Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

আগামী মাসেই দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে জনগণনা!

অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত জনগণনা অর্থাৎ আদমশুমারির প্রক্রিয়া করতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। সব ঠিক থাকলে, প্রায় ১৩ বছর পর আগামী মাস থেকেই জনগণনা প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। গোটা প্রক্রিয়া চলবে প্রায় দেড় বছর। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার।রীতি অনুযায়ী, প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি হয়ে থাকে। কিন্তু ২০১১-র পর এ দেশে আর জনগণনা হয়নি। ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার থাকলেও করোনা অতিমারীর জেরে সেটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। শোনা গিয়েছিল, ২০২৩ সালে জনগণনা হতে পারে। কিন্তু ভোটের আগে সে পথে হাঁটেনি মোদি সরকার। সব মিলিয়ে মোদি জমানায় একবারও জনগণনা হয়নি। তাতে সরকারের অন্দরে নানা ধরনের প্রশ্নও উঠছিল। ১৮৭২ সালে শুরু হওয়া আদমশুমারি রীতি মেনে প্রতি প্রতি ১০ বছর অন্তর হয়। কিন্তু মোদি সরকার আসার পর এখনও পর্যন্ত জনগণনা হয়নি। আর এতেই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা।অর্থনীতিবিদদের একটা অংশ বলছে, এখনও পর্যন্ত মোদি সরকার যাবতীয় যা যা কর্মসূচি নিচ্ছে বা পরিকল্পনা করছে সবটাই সেই ২০১১ সালের তথ্যের উপর ভর করে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সরকারি আধিকারিকদেরও। তাছাড়া সরকারের ব্যয় বরাদ্দের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বস্তুত জনগণনার দাবিতে সরকারের অন্দরেও চাপ বাড়ছিল। অবশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। এমনটাই দাবি করেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। সরকারি সূত্রের খবর, মোটামুটিভাবে দেড় বছরের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই তথ্য প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ বছর বাদে জনগণনার তথ্য প্রকাশ্যে আসতে চলেছে।উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে জাতিগত জনগণনার দাবি তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। যার প্রভাব পড়েছে হিন্দি বলয়ে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে ভালোমতো ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। রাহুল এখনও জাতিগত জনগণনার দাবি জোরালভাবে জানিয়ে যাচ্ছেন। সরকার জনগণনার সময় জাতির উল্লেখ করে কিনা সেটাই দেখার।

Card image cap

হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ বেচতেন সন্দীপ ঘোষ!

হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ বিক্রি করতেন সন্দীপ ঘোষ! পাচারচক্রের শিকড় ছড়িয়ে বাংলাদেশেও! এমন বিস্ফোরক দাবি করলেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেছেন তিনি।আখতার আলির কথায়, “হাসপাতালে বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে ব্যবসা করতেন সন্দীপ ঘোষ । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল।” এমনকী,হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্র্য বা বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টও বাইরে বিক্রি করতেন সন্দীপ! নিজের অতিরিক্ত নিরাপত্তরক্ষীদের কাছে সেই সব সামগ্রী বিক্রি করতেন তিনি! আর সেই শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশেও! সীমান্তের ওপারে পাচার হত বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টও। সাক্ষাৎকারে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন আখতার আলি।উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল পর্যন্ত হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন আখতার আলি। সেই সমস্ত এই দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় সন্দীপের বিরুদ্ধে যে তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছিল তাতে আখতার আলিও ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, তদন্তে দেখা সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। স্বাস্থ্যভবনে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরও সন্দীপের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটে রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিনই বদলি করে দেওয়া হয় আখতার আলিকে। এমনই অভিযোগ করেছেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার।হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় বিপাকে সন্দীপ ঘোষ। তদন্ত করছে রাজ্যও। এর মাঝেই এবার সন্দীপের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী।

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডে অন্তর্ঘাতের দাবি মদনের

আর জি কর কাণ্ডে অন্তর্ঘাতের দাবি করলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। নাম না করে সুখেন্দুশেখর রায়, শান্তনু সেনদের বিঁধলেন তিনি। বললেন, “দলে অনেক বিভীষণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপদের সময়। দলের কিছু লোক এখন ছোবল মারছেন।”দলে অন্তর্ঘাতের প্রশ্ন উস্কে দিলেন মদন।  মদন বলেন, "দুর্ভাগ্যের বিষয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা ঘটনার মাহাত্ম্য এবং গুরুত্ব বুঝে কাজ করতে চাইছেন। সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন উনি। কিন্তু আমাদের দলের কিছু লোক, যাঁরা ক্ষমতার জন্য প্রতি মুহূর্তে ঠুকরে ঠুকরে খায়, বিভীষণ, বেইমান। তাঁরা চেষ্টা করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপদ এসেছে, এই সময় ছোবল মারা যাক।"

