Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

‘ঘোমটার নিচে খ্যামটা নাচন আর নয়’, কটাক্ষ সুকান্তর

ফিরহাদ হাকিমের পর বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের চেষ্টার পর শহরের নিরাপত্তা ও বেআইনি অস্ত্র ঢোকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সৌগত বলেন, “শহরে পিস্তল ঢুকছে, পুলিশ ধরতে পারে না।” সেই মন্তব্যের পালটা দিয়ে বরানগরের একটি অনুষ্ঠানে সৌগত ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করুন।”সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টা ও ভাটপাড়ায় তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতিকে খুনের ঘটনায় চাপে রাজ্যের শাসকদল। অপরাধ ও রাজ্যে অস্ত্রের প্রবেশ রোখা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। সেই আবহে ফিরহাদ ও সৌগত মুখ খোলায় চাপ সৃষ্টি হয়েছে দলের অন্দরে। স্বাভাবিকভাবেই সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি বিজেপি। রবিবার সৌগতের মন্তব্যকে হাতিয়ার করেন সুকান্ত। বরানগর সিটিজেন ফোরামের আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ঘোমটার নিচে খ্যামটা নাচন আর নয়। উনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু প্রশ্নটা যদি তুলতে হয় তাহলে পুলিশমন্ত্রীর উপর তুলুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করুন।”অনুষ্ঠানে আর জি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, “রাজা যদি উলঙ্গ হয়, নির্লজ্জ হয় তাহলে প্রজারা সুখে থাকতে পারে না। এই মমতাময়ীর তাড়নায় একজন ডাক্তারের প্রাণ চলে গেল।” অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের বেকারত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি, “পড়াশোনা করে এখন বাংলাতে চাকরি পাওয়া যায় না। বিষাক্ত মদ খেয়ে মারা গেলে তবে পরিবারের লোকেরা চাকরি পান। এটাকেই সম্ভবত বলে এগিয়ে বাংলা।”

Card image cap

অপরিণত শিশুকে নিয়ে গেল কুকুর!

অপরিণত সদ্যোজাতকে মুখে করে নিয়ে গেল পথকুকুর। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া গেল না শিশুটিকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলল পরিবার। আতঙ্কে কাটা অন্য রোগীরাও। কর্তৃপক্ষের সাফাই, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে। রাতে যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সোমবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী গ্ৰামীণ হাসপাতালে।পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়া রায়। তিনি সোনামুখী ব্লকের কোচডিহি গ্রামের বাসিন্দা। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসূতিকে ইউরিন টেস্টের কথা বলেন। ননদ কল্পনা রায়ের সঙ্গে হাসপাতালের শৌচালয়ে যান তিনি। সেখানেই অপরিণত শিশুর জন্ম দেন ওই গৃহবধূ। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন কর্তব্যরত নার্সদের ডাকেন। অভিযোগ, নার্সরা আসতে দেরি করেন। পরে প্রসূতিকে শয্যাতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সদ্যোজাত সেখানেই পড়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরই প্রসূতির ননদ বাথরুমে এসে দেখেন শিশুটি সেখানে নেই। তিনি খোঁজাখুঁজি শুরু করলে অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা জানান, একটি কুকুর ওই সদ্যোজাতকে মুখে করে নিয়ে গিয়েছে।আত্মীয়রা কুকুরটির পিছনে ধাওয়া করলে সে বাচ্চাটিকে নিয়ে পাশের ঝোপে চলে যায়। বিস্তর খোঁজাখুজির পরও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ এসে ঝোপটিতে তল্লাশি চালালেও হদিশ মেলেনি বলেই খবর। ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসা বাধে। পরিবারের। পরে রোগীকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।প্রসূতির ননদ কল্পনা রায় বলেন, “সন্ধ্যায় প্রিয়ার পেটে ব্যথা শুরু হলে ওঁকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। সাড়ে ৭টা নাগাদ ডাক্তারবাবু, নার্সরা ইউরিন পরীক্ষার জন্য বলেন। বাথরুমে নিয়ে গেলে ওখানেই সন্তান প্রসব করে। নার্সদের খবর দেওয়া হলেও অনেক পরে আসেন তাঁরা। বাচ্চাটিকে ছাড়াই ওঁকে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। ফিরে এসেই দেখি শিশুটি নেই। আশপাশে জিজ্ঞাসা করতে তাঁরা বলেন শিশুটিকে একটা কুকুর মুখে করে নিয়ে গিয়েছে। বাচ্চাটিকে আর খুঁজে পাইনি।” অভিযোগ, বাচ্চাটির বিষয়ে আর উচ্চবাচ্য না করে রোগীকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কল্পনার কথায়, “পুলিশ বলে, রোগী চিকিৎসার জন্য বিষ্ণুপুর নিয়ে যান। আমরা ওই রাতেই সোনামুখী হাসপাতাল থেকে বিষ্ণুপুরে দশটার দিকে এসে পৌঁছাই।”এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কর্মীদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কী করে হাসপাতালের ভিতরে কুকুর ঢুকল? একটি সদ্যোজাতকে কুকুর নিয়ে চলে গেল কেউ দেখতে পেলেন না? মঙ্গলবার সকালেও হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা যায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একাধিক পথকুকুর। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতালে। সন্তান হারিয়ে কপাল ঠুকছেন মা।

