Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

"প্রকৃতি তার উগ্র রূপ দেখিয়েছে, গোটা দেশ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে"


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১০ আগস্ট : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওয়ানাড ভূমিধসের ঘটনা এবং চলমান ত্রাণ প্রচেষ্টা নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে, "এই বিপর্যয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য আমাদের সবাইকে একত্রিত হতে হবে।


এ দুর্যোগে ভেস্তে গেছে শত শত পরিবারের স্বপ্ন। প্রকৃতি তার উগ্র রূপ দেখিয়েছে, যা সেখানে গিয়ে দেখেছি।" তিনি নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের দুর্দশার কথাও শুনেছেন।


বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "আমি হাসপাতালে গিয়েছি এবং সেখানে ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করেছি। ওয়ানাডে ভূমিধসের ঘটনার পর, আমি অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং সাহায্য পাঠানো হয়েছে। দুর্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সবাই। ভারত সরকার এবং গোটা দেশ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে।"


বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন যে, "আমি দক্ষিণের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। ঘটনার পর মুহূর্ত থেকে তথ্য নিচ্ছি। এ ঘটনায় শত শত পরিবারের স্বপ্ন ভেস্তে গেছে। এই ধরনের সংকটের সময়ে, যখন আমরা একসাথে কাজ করি, আমরা দুর্দান্ত ফলাফল পাই। ঘটনার পর সবাই তাৎক্ষণিকভাবে থেমে না থেকে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।"


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, "আমি সমস্ত ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারকে আশ্বস্ত করছি যে আমরা এই সংকটে তাদের পাশে আছি। সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী সহায়তার পরিমাণ দেওয়া হয়েছে, আমরা আরও অর্থ দেওয়ার চেষ্টা করব। সমস্ত সমস্যা সমাধানে ভারত সরকার খুব উদারভাবে কেরালা সরকারের পাশে দাঁড়াবে।"


তিনি বলেন, "সরকার ছোট শিশু এবং যারা তাদের প্রিয়জন হারিয়েছে তাদের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৯৭৯ সালে, গুজরাটের মোরবিতে বাঁধটি বৃষ্টির পরে ধ্বংস হয়ে গেলে এবং এর সমস্ত জল শহরে প্রবেশ করে, ২৫০০ জনেরও বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমি সে সময় একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলাম এবং এই ধরনের দুর্যোগের পরিস্থিতি আমি খুব ভালো করেই জানি। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে।"

Card image cap

মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে এই ভাইরাস

করোনা মহামারীর পর আরও এক মহামারীর আশঙ্কা ঘনাচ্ছে বিশ্বে। গোটা বিশ্বের রীতিমতো রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে আরও এক ভাইরাস, যার নাম হল মাঙ্কিপক্স Monkeypox Virus।



আফ্রিকার দেশ কঙ্গো, কেনিয়া, রুয়ান্ডা ও উগান্ডাসহ ১০টি দেশে বর্তমানে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।


এই পক্সের আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO আশঙ্কা করছে, আফ্রিকার সব দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই মারণ ভাইরাস।


গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে কঙ্গোতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এটি কঙ্গোর প্রতিবেশীদের মধ্যে একটি নতুন স্ট্রেন আবিষ্কারের দিকে পরিচালিত করেছে, ডাব্লুএইচও দ্বারা উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে যে এই রোগটি বিশ্বের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করেছে।


আফ্রিকার দেশগুলিতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি ভারতে মানুষের মধ্যেও উদ্বেগও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস কী তা বোঝা জরুরি। জেনে নিন এই মাঙ্কিপক্স জিনিসটি আসলে কী? কতটা ক্ষতিকারক? মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের কারণে অ্যামপক্স হয়। এটি একটি সংক্রামক রোগ যা সংক্রামিত ব্যক্তি বা প্রাণীর সংস্পর্শের মাধ্যমে ঘটে। মাঙ্কিপক্স অর্থোপক্সভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত, যা গুটিবসন্তের মতো দেখতে। এর মধ্যে ভেরিওলা ভাইরাসও রয়েছে।


মাঙ্কিপক্স দেখা দেওয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা এবং গা হাত পা ফোলা রয়েছে। এর পরে একটি পিম্পল হয় যা সাধারণত মুখে শুরু হয় এবং সারা শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। লক্ষণগুলি সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহ স্থায়ী হয়।

Card image cap

আরজি কর-কাণ্ডে ফাঁসির শাস্তি চান মমতা!

আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় দোষীর ফাঁসির শাস্তি চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দকে টেলিফোনে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই ঘটনায় ফাস্টট্র্যাক আদালতে ফাঁসির আবেদন জানানো উচিত। রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না থাকলে অন্য কোনও এজেন্সির দ্বারস্থও হতে পারেন আন্দোলনকারীরা।


কারণ, সরকার উপযুক্ত তদন্ত চায়।


আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ''আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যু ন্যক্কারজনক এবং অমানবিক। আমার মনে হচ্ছে, যেন নিজের পরিবারের কাউকে হারিয়ে ফেলেছি। এই ঘটনাকে কখনওই সমর্থন করা যায় না। জুনিয়র চিকিৎসকেরা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তা সঙ্গত বলেই আমি মনে করি। আমি ওদের দাবির সঙ্গে একমত।''


মমতা বলেন, ''আমি কাল ঝাড়গ্রামে ছিলাম। রাস্তা থেকে খবর নিচ্ছিলাম। মেয়েটির বাবা এবং মায়ের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। আমি আমার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, দোষীদের চিহ্নিত করে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ফাস্টট্র্যাক আদালতে এই মামলা তুলতে এবং প্রয়োজনে ফাঁসির আবেদন জানাতে। কিন্তু, এই অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই।''


অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে মমতা আরও বলেন, ''আমি ব্যক্তিগত ভাবে ফাঁসির বিরোধী। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনায় এই ধরনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন আছে। যাতে আর কেউ ভবিষ্যতে এর সাহস না পায়।''


এই মামলায় রাজ্য় সরকারের পুলিশের প্রতি আস্থা না থাকলে আন্দোলনকারীরা যে কোনও এজেন্সির কাছে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন মমতা। কারণ, সরকারের লক্ষ্য উপযুক্ত তদন্ত। এই ঘটনায় সরকারের কিছু লুকনোর নেই।


মমতা বলেন, ''যাঁকে ধরা হয়েছে, তাঁর ওখানে যাতায়াত ছিল। যাঁরা হাসপাতালের ভিতরে যাতায়াত করেন, তাঁদের মধ্যেই কেউ এই কাজ করে থাকবেন। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে আমি আগেও ছিলাম, এখনও থাকব। ওঁদের সঙ্গে আমি একমত।''


উল্লেখ্য, শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। শনিবার সকাল থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকেরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মিছিল থেকে স্লোগান উঠছে, 'বিচার চাই!' এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভের পক্ষেই কথা বললেন মমতা। সঙ্গে ফাঁসি চাইলেন অভিযুক্তের।

Card image cap

রুপো আসছে বিনেশ ফোগাটের হাত ধরে.

বুধবার রাতে জানা গিয়েছিল, রুপোর দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কুস্তিগির বিনেশ ফোগাট। প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে তাঁকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তিনি। আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ঘোষণার আগেই বৃহস্পতিবার ভোরে অবসর ঘোষণা করেন বিনেশ। জানিয়ে দেন, তিনি হেরে গিয়েছেন কুস্তির কাছে।


কিন্তু সম্ভবর তিনি জানতেন না কি হতে চলেছে… ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানি শেষ হয়েছে। অলিম্পিক ইতিহাসে নয়া ইতিহাস তৈরি হতে চলেছে।


কুস্তিগীর বিনেশ ফোগাটের শুনানি প্যারিসে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস (CAS) এ শেষ হয়েছে। বিনেশ প্যারিস অলিম্পিক্সে ৫০ কেজি কুস্তি ফাইনাল থেকে ১০০ গ্রাম অতিরিক্ত ওজনের কারণে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর CAS-এ আপিল করেছিলেন। এর আগে, বিনেশ তিনটি সহজ জয়ের মাধ্যমে ৫০ কেজি ফাইনালে পৌঁছে রুপা পদক নিশ্চিত করেছিলেন, তবে অযোগ্যতার কারণে তিনি পদক তালিকার বাইরে চলে যান। প্রতিযোগিতার প্রথম দিন বিনেশ অনুমোদিত ওজন সীমার মধ্যে ছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় দিনে তাকে ১০০ গ্রাম অতিরিক্ত ওজনের কারণে অলিম্পিক কুস্তি ফাইনাল থেকে বাদ দেওয়া হয়।


বিনেশ একটি ভাগ করা রুপা পদকের জন্য CAS-এ আপিল করেছিলেন, যা ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা ক্রীড়া সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সালিশের মাধ্যমে কাজ করে। আপিলের শুনানি শুক্রবার প্যারিসে তিন ঘণ্টা ধরে চলে।


বিনেশ কে চারজন ফরাসি আইনজীবী প্রতিনিধিত্ব করছিলেন, ভার্চুয়ালি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (IOA) এর প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী হরিশ সালভে এবং বি সিংহানিয়া। ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং UWW এর আইনজীবীও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি UWW থেকে রেফারি এবং টেকনিক্যাল অফিসাররা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