দলের অন্দরে মমতার একাধিপত্য, দেশের সর্বত্র যেভাবে মমতার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, সেটাও অনেকের সহ্য হচ্ছে না বলে দাবি মদনের। তাঁর কথায়, "এই জায়গাটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না, হিংসে হচ্ছে। অথচ সিপিএম-বিজেপি-কে হারানোর ক্ষমতা নেই ওঁদের। এই যে মিছিল হচ্ছে জনজাগরণের, তাতে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস রয়েছে। তৃণমূলের অনেকেও গিয়েছেন। ডাক্তারদের আন্দোলন অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত। একটা মেয়ে মারা গিয়েছেন, আমার মেয়ে বা বোন হলে, আমি কী করতাম? কিন্তু ডাক্তারদের দরজায় আগল দিয়ে আন্দোলন করতে হবে। বেহুলা-লখিন্দরের তো আগলের ফাঁক দিয়ে কাল-কেউটে বা গোখরো ঢুকে না পড়ে। সেগুলি কিন্তু ঢুকে পড়ছে।"

বাইরের লোকজন তো বটেই, দলের মধ্যে থেকেও কেউ কেউ মমতাকে ছোবল মারার চেষ্টা করছেন বলে দাবি মদনের। তাঁর কথায়, "দলের মধ্যে একটা শ্রেণি...জলে নামিব, সাঁতারও কাটিব, কিন্তু জল ছোঁব না। আমি ট্যুইটও করিব, পাবলিসিটি নেব, কিন্তু ট্যুইট রেখে দেব না। ডিলিট করব না। আমি মদন মিত্র, আমি এসব করি না। ট্যুইট করিও না, ডিলিটও করি না।"

মদনের দাবি, মমতার ক্ষমতায় ঈর্ষাণ্বিত হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। কখনও শরীর খারাপের দোহাই দিচ্ছেন, কখনও বলছেন, বয়স হয়েছে, হুইল চেয়ার লাগবে। কিন্তু বয়সের দোহাই দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরাতে গেলে বলছেন, কিচ্ছু হয়নি, চাঙ্গা রয়েছেন। মতনের বক্তব্য, "শীঘ্রই এই বিভীষণদের শনাক্তকরণের কাজ হয়ে যাবে। রামায়ণে একটা বিভীষণ ছিল, যে পিছনের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিল। এখানে অনেক বিভীষণ রয়েছে। একটাকে দেখালে, বাকিরা চালাকি করে মুখ লুকিয়ে ফেলবে। ফাইল রেডি হচ্ছে।"

মদনের দাবি, সুবিধেবাদীরা ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন। একদিকে, সঙ্গে আছি বলে ক্ষমতা ভোগ করছেন। আবার, বিরোধীদের সঙ্গে তলায় তলায় রাতের অন্ধকারে বন্ধুত্ব রাখছেন, যাতে পাল্টা মার এলে নন্দলালের মতো নিজেরটুকু গুছিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু মমতাই আসল বলে জানিয়েছেন মদন। মদনের বক্তব্য, "এঁরা ইঁদুর। জাহাজ ডুবছে মনে হলে সবার আগে ইঁদুরগুলি লাফ দিয়ে পালায়। সেরকম কিছু ইঁদুর আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি রণংদেহি মূর্তিতে রাস্তায় নামেন, এই ইঁদুরগুলি পালিয়ে যাবে, খুঁজে পাওয়া যাবে না।"

Card image cap

আন্দোলনের সিদ্ধান্তে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা

স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে বৈঠকে মিলল না রফাসূত্র। ঘটনার রাতে যাঁরা পদে ছিলেন, তাঁদের অপসারণের দাবিতে এককাট্টা আন্দোলনকারীরা। স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে অবস্থান প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা। তবে দাবিপূরণ না হওয়ায় আন্দোলনের সিদ্ধান্তে এখনও অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।
বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন চিকিৎসকেরা। শুরুতেই ছিলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্যভবনে পৌঁছে স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে দেখা করতে চান আন্দোলনকারীরা। তাঁদের হাতে স্মারকলিপি জমা দিতে চান। এর পর মিছিলকারীদের মধ্যে থাকা ৩০-৩৫ জন স্বাস্থ্যভবনের ভিতরে গিয়ে বৈঠকে যোগ দেন। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে ‘হতাশ’ মিছিলকারীরা। তিনি বলেন, “তাড়াহুড়ো করে ৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্দীপ ঘোষকে অন্যত্র অধ্যক্ষ করা হল। অথচ আমরা যে ছোট ছোট দাবি নিয়ে এসেছি সেগুলো মানতে এত সময় লেগে গেল? বৈঠকে হতাশ। স্বাস্থ্যভবন খুব অসহায়।”আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা আরও বলেন, “সুবিচার চাইতে আমরা এখানে আসিনি। আমরা দেখব বৃহস্পতিবার সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে কী জানায়, তার পরই কর্মবিরতি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের দাবি, ঘটনার রাতে থাকা অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, ডিনকে প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করাতে হবে। তাঁদের যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও পদে না রাখা হয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল তাঁর দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়েছেন। এসব দাবিগুলির উত্তর চাইতে এসেছিলাম। আমরা বুঝতে পেরেছি স্বাস্থ্যভবন প্রশাসনিক জটিলতায় কাজ করতে পারছে না। প্রশাসনিক চাপে স্বাস্থ্যভবন অসহায়। আমাদের মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাতে কোনও লাভ নেই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