Card image cap

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ৫ ছাত্রের সাসপেনশন খারিজ হাই কোর্টে

বিশ্ববিদ্যালয়ে সাসপেনশন তুলে দিল হাই কোর্ট! ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ পড়ুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল ক্লাস করা, পরীক্ষায় বসায়। এহেন ‘শাস্তি’র বিরোধিতায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পড়ুয়ারা। আর তাতেই মিলল স্বস্তি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিলেন। জানানো হয়েছে, কোনও সাসপেনশন নয়, ওই ৫ পড়ুয়া ক্লাস করতে পারবে, পরীক্ষাও দিতে পারবে। এদিন পড়ুয়াদের হয়ে মামলাটি লড়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সেপ্টেম্বরে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে আট ছাত্রের বিরুদ্ধে। কলেজ কাউন্সিল নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে ৫ জনকে সাসপেন্ড করে। হস্টেলে থাকা, কলেজে ক্লাস করা, পরীক্ষা দেওয়া – সব কিছুতেই তাঁদের উপর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ৮ নভেম্বর বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে এনিয়ে মামলার শুনানি ছিল। সেদিনই তিনি সাসপেনশনের বিরোধিতা করেছিলেন। আর মঙ্গলবারের শুনানিতে সাসপেন্ডেড পড়ুয়াদের হয়ে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে তাঁর সওয়াল, “পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করার ক্ষমতা কলেজ কাউন্সিলের নেই। এটা করতে পারে একমাত্র অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। তাছাড়া আন্দোলনকারীদের ‘থ্রেটে’র মুখে পড়ে ওই পাঁচ ছাত্রছাত্রীকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এটা কি থ্রেট কালচার নয়?” সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, সাসপেনশন নয়। ওই ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করতে পারবেন, পরীক্ষাও দিতে পারবেন। তবে প্রয়োজনের বাইরে কলেজ চত্বরে থাকা যাবে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। 

Card image cap

মন্দারমণিতে ‘চলবে না বুলডোজার

এখনই ভাঙা পড়ছে না মন্দারমণির ১৪৪টি ‘বেআইনি’ রিসর্ট। হোটেল ভাঙা নিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে মোট ১৪৪টি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিস জারি করেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের কোনও আধিকারিক, এমনকী, মুখ্যসচিবও জানতেন না। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মমতা। এ নিয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গেই দ্রুতই বৈঠকে বসবেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বুলডোজার কোনও সমাধানের পথ নয়। কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।”১৪৪টি হোটেলের মধ্যে শুধু দাদনপাত্রবাড়েই রয়েছে ৫০টি হোটেল। সোনামুই এলাকায় রয়েছে ৩৬টি। সিলামপুরে ২৭টি, মন্দারমণিতে ৩০টি এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুরে একটি লজ রয়েছে। উপকূলবিধি না মেনেই সিআরজেড (কোস্টাল রেগুলেশন জোন) এলাকার মধ্যে হোটেলগুলি গড়ে তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই হোটেলগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২ মে জাতীয় পরিবেশ আদালত এই নির্দেশ জারি করেছিল। তবে জেলা প্রশাসন দুই বছর সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি। এবার ২০ নভেম্বরের মধ্যে এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে চেয়েছিল জেলা প্রশাসন। যা আপাতত আটকে গেল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। হাসি ফুটল হোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে।

Card image cap

কসবা শুটআউটে নারী-যোগ!

কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের ষড়যন্ত্রের নেপথ্যেও নারী-যোগ? ধৃতদের মোবাইল ফোন ঘেঁটে একাধিক মহিলার ফোন নম্বর এবং তাঁদের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়টি জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এই মহিলা কারা? কোথায় বসবাস? কী তাদের কাজ? এই ঘটনায় তারা কীভাবে জড়িত? এমন একাধিক প্রশ্ন উঠে আসে। সেসব খতিয়ে দেখতে গিয়ে যে সত্যের মুখোমুখি হয়েছেন তদন্তকারীরা, তাও বেশ চমকপ্রদ। আর তাতেই আরও স্পষ্ট হয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত বিহারের পাপ্পু-গ্যাং কতটা কূট কৌশলে নিজেদের কাজ হাসিল করে।সুশান্ত ঘোষকে হত্যার চেষ্টায় যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা সকলে বিহারের বাসিন্দা। এক্ষেত্রে বিহারের দুষ্কৃতীদের কে বা কারা কাজে লাগিয়েছে, তা জানতে তদন্তে নামে পুলিশ। এনিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার চারজনকে জেরায় উঠে আসে বেশ কয়েকটি তথ্য। ধৃত গুলজার এবং যুবরাজের ফোনে বহু মহিলার নম্বর পাওয়া যায়। দেখা যায়, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার কথোপকথনও হয়েছিল। এই মহিলাদের খোঁজ করতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বিহারের পাপ্পু-গ্যাংয়ের সদস্য তারা এবং কেউ মহিলা নন! প্রথামিকভাবে বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য না হলেও এটাই সত্যি।তদন্ত সূত্রে খবর, কুখ্যাত গুন্ডাদের দল সহকর্মীদের নম্বর সেভ করত মহিলাদের নামে, যাতে কথাবার্তা বললে অথবা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করলে প্রাথমিকভাবে কোনও মহিলার সঙ্গে ব্যক্তিগত চ্যাট বলে মনে হয় এবং এর আড়ালে যে কোনও কুকর্ম চলছে, সেই সন্দেহ এড়ানো সম্ভব হয়। কিন্তু কসবায় গুলি করে কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টার পর পাপ্পু-গ্যাং সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জোগাড় করেছে পুলিশ। আর তাদের এই কৌশল দেখে বিস্মিত দুঁদে পুলিশকর্তারা। এভাবে ‘শিখণ্ডী’ খাঁড়া করে তারা বহুদিন ধরেই দুষ্কর্ম হাসিল করেছে। এই পাপ্পু-গ্যাং নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”অন্য জেলাতেও এসব হচ্ছে। বাংলা শান্ত জায়গা। বিহার বা অনুপ্রবেশ রাজ্য সরকারের বিষয় নয়। কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশের বিষয় নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তা রোখা দরকার। কলকাতা পুলিশ তো সীমান্ত আটকাবে না। ”এদিকে, গত ১৫ তারিখ রাতে যে স্কুটার নিয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল সুশান্ত ঘোষের উপর, সেই স্কুটিটা পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজখবর নিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, অপারেশনের জন্য দুষ্কৃতীরা এখানে আসার পর সেকেন্ড হ্যান্ড স্কুটি কিনেছিল। মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর সেই স্কুটি ফেলে চম্পট দেয় তারা। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনুযায়ী সে দুচাকার যানটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত কয়েকদিন ধরে পড়ে ছিল রাস্তার উপর। এলাকার বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। পুলিশের কাছে খবর দেওয়া হয়। এর পরেই পুলিশ সেকেন্ড হ্যান্ড স্কুটিটি নিয়ে যায়। এই স্কুটিতে চড়ে যুবরাজ সিং ভয় দেখাতে এসেছিল বলে অভিযোগ।