সিংহানিয়া জানিয়েছেন, তিনি একটি ইতিবাচক ফলাফলের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। "আমরা IOA এর আইনজীবী ছিলাম। হরিশ সালভে যুক্তি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং আমি তাকে সহায়তা করছিলাম। মোটামুটিভাবে সবার যুক্তি শোনা হয়েছে। শুনানি ভালো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বিনেশ কে যোগ্য হিসেবেই রুপোর পদক দেওয়া হবে। কারন তিনি সেমিফাইনালে জয়ী হয়েছিলেন সমস্ত নিয়ম মেনেই। সেক্ষেত্রে রুপোর পদক ফাইনালের আগেই নিশ্চিত করেছিলেন বিনেশ।"

Card image cap

ফাটাফাটি খবর! স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশেষ সার্টিফিকেট দেবে কেন্দ্র কী কী সুবিধা পাবেন এতে?

এবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশে, সার্টিফিকেট দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিবছরই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা হয় স্বাধীনতা দিবস। এই বছরও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নেওয়া হল একগুচ্ছ উদ্যোগ। চলতি বছরে ১৫ অগাস্টে অভিনব উদ্যোগ নিল ভারত সরকার।


প্রতিটি ভারতবাসীর জন্য আনা হল বিশেষ সার্টিফিকেট।


স্মার্টফোনের সাহায্যে অতি সহজেই ডাউনলোড করা যাবে এই সার্টিফিকেট।


আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ডাউনলোড করবেন সার্টিফিকেট?


প্রথমে harghartiranga.com-এ যেতে হবে। এরপর ক্লিক করতে হবে Take Pledge অপশনে।এরর একটি পেজ খুলে যাবে। যেখানে কীভাবে এই সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে তা লেখা থাকবে। এরপর Take Pledge অপশনে ক্লিক করলেই আরও একটি নতুন পেজ খুলে যাবে। নতুন পেজ খুললে ইনপুট করতে হবে নাম, মোবাইল নাম্বার, রাজ্যের নাম। এরপর নিজের একটা ছবি আপলোড করতে হবে। এরপর ডাউনলোড সার্টিফিকেট অপশনে ক্লিক করলেই স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উপলক্ষ্যে সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড হয়ে যাবে।


ভারতের সচেতন নাগরিক হিসাবে কর্তব্য পালনের জন্য দেওয়া হবে এই সার্টিফিকেট। নিজেদের কর্তব্য পালন করার শপথ হিসাবেই এই নতুন সার্টিফিকেট দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।

Card image cap

চাঁদ-বৃহস্পতির অধি যোগে সাফল্যের শীর্ষে ৫ রাশি

চন্দ্র আজ কন্যা রাশিতে নিজের যাত্রা সম্পন্ন করে তুলা রাশিতে প্রবেশ করবে। তুলা রাশিতে চাঁদের প্রবেশের পর বৃহস্পতি চন্দ্রের থেকে অষ্টম কক্ষে উপস্থিত হয়ে অধি যোগ তৈরি করবে। পাশাপাশি আজ সাধ্য যোগ, শুভ যোগ ও চিত্রা নক্ষত্রের শুভ সংযোগ থাকবে। যার ফলে আজকের দিনের মাহাত্ম্য বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। বৈদিক জ্যোতিষ অনুযায়ী এই শুভ যোগের প্রভাবে কর্কট, কন্যা ও তুলা-সহ পাঁচ রাশির জাতকরা বিশেষ ভাবে লাভবান হবেন। কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্যে আটকে থাকা অর্থ ফিরে পেতে পারেন। আবার আপনাদের অর্থ চারগুণ বৃদ্ধি পাবে। আজকের দিনটি কোন রাশির কেমন কাটবে, কারা লাভবান হবেন, তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।



মেষ রাশির জাতকরা আজ কোনও আত্মীয়ের আগমনের ফলে আনন্দিত হবেন। অংশীদারীর ব্যবসা করেন যাঁরা, তাঁরা নিজের অংশীদারদের থেকে সতর্ক থাকুন, তা না-হলে লোকসান সম্ভব। মায়ের জন্য় কোনও উপহার কিনতে পারেন। মাতৃপক্ষের তরফে ধনলাভ হবে। সামাজিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন করবেন। বন্ধু সংখ্যা বাড়বে। সন্ধ্যাবেলা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যেতে পারেন।



ভাগ্য ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। রোজরাতে শেষ রুটি কালো কুকুরকে খাওয়ান।


