Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

বাঘিনীকে ধরতে ছদ্মবেশ বনকর্তাদের

মহিষ, শূকরের টোপ দিয়ে বাগে আনা যায়নি বাঘিনীকে। রবিবার গভীর রাতে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের চেক ড্যাম থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে আরেকটি জায়গায় টোপ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল সুস্বাদু ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট’ বা বাংলার কালো ছাগল। কিন্তু তাও গেলেনি জিনাত। খাঁচাবন্দিও হয়নি সে। এদিকে বাঘের ভয়ে রাইকা পাহাড়তলির একের পর এক গ্রামের মানুষজন গৃহপালিত পশুদের আগলে রাখছেন, জঙ্গলে পাঠাচ্ছেন না।বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ে বাঘিনী জিনাতের খোঁজ করা সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, যেখানে ছাগলের টোপ দেওয়া হয়েছিল, তার পাশ দিয়ে চলে যায় জিনাত। কিন্তু টোপ দেখেছিল কিনা, সেই তথ্য নেই ওই ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের কাছে। কারণ, বিধি অনুযায়ী এই টোপের পাশে বনদপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগানো উচিত। যাতে সহজেই বোঝা যায় পাতা ফাঁদের কাছে বাঘিনী এসেছে কিনা। কিন্তু সেখানে ট্র্যাপ ক্যামেরা না থাকায় সেই তথ্য হাতে পায়নি কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগ। রাইকা পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়ার পর সোমবার সকাল পর্যন্ত জিনাতকে কেউ দেখেননি। তবে রবিবার সকাল থেকে এই বনাঞ্চল এলাকায় জিনাতের একাধিক পায়ের ছাপ মিলেছে। দেখা গিয়েছে বিষ্ঠা, গোপনাঙ্গের পশমও।বাঘিনীর ভয়ে রাইকা পাহাড় লাগোয়া গ্রাম রাহামদা, কেশরা, উদলবনি, লেদাশাল, বারুডি, কেন্দডি গ্রামের মানুষজন তাদের গবাদি পশুকে ঘরেই বন্দি করে রেখেছেন। বাঘিনীর পেটে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় গরু, মহিষ, ছাগল রাইকা পাহাড়ের জঙ্গলে পাঠাচ্ছেন না তাঁরা। রাহমদা গ্রামের বাসিন্দা বেনুবালা মুর্মু, বাসন্তী টুডু বলেন, “রবিবারই বনদপ্তর ও পুলিশ মাইকিং করে জানিয়েছিল জঙ্গলে বাঘ রয়েছে। সতর্ক ও সচেতনভাবে চলাফেরা করতে বলেছে। তাই আমরা আর কোনও গবাদি পশুকে জঙ্গলে পাঠাইনি।” উদলবনি গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব মান্ডি বলেন, “গ্রামের গাছতলায়, ঘরে রেখেই গবাদি পশুদের পরিচর্যা করতে হচ্ছে। তাছাড়া আর কোনও উপায় নেই। কাঁচা জীবনকে তো আর বাঘের হাতে তুলে দিতে পারি না।”তবে ভোর ৫টার পর আর ট্র্যাক করা যাচ্ছে না জিনাতকে। রাইকা পাহাড়ের একাধিক গুহায় আশ্রয় নিতে পারে, বলছে বনদপ্তর। তবে ‘শ্যাডো জোন’ হওয়াতেই বারংবার টাওয়ার বিচ্ছিন্ন। রেডিও সিগনালে সমস্যা। তবে হাল ছাড়ছে না সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিক থেকে কর্মীরা। তাদের র‌্যাপিড রেসপন্স টিমের জোড়া গাড়ি রাইকার পাহাড় জঙ্গল রীতিমতো চষে বেড়াচ্ছে। ক্যামোফ্লেজ পোশাকে নজরদারি চলছে ওড়িশার ওই আধিকারিকদের। তাঁদের তত্ত্বাবধানে কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মীদের টহলও চলছে। এদিকে চেক ড্যাম এলাকায় যে মহিষটিকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হয় তাকে এদিন সকালে তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে তিন কিমি দূরে বাংলার কালো ছাগলের টোপ এখনও রয়েছে। ওই এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। যৌথ বন পরিচালন কমিটির সদস্যরা কর্ডন করে রেখেছেন।