Card image cap

ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

এবার পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়েও বিতর্ক যাদবপুরে। সাংবাদিকতা বিভাগের পরীক্ষার খাতায় বিস্তর গরমিলের অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ে। দাবি, কমপক্ষে ৫০ জন পড়ুয়ার খাতা না দেখেই নাকি নম্বর দিয়েছেন এক অধ্যাপক। যা ধরা পড়েছে ওই খাতাগুলি পুনর্মূল্যায়নের সময়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণজ্ঞাপন এবং সাংবাদিকতা বিভাগের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুনর্মূল্যায়ন থেকে শুরু করে ফের ফলপ্রকাশ, সব দিক ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যের কাছে একাধিক ডেপুটেশনও জমা পড়েছে ।
ঠিক কী ঘটেছে?
অভিযোগ, সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় সেমেস্টারের কমপক্ষে ৫০ জন পড়ুয়ার খাতাই দেখা হয়নি। মিডিয়া এথিক্স এবং ল’ পেপারের একাধিক খাতা না দেখেই নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর যে কারণে, একের পর এক পড়ুয়া ওই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন বলে দাবি। যদিও ঘটনাটি বেশ কিছুদিন আগের হলেও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। এর পরই তোলপাড় শুরু হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়াময় সাত্যকি ভট্টাচার্যের দাবি, “ছাত্ররা রিভিউয়ের আবেদন করার পর আমার নজরে আসে। বহু খাতায় কিছু ত্রুটি চোখে পড়ে। এরপর আমি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে বিষয়টি জানাই। বিভাগীয় প্রধানের নজরে আনি।” এই বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পার্থসারথি চক্রবর্তী জানান, “ঘটনাটি জানতে পেরেছি। গুরুতর অভিযোগ। উপাচার্য নিজে দেখছেন। উপযুক্ত পদক্ষেপ অবশ্যই হবে। গাফিলতি তো ছিলই, না হলে এভাবে অভিযোগ উঠবে কেন! খুবই খারাপ বিষয়।”বর্তমানে ওই বিভাগের তৃতীয় সেমেস্টারের ছাত্র প্রসেনজিৎ ঘোষ। তাঁদের সঙ্গেই এমন ঘটেছে বলে দাবি। তিনি বলেন, “আমরাও বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে জানতে পারি। অভিযোগ করেছি। এভাবে অনেকেই ভুক্তভোগী। বহু বন্ধু সাপ্লি পেয়েছে। রিভিউয়ের আবেদন করেছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।”
সূত্রের দাবি, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে এক অধ্যাপকের নাম। যদিও তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল ‘সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন’। তিনি জানান, “আমি জানি না, আমার নাম কেন উঠছে। যদি কিছু ঘটে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাকে কর্তৃপক্ষ কিছু জানতে চাইলে লিখিত জানাব। কোনওভাবেই সংবাদমাধ্যমে বলব না।” বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হলে, তাঁরাও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Card image cap

কৃষ্ণা চতুর্থীতে বড় উন্নতি কর্কট-তুলার

চাঁদ আজ সারাদিন মিথুন রাশিতে গোচর করবে। সূর্য এখন বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করছে। পঞ্জিকা অনুসারে আজ অঘ্রাণ মাসের কৃষ্ণা চতুর্থী তিথি। আজ বিকেল ৫টা ২৮ মিনিটের পর কৃষ্ণা চতুর্থী ছেড়ে পঞ্চমী তিথি পড়ে যাচ্ছে। এই তিথিতে সাধ্য যোগ ও শুভ যোগের প্রভাব থাকছে। এর পাশাপাশি আজ বেলা ২টো ৫৬ মিনিট পর্যন্ত থাকবে আর্দ্রা নক্ষত্র, তারপর থাকবে পুর্নবাসু নক্ষত্র। আজ সকাল ৬টা ৪৭ মিনিটে সূর্যোদয় ও সন্ধে ৫টা ২৬ মিনিটে সূর্যাস্ত হবে। হিন্দুধর্ম অনুসারে মঙ্গলবার হল বজরংবলীর প্রিয় দিন। এই সব শুভ যোগের প্রভাবে আজকের দিনটি কোনও কোনও রাশির জাতকদের খুব ভালো কাটতে চলেছে। অন্যান্য রাশির জাতকদের আজ নানা ছোট বড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে। আজ কোন রাশির সময় ভালো, কাদের সাবধান থাকতে হবে, তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।