বৃষ রাশির জাতকদের মধ্যে যাঁরা প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ, তাঁরা অবসাদের শিকার হবেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সম্পর্কে মাধুর্য বজায় রাখতে হবে। সন্ধ্যাবেলা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবেন। আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। কোনও বন্ধুর সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাবেন। আয়-ব্যয় মাথায় রাখতে হবে। ব্যবসায় মুনাফা সম্ভব। নতুন বাড়ি ও দোকান কিনতে পারেন।

৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। সরস্বতীর পুজো করুন।


মিথুন রাশির জাতকরা মান-সম্মানের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে কাজ করুন। অনৈতিক কাজ এড়িয়ে যান। তা না-হলে লোকসান হতে পারে। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে থাকলে, তা থেকে মুক্তি পাবেন। ধন বৃদ্ধি হবে। চাকরিজীবী জাতকরা অফিসে নিজের কাজে কোনও তাড়াহুড়ো করবেন না, লোকসান সম্ভব। আধিকারিক ও বরিষ্ঠদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে।

ভাগ্য ৬৩ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। কৃষ্ণের পুজো করুন।


কর্কট রাশির জাতকরা কোনও বড় ব্যক্তির সাহায্য নিজের আটকে থাকা টাকা আদায় করতে পারেন। রাজনীতিকদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক গড়ে উঠবে। সামাজিক পরিসর বৃদ্ধি পাবে। তবে নিজের প্রচেষ্টায় কোনও অভাব রাখবেন না। আজ কোনও কাজ শুরু করলে তার দ্বারা লাভান্বিত হবেন। আপনার কীর্তি চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। সন্ধ্যাবেলা বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে সময় কাটাবেন। ভুল বোঝাবুঝির কারণে প্রতিদিনের কাজে বিঘ্ন উৎপন্ন হতে পারে।

আজ ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। গণেশকে লাড্ডুর ভোগ নিবেদন করুন।


সিংহ রাশির জাতকরা ব্যবসায় নতুন গতিবিধি অবলম্বন করে কাজ করার সুযোগ পাবেন। অংশীদারের পরামর্শে ব্যবসা পুনরুজ্জীবিত হবে এবং ভবিষ্যতে লাভ ও উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে। কোনও বড় চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে। এর ফলে ধনবৃদ্ধি সম্ভব। মায়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। সন্ধ্যাবেলা ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সময় কাটাবেন।

৮৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনাদের পক্ষে। পার্বতীর পুজো করুন।


কন্যা রাশির জাতকদের জীবনে আনন্দের আগমন হবে। আজকের দিনটি আপনারা মন খুলে উপভোগ করবেন। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা সমস্ত কাজ সম্পন্ন করবেন এই রাশির জাতকরা। অর্থ বৃদ্ধির চেষ্টায় থাকবেন। পারিবারিক অবসাদ সমাপ্ত হবে। শ্বশুরবাড়ির কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে পারে।

ভাগ্য ৯১ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। ১০৮ বার বিষ্ণুর নাম জপ করুন।


তুলা রাশির ছাত্রছাত্রীদের জন্য উচ্চশিক্ষার পথ প্রশস্ত হবে। ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন, তা না-হলে ভবিষ্যতে লোকসান সম্ভব। নেতৃত্ব ক্ষমতা বিকশিত হবে। ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধান হবে আজ। কর্মক্ষেত্রে জীবনসঙ্গীর পরামর্শে লাভান্বিত হবেন। দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির আটকে থাকা কাজ করার সুযোগ পাবেন।

ভাগ্য ৬৬ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। ব্রাহ্মণদের দান করুন।


বৃশ্চিক রাশির ছাত্রছাত্রীদের একাগ্রতার সঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে। শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরিবারে অবসাদপূর্ণ পরিস্থিতি উৎপন্ন হবে। বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন। বাবার পরামর্শে সন্ধ্যার মধ্যে পারিবারিক অবসাদ দূর হবে। বিয়ের ভালো প্রস্তাব পাবেন এই রাশির জাতকরা। মা-বাবাকে তীর্থযাত্রায় নিয়ে যেতে পারেন।

আজ ৭১ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। দরিদ্রদের খাবার খাওয়ান।


ধনু রাশির জাতকরা সাফল্যের সঙ্গে পরিবারের দায়িত্ব পূরণ করবেন। অবিবাহিত জাতকরা বিয়ের ভালো প্রস্তাব পাবেন। চাকরিজীবী জাতকদের পদোন্নতি সম্ভব। বাণী মধুর রাখতে হবে। ঋণ শোধ করতে পারবেন এই রাশির জাতকরা। বাড়ির সাজসজ্জায় অর্থ ব্যয় করবেন। সন্তানের পড়াশোনা সংক্রান্ত কাগজপত্রের জন্য দৌড়ঝাপ করতে হবে।