Card image cap

নিজের অ্যাকাউন্ট দিয়ে এই ১০ কাজ করলে যেতে হবে জেল

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দেশের প্রতিটি নাগরিকদের টাকা পয়সা সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে সদা সতর্ক থাকে। এক্ষেত্রে কোথাও কোনরকম অসঙ্গতি ধরা পড়লেই তাদের তরফ থেকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ঠিক সেই রকমই এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI Alert) সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছে, নিজের অ্যাকাউন্ট দিয়ে ১০টি কাজ করলে জেল যেতে হতে পারে।


বর্তমানে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে প্রতারণার মতো ঘটনা। ঠিক সেই রকমই প্রতারণার ঘটনা হলো মানি ফুয়েল। যারা এই মানি ফুয়েল হিসাবে কাজ করেন তারা অপরাধী হিসেবে গণ্য হয়ে থাকেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে। স্বাভাবিকভাবেই যারা এমন কাজ করে থাকেন তাদের এবার সতর্ক করলো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সতর্ক করা হয়েছে তাদেরও যারা চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই যে কারো অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে প্রতারণার শিকার হন।


রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, মানি ফুয়েল হিসাবে কাজ করা ব্যক্তিদের জেল যেতে হতে পারে। মানি ফুয়েল হলো কোন এক ব্যক্তির অসৎ উপায়ে রোজগার করা টাকা লেনদেন বা স্থানান্তর করতে সাহায্য করে থাকেন। যারা এমন কাজ করে থাকেন তাদের অবিলম্বে এই ধরনের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তা না হলে এমন কাজ করা ব্যক্তিকে কিন্তু জেলের ভাত খেতে হতে পারে।


রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই সংক্রান্ত সর্তকতা প্রত্যেকের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি বিজ্ঞাপন শুরু করা হয়েছে। যে বিজ্ঞাপনে সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক করার পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিজেদের অ্যাকাউন্ট যেন অন্যের টাকা লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত না হয়। এমন কাজ করা অনুচিত। এছাড়াও কোন ধরনের প্রতারণার মত ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ১৯৩০ নম্বরে অথবা ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে অভিযোগ জানাতে হবে।


রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ১০টি কাজ করা থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। যেমন তহবিলের অপব্যবহার, পাস বইয়ের কারসাজি, সত্য তথ্য গোপন করে প্রতারণা করা, ভুয়ো নথি বা ভুয়ো ইলেকট্রনিক রেকর্ড তৈরি করা, প্রতারণামূলক ঋণ সুবিধা প্রদান করা, বৈদেশিক মুদ্রা সম্পর্কিত জালিয়াতি ইত্যাদি। বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, অনেক মানুষ রয়েছেন যারা কিছু না বুঝেই অন্যের থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লেনদেন করতে সাহায্য করেন। এই ধরনের ঘটনায় আমাদের রাজ্যে বহু মানুষকেই বিভিন্ন সময় ফাঁসতে দেখা গিয়েছে। সুতরাং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সতর্কবার্তা মনে রেখে নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

Card image cap

অবশেষে ধর্ষণকান্ডে কড়া শাস্তির রায় শোনাল আদালত!

আরজি কর কান্ড নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। ধর্ষিতার সুবিচার চেয়ে পথে নেমেছেন লাখো মানুষ। সিবিআই তদন্তে বেরিয়ে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। আরজি কর মামলা গিয়ে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টেও। এই পরিস্থিতিতে আরেক ধর্ষণকান্ডে কড়া শাস্তির রায় শোনাল আদালত।


আরজি করে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ।


দফায় দফায় রাজ্য জুড়ে চলছে বিক্ষোভ প্রতিবাদ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সূত্র ধরে সঞ্জয় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


 

ওদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর তারপরই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন গোয়েন্দারা। এদিকে আরজি কর মামলা গিয়ে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিন বড় নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।


 

