Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

ডুরান্ডের সেমিফাইনালে মোহনবাগান

ডুরান্ডের সেমিফাইনালে মোহনবাগান

Published on: Published on 2024-08-23 07:58 PM

Share on:

ডুরান্ডের সেমিফাইনালে উঠে গেল মোহনবাগান। নির্ধারিত সময়ের ম্যাচ শেষ হয় ৩-৩ গোলে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানেই বাজিমাত সবুজ-মেরুনের। বিশাল কাইথের হাতে থেমে গেল পাঞ্জাব এফসির দৌড়। টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে উঠে গেল মোহনবাগান। এদিন জামশেদপুরে যে প্রথম একাদশ নামিয়েছিল মোহনবাগান, সেখানে অধিকাংশ তারকাই উপস্থিত ছিলেন না। রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন শুভাশিস, কামিন্স, পেত্রাতোসরা। স্ট্রাইকার হিসেবে ছিলেন সুহেল ও স্টুয়ার্ট। প্রথমার্ধের খেলা দানা বেঁধে ওঠার আগেই আক্রমণ শানান পাঞ্জাবের বিনীত রাই। বক্সের মধ্যে তাঁকে আলবার্তো ট্যাকেল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে জোরালো শটে গোল করে যান পাঞ্জাব অধিনায়ক লুকা মাইচেন। গোল খাওয়ার পর যদিও কিছুটা ছন্দে ফেরার চেষ্টা করে মোলিনার দল। বল পজিশনেও এগিয়ে যায় তারা। কিন্তু সমতা ফেরানোর গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হল ৪৪ মিনিট পর্যন্ত। স্টূয়ার্টের শট সুহেলের পায়ে রিফ্লেক্ট হয়ে পাঞ্জাবের জালে জড়িয়ে যায়। তবে প্রথমার্ধে বিশাল কাইথ নিশ্চিত গোল না বাঁচালে বিপদ আরও বাড়ত মোহনবাগানের জন্য।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই শুভাশিস, মনবীর ও কামিন্সকে নামিয়ে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন মোলিনা। ঠিক তিন মিনিটের মাথাতেই সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দেন মনবীর। গোলপোস্টের ঠিক কোণায় বল জড়িয়ে দিয়ে চেনা সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন। কিন্তু সেই আনন্দ বেশিক্ষণ রইল না। ৬৩ মিনিটে পাঞ্জাবের হয়ে সমতা ফেরান ফিলিপ। অথচ বক্সের দিকে তিনি যখন বল নিয়ে তীব্র গতিতে ঢুকছিলেন, তখন তাঁকে কোনও বাগান ডিফেন্ডার বাধাই দিলেন না। তাঁর শক্তিশালী শট কাইথকে টপকে গোলে জড়িয়ে যায়। ৭১ মিনিটে ফের আঘাত ভিদালের। এবার আশিস রাইয়ের সামনে থেকে ফের জোরালো শট। বিশাল কাইথ হাতের নাগাল পেয়েও যা আটকাতে পারেননি। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে তার খানিক আগেই পেত্রাতোসকে নামাতে বাধ্য হন মোলিনা। ৭৯ মিনিটে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। মনবীরের থেকে বল পেয়ে গোল করে যান কামিন্স।ছয় গোলের মহাথ্রিলারের পরও নাটক বাকি ছিল। ডুরান্ডে অতিরিক্ত সময়ের বদলে ম্যাচ গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে। সেখানে নায়ক হয়ে উঠলেন বিশাল কাইথ। পাঞ্জাবের ইভান ও ধনচন্দ্রের শট আটকে মোহনবাগানকে সেমিফাইনালে তুললেন তিনি। প্রথমে মোহনবাগানের হয়ে শুট আউট মিস করেন কামিন্স। তার পর একের পর এক গোল। ম্যাচ যখন প্রায় পাঞ্জাবের হাতের মুঠোয় বলেই ধরা নেওয়া হচ্ছিল, তখনই জ্বলে উঠলেন বিশাল। মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন মনবীর, লিস্টন, দিমিত্রি, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, শুভাশিস ও অলড্রেড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নায়কই। তাঁর বিশাল-হাতে ভর করে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে উঠে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

TOP RELATED