ভাগ্য ৭৭ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার পক্ষে। চন্দনের তিলক লাগান।


মকর রাশির জাতকরা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য অধিক পরিশ্রম করবেন, নতুন নীতি তৈরি করবেন। এতে সাফল্য লাভ করতে পারবেন মকর রাশির জাতকরা। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ভেবেচিন্তে টাকা ধার দিন, তা না-হলে সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে। ছাত্রছাত্রীরা কোনও নতুন কোর্সে ভরতি হতে পারেন। জীবনসঙ্গীর পেটের গোলযোগ সম্ভব, এর জন্য দৌড়ঝাপ করতে হবে ও ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি মামলায় জয়ী হবেন এই রাশির জাতকরা।

ভাগ্য আজ ৬৫ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে থাকবে। সাদা রেশমি বস্ত্র দান করুন।


কুম্ভ রাশির জাতকদের প্রেম জীবনে মান-সম্মান বাড়বে। প্রেম বিবাহের পরিকল্পনা করবেন। ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণের ফলে যশ বৃদ্ধি হবে। নতুন ব্যবসার জন্য ভালো দিন। সন্ধ্যাবেলা মন্দির দর্শনে যেতে পারেন। গাড়ি কেনার জন্য সময় অনুকূল। প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে নিন, তা না-হলে সেটি আইনি রূপ ধারণ করতে পারে। জীবনসঙ্গীর পূর্ণ সহযোগিতা অর্জন করবেন।

ভাগ্য ৮১ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। শনির দর্শন ও তেল নিবেদন করুন।


মীন রাশির জাতকদের আটকে থাকা টাকা ফিরে পেতে পারেন। নতুন ব্যবসা শুরুর জন্য সময় ভালো। ভাগ্যের সঙ্গ লাভ করবেন। ব্যবসায় নতুন উৎস খুঁজে পাবেন। বাবার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। লগ্নির পূর্বে জীবনসঙ্গীর পরামর্শ গ্রহণ করুন। মা-বাবার আশীর্বাদ ও পথপ্রদর্শনে লাভান্বিত হবেন।



আজ ৯২ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। সংকটনাশন গণেশ স্তোত্র পাঠ করুন।

Card image cap

নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে ফোন মমতার

বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঝাড়গ্রামে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা মুখ্যমন্ত্রীর। পানিহাটি পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ দে সেকথা জানান।

বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরন তরুণী। শেষবার রাতে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিকিৎসক তরুণীর। কান্নাভেজা গলায় তরুণী চিকিৎসকের মা বলেন, “ও বলল খাবার অর্ডার দিয়েছে। আমাদের খেয়ে নিতে বলল। তার পর আর কোনও কথা হয়নি। আমার মেয়েটাকে ওরা খুন করেছে। ওর মতো ভালো মেয়ে হয় না। অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল দেহটা। গায়ে কাপড় ছিল না। চশমাটাও ভেঙে গিয়েছে। মুখে আঘাতের দাগ। রাতে ও একাই ছিল সেমিনার হলে। লোকের সেবা করতে এসে ও নিজেই খুন হয়ে গেল।” তরুণীর বাবা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে বলেই সদ্য সন্তানহারা বাবাকে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার সকালে সেমিনার হল থেকে জুনিয়র ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল। ধর্ষণ করে খুন নাকি অন্য কিছু, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু কীভাবে হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তের স্বার্থে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে আর জি কর কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে রয়েছেন ডা. বুলবুল মুখোপাধ্যায় (ডিন অফ স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার), ডা. পার্থ দাশগুপ্ত (রেডিওথেরাপির বিভাগীয় প্রধান), ডা. রামতনু বন্দ্যোপাধ্যায় (মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান), ডা. অনুভা সাহা (অ্যানাটমির বিভাগীয় প্রধান), ডা. পায়েল তালুকদার (মনোরোগ বিভাগের প্রধান)। এছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন পিজিটির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ডা. অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য এবং ডা. রমা বেরা এবং ডা. দেবকুমার মণ্ডল। পিজিটির দ্বিতীয় বর্ষের ডা. রণিত চক্রবর্তী। এছাড়াও দুই ইন্টার্ন ডা. নির্জন বাগচি এবং ডা. শরিফ হাসান। তাঁরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

Card image cap

‘ধনঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা ভুলিনি’, নাম না করে বুদ্ধদেবকে বিঁধলেন কবীর সুমন!

