Last Update
স্বাধীনতা দিবসে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সৌভ্রাতৃত্বের ছবি
স্বাধীনতা দিবস। দেশজুড়ে উদযাপন। পালন করা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও। তবে এই দুই দেশের সীমান্তে পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল। স্বাধীনতার দিন সেই ‘চাপ’ কার্যত উবে গেল। ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হল ঘোজাডাঙ্গা- ভোমরা স্থল বন্দরে। তার পরই মিষ্টি বিতরণ করে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন বিএসএফ ও বিজিবি জাওয়ানরা।বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। ছাত্র আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। তার পর থেকে ভারতেই রয়েছেন তিনি। ভারত বন্ধু বলে পরিচিত হাসিনা ক্ষমতায় না থাকার পর দুই দেশের সম্পর্ক কী হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আন্দোলন চলাকালীনও ভারত সরকার বিরোধী বেশ কিছু স্লোগান শোনা গিয়েছিল। তাই সীমান্তে সম্পর্ক কী থাকবে তা নিয়ে চাপ ছিল। সেই শঙ্কা-আশঙ্কা উড়িয়ে ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সৌভ্রাতৃত্বের দৃশ্য দেখল দুই দেশ।এদিন সকালে, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জাওয়ান, ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা ও শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকেরা জাতীয় পতাকা তুলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন। তার পর বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের হাতে মিষ্টি তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট ১০২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের নবীন চৌধুরী, শুল্ক দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ভবতোষ মিস্ত্রি, এছাড়াও ইমিগ্রেশনের কর্তারা। ছিলেন, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএনএফ)-এর সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল, সভাপতি অচিতকুমার ঘোষ। অপরদিকে, ছিলেন ভোমরা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক হাবিবুবর রহমান হাবিব, ভোমরা শুল্ক দপ্তর ও ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই বিশ্বজিৎ কুমার জুয়েল-সহ অন্যান্যরা।
ভারতের ঘোজাডাঙ্গা ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএনএফ)-এর সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবছরও সিএনএফ-এর বিএসএফ, কাস্টমস, ইমিগ্রেশনের কর্তা ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে মিষ্টি-ফুল বিতরণ করা হয়। একইসঙ্গে বন্ধু দেশ বাংলাদেশকেও সৌভ্রাতৃত্ব স্থাপনের ফুল, মিষ্টি দেওয়া হয়।”
ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই বিশ্বজিৎ কুমার বলেন,” আজ ভারতের স্বাধীনতা দিবস।ওদের পক্ষ থেকে শূন্যরেখায় ডেকে মিষ্টি বিতরণ করে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। আমরাও তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।”
TOP RELATED