Card image cap

পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে ফিরল পাশ-ফেল

বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পাশ-ফেল প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার ঘোষণা কেন্দ্রের। তবে সব শ্রেণিতে নয়। কেবল পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে। যার ফলে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া হবে স্কুলে। সেই পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হলে তবেই পরের ক্লাসে ওঠার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা।এতদিন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হলেও পাশ-ফেলের বিষয় ছিল না। তবে এই ব্যবস্থার ফলে শিক্ষামন্ত্রক মনে করছে পড়ুয়ারা পড়াশুনোর প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। যার জেরে শিক্ষা ব্যবস্থায় আনা হল বড়সড় সংশোধন। অতীতের ‘নো ডিটেনশন পলিসি’ তুলে দিয়ে কেন্দ্রের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বছর শেষের পরীক্ষায় পাশ করার পরই নতুন ক্লাসে ওঠার সুযোগ পাবে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা। যদি এই দুই ক্লাসে কোনও পড়ুয়া কোনও বিষয়ে ফেল করে, সেক্ষেত্রে দুই মাসের মধ্যে সেই বিষয়ে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। সেখানেও ফেল করলে অনুর্ত্তীর্ণ হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। ফলে আরও এক বছরের জন্য সেই ক্লাসেই থাকতে হবে পড়ুয়াকে।অবশ্য নয়া বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, পরীক্ষায় ফেল করা পড়ুয়াদের উপর বাড়তি নজর দিতে হবে শিক্ষকদের। প্রয়োজনে অভিভাবকদের ডেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক স্পষ্ট করে দিয়েছে যে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও শিশুকে কোনও স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হবে না।উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে শিক্ষার অধিকার বিল সংশোধন করেছিল মোদি সরকার। যে বিলের মাধ্যমে ফেরানো হয়েছিল পাশ-ফেলের পুরানো নিয়ম। সেই বিল পাশের পর ১৬ রাজ্য ও দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে তা লাগুও করা হয়। এবার কেন্দ্রের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর দেশের সব কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে নয়া নীতি লাগু হয়ে যাবে। তবে রাজ্যগুলি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কিনা তা সম্পূর্ণ রূপে থাকবে রাজ্যের হাতে।

Card image cap

দলের শক্তি বাড়াতে দিলীপেই আস্থা বিজেপির

নিচুতলায় সংগঠনের হাল খারাপ। যার প্রভাব পড়ছে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে। পাশাপাশি একের পর এক নির্বাচনে হতাশাজনক ফল ছাব্বিশের আগে চিন্তায় রেখেছে বঙ্গ বিজেপিকে। আদি-নব্য দ্বন্দ্বে পুরনোরা ব্রাত্য বঙ্গ বিজেপিতে। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের আদি শিবিরকে ফের মাঠে নামাতে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপরই ভরসা করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ, উনিশের লোকসভা ভোটে দিলীপের নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপি সংগঠিতভাবে লড়ে সর্বাধিক আঠারোটি আসন পেয়েছিল। তারপর দিলীপকে কার্যত কোণঠাসা করা হয় বঙ্গ বিজেপিতে। দলের পুরনোদের সক্রিয় করে তুলতে ফের দিলীপ ঘোষকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে বলে খবর।দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একাধিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির দুই পুরনো মুখ সায়ন্তন বসু ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সুকান্ত মজুমদারের আমলের আগে দিলীপের টিমের দুই প্রধান সেনাপতি ছিলেন এই সায়ন্তন-রাজু। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের একাংশ সায়ন্তনকে দূরে সরিয়ে দেয় দল থেকে। আর রাজুকে তো দলীয় বৈঠকে বা কর্মসূচিতে ডাকাই হয় না বলে খবর। তবে শুধু সুকান্ত-রাজুরাই নয়, উনিশের লোকসভা ভোটের সময় বিজেপির সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া প্রাক্তন রাজ্য সহসভাপতি রাজকমল পাঠক-সহ একাধিক প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে আবার সক্রিয় করে তুলতে চাইছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। সদস্য সংগ্রহ অভিযানেও দিলীপ ঘোষকে নিয়মিত নামতে বলা হয়েছে। আর দিলীপও তাঁর সেই পুরনো স্টাইল চায়ে পে চর্চার পাশাপাশি সদস্য সংগ্রহে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেই সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে নামানো হয়েছে মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদকে। ক’দিন আগেই জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে ঝাঁপিয়েছিলেন দিলীপ। তারপর আলিপুরদুয়ার ও শিলিগুড়িতেও তিনি সদস্যতা অভিযান করেন। পশ্চিম মেদিনীপুরজুড়েও নামানো হয় তাঁকে। গোটা রাজ্যজুড়েই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছেন দিলীপ ঘোষ। জল্পনা, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে দিলীপ ঘোষের মতো বিজেপিতে জনপ্রিয় ও কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতাকে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সেটা রাজ্য সভাপতি হয়তো নাও হতে পারে। তবে সম্ভাব্য নয়া রাজ্য সভাপতির তালিকায় দিলীপ ঘোষের নামও রয়েছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। এদিকে, ধাপে ধাপে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বদলের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। জানুয়ারি থেকেই বুথস্তর থেকে শুরু হচ্ছে সাংগঠনিক নির্বাচন। বুথ, মণ্ডল, জেলা সভাপতি নির্বাচন হবে। ৩১ জানুয়ারির পর রাজ্য সভাপতি নির্বাচন। স্টেট রিটার্নিং অফিসার দীপক বর্মন, মধুছন্দা কর, মলয় সিনহা।