এই সেই অভিশপ্ত আগস্ট। ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট ধর্ষণ মামলার দায়ে ফাঁসি হয়েছিল ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের। পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে সেই ফাঁসি হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল? প্রশ্ন তুলেছিল ধনঞ্জয়ের পরিবার। সেই ফাঁসি রদ করা যায়নি। তবে সেই ‘সাজা’ নিয়ে পরবর্তীতে নানা বিতর্ক দানা বাঁধে! ঘটনা আবলম্বনে সিনেমা তৈরি করেন পরিচালক অরিন্দম শীলও। ধনঞ্জয়ের ফাঁসির স্মৃতি আজও তাজা কবীর সুমনের স্মৃতিতে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণের দিন স্মৃতির সরণি বেয়ে সেকথাই মনে করিয়ে দিলেন শিল্পী।

বিশ সাল বাদ’! ধনঞ্জয় ঘটনার কুড়ি বছর বাদে এই আগস্ট মাসেই বুদ্ধবাবু চিরকালের জন্য বিদায় নিলেন। বুদ্ধাস্তের পর যখন তারকারা শোকবার্তা জ্ঞাপনে ব্যস্ত, তখন কবীর সুমনের সোশাল ওয়ালে দেখা গেল ধনঞ্জয়ের ফাঁসির ঘটনার কথা। কবীর সুমন লিখেছেন, “ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় আপনাকে ভুলিনি, ভুলব না। নিতান্ত পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে আপনার ফাঁসি হয়েছিল। সেসময়ের রাজ্য সরকার প্রধানের স্ত্রী ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিককে নিয়ে পথসভা করেছিলেন- আপনাকে ফাঁসি দেওয়ার পক্ষে জনমত জাগিয়ে তুলতে। আমরা কেউ আপনার ফাঁসি আটকাতে পারিনি, ধনঞ্জয়। আজ খুব মনে পড়ছে আপনাকে। সত্যি বলতে, আমিও তো ৭৫ পেরনো বুড়ো। খেয়াঘাটে অপেক্ষায়।”
উল্লেখ্য, ধনঞ্জয় মামলার সময়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধপ্রয়াণের দিনই শিল্পীর এহেন পোস্টে নেটপাড়ার একাংশ সমর্থনও জানিয়েছেন। এবং তাঁদের নিশানা প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরই দিকে। সেই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠেছে- তাহলে কি নাম না করে প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেই বিঁধলেন কবীর সুমন?

Card image cap

‘ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে ভিনেশের রুপো’, সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক শচীন

ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে ভিনেশ ফোগাটের রুপো। সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার শচীন তেণ্ডুলকর। তাঁর মতে, প্রতিটি খেলারই নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে এবং তার নিয়মিত পর্যালোচনার দরকার রয়েছে। তা না হওয়াতেই ফোগাটের উপরে নেমে এসেছে এই বিপর্যয়।
শচীনের সাফ কথা, কেউ ডোপ করে খেলার দক্ষতা বাড়ালে সেক্ষেত্রে তাঁর পদক ছিনিয়ে নেওয়া যুক্তিযুক্ত। কিন্তু ভিনেশের ক্ষেত্রে বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা। সে নিজের দক্ষতায় প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে সেরা দুইয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। তাঁর রুপোর পদক ছিনিয়ে নেওয়াটা কখনওই যুক্তিযুক্ত নয়। যদিও এই পরিস্থিতিতে শচীনের আশা, ন্যায়বিচার পাবেন ভিনেশ।

ভারতের তারকা কুস্তিগিরের পদক নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের নিষ্পত্তির জন্য বিষয়টা গিয়েছে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট। কী হবে তার উত্তর দেবে সময়।
একদিনে তিন প্রতিপক্ষকে মাটি ধরিয়ে রুপো নিশ্চিত করেছিলেন ভিনেশ ফোগাট। তাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল দেশ। কিন্তু ফাইনালের দিন সকালেই আকাশ ভেঙে পড়ে। জানা যায় ভিনেশ ফোগাটের দেহের ওজন বেশি। নির্দিষ্ট ওজনের থেকে ১০০ গ্রাম বেশি। তার ফলে তিনি ছিটকে যান সোনার লড়াই থেকে। অলিম্পিক অভিযানও শেষ হয়ে যায়। রুপোও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরই প্রতিবাদ জানিয়ে ন্যায়বিচারের জন্য ক্রীড়া আদালতে গিয়েছেন ভিনেশ। ওজন বেশি হওয়ায় শেষ মুহূর্তে ফাইনালে নামতে না পারলেও ভিনেশ ফোগাট কিন্তু হৃদয় জিতে নিয়েছেন দেশের। তাঁর এই লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ। তাঁর উপরে নেমে আসা বিপর্যের পরদিনই ভিনেশ ফোগাট নিজের অবসরের কথা জানিয়ে দেন।

