Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

স্বাধীনতা দিবসে দীর্ঘতম ভাষণ

 টানা ১১ বার লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির উদ্দেশে ভাষণ। দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে একাধিক নজির গড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিকে মনোমোহন সিংকে টপকে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন। অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দীর্ঘতম ভাষণ, দুই রেকর্ডই মোদির নামের পাশে।প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সবচেয়ে বেশিবার লালকেল্লায় ভাষণ দিয়েছেন জওহরলাল নেহরু। লালকেল্লায় মোট ১৭ বার ভাষণ দিয়েছেন তিনি। স্বাধীন দেশের প্রথম ভাষণও দেন নেহেরুই। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ এবং পরে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি মোট ১৬ বার লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন। সবচেয়ে বেশিবার ভাষণ দেওয়া প্রধানমন্ত্রীদের নিরিখে মোদি এখন তৃতীয় স্থানে। ২০১৪ সাল থেকে টানা ১১ বার লালকেল্লায় ভাষণ দিলেন মোদি। তিনি টপকে গেলেন মনোমোহন সিংকে। এদিন লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে ইতিহাসের দীর্ঘতম ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সকালে টানা ৯৮ মিনিট ভাষণ দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর অবশ্য লম্বা ভাষণ দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে মোদি ৯৪ মিনিট ভাষণ দেন। এবারের আগে সেটাই ছিল দীর্ঘতম ভাষণের রেকর্ড। স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণের গড় সময় ৮২ মিনিট! তাঁর ক্ষুদ্রতম ভাষণ ৫৬ মিনিটের। সেটা ২০১৭ সালে দেওয়া।এবারের স্বাধীনতা দিবসে উদ্দেশে ভাষণে চমকের পথে না হেঁটে তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্যগুলিকে নতুন মোড়কে তুলে ধরলেন নরেন্দ্র মোদি। লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে ফের স্বপ্ন দেখালেন ‘বিকশিত ভারতে’র। স্বপ্ন দেখালেন ‘বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ’ হিসাবে ভারতকে গড়ে তোলার।

Card image cap

স্বাধীনতা দিবসে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সৌভ্রাতৃত্বের ছবি

স্বাধীনতা দিবস। দেশজুড়ে উদযাপন। পালন করা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও। তবে এই দুই দেশের সীমান্তে পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল। স্বাধীনতার দিন সেই ‘চাপ’ কার্যত উবে গেল। ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হল ঘোজাডাঙ্গা- ভোমরা স্থল বন্দরে। তার পরই মিষ্টি বিতরণ করে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন বিএসএফ ও বিজিবি জাওয়ানরা।বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। ছাত্র আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। তার পর থেকে ভারতেই রয়েছেন তিনি। ভারত বন্ধু বলে পরিচিত হাসিনা ক্ষমতায় না থাকার পর দুই দেশের সম্পর্ক কী হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আন্দোলন চলাকালীনও ভারত সরকার বিরোধী বেশ কিছু স্লোগান শোনা গিয়েছিল। তাই সীমান্তে সম্পর্ক কী থাকবে তা নিয়ে চাপ ছিল। সেই শঙ্কা-আশঙ্কা উড়িয়ে ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সৌভ্রাতৃত্বের দৃশ্য দেখল দুই দেশ।এদিন সকালে, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জাওয়ান, ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা ও শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকেরা জাতীয় পতাকা তুলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন। তার পর বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের হাতে মিষ্টি তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।

উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট ১০২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের নবীন চৌধুরী, শুল্ক দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ভবতোষ মিস্ত্রি, এছাড়াও ইমিগ্রেশনের কর্তারা। ছিলেন, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএনএফ)-এর সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল, সভাপতি অচিতকুমার ঘোষ। অপরদিকে, ছিলেন ভোমরা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক হাবিবুবর রহমান হাবিব, ভোমরা শুল্ক দপ্তর ও ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই বিশ্বজিৎ কুমার জুয়েল-সহ অন্যান্যরা।

ভারতের ঘোজাডাঙ্গা ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএনএফ)-এর সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবছরও সিএনএফ-এর বিএসএফ, কাস্টমস, ইমিগ্রেশনের কর্তা ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে মিষ্টি-ফুল বিতরণ করা হয়। একইসঙ্গে বন্ধু দেশ বাংলাদেশকেও সৌভ্রাতৃত্ব স্থাপনের ফুল, মিষ্টি দেওয়া হয়।”

ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই বিশ্বজিৎ কুমার বলেন,” আজ ভারতের স্বাধীনতা দিবস।ওদের পক্ষ থেকে শূন্যরেখায় ডেকে মিষ্টি বিতরণ করে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। আমরাও তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।”