Card image cap

বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় ‘বেনিয়ম’

অল ইন্ডিয়া বার কাউন্সিলের পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ। ছবি তুলে প্রশ্নপত্র অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করল নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছেন তদন্তকারীরা।রবিবার অল ইন্ডিয়া বার কাউন্সিলের পরীক্ষা ছিল। বেলা ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিভিন্ন জায়গাতে পরীক্ষার সিট পড়ে। খান্না হাইস্কুলও ছিল একটি পরীক্ষাকেন্দ্র। সেখানে পরীক্ষা যায় অলোক অধিকারী, সুব্রত সরকার, মাসাউল হোসেন এবং জগন্নাথ মান্না নামে চারজন। ওই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকে তারা। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর ছবি তোলে। ওই ছবি বিভিন্ন নম্বরে ফরওয়ার্ড করে। তারপর পরীক্ষা দিতে শুরু করে। সুপারিনটেনডেন্টের নজরে আসে। তিনি গোটা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান।এরপর টিচার-ইন-চার্জ রাহুল দেও শর্মা নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। এফআইআরে নাম থাকা অলোক, সুব্রত, মাসাউল এবং জগন্নাথকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চারজন কাকে কাকে প্রশ্নপত্রের ছবি ফরওয়ার্ড করেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা, তা-ও তদন্তসাপেক্ষ। অভিযুক্তদের দফায় দফায় জেরা করে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছে পুলিশ।

Card image cap

হাওড়ার পর হুগলিতেও এবার মেট্রো!

কলকাতার গণ্ডি পেরিয়ে হাওড়া পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে মেট্রো। কেন্দ্র ‘দয়া’ দেখালে হুগলিতেও মেট্রো চলবে। আশাবাদী হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্যর সঙ্গে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে হুগলির মেট্রো নিয়েও আলোচনা হয়।বৈঠক শেষে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেট্রোটা যদি চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল পর্যন্ত আনতে পারি, মানুষের ভীষণ উপকার হয়। সেটা নিয়ে চিঠিপত্র দিয়েছি। এটা একটা বড় ব্যাপার। তবে কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। সেটা নিয়ে আওয়াজ তোলা হচ্ছে। সেই বিষয় নিয়েও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হল। জেলাশাসক বলেছেন, তা যদি করা যায় তাহলে বহু মানুষ উপকৃত হবে।”এরপরই যোগ করেন, “রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে আমি চিঠি দিয়েছিলাম। উনি উত্তর দিয়েছেন। সেটা সবথেকে বড় কথা। উনি বলেছেন কীভাবে এগোনো যায়, সেটা দেখছেন। জমি অধিগ্রহণের বিষয় থাকলে সেটাও দেখতে হবে কোথায় কীভাবে এগোনো যায়। এটা তো সরাসরি ব্যান্ডেল শুধু নয়, মাঝে শ্রীরামপুর আছে। হাওড়া আছে। হাওড়ায় রয়েছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের সঙ্গে মিলিতভাবে এটা করতে হবে। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি চেষ্টা করব। বাকিটা কেন্দ্রের হাতে। তারা যদি একটু দয়াশীল হন, তাহলে আমরা লড়তে পারি। এ বিষয়ে মন্ত্রীরা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে যদি বিষয়টা মিটে যায় তাহলে আর প্রশ্ন নেই।”ইচ্ছা থাকলেও সংসদে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাননি, সে কথাও জানালেন রচনা। বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এখনও কথা হয়নি। সংসদে দেখা হয়, কিন্তু কথা হয় না। কথা বলতে গেলে ৫০০ জন সাংসদ আছেন। লটারিতে কার নাম উঠবে সেটা কপালের ব্যাপার। আমার যেমন একবার সুযোগ হয়েছিল, বলাগড়ের ভাঙন নিয়ে বলেছি। আবার চেষ্টা করছি সুযোগ পেলেই মেট্রো-সহ মানুষের অন্যান্য দাবি নিয়ে বলব।”আজমেঢ় শরিফ যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষ ট্রেনের দাবিও জানিয়েছেন রচনা। তিনি বলেন, “আজমেঢ় শরিফ যাওয়ার জন্য ব্যান্ডেল থেকে কোনও ট্রেন নেই। যাত্রীদের বর্ধমান আর না হলে কলকাতা থেকে ট্রেন ধরতে হয়। চেষ্টা করছি যাঁরা আজমেঢ় শরিফ যেতে চান, তাঁদের জন্য ব্যান্ডেল থেকে যদি একটা ব্যবস্থা করা যায়।” তিনি আরও বলেন, “জেলার কয়েকটি জায়গায় উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। মানকুন্ডুতে মানসিক হাসপাতাল, ধনেখালি হাসপাতালের কাজ চলছে। গ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসকের একটা সমস্যা আছে। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। যাতে যোগ্য চিকিৎসকদের জেলায় পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়। সব চিকিৎসকই যদি শহরে চলে যান, তবে গ্রামের লোকেদের কে দেখবেন? তাই আমি চাই ভালো ডাক্তাররা আসুন গ্রামের হাসপাতালে। বড় বড় হাসপাতালগুলি আমরা তৈরি করছি। সেবাই যদি না দিতে পারি তাহলে কলকাতা ছুটতে হয়। রাস্তাতে অনেক অঘটন ঘটছে।”