মেষ রাশি

মেষ রাশির জাতকরা আজ ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাবেন। খুব বেশি চাপ নেবেন না, স্বস্তিতে থাকার চেষ্টা করুন। পারিবারিক জীবনে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে, পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। ব্যয় বাড়ায় দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করবেন না। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে, সারাদিন ব্যস্ত থাকবেন।

বৃষ রাশি

বৃষ রাশির জাতকরা আজ কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেবেন না। অতি উৎসাহী হয়ে ভুল পদক্ষেপ করা হয়ে যেতে পারে। ভেবেচিন্তে কাজ করুন। কাউকে কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলে, তা পূরণের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি জটিল হবে। নিজের ধৈর্য হারাবেন, সকলে আপনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। প্রেম জীবনে সমস্যা হবে।

মিথুন রাশি

মিথুন রাশির জাতকদের আজকের দিনটি বিশেষ ভালো কাটবে না। এর জন্য আপনাদের নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও সঠিক পরিরকল্পনার অভাব দায়ী। আত্মবিশ্বাস কমবে। আজ আর্থিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। দৈনন্দিন ব্যয় পূরণের জন্য ঋণ নিতে হবে। অন্য দিকে কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন। শরীরে নিম্নাংশে ব্যথা হতে পারে।

কর্কট রাশি

কর্কট রাশির জাতকরা আজ সাফল্য লাভ করতে পারেন। কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যার ফলাফল ভালো হবে। প্রেম ও দাম্পত্য জীবনে মাধুর্য্য বজায় থাকবে। আজ আপনার আর্থিক পরিস্থিতি ভালোই থাকবে। ভবিষ্যতের জন্য অর্থ লগ্নি করতে পারেন। চাকরিজীবীদের জন্যও আজকের দিনটি ভালো।

সিংহ রাশি

সিংহ রাশির জাতকরা আজ কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন না। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করায় মনে আনন্দ থাকবে। কর্মক্ষেত্রের জন্য পরিস্থিতি খুবই ভালো। সারাদিন ব্যস্ত থাকবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে সুফল পাবেন। আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। সিংহ রাশির জাতকরা প্রেম ও দাম্পত্য জীবনে হেসেখেলে সময় কাটাবেন।

কন্যা রাশি

কন্যা রাশির জাতকরা আজ জীবনের উদ্দেশ্য ও অর্থ বোঝার চেষ্টা করবেন। দুশ্চিন্তায় ঘিরে থাকবেন, আধ্যাত্মিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে এই দুর্ভোগ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। আজ কোনও কারণে অতিরিক্ত ব্যয় সম্ভব। খরচ সামলানোর জন্য ছোটখাটো ঋণ নিতে হতে পারে। চাকরিজীবীদের ওপর কাজের চাপ থাকবে। অহংকারের কারণে প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে।

তুলা রাশি

তুলা রাশির জাতকরা আজ কোনও কাজে উত্‍সাহ পাবেন না। এই কারণে সাফল্য লাভ থেকে পিছিয়ে আসতে পারেন। খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অর্থাভাবের মুখে পড়তে পারেন। চাকরিজীবীরা কোনও কারণে ধৈর্য্য হারাবেন। অতিরিক্ত চাপের কারণে ভালো ভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন না। প্রেমী বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ব্যবহারে আপনার মনের মধ্যে বিরক্তি বাড়বে।