Card image cap

দিল্লিতে চিঠি শুভেন্দুর

পুলিশি নিরাপত্তার মাঝেই বুধবার মাঝরাতে আর জি কর হাসপাতালে ঢুকে বহিরাগত তাণ্ডব, আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধর, জরুরি বিভাগ-সহ একাধিক বিভাগে ভাঙচুরের মতো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার আর জি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়ে সেই দাবি তুললেন তিনি। নিজেই সোশাল মিডিয়া পোস্টে তা জানিয়েছেন।একই দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ও সিবিআই-এর অধিকর্তাকেও চিঠি পাঠিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বাংলা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যবাসীর কাছে শুভেন্দুর আবেদন, যেভাবেই হোক, রাজ্যকে স্তব্ধ করে দিতে হবে প্রতিবাদের জন্য। শুক্রবার থেকে আর জি কর হাসপাতালের সামনে লাগাতার অবস্থান শুরু করতে চান সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে, এসইউসিআইও ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ ঘোষণা করেছে। আবার বামেদের তরফে রাজ্যজুড়ে ধিক্কার দিবস পালিত হবে শুক্রবার। শনিবার রাসবিহারী থেকে অ্যাকাডেমি পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করবে বামফ্রন্ট।বিরোধী দলগুলির একাধিক কর্মসূচিতে শুক্রবার অবরুদ্ধ হতে চলেছে। তারই মাঝে আর জি কর হাসপাতালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠালেন বিরোধী দলনেতা। তাতে বুধবার রাতের হামলার ঘটনায় পুলিশের নিরাপত্তাহীনতার ছবিটা যেভাবে খোলামেলাভাবে সামনে চলে এসেছে, তাতে শুভেন্দুর দাবি, আর জি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। সিবিআই-এর কাছেও একই আর্জি তাঁর।

Card image cap

জেলার রোগীদের স্থানান্তরে ‘না’ মুখ্যমন্ত্রীর

আর জি কর কাণ্ডে ন্যায় বিচারের দাবিতে কয়েকদিন ধরে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে। যার জেরে ব্যাহত রোগী পরিষেবা। প্রবল ভোগান্তির শিকার রোগীরা। স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে রোগী হয়রানি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “কোনও পরিস্থিতিতেই রোগীদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা যায় না। জেলার হাসপাতালগুলোকে বলব যেন আপাতত রোগীদের রেফার না করা হয়।”আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে চিকিৎসককে যৌন হেনস্তা ও খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল রাজ্য। অধ্যক্ষ অপসারণ-সহ একাধিক দাবিতে সরব হন জুনিয়র চিকিৎসক, ইন্টার্নরা। কর্মবিরতিতে শামিল হন সকলে। যার জেরে ব্যাহত হয় চিকিৎসা ব্যবস্থা। অধ্যক্ষ অপসারণের পরও চলছে কর্মবিরতি। আন্দোলনরতদের দাবি, ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ আর পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট তাঁদের দেখাতে হবে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতিদের জেরে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু রোগী কলকাতা আসেন চিকিৎসার জন্য। অনেকের পক্ষেই সরকারি হাসপাতাল ছাড়া অন্যত্র যাওয়ার সামর্থ্য নেই। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন তাঁরা। কিন্তু অনেক সময়ই লাভ হচ্ছে না।বৃহস্পতিবার রাজভবনে যাওয়ার পথে এই নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসেন। পরিষেবা দিতে না পারাটা কাম্য নয়।” এর পরই তিনি বলেন, জেলা হাসপাতালগুলোকে আপাতত রোগী রেফার না করার পরামর্শ দেবেন তিনি। উল্লেখ্য, আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনায়ও মুখ খুলেছেন তিনি। বললেন, “এটা ছাত্রছাত্রীদের কাজ নয়। ওদের উপর কোনও রাগ নেই, আমাদের সমর্থন আছে। কিন্তু আমাদের রাগ যারা এই আন্দোলনের নামে হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঢুকে অশান্তির সৃষ্টি করছে। আমাদের ডিসি অত্যন্ত জখম হয়েছে। ওঁর অনেকক্ষণ জ্ঞান ছিল না। প্রচুর রক্তও বেরিয়েছে।”

Card image cap

RG Kar-এ হামলায় রাম-বামকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

মধ্যরাতে মেয়েদের রাস্তা দখল চলাকালীনই আর জি কর হাসপাতালে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হামলা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনে চায়ের আমন্ত্রণে যাওয়ার পথে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ”এটা ছাত্রছাত্রীদের কাজ নয়। ওদের উপর কোনও রাগ নেই, আমাদের সমর্থন আছে। কিন্তু আমাদের রাগ যারা এই আন্দোলনের নামে হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঢুকে অশান্তির সৃষ্টি করছে। রাম এবং বামেদের কাজ এটা। এই ঘটনায় আমাদের ডিসি অত্যন্ত জখম হয়েছে। ওঁর অনেকক্ষণ জ্ঞান ছিল না। প্রচুর রক্তও বেরিয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ”আপনারা ভালো করে ভিডিওগুলো দেখুন। এখন তো AI দিয়ে নানারকম মুখ বসিয়ে ভিডিও বানানো হয়। সোশাল মিডিয়ায় প্রচুর ভুয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে।”কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের উপর যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় এমনিতেই উত্তপ্ত আর জি কর হাসপাতাল। ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে যখন মধ্যরাতে মেয়েদের রাস্তা দখলের ডাক দিয়ে আন্দোলন চলছিল, সেই সুযোগে শতাধিক বহিরাগত হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে মারধর, তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী পুলিশকেও আত্মরক্ষার্থে লুকিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে হামলা ঠেকাতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক জখম হন। সেসময় হাসপাতালে কর্তব্যরত ডিসিও মারধরের মুখে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ”আমাদের ডিসি অত্যন্ত জখম হয়েছেন। তাঁর অনেক্ষণ জ্ঞান ছিল না। প্রচুর রক্তপাতও হয়েছে। পরে তাঁর জ্ঞান ফেরায় আমরা নিশ্চিন্ত হই।”মাঝরাতে হামলার ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের সন্ধান পেতে সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, বহিরাগত রাজনৈতিক দলের লোক এর মধ্য়ে ঢুকে অশান্তি বাঁধাচ্ছে। বাম এবং রাম – এরা ঝামেলা করছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা, অনেক ভুয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে। যা অসত্য। সেসবে বিশ্বাস করবেন না। পুলিশের উপর হামলা নিয়েও সরব হলেন তিনি। 