অন্যদিকে, আজমেরে ব্ল্যাকমেইল ও ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ৩২ বছর পর বিচার পেল নির্যাতিতার পরিবার।


 

আদালত বাকি সাত আসামির মধ্যে ৬ জনকে আজমেরের সবথেকে বড় যৌন কেলেঙ্কারি এবং ব্ল্যাকমেলের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করেছে।


 

আদালত তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আদালত এর আগে ছয় জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।


 

১৯৯২ সালে ১০০ টিরও বেশি কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তাদের নগ্ন ছবি প্রচার করা হয়েছিল। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশজুড়ে।


 

মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৮ জন। ৯ আগস্ট বাকি ছয়জনের সাজা ঘোষণা হলেও। মামলার শুনানি কুড়ি আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়।


 

১৯৯২ সালে, আনোয়ার চিশতি, ফারুক চিশতি, পারভেজ আনসারি, মইনুল্লাহ ওরফে পুত্তান এলাহাবাদী, ইশরাত ওরফে লালি, কৈলাশ সোনি, মহেশ লুধানি, শামশু চিশতি ওরফে মেনরাডোনা এবং নাসিম ওরফে টারজানকে অশ্লীল ছবি ব্ল্যাকমেইলের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।


 

জামিন পাওয়ার পর টারজান পলাতক। এর পরে, এলাহাবাদের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হলে তার বিরুদ্ধে পৃথক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বাকি আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন দায়রা আদালত ১৯৯৮ সালে।


 

আপিলের পর হাইকোর্ট চার আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করেন। অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হলে আদালত আসামিদের সাজা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেন।


 

আজমীরে, যুব কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি ফারুক চিশতি, তার সহযোগী নাফীস চিশতি এবং তাদের দোসররা পার্টির নামে স্কুল ও কলেজের মেয়েদের খামারবাড়ি ও রেস্তোরাঁয় ডেকে নেশা করত, গণধর্ষণ করত এবং তাদের অশ্লীল ছবি তোলা হত। এসব অশ্লীল ছবির ভিত্তিতে মেয়েরা অন্য মেয়েদের নিয়ে আসতে বাধ্য হত।


 

মামলা নথিভুক্ত হওয়ার আগে কিছু মেয়ে সাহস করে পুলিশের কাছে গিয়ে জবানবন্দি দিয়েছিল, কিন্তু পুলিশ শুধু ওই ভিকটিমদের জবানবন্দি নিয়েছে এবং তাদের ছেড়ে দিয়েছে। পরে ওই ভুক্তভোগীরা হুমকি পেতে থাকে।


 

১৯৯২ সালে, আজমিরের একটি রঙের ল্যাব থেকে কিছু অশ্লীল ছবি ফাঁস হয়েছিল এবং শহরে বিখ্যাত হয়েছিল। এরপর পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে অশ্লীল ছবির তদন্ত করে। তখন এই জঘন্য অপরাধ ও ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

Card image cap

গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর নিম্নচাপ...! অতি ভারী বৃষ্টি

আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরও শক্তিশালী হবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে এটি আগামী দু তিন দিনে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাবে।


  এর প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বাংলার পর ঝাড়খণ্ড, বিহারেও অতিবৃষ্টির সতর্কতা। যার জেরে নতুন করে নিচু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে।


  নিম্নচাপের জেরে সমুদ্র উত্তাল হবে। ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া সমুদ্রের ভেতরে। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা। আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।


  নিম্নচাপটি দক্ষিণ বাংলাদেশে অবস্থান করছে। আজ বাংলাদেশ ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে এই নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হবে। এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা।


  পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরও শক্তিশালী হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাবে। তিন দিনের মধ্যে এটি ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন বিহার ,উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের দিকে অবস্থান করবে।


  এর ফলে দক্ষিণবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড প্রবল বৃষ্টিপাত পেতে চলেছে আগামী কয়েকদিন। অতি ভারি বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে বিহার, উত্তরপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে।


  সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা বাংলাতেই। এই অক্ষরেখা শ্রীগঙ্গানগর, রোহতক, আগ্রা, কানপুর, ডালটনগঞ্জ হয়ে আসানসোলের পর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন বাংলাদেশের নিম্নচাপ এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত।


  দক্ষিণবঙ্গ:

মঙ্গলবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলাতে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে পুরুলিয়া বাঁকুড়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং নদিয়া জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎ- সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা প্রায় সব জেলাতে।


  বুধবারে ও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলাতে। পশ্চিমের দিকের বাকি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সর্তকতা।


  বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং নদিয়া জেলাতে। শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।


  উত্তরবঙ্গ: মঙ্গলবার সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, এবং মালদহ জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।


  বুধবারেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার জেলাতে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুর জেলাতে।


  কলকাতা: মঙ্গলবার মূলত মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। নিম্নচাপের প্রভাবে দু-এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও হবে।


  মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।


  বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৮৫ থেকে ৯৬ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ২.৪ মিলিমিটার।


  ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরাখণ্ড, সিকিম, অসম, মেঘালয়, তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি, করাইকাল, কেরল, মাহে ও লাক্ষাদ্বীপে।আগামী কয়েক দিনে বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড়ে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা।

Card image cap

চোখ ধাঁধানো উন্নতি ৭ রাশির!