Card image cap

জানুন সব রাশির ভাগ্য

চাঁদ আজ সারাদিন কন্যা রাশিতে গোচর করবে। সূর্য এখন অবস্থান করছে ধনু রাশিতে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে আজ পৌষ কৃষ্ণা অষ্টমী তিথি। সোমবার বিকেল ৫টা ৭ মিনিট পর্যন্ত অষ্টমী তিথি থাকবে। তারপর পড়বে পৌষ কৃষ্ণা নবমী তিথি। এই তিথিতে সৌভাগ্য যোগ ও শোভন যোগের প্রভাব থাকছে। এর পাশাপাশি আজ সকাল ৯টা ৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্র। তারপর থাকবে হস্তা নক্ষত্র। আজ সকাল ৭টা ১১ মিনিটে সূর্যোদয় ও সন্ধে ৫টা ৩০ মিনিটে সূর্যাস্ত হবে। হিন্দুধর্ম অনুসারে সোমবার হল মহাদেবের প্রিয় দিন। এই সব শুভ যোগের প্রভাবে আজকের দিনটি কোনও কোনও রাশির জাতকদের খুব ভালো কাটতে চলেছে। অন্যান্য রাশির জাতকদের আজ নানা ছোট বড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে। আজ কোন রাশির সময় ভালো, কাদের সাবধান থাকতে হবে, তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।


মেষ রাশি

মেষ রাশির চাকরিজীবীদের ওপর অফিসে অতিরিক্ত কাজের চাপ এসে পড়তে পারে। এর ফলে পরিবারের জন্য সময় বের করতে পারবেন না এবং পরিবারের সদস্যরাও রেগে যাবেন। অবিবাহিতরা বিয়ের উত্তম প্রস্তাব পাবেন। ছাত্রছাত্রীরা নতুন কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। বন্ধুর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে পারেন।

বৃষ রাশি

বৃষ রাশির জাতকরা সন্তানের তরফে কোনও সুসংবাদ পাবেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিবাদ চললে তা এবার সমাপ্ত হবে। মা-বাবার স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিন। লগ্নির জন্য আজকের দিনটি ভালো। সন্ধেবেলা ধর্মীয় কাজে সময় কাটাবেন। অসুস্থ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মিথুন রাশি

মিথুন রাশির জাতকদের কথায় পরিবারের সদস্যরা প্রভাবিত হবেন। পারিবারিক ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য বাবার পরামর্শ নিতে পারেন। তাঁর পরামর্শ ব্যবসার জন্য কার্যকর হবে। আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কে বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বাইরে নৈশভোজে যেতে পারেন।

কর্কট রাশি

কর্কট রাশির জাতকদের ব্যবসায় উন্নতি হবে, পাশাপাশি সামাজিক পরিসর বৃদ্ধি পাবে। বন্ধু সংখ্যা বাড়তে পারে। নতুন শত্রুও মাথা চাড়া দেবে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পথে বাধা কেটে যাবে। অস্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান হতে চলেছে। সন্তানের বিয়ের কথা পাকা করতে পারেন।

সিংহ রাশি

সিংহ রাশির জাতকরা বাড়ির মেরামতি ও সাজসজ্জায় অর্থ ব্যয় করতে পারেন। প্রেম জীবনে নতুন শক্তির সঞ্চার হবে। রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা নতুন সুযোগ পাবেন। সন্ধেবেলা বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টায় সময় কাটাবেন। চাকরিজীবীদের ওপর কাজের চাপ বাড়বে।

কন্যা রাশি

কন্যা রাশির জাতকরা সমাজসেবামূলক কাজ করবেন। আপনাদের বন্ধু সংখ্যা বাড়তে পারে। বোনের বিয়ের কারণে চিন্তিত থাকলে তা এবার সমাপ্ত হবে। পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। কথা নিয়ন্ত্রণে রাখুন, তা না হলে আইনি সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার পথ প্রশস্ত হবে।