Card image cap

বিশ্বস্ত জীবনচিত্র 'পদাতিক', মৃণাল 'ভুবন'কে কীভাবে সাজালেন সৃজিত?

বাংলা সিনেমার দুই কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব উত্তমকুমার এবং মৃণাল সেন। একজন অভিনয় জগতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী। অন্যজন শুধু বাংলার নন, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও ফিল্ম নির্দেশক হিসেবে এক ব্যতিক্রমী শিল্পী। এঁদের দুজনকে নিয়ে একই সময়ে দুটি ছবি করলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় ।


এর তাঁর প্রশংসা অবশ্যই প্রাপ্য। বাণিজ্যিক ভবিষ্যতের পরোয়া না করে এমন দুটি কনসেপ্ট নিয়ে ছবির ভাবনাটাই তো যথেষ্ট। ‘অতি উত্তম’ তৈরির সময় ব্যবসায়িক সাফল্যের কথা হয়তো সৃজিত ভাবেননি। নিজের সিনেমার মাধ্যমকে মহানায়ককে সম্মান জানাতে চেয়েছিলেন পরিচালক। এবার ‘পদাতিক’-এর  পালা। মৃণাল সেনের জীবনকাহিনি।


ব্যক্তি মৃণাল সেন, পিতা মৃণাল সেন, স্বামী মৃণাল সেন, পরিচালক মৃণাল সেন- এই মানুষটার পরিসর তো একে সীমাবদ্ধ নয়, একাধিক মৃণাল সেন! যিনি কখনও গল্প বলতে চেয়েছেন (নীল আকাশের নিচে বা বাইশে শ্রাবণ), কখনও গল্প ভাঙতে চেয়েছেন (ভুবন সোম), রাজনীতিক মৃণাল সেন (‘ইন্টারভিউ’, ‘পদাতিক’), বাঙালি মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি মৃণাল সেন (‘একদিন প্রতিদিন’, ‘চালচিত্র’) বাস্তবকে পকেটস্থ করার মৃণাল সেন (‘আকালের সন্ধানে’, ‘মহাপৃথিবী’) বা এক সিনেমার প্রচলিত ব্যকরণ ভেঙে নতুন ভাষা তৈরির কারিগর মৃণাল সেন। সুতরাং সৃজিতের কাছে কাজটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জই ছিল বলতে পারি। চ্যালেঞ্জের প্রথম ধাপ চিত্রনাট্য লেখা।


ইন্টারভিউ’ ছবিতে ট্রামের ভেতর অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিককে দিয়ে যেভাবে দর্শকের সঙ্গে আলাপচারিতায় ঘটিয়ে সিনেমার ন্যারেটিভ ভাঙার প্রথম ধাপটি মৃণাল সেন তৈরি করেছিলেন, সৃজিতও প্রায় একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি করলেন অল্পবয়সী মৃণাল সেন চরিত্রের অভিনেতা কোরক দাশগুপ্তকে দিয়ে। এবং যতক্ষণ না চঞ্চল চৌধুরীর চেহারায় মৃণাল সেন পর্দায় না এলেন, ততক্ষণ চিত্রনাট্য কেমন আগোছালো রইল। এরই মধ্যে রবীন্দ্রনাথের মরদেহ নিয়ে বিশৃংখলা, শেষ যাত্রার সময় “কহো কানে কানে/ শোনাও প্রাণে প্রাণে /মঙ্গল বারতা” গানটির ব্যবহার ছবির কেন্দ্রীয় বক্তব্যের ইঙ্গিত দিয়ে যায়।


তবে মৃণাল সেন হিসেবে চঞ্চল চৌধুরী এবং পরিচালকপত্নী গীতা সেনের চেহারায় মনামী ঘোষ ক্যামেরার সামনে আসার পর ধারাবাহিক ভাবে মৃণাল সেনের জীবনের ট্র্যাকে ছবিটি ফিরে আসে। একের পর এক তাঁদের দাম্পত্য জীবনের খুঁটিনাটির সঙ্গে জড়িয়ে যায় উত্তমকুমারকে নিয়ে প্রথম ছবি ‘রাতভোর’ বানানোর তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নিজের মতো করে ‘বাইশে শ্রাবণ’ তৈরির কিঞ্চিৎ আনন্দপ্রাপ্তির মুহূর্তও। একদিকে তাঁদের ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য লড়াই, অন্যদিকে নিজের মনের মতো সিনেমা বানানোর সংগ্রাম চলতে থাকে। এই পর্বে সৃজিতের চিত্রনাট্য অনেক বেশি সুগ্রন্থিত। চিত্রায়নেও আনতে পেরেছেন মৃণাল সেন ঘরানার ন্যারেটিভ ভাঙার ভঙ্গি। এসেছে ছেলে কুণালের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডা, অনুপকুমারের নাম উল্লেখ হল শুধু, ওঁকে একবার দেখালে ভালো হতো।