চন্দ্র আজ রাত ৭টা ১২ মিনিট পর্যন্ত কুম্ভ রাশিতে বিরাজ করবে এরপর মীন রাশিতে গোচর করবে। পঞ্জিকা অনুসারে আজ ভাদ্র কৃষ্ণা দ্বিতীয়া তিথি। এই তিথিতে ধৃতি যোগ ও সুকর্ম যোগের প্রভাব থাকছে। এর পাশাপাশি আজ থাকবে প্রথমে পূ্র্ব ভাদ্রপদ ও পরে উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্রের শুভ সংযোগ। আজকের দিনটি কোনও কোনও রাশির জাতকদের জন্য বিশেষ ভাবে শুভ। অন্যান্য রাশির জাতকদের আজ নানা ছোট বড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে। আজ গণপতির আশীর্বাদে কোন রাশির সময় ভালো, কাদের সাবধান থাকতে হবে, তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।



আজ ব্যবসার জন্য ভ্রমণ হতে পারে, যা আপনাকে ভবিষ্যতে লাভ দেবে। আজ কোনও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে তর্কবিতর্ক হতে পারে, তাই আপনার কথাবার্তায় নিয়ন্ত্রণ রাখুন। সন্ধেয় অতিথিদের আগমন হতে পারে, যার কারণে কিছু অর্থও ব্যয় হবে। আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে আপনি ভবিষ্যতে এর থেকে উপকৃত হবেন। দাম্পত্য জীবন সুখের হবে। আপনার প্রতিটি সিদ্ধান্তে জীবনসঙ্গীকে পাশে পাবেন।

আজ ভাগ্য ৭৬% আপনার পক্ষে থাকবে। ব্রাহ্মণকে দান করুন।


আজ আপনি কর্মক্ষেত্রে শত্রুদের জয় করতে সফল হবেন। আজ আপনার সামাজিক বৃত্তও প্রসারিত হবে। যার কারণে আপনার বন্ধুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আজ আপনি কিছু গৃহস্থালী সামগ্রী কেনার জন্য অর্থ ব্যয় করবেন। পারিবারিক ব্যবসার জন্য আপনার ভাইয়ের পরামর্শের প্রয়োজন হবে। সন্ধেয় পরিবারে বিবাদ হতে পারে, আপনাকে নিজের কথাবার্তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, অন্যথায় সম্পর্কের ফাটল হতে পারে।

আজ ভাগ্য ৯৭% আপনার পক্ষে থাকবে। দেবী পার্বতী বা উমার পুজো করুন।


আজ ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথ আপনার জন্য উন্মুক্ত হবে, যার কারণে আপনার পুরো দিনটি আনন্দে কাটবে। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা আজ তাদের কাজে কিছু বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। রাতে আপনি পরিবারের সঙ্গে কোনো শুভ কাজে অংশ নিতে পারেন। আজ সন্তানদের কাছ থেকে কিছু ভালো খবর শুনতে পারেন। যোগ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসবে। পার্টনারের সঙ্গে যদি কোনও বিবাদ চললে, আজ তা শেষ হয়ে যাবে। সন্ধেয় পরিবারে অতিথি আগমন হতে পারে।

আজ ভাগ্য ৯১% আপনার পক্ষে থাকবে। গরীবদের বস্ত্র ও খাদ্য দান করুন।


অংশীদারিত্বে পরিচালিত ব্যবসায় আজ ভালো লাভ পাবেন। জীবনসঙ্গীর পরামর্শ আপনার ব্যবসার জন্য উপকারী হবে। আপনার দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত কাজ আজ সম্পূর্ণ হতে পারে। তবে এর জন্য আপনাকে আলস্য ত্যাগ করতে হবে। সন্ধেয় অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে কিছুটা ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন। চাকরিজীবীদের আজ পদোন্নতি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম হবে।


আজ ভাগ্য ৭৯% আপনার পক্ষে থাকবে। বিষ্ণুর মন্দিরে হলুদ কাপড়ে বেঁধে ছোলার ডাল ও গুড় নিবেদন করুন।