তুলা রাশি

তুলা রাশির জাতকরা শিগগিরই সমস্ত কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন। বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। সরকারি প্রকল্পের দ্বারা লাভবান হওয়ার সুযোগ পাবেন। আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি কাজের বিষয় আলোচনা করবেন। ব্যবসায়ীরা মুনাফা অর্জনের সুযোগ পাবেন।

বৃশ্চিক রাশি

বৃশ্চিক রাশির জাতকরা বন্ধুদের সঙ্গে সুখে সময় কাটাবেন। পরিবারের বাচ্চাদের সঙ্গে আনন্দে সময় কাটাবেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ মাথা চাড়া দিতে পারে। কথা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। পুরনো লগ্নির দ্বারা লাভবান হবেন। আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। ব্যবসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হবে।

ধনু রাশি

ধনু রাশির জাতকদের সম্পর্ক মজবুত হবে। ব্যবসায়ীরা কারও কথায় কান দেবেন না। তা না হলে ভবিষ্যতে লোকসান হতে পারে। পারিবারিক বিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারে। এর ফলে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। বাবার স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে হবে এই রাশির জাতকদের।

মকর রাশি

মকর রাশির জাতকদের মনের মধ্যে বিশেষ ধরনের ওঠাপড়া লেগে থাকবে। দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন। আলস্য ত্যাগ করুন। পারিবারিক কলহ হতে পারে, কথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শ্বশুরবাড়ির থেকে উপহার পেতে পারেন।

কুম্ভ রাশি

কুম্ভ রাশির জাতকদের প্রেম জীবন আনন্দে কাটবে। পরিবারের কিছু সদস্যরা সমস্যায় জড়াতে পারেন। জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা লাভ করবেন। ভাইদের সঙ্গে পারিবারিক ব্যবসা বৃদ্ধির বিষয় আলোচনা হতে পারে। বাড়ির দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য কিছু অর্থ ব্যয় করতে হবে।

মীন রাশি

মীন রাশির জাতকদের মায়ের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে, সতর্ক থাকুন। সন্ধেবেলা বাড়িতে অতিথি আগমন হতে পারে। পরিবারের সমস্ত সদস্যরা ব্যস্ত থাকবেন। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বিবাদের সমাধান হবে এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি হবে। নতুন কাজ স্থগিত করার বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।

Card image cap

প্রত্যেকদিন ‘খাদান’-এর রেকর্ড!

কামব্যাকে ‘রাজার রাজা’ দেব। ফ্যামিলি ড্রামা ছেড়ে অ্যাকশনে ফিরতেই বছরশেষে বাংলার বক্স অফিস চাঙ্গা। উইকিপেডিয়ার হিসেব বলছে, ছবির ব্যবসা ইতিমধ্যেই দুকোটি ছাড়িয়েছে। ভক্তদের উচ্ছ্বাস সিনেমা হলে দেখা যাচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকদিনই রেকর্ড গড়ছে ‘খাদান’। এতেই আপ্লুত দেব। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেই জানালেন কৃতজ্ঞতা। সুপারস্টার মানেন, এ শুধু তাঁর নয়, বাংলা সিনেমারও কামব্যাক।যাঁদের ‘শিরায় শিরায়’ দেবভক্তি, তাঁদের জন্যই সোশাল মিডিয়ায় তারকা লেখেন, “আমার দর্শকদের প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনও ভাষা আমার কাছে নেই… ‘চাঁদের পাহাড়’ ও ‘আমাজন অভিযান’-এর পর এই রকম রেসপন্স ‘খাদান’ পাচ্ছে। প্রথম দিনের থেকে দ্বিতীয় দিন বেশি, দ্বিতীয় দিনের থেকে তৃতীয় দিন আরও বেশি…. প্রত্যেকটা দিনে নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এই আবেগ শব্দে কীভাবে প্রকাশ করব আমি জানি না….দর্শক খুশি, তো আমি খুশি। সবাইকে ধন্যবাদ। ভালোবাসা রইল। শুধু আমি না, ‘খাদান’ বাংলা সিনেমাকেও ফেরাল।’উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই ছিল ‘খাদান’-এর প্রথম শো। রায়গঞ্জে রাত দুটোয় দেখানো হয় দেব এন্টারটেনমেন্ট ও সুরিন্দর ফিল্মস প্রযোজিত ছবি। প্রথম শো-ই হাউজফুল। বুকিং শুরু হওয়ার মিনিট খানেকের মধ্যেই সমস্ত টিকিট শেষ। যা কিনা পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথমবার বলেই দাবি। অর্থাৎ শুরুতেই ট্রেন্ড সেট করে দিয়েছেন দেব। তাঁর ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’ অবতারের জাদুতে এখনও সিনেমা হলে ঝোড়ো ইনিংস খেলছে ‘খাদান’।প্রশংসা যিশু সেনগুপ্তও বিস্তর পেয়েছেন। দেব যদি এছবির কৃষ্ণ হন, তাহলে ‘সারথি কৃষ্ণ’ যিশু। দুজনের যুগলবন্দি বেশ পছন্দ হয়েছে দর্শকদের। ‘একেনবাবু’ কিংবা ‘জটায়ু’র মোড়ক থেকে বেরিয়ে অনবদ্য অনির্বাণ চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন বাদে বড়পর্দায় বরখা বিস্তকে দেখা গিয়েছে। দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমিকার ভূমিকায় ইধিকা পাল যথাযথ। পরিমিত অভিনয় সঙ্গত সুজন নীল মুখোপাধ্যায়ের। নজর কাড়লেন জন ভট্টাচার্যও। দেবের সঙ্গে অ্যাকশন দৃশ্যে তাঁকে বেশ ভালো লেগেছে।