তবে ছবির আকর্ষণীয় দৃশ্যগুলো হল মৃণাল সেনের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের ছবি নিয়ে দীর্ঘ ও বন্ধুত্বপূর্ণ অথচ তার্কিক আলোচনা। মৃণাল সেনের বাড়িতে ঢুকে ক্ষুধার্ত ঋত্বিকের খেতে চাওয়া এবং খাওয়ার দৃশ্যটি। তবে হাসপাতালে ঋত্বিকের শয্যার পাশে কখনও মৃণাল-সত্যজিৎ একসঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন, এমনটা শুনিনি। মৃণাল সেনের প্রিয় শহর কলকাতা, বলতেন ‘এল ডোরাডো!’ সেই শহরের দুটি প্রধান রাজপথের ওপর মৃণাল সেনকে নিয়ে সৃজিত দুটি দৃষ্টিনন্দনতো বটেই, স্মৃতিতে বাঁধিয়ে রাখার মতো শট নিয়েছেন। এর জন্য কৃতিত্ব আলোকচিত্রী ইন্দ্রনাথ মারিককেও দিতে হবে।


ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত সুচিন্তিত ভাবেই ব্যবহার করেছেন কিছু গণসঙ্গীতের লাইন এবং বিখ্যাত হিন্দি গান “জিন্দা হ্যায় তো জিন্দগি/ স্বর্গ উতার লা জমিন পর!” অভিনয়ে চঞ্চল চৌধুরী  ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। তবে তাঁর মেকআপে সেটি বজায় থাকেনি। সত্যজিতের চরিত্রে জীতু কমল ‘অপরাজিত’ ছবির মতোই। গীতা সেনের চরিত্রে মনামী ঘোষ  মধ্যবিত্ত গৃহবধূর মেজাজটি ফুটিয়েছেন। আসলে সৃজিতের ‘পদাতিক’ মৃণাল সেনের সিনেমা যাত্রার এক প্রকৃত যাত্রিক।

Card image cap

আরজি কর নিয়ে মন্তব্য করে ফেঁসে গেলেন নুসরত!

আরজিকরের  তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার নারকীয় ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা বাংলা। প্রতিক্রিয়া আসছে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কিন্তু রাজ্যের এমন অশান্ত পরিস্তিতিতেও এতদিন মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছিলেন বাংলার তারকা সংসদ নুসরত জাহান।


আরজিকরের এই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাতেই রাত দখলে নেমেছিলেন গোটা রাজ্যের মেয়েরা।


আরজিকর কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিয়ে চরম ট্রোলড নুসরত জাহান 


রাতের অন্ধকারে তিলোত্তমার বুকে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যার ঘটনা ভীতটাই নড়বড়ে করে দিয়েছে রাজ্যের নারী সুরক্ষার। তাই গতকাল রাতেই এগারো দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় রাত দখলে নেমে বিচারের দাবি তুলেছিলেন শহরবাসী। কিন্তু এত বড় ঘটনার পরেও এতদিন মুখ দিয়ে একটাও শব্দ খরচ করেননি অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ নুসরত।


এতদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একাধিক ছবি পোস্ট করলেও সেখানে আর জি কর নিয়ে কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি নুসরতের । তাই কমেন্টস সেকশনে এসে একাধিকবার তাঁর প্রতিক্রিয়া চেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন নেট পাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ। তবে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন নুসরত। ১৪ই আগস্ট এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি লম্বা পোস্ট করলেন অভিনেত্রী।


সেখানে তিনি লিখেছেন, 'আরজি করের এই ঘটনা অনেক অস্বস্তিকর প্রশ্ন তুলেছে। সত্যি কি মহিলারা সুরক্ষিত? রাত পর্যন্ত কাজ করার অর্থ বিপদ ডেকে আনা? আমরা কি সত্যি স্বাধীন? আমরা ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসে পা রাখতে চলেছি। যন্ত্রণাদায়ক, তবে এটাই সত্যি কলকাতা আর সিটি অব জয় রইল না। একজন কর্মনিষ্ঠ ডাক্তার রাতে নিজের কর্তব্য পালন করছিলেন, তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।'


সেইসাথে অভিনেত্রীর সংযোজন, 'এই মর্মান্তিক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় শহরের নিরাপত্তা হারাচ্ছে। এটা আমাদের ভাবনার অতীত, এই খবরে তাঁর পরিবারের অবস্থা কি ছিল? ন্যায় বিচারের এই লড়াইতে আমি আছি। কর্তৃপক্ষ, ক্ষমতাবানদের কাছে আমার অনুরোধ দ্রুত পদক্ষেপ করা হোক। আমি এমন নিষ্ঠুর কাজের তীব্র নিন্দা জানাই। প্রত্যেকের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার সময় এসেছে।'