আজ আপনাকে চারপাশের পরিবেশ উপভোগ করতে দেখা যাবে। আজ আপনি নিজের জন্য কিছু অর্থ ব্যয় করতে পারেন। নিজের জন্য মোবাইল, ল্যাপটপ কিনতে পারেন। আর্থিক পরিস্থিতি শক্তিশালী থাকবে তবে আজ আপনার মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে, তাই সাবধান থাকুন এবং বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। ভাই-বোনের বিয়েতে কোনও বাধা থাকলে আজ তা মিটে যাবে। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করে সন্ধেবেলাটা কাটাবেন।

আজ ভাগ্য ৮২% আপনার পক্ষে থাকবে। শ্রী শিব চালিসা পাঠ করুন।


আপনি যদি আজ কোনও সম্পত্তি কেনার সিদ্ধান্ত নেন তবে তাতে সাফল্য পাবেন। আজ আপনার অবস্থান এবং খ্যাতি বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে আপনি খুশি হবেন। সন্তানকে কোনো কোর্সে ভর্তি করতে চাইলে আজকের দিনটি তার জন্য ভালো। কিছু দৌড়াদৌড়িও করতে হবে। সরকারি চাকরিজীবীরা আজ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আশীর্বাদ পাবেন। যার কারণে আপনি পদোন্নতি পেতে পারেন এবং বেতনও বাড়তে পারে।

আজ ভাগ্য ৬৮% আপনার পক্ষে থাকবে। ভগবান বিষ্ণুকে বেসন লাড্ডু নিবেদন করুন।


আপনি আপনার জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন এবং সাহচর্য পাবেন। আজ পার্থিব আরাম বিলাসের মধ্যে দিয়ে দিন কাটবে। সরকারি ক্ষেত্রে আপনার পদ এবং প্রতিপত্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। যদি আপনাকে সন্ধেয় ভ্রমণে যেতে হয় তবে সাবধানতা অবলম্বন করুন, কারণ আপনার কোনও প্রিয় জিনিস চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নতুন কৌশল আজ ব্যবসায় কার্যকরী হবে। আজ কোনও বন্ধুকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাবেন।

আজ ভাগ্য ৭৯% আপনার পক্ষে থাকবে। ভগবান বিষ্ণুর পুজো করুন।


আজ আপনি দান করবেন এবং অন্যদের সাহায্য করবেন। এর ফলে মনে আত্মতৃপ্তি থাকবে। সন্ধ্যেয় বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। অফিসে আপনার কর্তৃত্ব বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আপনার সহকর্মীরা ঈর্ষাণ্বিত হতে পারেন। আজ অফিসে আপনার শত্রুবৃদ্ধি হবে। আপনি যদি অংশীদারিত্বে কোনও ব্যবসা করার কথা ভাবছেন, তবে দিনটি তার জন্যও ভাল হবে।

আজ ভাগ্য ৮৬% আপনার পক্ষে থাকবে। সাদা চন্দনের তিলক লাগান এবং তামার পাত্র থেকে ভগবান শিবকে জল নিবেদন করুন।


আজ আপনার চারপাশের পরিবেশ প্রতিকূল হতে পারে। তবে আপনি আপনার ধৈর্য্য এবং মিষ্টি ব্যবহার দিয়ে পরিবেশকে হালকা করতে সফল হবেন। আজ আপনি আপনার প্রিয়জনের সাহায্যে কিছু সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। শত্রুরা আজ চাকরিজীবীদের কষ্ট দেবে, কিন্তু তারা কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আপনাকে কথাবার্তা এবং আচরণে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে, তবেই আপনি সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

আজ ভাগ্য ৮৩% আপনার পক্ষে থাকবে। গণপতিকে দূর্বা নিবেদন করুন।


আজ আপনি আপনার ব্যবসায় হঠাৎ করে একটি নতুন চুক্তি চূড়ান্ত করে লাভবান হতে পারেন। তবে পরিবারের কোনও সদস্য বা সন্তানের স্বাস্থ্য হঠাৎ খারাপ হতে পারে। আজ যদি আপনাকে ব্যবসায় ঝুঁকি নিতে হয় তবে তা ভেবেচিন্তে নিন, অন্যথায় ভবিষ্যতে আপনাকে ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। বন্ধুদের পরামর্শে আজ কোথাও বিনিয়োগ করবেন না। আজ আপনি আপনার সমস্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবেন।


আজ ভাগ্য ৮৮% আপনার পক্ষে থাকবে। প্রতি রাতে কালো কুকুরকে শেষ রুটি খাওয়ান।


আজ আপনি হাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ পেতে পারেন, যার কারণে আপনি সন্তুষ্ট হবেন এবং আপনার আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে কম চিন্তিত হবেন। তবে তবুও আপনাকে আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, তবেই আপনি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে পারে। ব্যবসায় ধীরগতির কারণে আজ আপনার কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শের প্রয়োজন হবে। আপনি নিজের পিতামাতার কাছ থেকে আশীর্বাদ পাবেন। পরিবারের ছোটরা আজ আপনার কাছে কিছু আবদার করতে পারে।

