো হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছে এয়ার ইন্ডিয়া ।