নুসরতের এই পোস্ট দেখা মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় রে রে করে উঠেছেন আমজনতা। আরজিকরের তরুণীর নৃশংস হত্যার পর নুসরতের প্রতিক্রিয়া দিতে সময় লেগে গেল পাঁচ দিন। তাই এতদিন পর নারী সুরক্ষা আর আরজিকরের তরুণীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে উল্টে নিজেই ট্রোলড হলেন অভিনেত্রী। তাই নুসরাতের পোষ্টের বহর দেখে কেউ লিখলেন, 'এর জন্যই তো বিচার আটকে ছিল'। আবার কারও কটাক্ষ, 'ম্যাম আপনি খুব তাড়াতাড়ি মন্তব্য করেছেন, দারুণ।' তো প্রশ্ন করেছেন, 'আপনার এতক্ষণে ঘুম ভাঙল?'

Card image cap

কলকাতা পুলিশ প্রথম থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে, কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করেনি!

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তাণ্ডবের পর বুধবার গভীর রাতে সেখানে পৌঁছে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন 'গুজব' নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিনীত বলেন, 'আমি ক্রুদ্ধ।' ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি আরও বলেন, 'ডিসি নর্থ প্রতিবাদকারীদের রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।


তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। এখানে যা হয়েছে তা ভুল প্রচারের জন্য হয়েছে। কলকাতা পুলিশ এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।'

এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিনীত। তিনি বলেন, 'কলকাতা পুলিশ কী করেনি! আরজি করের ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশ সব কিছু করেছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে এই কথা বলছি। আমার সহকর্মীরা দিন-রাত এক করে দিয়ে এই তদন্তের কিনারা করার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা প্রমাণ সংগ্রহে কোনও রকম ত্রুটি রাখেননি। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা পরিবারের ওই চিকিৎসকের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। নানা রকম গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও 'মহাপাত্র'-এর নাম হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই 'মহাপাত্র'-এর রাজনৈতিক যোগ রয়েছে এবং তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত! যাঁর নামে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে তিনি এক জন ইন্টার্ন। খুব ছোট জায়গা থেকে তিনি উঠে এসেছেন। আমরা সেটি খতিয়ে দেখেছি। তাঁর বাবা এক জন প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁর রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। সাধারণ মানুষ এই গুজব ছড়িয়েছেন। এদের মধ্যে ওঁর নিজের বন্ধুরাও রয়েছেন। যা কি না আরও মর্মান্তিক। আমি ক্রুদ্ধ। যা হয়েছে তার জন্য আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ। আমরা কোনও ভুল করিনি। নানা ভুল এবং ক্ষতিকারকে প্রচারের কলকাতা পুলিশের সম্মানহানি ঘটেছে। মানুষ আমাদের উপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলেছেন।'


তিনি আরও বলেন, 'আমরা কখনই বলিনি যে আরজি করের ঘটনায় এক জন জড়িত। আমরা সায়েন্টিফিক তথ্যের অপেক্ষা করেছিলাম। যার জন্য সময় লাগত। অভিযুক্ত বার বার বয়ান পরিবর্তন করছিল। আমাদের কাছেও অকাট্য প্রমাণ ছিল না। আমি কোনও গুজবের ভিত্তিতে কোনও পিজি ছাত্রকে গ্রেফতার করতে পারি না। নানাবিধ ভাবে আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। প্রথম থেকেই আমরা স্বচ্ছ্ব ছিলাম। যা যা করা প্রয়োজন ছিল আমরা তাই-ই করেছি। আমাদের হাত থেকে তদন্ত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা তা নিয়েও কিছু বলিনি। সিবিআই এখন তদন্ত করছে। আমরা সব রকম ভাবে তাদের সাহায্য করব। আমরা প্রথম থেকেই স্বচ্ছ্ব ভাবে তদন্ত করে আসছি।''

নিহত চিকিৎসকের পরিবার এবং সকলের সঙ্গে স্বচ্ছ্বতা বজায় রেখে পুলিশ চলছে বলেও দাবি করেন সিপি। তিনি বলেন, ''ছাত্রদের একটি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্তে সব রকম তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে বলা হয়েছিল। তাঁরা সেটাও করেননি। মৃতার দেহ নিয়েও নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে যার কোনও বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা ছিল না। এই নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারও চালানো হয়েছে। যা কি না শহরের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং দুঃখজনক। এর ফলে কলকাতা পুলিশের সম্মানহানি হয়েছে। ভ্রান্তিমূলক প্রচার থেকে বিরত থাকলেই এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত। আমি এটুকু দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি আমরা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করিনি। যদি সিবিআই প্রমাণ করতে পারে আমরা এ ধরনের কাজে যুক্ত বা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছি তা হলে আমাদের ধারা ২০১ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।'

Card image cap

আমরা ১০ লাখ দিতে চেয়েছিলাম', উত্তরে কী বলেন আরজি করের নির্যাতিতার মা?