আজ ভাগ্য ৯৫% আপনার পক্ষে থাকবে। শনিদেব দর্শন করুন এবং তেল নিবেদন করুন।


আজ আপনার মনে সন্তুষ্টি থাকবে এবং সন্তানদের দিক থেকে কিছু ভালো খবর পাবেন, এতে মন খুশি থাকবে। আজ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদ ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। আপনি বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশায় সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত সময় কাটাবেন। আজ যদি আপনার শ্বশুরবাড়ির কাউকে টাকা ধার দিতে হয়, তবে তা সাবধানে করুন, অন্যথায় সম্পর্কের ফাটল হতে পারে। দাম্পত্য জীবন সুখের হবে।

আজ ভাগ্য ৯১% আপনার পক্ষে থাকবে। চন্দনের তিলক লাগান।

Card image cap

আর জি করের নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী

হাসপাতালের কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। ঘটনার ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে উদ্বিগ্ন খোদ শীর্ষ আদালত। আর এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আর জি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবারই হাসপাতালে পৌঁছয় সিআইএসএফ।  মঙ্গলবার শুনানির সময়ে পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা বলে। বলা হয়, এমন অনেক হাসপাতাল আছে, যেখানে নামী ডাক্তারদের দেখানোর জন্য  দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়, সেই দিনক্ষণে পরিষেবা না পাওয়ার অর্থ চিকিৎসা পাওয়া আরও পিছিয়ে যাওয়া। তাতে চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে বলা হয়, ”১৪ আগস্ট রাতে শুধু হাসপাতাল নয়, হস্টেলেও আক্রমণ করা হয়েছিল। মহিলা রেসিডেন্টদের সর্বোচ্চ হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, আন্দোলন করা যাবে না। ভয়ে মা-বাবারা বাড়িতে ডেকে নেয়। আর আপনারা বলছেন কাজে যোগ দিতে! এই আতঙ্কের আবহে তা কীভাবে সম্ভব?”তা শুনে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ৭০০ রেসিডেন্ট ডাক্তারের মধ্যে বেশিরভাগই নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় জন্য চলে গিয়েছে। ৩০-৪০ জন মহিলা, ৬০-৭০ জন পুরুষ ডাক্তার আছেন। শুধু নিজেদের পড়াশোনা নয়, পরিষেবা দেওয়ার স্বার্থে সমস্ত চিকিৎসকের হাসপাতালে ফিরে আসা উচিত। তাই CISF, CRPF পর্যাপ্ত পরিমাণে মোতায়েন করতে হবে আর জি কর হাসপাতাল।  তা শুনে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল মন্তব্য করেন, ”এর পর থেকে রাজ্য পুলিশের আর কোনও দায়িত্ব রইল না।” তবে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ার পরও কর্মবিরতি প্রত্যাহার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি চিকিৎসক সংগঠনগুলি। তাদের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে তার পরও তাদের নিরাপত্তা কতটা থাকবে? তাই সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতালের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই তা স্থির করা হবে।‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, ”এটাই তো কাম্য ছিল। রাজ্যের মানুষের এই সরকারের প্রতি আস্থা নেই।” আর জি কর হাসপাতালে নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কলকাতার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ”এই রাজ্যের মা-মাটি-মানুষ সরকার ভোটে গণতান্ত্রিকভাবে জিতেছে। অথচ আর জি কর হাসপাতালের মর্মান্তিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে। সংবেদনশীল ভূমিকা নেই বর্তমান সরকারের। তাদের সদিচ্ছা নেই। প্রতি পদে তা প্রমাণিত। এই নৃশংস ঘটনা ধামাচাপা দিতেই বরং তৎপর রাজ্য সরকার। একজন সিভিক পুলিশ ধৃত। সে আবার কলকাতা পুলিশের কর্মী!” 

Card image cap

ভাটপাড়ায় ফের গুলিবিদ্ধ যুবক

ফের শুটআউট ভাটপাড়ায়। এবার ঘটনাস্থল ভাটপাড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৫ নম্বর সাইডিং এলাকা। রবিবার রাতে সেখানে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে জখম হয়েছেন স্থানীয় এক যুবক। তাঁর নাম মহম্মদ আর্সলান আনসারি, বয়স ২০ বছর। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্ত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে অনলাইন গেম খেলছিলেন ভাটপাড়ার বাসিন্দা আর্সলান। সেই সময় তাঁর উপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পিঠে গুলি লাগায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। আক্রান্তের ভাই জানিয়েছেন, ”ভাইয়ের শরীরের পিছনের অংশে গুলি লেগেছে।”শুটআউটের পর প্রথমে তাঁকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে আর্সলানকে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এদিকে, আর জি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করায় চিকিৎসা অমিল। ফলে আর্সলানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তেমন কোনও তথ্য মেলেনি। শুটআউটের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও কী কারণে এই ঘটনা, তা এখনও জানা যায়নি। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Card image cap