Card image cap

PF কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় ক্ষুব্ধ উথাপ্পা

প্রভিডেন্ট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে তিনি কোনওভাবেই যুক্ত নন। বিবৃতি দিয়ে দাবি করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার রবীন উথাপ্পা। তাঁর দাবি, যে সংস্থা এই পিএফ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে, সেই সংস্থার সঙ্গে তাঁর কোনও সক্রিয় যোগাযোগ নেই। বরং তিনিও ওই সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়ছেন।স্ট্রবেরি লেন্সারিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামক বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানির ডিরেক্টর উথাপ্পা। অভিযোগ সেই কোম্পানি প্রভিডেন্ট ফান্ডের ২৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬০২ টাকা বকেয়া অর্থ জমা করেনি। কোম্পানির কর্মচারীদের থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য টাকা কাটা হলেও তা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়নি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পিএফ বিষয়ক আঞ্চলিক কমিশনার সদাক্ষরা গোপাল রেড্ডি প্রাক্তন কেকেআর ব্যাটারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর প্রকাশ্যে আসতেই উথাপ্পা জানিয়ে দিলেন, ওই সংস্থার সঙ্গে কোনও সক্রিয় যোগাযোগ নেই তাঁর।উথাপ্পার দাবি, তিনি ওই সংস্থায় কিছু টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। সেকারণেই ২০১৮-১৯ সালে ওই সংস্থা তাঁকে ডিরেক্টর নিয়োগ করে। কিন্তু নিজের ব্যস্ততার কারণে কোনওদিনই সংস্থার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হননি তিনি। ক্রিকেট, ধারাভাষ্য এবং টিভির অন্যান্য অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকায় তাঁর পক্ষে সংস্থার কাজকর্মের খোঁজখবর রাখা সম্ভবও ছিল না। তাছাড়া এ বিষয়ে তিনি বিশেষজ্ঞও নন। তাই সংস্থার নিত্যদিনের কাজকর্মেরও খবর তিনি রাখতেন না।উথাপ্পার বক্তব্য, ওই সংস্থাটি তাঁর প্রাপ্য টাকাও মেটায়নি। সেজন্য সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করেন। যা এখন বিচারাধীন। প্রাক্তন ক্রিকেটার জানিয়েছেন, প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তারা তাঁর অফিসে যোগাযোগ করলে তিনি সব তথ্য দিয়েছেন। জানিয়েছেন সংস্থার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি পথেই হাঁটবেন তিনি।

Card image cap

অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

খেলার মাঠে ফের বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিল ভারত। ওপার বাংলার মেয়েদের ধরাশায়ী করে প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের খেতাব জিতে নিলেন ভারতের মেয়েরা। ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া জিতল ৪১ রানে।কুয়ালালামপুরের বেউয়েমাস ওভালে রবিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১১৭ রান তোলে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার শুরুটা ভালো না হলেও গঙ্গাদি তৃষা একাই ভারতের ব্যাটিংকে টেনে নিয়ে যান। মাত্র ৪৭ বলে ৫২ রান করেন। পাঁচটি বাউন্ডারি এবং দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। তৃষা ছাড়া ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দুই অঙ্কে পৌঁছান শুধু অধিনায়ক নিকি এবং মিথিলা বিনোদ। মিথিলা ১৭ রান করেন।জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ব্যাটাররা শুরু থেকেই রীতিমতো খাবি খেতে থাকেন। ১৮ ওভার ৩ বলে মাত্র ৭৬ রানে শেষ হয় বাংলাদেশে ইনিংস। পড়শি দেশের ব্যাটারদের মধ্যে জুয়াইরিয়া ফেরদৌস ২২ এবং ফাহমিদ চোয়া ১৮ রান করেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে আয়ুশী শুক্লা একাই নেন ৩টি উইকেট। ভারত ৪১ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতল।মাসখানেক আগেই অনূর্ধ্ব-১৯ ছেলেদের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল ভারত। মাস ঘোরার আগেই সেই হারের বদলা নিয়ে নিলেন ভারতের মেয়েরা। এবারই প্রথম মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের আয়োজন করেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। তাতেই চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।