আরজি কর ঘটনায় রাজনীতি হচ্ছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম ও বিজেপিকে একযোগে বেঁধেন মুখ্যমন্ত্রী। ধর্ষিতা-খুন চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে তিনি কী কথা বলেছিলেন তাও প্রকাশ্যে আনেন। তরুণীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে চেয়েছিলেন মমতা।


এদিন সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম আমাদের একটা কর্তব্য আছে, মেয়ে তো আর ফিরে আসবে না। আমি ওনাকেও বলেছিলাম, ওঁর নামে যদি কিছু করতে চান, করে দেব। আমরা ১০ লক্ষ টাকা তো দিতেই পারি। তবে তাঁর মা বলেছেন, আগে মেয়ের বিচার হোক, তারপর দেব। যারা কম্পেনসেশনের কথা বলছেন, তাদের জানিয়ে রাখি আমরা আগেই বলেছি।”


তিনি আরও বলেন, “যদি কোনও সন্দেহ থাকে তাঁদের থেকে কথা শোনার জন্য। কী কী খবর আছে বলুন। আমাকে রবিবার পর্যন্ত খবর দিন। সাথে যদি কেউ থাকে তাদের ডাকব এবং তার বিরুদ্ধএ ব্যবস্থা নেব। এবং জুনিয়র ডক্টরদের তারা ডেকেছিল, তাছাড়াও, অনেক কাউকে ডেকেছিল। প্রমাণ কলকাতা পুলিশের হাতে ছিল, আমরা ওটা সিবিআইকে দিয়ে দিয়েছি। আমরা রবিবার সময় দিয়েছিলাম। আমাদের টার্গেটের টাইম ছিল, তারা রবিবারের মধ্যে কেস করে ফাঁসি দেবে, এটা আমরা চাই। আমি কিন্তু বালুরঘাটের কেসে করে দিয়েছিলাম। কামদুনির কেস যাঁরা বলছেন, তাঁরা জেনে রাখুন, ২ জনকে ফাঁসির কথা বলেছিলাম, কিন্তু হাইকোর্ট তাঁদের শাস্তি মকুব করে।”


সিপিএমকে বিঁধে বললেন মমতা…


মমতা এদিন বলেন, “রাজারহাটে কৃষক মেরেছেন, কত মানুষের কঙ্কাল পুঁতে দিয়েছেন। একসঙ্গে কত মানুষকে হত্যা করেছেন, সব ভুলে গেছি আমরা? সহানুভূতি না দেখিয়ে রাজনীতি করছেন। আমি ক্ষমতার মায়া করি না। আমি মনে করি মানুষের সেবা করে যাব। হঠাৎ করে চাকরি বাতিল করে দেন আপনারা।মামলা করে চাকরি বাতিল করে দেন। ২৬ হাজার চাকরি খাচ্ছেন, তারাও কিন্তু নতুন যৌবন, তখন ভাবনা আসে না? কী ব্যবস্থা জানি না। কেন একজন রাজ্যসভার সাংসদ লড়বেন এই কেসে লড়বেন? অনেক আইনজীবী আছেন, তারা তো কোনও এমপি নন। আপনারা কি চান না, আসল দোষী শাস্তি পাক? কালপ্রিট ধরা পরুক? আপনাদের সব চলাচল লক্ষ্য করছি। অকথা-কুকথা বলছেন, সবটাই মিথ্যে, অপ্রপচার। কারণ, আপনারা চান না বাংলায় শান্তি থাক। তাই এই রাজনীতি করছেন আপনারা। আমরা কিন্তু এই রাজনীতি করিনি। আন্দোলন করতে করতে আমার ব্রেন সার্জারি হয়েছে।”

Card image cap

আরজি করে হামলার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক

রাত দখল-কে ঘিরে ধুন্ধুমার। আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী হামলা। কার্যত তাণ্ডব চালানো হল হাসপাতালের ভিতরে। ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ে এক দল জনতা। হাসপাতালের ভিতরে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডেও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবার ধর্মঘটের ডাক। শুক্রবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই(সি)।


আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদেই পথে নেমেছিল সাধারণ মানুষ। মহিলারা রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন অংশেই প্রতিবাদ মিছিল চলছিল। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হঠাৎই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।


একদল উন্মত্ত জনতা পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে। এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকী, অগ্নিসংযোগেরও চেষ্টা করা হয়। পুলিশের পোড়া ইউনিফর্ম, ছাতা উদ্ধার হয়েছে।


এই ঘটনার পিছনে কারা জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি। আরজি কর হাসপাতালে এই ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে ১৬ অগস্ট, শুক্রবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এসএফআই-ডিওয়াইএফআই-এআইডিডব্লুএ-র তরফে আজ, ১৫ অগস্ট প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। শিয়ালদহ থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।

Card image cap

স্বাধীনতা দিবসে সাফল্যের শীর্ষে ৬ রাশি

চন্দ্র আজ বৃশ্চিক রাশিতে নিজের যাত্রা সম্পন্ন করে ধনু রাশিতে প্রবেশ করবে। আবার কর্কট রাশিতে সূর্য ও সিংহ রাশিতে বুধের উপস্থিতির ফলে দ্বিদাদশ রাজযোগ তৈরি হবে। আজ রবি যোগ এবং জ্যৈষ্ঠা নক্ষত্রের শুভ সংযোগ থাকছে। এর ফলে আজকের দিনের মাহাত্ম্য বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। প্রতিযোগিতায় সাফল্য লাভের ফলে বেশ কিছু রাশির জাতকদের মন প্রসন্ন হবে। কোনও সুসংবাদ পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা। আজকের দিনটি কোন রাশির কেমন কাটবে, কারা লাভবান হবেন, কাদের উন্নতি নিশ্চিত, তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।