Card image cap

বর্ডারের ওপার থেকে নীরজের জন্য প্রার্থনা নাদিমের মায়ের

অলিম্পিকে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন আর্শাদ নাদিম। প্রথম পাকিস্তানি অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিক থেকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনার পদক এসেছে তাঁর ঝুলিতে। আর্শাদের পিছনে রুপো নিয়েই থামতে হয়েছে ভারতের নীরজ চোপড়াকে। কিন্তু নীরজকে প্রতিপক্ষ বলে ভাবতে রাজি নন আর্শাদের মা। পাকিস্তানি অ্যাথলিটের কাছে ভারতের নীরজ ‘ছেলের মতো’।

এখানেই যেন মিলে যান বর্ডারের দুপ্রান্তের দুই মা। অলিম্পিকের প্রতিযোগিতার গণ্ডি পার করে সন্তানস্নেহে দুজনকে আগলে রাখেন দুজনের মা। যেমন নীরজের মা সরোজ দেবী বলেছেন, আর্শাদও তাঁর সন্তানের মতো। তাঁর মতে, প্যারিস থেকে সোনা জিতেছেন তাঁর ছেলেও। পাকিস্তানের অ্যাথলিটকে নিজের ছেলে হিসেবেই দেখেন সরোজ দেবী। তাঁর সাফ বক্তব্য, “রুপো জিতেও আমরা খুশি। আর যে সোনা পেয়েছে সেও আমারই সন্তান।”
ঠিক একই কথা শোনা গেল আর্শাদ নাদিমের মায়ের মুখেও। নীরজকে নিয়ে তিনি বলেন, “ও আমার ছেলের মতো। ও নাদিমের শুধু বন্ধু নয়, ভাইয়ের মতো। হার-জিত খেলার অঙ্গ। ঈশ্বর ওর মঙ্গল করুন। ও যেন আরও পদক পায়। ওরা ভাইয়ের মতো। আমি নীরজের জন্য প্রার্থনা করেছিলাম।” সেই সঙ্গে তিনি নাদিমের সোনাজয়ের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তানের মানুষদের। তিনি বলেন, “যেভাবে গোটা পাকিস্তান নাদিমের পাশে ছিল, তার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারাও আমার ছেলের সাফল্যের জন্য প্রাথর্না করেছিল।”
মাঠে যতই প্রতিযোগিতা চলুক না কেন, মাঠের বাইরে দুজনের বন্ধুত্ব যথেষ্ট আলোচিত। প্যারিস অলিম্পিক শুরুর মাত্র ৫ মাস আগেও নাদিম জানতেন না গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে নামতে পারবেন না। কারণ তাঁর ব্যবহৃত বড়শাগুলো আর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ব্যবহার করার যোগ্য ছিল না। অর্থের অভাবে আলাদা করে জ্যাভলিন কেনারও সামর্থ্য ছিল না আর্শাদের। প্রতিবেশী দেশের সতীর্থের এমন দুরাবস্থার কথা শুনে সরব হন নীরজও। পাকিস্তান সরকারের কাছে আবেদনও জানান তিনি। এবার কাঁটাতারের ওপার থেকে ‘মাতৃস্নেহ’ পেলেন নীরজ।

Card image cap

ভারতে আশ্রয় চেয়ে সীমান্তে স্লোগান বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের

তপ্ত বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরও নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না সেখানকার সংখ্যালঘুরা। সীমান্তে দাঁড়িয়ে তাঁরা ভারতের আশ্রয় ভিক্ষা করছেন। শুক্রবার কোচবিহার সীমান্তে দেখা গেল তেমনই দৃশ্য। শীতলকুচির পাঠানতুলি গ্রামে কাঁটাতারের ওপারে শয়ে শয়ে ভিড় করেছেন বাংলাদেশি শরণার্থীরা। সেখানে দাঁড়িয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলছেন তাঁরা। পাশাপাশি গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এবং ভারতের জয়ধ্বনিও শোনা গেল তাঁদের গলায়। সীমান্তের জলাশয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের দাবি, ”আমরা ভারতের আশ্রয় চাই।”