Card image cap

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে আদালতে বিজেপি

এবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি। ওয়ানড়ের বিজেপি প্রার্থী নব্যা হরিদাসের দাবি, নির্বাচনী হলফনামায় ভুল তথ্য দিয়েছেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক। তাই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হোক। এই মর্মে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।গত ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচনে কেরলের ওয়ানড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শপথ নিয়ে পুরোদমে সাংসদ জীবন শুরুও করেছেন তিনি। এবার তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আর্জি জানিয়ে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেত্রী নব্যা হরিদাস। বিজেপি নেত্রীর দাবি, প্রিয়াঙ্কা মনোনয়নপত্রে তাঁর এবং পরিবারের সম্পত্তির সঠিক হিসাব দেননি এবং ‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়েছেন। যা আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের শামিল এবং অনৈতিক বলে তিনি দাবি করেন।২৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি হাই কোর্টে ছুটি থাকবে। তাই আগামী বছরের জানুয়ারিতে আবেদনের শুনানি হতে পারে, জানিয়েছেন নব্যা। মামলা দায়ের করা আইনজীবী হরি কুমার জি নায়ার বলেছেন, আবেদনে ‘প্রিয়াঙ্কার এবং তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন বিভিন্ন সম্পত্তির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন’ এবং ‘ভোটারদের বিভ্রান্ত করা, ভুল তথ্য দেওয়া’র অভিযোগে তাঁর নির্বাচন রদ করার দাবি করা হয়েছে।প্রায় ২ দশক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতির ময়দানে থাকলেও এই প্রথম সরাসরি ভোট রাজনীতিতে নেমেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। দাদা রাহুল গান্ধীর ছেড়ে আসা কেরলের ওয়ানড় আসন থেকে লোকসভার লড়াইয়ে নামেন তিনি। বলা বাহুল্য, ওয়ানড়বাসী ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কাকে। প্রথমবার ভোট ময়দানে নেমেই দাদা রাহুলের জয়ের ব্যবধানকে ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ওয়ানড় থেকে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে জেতেন রাহুল গান্ধী। সেখানে প্রিয়াঙ্কা জিতেছেন ৪ লক্ষেরও বেশি ভোটে। সেই নির্বাচনকেই এবার চ্যালেঞ্জ করছে বিজেপি।

Card image cap

মিঠুনের মন্তব্য ঘিরে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি

সদস্য সংগ্রহের ব্যর্থতা থেকে গোষ্ঠীকোন্দল, বঙ্গ বিজেপির হাল নিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। হুগলিতে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই লোকসভা ভোটে সেখানে হারতে হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। বঙ্গ বিজেপির কোন্দল নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। প্রকাশ্যে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলে রাজ্য বিজেপি নেতাদের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন মহাগুরু।গোটা বঙ্গ বিজেপিতে চরম কোন্দল চলছে। এক গোষ্ঠী, অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব। পাশাপাশি বাংলায় দলের সংগঠনও তলানিতে। নির্বাচনেও খারাপ ফল হচ্ছে। সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও ‘ফেল’ করেছে। পাণ্ডুয়ায় বিজেপির সক্রিয় সদস্যতা অভিযান কর্মসূচির এক বিশেষ বৈঠক শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ছিলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব ও পদাধিকারীরা। কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল দলের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা। কিন্তু সেই বৈঠকে গিয়েই দলের কাজকর্ম নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহাগুরু। মিঠুন বলেন, “এখানে যতগুলো বিধানসভা আমি দেখেছি সবগুলোতেই জেতা আছে। কিন্তু আমরা জিততে পারিনি। এর একমাত্র কারণ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যেটা খুবই দুঃখের। যদি সবাই কাজ করত এখানে তা হলে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারতে হত না। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বদ্ধ কাজ করেছে।”এর পরই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে দলের ব্যর্থতা নিয়ে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন মিঠুন। গত ২৭ অক্টোবর সল্টলেক ইজেডসিসি- তে রাজ্য বিজেপির সদস্য সংগ্রহের অভিযানের সূচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে বক্তা ছিলেন মিঠুনও। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলায় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লক্ষ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৫১ হাজার সদস্য হয়েছে। সক্রিয় সদস্যের ক্ষেত্রেও অনেকটাই খামতি রয়েছে। সক্রিয় সদস্য সংগ্রহ করার কথা ছিল ৩০০০ সেখানে ৩৬৩ জন মোটে সক্রিয় সদস্য হয়েছেন। আর এই তথ্য দেখে ক্ষুব্ধ হন মহাগুরু। কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমি বসের (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশে এসেছি। বসকে কী জবাব দেব?”এর পরই ক্ষুব্ধ মহাগুরু কর্মীদের বলেন, “কী জোস দেখলাম। মালা পরানোর ধুম লেগে গেল। এর আগেও দেখেছি, ভাবলাম কিছু হবে। কিন্তু কিছু হয় না। আমাকে ডেকে আনবেন। আমি মুড়ি, গুড় খেয়ে প্রচার করব। আর তার রেজাল্ট হবে জিতে যাওয়া সিট হার। কী লজ্জা! আমি কথা দিয়েছিলাম তাই এসেছি। না হলে পার্টিকে সময় দিয়ে কী লাভ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছি। আমাকে কী, কী না অফার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমার বিশ্বাস পার্টি শক্তিশালী হলে সব হবে।” এর পরই তাঁর হুঁশিয়ারি, “বস (প্রধানমন্ত্রী) আমাকে বলে রেখেছেন নো মার্সি। যারা কাজ করবে না তাদেরকে সরে যেতে হবে। এত জায়গায় ঘুরে এলাম, সব জায়গায় কি জিততে পেরেছি? না। কারণ, আমরা সব জায়গায় কাজই করতে পারিনি।”