মেষ রাশির জাতকদের মন সাধারণ ও পুণ্যের কাজ ছেড়ে পরিবর্তনের প্রতি আকৃষ্ট হবে। সন্তানের তরফে হতাশাজনক সংবাদ শুনতে পাবেন। সন্ধ্যার মধ্যে আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হতে পারে। ব্যবসায়ীক অংশীদাররা আপনাদের কাছ থেকে পরামর্শ ও পথপ্রদর্শন নেবেন। মান-সম্মান বাড়বে। জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে সম্মান লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা। পারিবারিক ধন বৃদ্ধি হবে। বাবার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।



ভাগ্য ৭৭ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। গোরুকে সবুজ ঘাস খাওয়ান।


বৃষ রাশির জাতকরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য লাভের জন্য যে চেষ্টা করবেন, তাতে সফল হবেন। সকলের সহযোগিতা অর্জন করায় আনন্দিত হবেন এই রাশির জাতকরা। শাসন ক্ষমতার পূর্ণ লাভ অর্জন করতে পারবেন। সরকারি প্রকল্পের দ্বারা লাভান্বিত হবেন। ভিড় স্থানে যাবেন না। আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হবে। আয়ের উৎস বৃদ্ধি পাবে এ সময়। আকস্মিক কোনও কাজের কারণে আপনার দিনযাপন প্রণালীতে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। ব্যস্ততার মাঝে প্রেম জীবনের জন্য সময় বের করতে পারবেন। প্রেমী আনন্দিত হবে।


৮৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। শিবলিঙ্গে দুধ নিবেদন করুন।


মিথুন রাশির জাতকদের কর্মক্ষেত্রে কোনও আধিকারিকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে তা আজ সমাপ্ত হবে। শিক্ষা ও প্রতিযোগিতায় সাফল্য লাভ করায় আনন্দিত হবেন। সন্ধ্যা নাগাদ পরিবারের ছোট সদস্যদের সঙ্গে আনন্দে সময় কাটাবেন। পরিবারের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সমস্ত ধরনের চেষ্টা করবেন। জিনিস কেনাকাটা করতে পারেন, বাজেট অনুযায়ী ব্যয় করুন। যাত্রার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।

ভাগ্য ৭৪ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। সাদা বস্তু দান করুন।


কর্কট রাশির জাতকদের সামাজিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা বাড়বে। কর্মক্ষেত্রে বৃদ্ধি সম্ভব। মা-বাবার সাহায্যে পারিবারিক সমস্যার সমাধান হবে, এর ফলে ব্যবসায় লাভান্বিত হবেন কর্কট রাশির জাতকরা। সন্ধ্যাবেলা প্রিয় মানুষদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ বাড়বে। কোনও সুসংবাদ পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা। সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য আজকের দিনটি ভালো। রোজগারের ক্ষেত্রে উন্নতি হবে। বহুদিন ধরে আটকে থাকা কাজ পূর্ণ করতে সময় ব্যয় হবে।

আজ ৬৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। শিব চালিসা পাঠ করুন।


কর্মক্ষেত্রে সকলে সিংহ রাশির জাতকদের কাজ দেখে প্রভাবিত হবেন। লাভ অর্জন করবেন এই রাশির জাতকরা। নতুন শত্রু উৎপন্ন হতে পারে। ব্যবসায়ীদের লাভ হবে। আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হবে। অর্থ বৃদ্ধি হবে এ সময়। ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত থাকবেন। এর ফলে পরিবারের সদস্যদের কম সময় দিতে পারবেন। জীবনসঙ্গী ক্ষুব্ধ হবে। সন্ধ্যাবেলা হাসিঠাট্টায় সময় কাটাবেন। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা ও প্রতিযোগিতায় বিশেষ সাফল্য লাভ করবেন।

৯১ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনাদের পক্ষে। বরিষ্ঠদের আশীর্বাদ গ্রহণ করুন।


কন্যা রাশির জাতকরা আইনি মামলায় জয়ী হতে পারে। সম্পত্তি বৃদ্ধি সম্ভব। কর্মক্ষেত্রে যে চেষ্টা করছেন, তাতে সফল হবেন। চাকরিজীবী জাতকদের পদোন্নতি সম্ভব। রোজগার ও ব্যবসার ক্ষেত্রে যে প্রচেষ্টা চলছে, তাতে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন এই রাশির জাতকরা। সন্ধ্যাবেলা বন্ধুদের সঙ্গে ধর্মীয় স্থানের যাত্রায় যেতে পারেন। শ্বশুরবাড়ির তরফে সম্মান লাভ করবেন। রোগমুক্তি সম্ভব।

ভাগ্য ৯২ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। কৃষ্ণের পুজো করুন।


তুলা রাশির জাতকদের পরিবারের পরিবেশ শান্তিতে ভরপুর থাকবে। সুসংবাদ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনও সমস্যা চললে, তা এবার সমাপ্ত হবে। সম্পর্ক মজবুত হবে এই রাশির জাতকদের। প্রেম জীবনে নতুন উৎসাহ অনুভব করবেন। কোনও বিদেশি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারীর জন্য সময় ভালো। কোনও কাজ আটকে থাকলে তা সম্পন্ন হতে পারে। ধনলাভ হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ধন অর্জন করতে পারবেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতার সমাধান হবে। সম্পর্ক মজবুত হবে।