এপারে কোচবিহারের শীতলকুচির পাঠানতুলি গ্রাম, ওপারে লালমণিরহাট। মাঝে জলাশয় বরাবর কাঁটাতার। শুক্রবার সেই জলে নেমেই এপারে আসার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গেল বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির সংখ্যালঘু বাসিন্দাদের। জিরো পয়েন্টে বসে তাঁরা হাসিনা ও আওয়ামি লিগের পক্ষে স্লোগান তুললেন। হিন্দুদের গলায় শোনা গেল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি।  জলাশয় পেরিয়ে পাঠানতুলি গ্রামের ওপারে দাঁড়িয়ে তাঁদের বক্তব্য, ”আমাদের নিরাপত্তা নেই, ভারতের আশ্রয় চাই।” 
বুধবার জলপাইগুড়ির সীমান্ত এলাকা বেরুবাড়িতে একইভাবে  জড়ো হয়েছিলেন বহু বাংলাদেশি। সেখানে কাঁটাতার না থাকায় বিএসএফ-বিজিবি একযোগে কাজ করে তাঁদের নিজেদের এলাকায় ফেরত পাঠায়। শুক্রবার দেখা গেল, আরও বেশি সংখ্যক শরণার্থী ভারতের আশ্রয় ভিক্ষা করছেন। বিএসএ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের লালমণিরহাট জেলার গাইবান্দা, পশ্চিম গোতামারি, পূর্ব গোতামারি, ডাকুয়াটারি এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। এই সবকটিই সীমান্তবর্তী গ্রাম। বৃহস্পতিবার রাতেই অশান্ত বাংলাদেশের হাল ধরতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। তার প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ডঃ মহম্মদ ইউনুস। তিনি অবশ্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তার পরও বিক্ষিপ্তভাবে সেখানকার হিন্দু অধ্যুষিত একাধিক জায়গায় আক্রমণ হয়েছে। লুটপাট, মারধরের ঘটনার খবর সামনে এসেছে। তাতে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে এবার ভারতের আশ্রয় চাইছেন।

Card image cap

আর জি করের চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ প্রতিবেশীরা

বরাবরের মেধাবী। লক্ষ্য ছিল চিকিৎসক হওয়ার। পাড়ার ছোট্ট মেয়েটি লক্ষ্যপূরণ করতেও পেরেছিলেন। কিন্তু অকালেই ছন্দপতন। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ট্রেনি চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার। হতাশ প্রতিবেশীরাও। চোখের জল বাঁধ মানছে না তাঁদের।ওই ট্রেনি চিকিৎসক উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের নাটাগড়ের বাসিন্দা। মৃত চিকিৎসকের বাবা শেখর দেবনাথ পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী। মা গৃহবধূ। দম্পতির একমাত্র সন্তান তিনি। আদিবাড়ি সোদপুরের মহেন্দ্র নগরে। পরবর্তীতে তাঁরা নাটাগড় কদমতলায় বসবাস শুরু করেন। সোদপুর চন্দ্রচূড় বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পড়াশোনা শুরু করেন। দ্বিতীয় বর্ষের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বরাবর শান্ত ও মিশুকে স্বভাবের ছিলেন বছর ঊনত্রিশের ওই চিকিৎসক। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে শুক্রবার তাঁর ক্ষতবিক্ষত অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়।প্রতিদিন বাড়ি থেকে হাসপাতালে যাতায়াত করতেন। সম্প্রতি চারচাকা গাড়িও কিনেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে আর জি কর হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে গাড়ি নিয়েই গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা নাগাদ তাঁর বাড়িতে দুঃসংবাদ পৌঁছয়। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান। মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতির কথা জানতে পারেন। সোদপুর নাটাগড় এলাকাটি পানিহাটি পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ দে পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলরও। তাঁর সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ দেবনাথ পরিবার।সোমনাথবাবুও মৌমিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে বিধায়ক নির্মল ঘোষের সঙ্গে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান। তিনি জানান, “শেখর দেবনাথকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হয়েছিল মেয়ে খুবই অসুস্থ। এই খবর পেয়ে আমরা গিয়ে দেখি অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। গলায় আঘাতের চিহ্ন। মুখে রক্তের দাগ। হাত-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতচিহ্ন। এই মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” মৃতের পরিবারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ফোনে কথা বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

পাড়ার মেয়ের এভাবে মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না বাসিন্দারা। তাই শুক্রবার সকালে চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই একে একে এলাকার অনেকেই যেতে শুরু করেছেন আর জি কর হাসপাতালে। শোকস্তব্ধ মৃতার প্রতিবেশী কৃষ্ণা দে। বলেন,”প্রথমে শুনেছিলাম আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু ও আত্মহত্যা করার মেয়ে না। পাড়ার এত ভালো একজন মেয়ে আর নেই, এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।” আরেক প্রতিবেশী প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তী বলেন, “খুবই ভালো মেয়ে, শান্ত স্বভাবের। ছোটবেলা থেকে ওকে চিনি। পড়াশোনাতেও খুবই ভালো। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকত। গোটা ঘটনা মানতে পারছি না।”