Card image cap

বিজেপি যুব নেতার বাড়িতে গোয়েন্দা হানা

পুরনো এক মামলায় ভাটপাড়ায় বিজেপি যুব নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের বাড়িতে গোয়েন্দা হানা। শনিবার রাতের দিতে তাঁর বাড়িতে নোটিস দিতে যান বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। প্রিয়াঙ্গু অনুগামীরা বাধা দেন বলে অভিযোগ। দুপক্ষের হাতাহাতিতে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ভাটপাড়া পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ৬ নং গলি এলাকা। খবর পেয়ে সেখানে যান বারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের উপর হামলা ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলেন তিনি।জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের পুরনো একটি মামলায় প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের নাম থাকায় শনিবার তাঁর বাড়িতে নোটিস দিতে যান বারাকপুর কমিশনারেটের আধিকারিকরা। তাঁদের বাধা দেন সেসময় বিজেপি নেতার বাসভবনে থাকা অন্যান্য দলীয় কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। এমনকি পরিস্থিতি এমন হয় যে রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে দলীয় কর্মীদের সাময়িক হাতাহাতির পরিস্থিতিও তৈরি হয়। প্রিয়াঙ্গুর অনুগামীরা পুলিসের উপর আক্রমণ করে কাজে বাধা দেয় বলে অভিযোগ।খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাটপাড়া থানার পুলিশ। তখনই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্রুত প্রিয়াঙ্গুর বাড়িতে যান অর্জুন সিংও। তিনি পুলিশ আধিকারিকদের কাছ থেকে প্রিয়াঙ্গুর বিরুদ্ধে নোটিস দেখতে চান। তাঁকে সেই নোটিস দেখাতে পারেনি পুলিশ কর্তারা। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অর্জুন সিং অভিযোগ তোলেন, প্রিয়াঙ্গুকে খুনের চক্রান্ত করছে পুলিশ প্রশাসন।পুলিশ সূত্রে খবর, ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন অর্জুন সিং পিপিপি মডেলে একটি প্রকল্পের চুক্তি করেছিলেন। প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের সম্পত্তিতে এই প্রকল্পটি ৭০-৩০ শতাংশ চুক্তিতে হবে বলেই ঠিক হয়েছিল। কিন্তু সেই চুক্তি মত কাজ না হওয়ায় পুরসভার অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন সন্ধ্যায় পুলিশ সেই সংক্রান্ত নোটিস দিতে প্রিয়াঙ্গুর বাড়িতে যায় এবং তা ঘিরে এই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। 
এই প্রসঙ্গে ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ”পিপিপি মডেলে চুক্তি অনুযায়ী প্রিয়াঙ্গু পান্ডে ৩০শতাংশ সম্পত্তি এখনোও পর্যন্ত পুরসভাকে হস্তান্তর করেননি। সেই কারণেই পুলিশ নোটিস দিতে এসেছিল। বিষয়টি সম্পূর্ণ পুলিশ প্রশাসনের এক্তিয়ারভুক্ত।” আর প্রিয়াঙ্গুর দাবি, ”আমাকে এর আগে খুনের চক্রান্ত করা হয়েছিল। বিজেপি করার অপরাধে এদিন পুলিশ নোটিস দেওয়ার নাম করে অভিযান চালায়। আমার দুই সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।”