ভাগ্য ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। সরস্বতীর পুজো করুন।


বৃশ্চিক রাশির জাতকদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সফল হবে, এর দ্বারা মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। সন্তানের উন্নতি দেখে আনন্দিত হবেন বৃশ্চিক রাশির জাতকরা। স্বাস্থ্য দুর্বল হবে। চাকরিজীবী জাতকরা কাজে মনোনিবেশ করুন, তা না-হলে শত্রু আপনার সমালোচনা করতে পারে। সন্ধ্যাবেলা মন্দির দর্শনে যেতে পারেন। জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা। বাবার পরামর্শ কার্যকরী প্রমাণিত হবে।

আজ ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। অশ্বত্থ গাছের তলায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করুন।


ধনু রাশির জাতকরা রোজগারের সন্ধানে থাকলে নতুন সুযোগ পাবেন। এর ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ চিন্তা কমবে। বিদেশে বসবাসকারী আত্মীয়দের কাছ থেকে সুসংবাদ পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা। শ্বশুরবাড়ির কোনও সদস্য আপনার কাছ থেকে টাকা ধার দিয়ে থাকলে তা ফিরে পেতে পারেন। অফিসে আপনার কার্যপ্রণালী উন্নত হবে। আধিকারিকদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হবে এই রাশির জাতকদের। এর দ্বারা ভবিষ্যতে লাভান্বিত হবেন। কর্মক্ষেত্রে নিজের প্রকল্প পূর্ণ করবেন, যা দেখে বিরোধীরাও আপনার প্রশংসা করবে। নতুন শত্রু উৎপন্ন হতে পারে।

ভাগ্য ৭২ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার পক্ষে। বিষ্ণুর আরাধনা করুন।


মকর রাশির জাতকদের পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যার সমাধান হবে। ব্যবসায় বড়সড় মুনাফা অর্জন করতে পারবেন এই রাশির জাতকরা। মা-বাবার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। পরিবারে অতিথি আগমন হতে পারে। সন্ধ্যাবেলা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাবেন, এর ফলে মানসিক শান্তি পাবেন। শ্বশুরবাড়ির তরফে ধনলাভ হবে। কোনও কাজ দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকলে তা সম্পন্ন হতে সময় ব্যয় হবে। জীবনসঙ্গী কোনও উপহার দিতে পারে। ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার পথ প্রশস্ত হবে।

ভাগ্য আজ ৭৯ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে থাকবে। হলুদ বস্তু দান করুন।


কুম্ভ রাশির জাতকদের প্রেম জীবনে মানসিক অবসাদ থাকবে। কর্মক্ষেত্রে কঠিন পরিশ্রম ও ধৈর্য সহকারে সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। চাকরিজীবী জাতকরা সাফল্য লাভ করবেন। সন্তানের বিবাহ প্রস্তাব আসতে পারে। প্রেম জীবনে আনন্দ থাকবে। সন্তান আপনার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবে, যার ফলে আনন্দ অনুভূত হবে। বিপরীত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা বিকশিত হবে। রাগ ও বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন, না-হলে বিবাদ সম্ভব।



ভাগ্য ৭৬ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। গায়ত্রী চালিসা পাঠ করুন।


মীন রাশির জাতকদের দাম্পত্য জীবনের বাধা সমাপ্ত হবে। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কেনাকাটা করতে বাইরে যেতে পারেন। ব্যবসায় লগ্নির জন্য এখনও অপেক্ষা করুন। অংশীদারীর ব্যবসা করে থাকলে লাভান্বিত হবেন। সন্ধ্যাবেলা ধর্মীয় স্থানের যাত্রা ও অন্য কাজে ব্যয় হবে। কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা পাওয়ায় কড়া হাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন। যাত্রার জন্য আজকের দিনটি ভালো।

আজ ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। অশ্বত্থ গাছে দুধ মিশ্রিত জল নিবেদন করুন।

Card image cap

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিতে ভাসবে এই জেলা

ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গেও।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মৌসুমী অক্ষরেখা ফের বাংলায় সক্রিয়। এই অক্ষরেখা শ্রীগঙ্গানগর, দিল্লি, হামিরপুর, চুর্ক, বাঁকুড়া, দিঘার পর পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এগিয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এদিকে রাজস্থানের থেকে ঘূর্ণাবর্ত বাংলাদেশ পর্যন্ত রয়েছে। যেটি উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। এর প্রভাবেই আজ বুধবার দক্ষিণবঙ্গের তিনজেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সব জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবারও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে অন্তত পাঁচ জেলায়। তালিকায় হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। অন্যান্য জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ছয় জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।আজ অর্থাৎ বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কিছুটা বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির সঙ্গে মালদহ ও দুই দিনাজপুরেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা। প্রসঙ্গত, আগামী দু-তিনদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রাজস্থান, কর্ণাটক, কেরল ও মাহেতে। আগামী দু’দিনে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা বিহার, অসম, মেঘালয়, মণিপুর-সহ একাধিক রাজ্যে।