ম্যাচ জুড়ে ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ বার্তা ইস্টবেঙ্গলের

আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে লাগাতার প্রতিবাদ ফুটবলপ্রেমীদের। গত রবিবার পথে নেমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিচারের দাবিতে গলা মিলিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকরা। সোমবার মাঠে নেমে গোল করে জাস্টিস ফর আর জি কর বার্তা দেন মহামেডান ফুটবলার মহীতোষ। মঙ্গলবারও সেই ধারা বজায় থাকল ময়দানে। গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে যাওয়ার পরে আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে বার্তা দেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ম্যাচ চলাকালীন ইস্টবেঙ্গল মাঠেও আর জি করের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ব্যানার রাখা ছিল।আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব কলকাতা। যার আঁচ পড়েছে খেলার মাঠেও। ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’-এর দাবিতে পথে নেমেছেন শুভাশিস বসুর মতো ফুটবলার। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহামেডান সমর্থকদের মিলিত প্রতিবাদও দেখা গিয়েছে। সোমবার কলকাতা লিগের ম্যাচে ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’-এর দাবিতে শামিল হন মহামেডানের ফুটবলাররা। জার্সিতে ওই স্লোগান তুলে ধরে নিজেদের প্রতিবাদ জানান।দেশের গণ্ডি পেরিয়েও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ভারতের ফুটবলাররা। সোমবার নেপালের ললিতপুরেও অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও নেপাল। গোল করেন বাংলার ছেলে মনিরুল মোল্লা। তার পরই জার্সি খুলে সেলিব্রেট করেন তিনি। সেখানেও ছিল আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘জাস্টিস’-এর দাবি। ফুটবল মাঠে প্রতিবাদের ধারা অব্যাহত রাখল মঙ্গলবারের ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার রেনবো এসির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের শুরু থেকেই নজর কেড়েছিল সমর্থকদের আনা বিশাল ব্যানার। গ্যালারির একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল ‘তোমার শহর, আমার শহর, পাশে আছি আর জি কর’ ব্যানার। ম্যাচের প্রথম ৭৫ মিনিট গোলশূন্য ছিল। ৭৫ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সঞ্জীব ঘোষ। তার পরেই গ্যালারির দিকে ছুটে এসে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর আর জি কর’ লেখা জার্সি তুলে ধরেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। সবমিলিয়ে, আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে এভাবেই সরব রইল ফুটবলের মাঠ।  

Card image cap

RG Kar কাণ্ডে শিল্পী বন্ধুদের নীরবতা নিয়ে মুখ খুললেন মীর

‘সিনেমাপাড়ার একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর’, এই স্লোগান স্টুডিওপাড়ার তারকাদের। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি চেয়ে পদযাত্রা করেছেন সঙ্গীতশিল্পীরা। সরব হয়েছেন বাচিক শিল্পীরাও। দিকে দিকে ‘We Want Justice’ স্লোগান। এখনও যাঁরা আর জি কর কাণ্ডে নীরব, তাঁদের বাদ দিয়েই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন মীর আফসার আলি।সিনেমাপাড়ার আন্দোলনে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে দেখা যাচ্ছে না কেন? এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। ‘খোকা’ নিখোঁজের বিজ্ঞাপন দিয়ে তারকাকে কটাক্ষও করেছেন প্রযোজক রানা সরকার। তাঁকে আবার পালটা দিয়েছেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন মীর। আর জি কর প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মীর। সেই খবর শেয়ার করে শিল্পী লেখেন, “এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পুরো বিষয়টা যেমন বুঝছি… আপনারাও মতামত জানান। সবাই সবার পাশে দাঁড়ান। আমার অনেক শিল্পী বন্ধুরা আজ হয়তো নীরব। নিশ্চয়ই কারণ আছে। তাঁরা থাকুন নিজেদের মতন। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।”প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল। মঙ্গলবার এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুরুতেই ঘটনার ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, এটা শুধু কলকাতারই নয়, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, বিহার-সহ নানা জায়গায় ডাক্তাররা আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।“আরও একটা ধর্ষণের জন্য অপেক্ষা করবে দেশ?” মঙ্গলবার আর জি কর কাণ্ডে এই ভাষাতেই তোপ দেগেছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা পুলিশ এবং আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। মাঝরাতে হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে মীর জানান শীর্ষ আদালতে আস্থা রেখে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। তবে আন্দোলন থামালে চলবে না।