বৃশ্চিক রাশি

বৃশ্চিক রাশির জাতকরা আজ নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করবেন। অধিক ধনলাভের প্রবল যোগ থাকছে আজ। যে কাজের দায়িত্ব পেয়ে অন্যেরা ভয় পাবেন, সেই কাজই আপনি সহজে করতে পারবেন। সহকর্মীদের সমর্থন ও সহযোগিতা আপনার সঙ্গেই থাকবে। প্রেম ও দাম্পত্য জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

ধনু রাশি

ধনু রাশির জাতকরা আজ আধ্যাত্মিক কাজে ব্যস্ত থাকবেন। আজ আপনার আর্থিক জীবনে মজবুত হবে। এর ফলে বেশ কিছু অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন। নিজের দক্ষতার জোরে সময়ের আগে কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। অফিসে বসের কাছ থেকে প্রশংসা লাভ করবেন। প্রেম ও দাম্পত্য জীবনে পরস্পরকে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন ধনু রাশির জাতকরা।

মকর রাশি

মকর রাশির জাতকরা আজ কোনও কারণে হতাশ হতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ আগে শেষ করুন। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে লাভবান হবেন। তবে আত্মবিশ্বাসের অভাবের কারণে কাজের গতি হ্রাস পাবে। আজ ক্লান্তি ঘিরে ধরবে এই রাশির জাতকদের, যা আপনার ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে। নানা কারণে ব্যয় বাড়তে পারে, যার ফলে আপনাকে ঋণ নিতে হতে পারে।

কুম্ভ রাশি

কুম্ভ রাশির জাতকদের মধ্যে আজ ক্রিয়েটিভিটি বাড়বে। নিজের আশপাশের ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের চিন্তা ভাবনা ভাগ করে নিন। কর্মক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারবেন। অফিসে সকলে আপনার প্রশংসা করবেন। চাকরি পরিবর্তনের কথা ভাবতে পারেন। প্রেম সম্পর্ক গভীর হবে। মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

মীন রাশি

মীন রাশির জাতকরা আজ নিজের যোগ্যতা পরখ করার চেষ্টা করবেন। এর ফলে আপনি নিজের লক্ষ্যের দিকে আরও এগিয়ে যাবেন। আর্থিক পরিস্থিতি ভালো হবে। অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন মীন রাশির জাতকরা। কর্মক্ষেত্রে ভালো কাজ করে সিনিয়রদের প্রশংসা পাবেন। জটিল কাজ সহজে সম্পন্ন করতে পারবেন। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা বজায় রাখুন।

Card image cap

বিতর্ক পেরিয়ে ‘এমার্জেন্সি’র মুক্তির তারিখ জানালেন কঙ্গনা

ছবি নিষিদ্ধ করার ডাক, তথ্য বিকৃতির অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকি-সহ একাধিক বিতর্কের জাল পেরিয়ে অবশেষে ‘এমার্জেন্সি’ সিনেমার মুক্তির তারিখ ঘোষণা করলেন কঙ্গনা রানাউত। নতুন বছরেই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। নতুন পোস্টার শেয়ার করে জানিয়ে দিলেন অভিনেত্রী-প্রযোজক।সাতের দশকের প্রেক্ষাপটে তৈরি কঙ্গনার ‘এমার্জেন্সি’। ছবিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী। প্রথমে ২০২৩ সালের অক্টোবর বা নভেম্বরে ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে রিলিজ ডেট হিসেবে চলতি বছরের ১৪ জুন তারিখটি নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের কারণে ফের ছবির মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। ৬ সেপ্টেম্বর নতুন মুক্তির তারিখ হিসেবে ধার্য করা হয়।কিন্তু ৬ সেপ্টেম্বর কঙ্গনার ছবি মুক্তি পায়নি। কঙ্গনা সে সময় দাবি করেছিলেন সেন্সর সার্টিফিকেট না পাওয়ার জন্য ছবিটি রিলিজ করা গেল না। প্রসঙ্গত, ‘এমার্জেন্সি’ সিনেমা নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল ‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’র। ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শিরোমণি অকালি দলের তরফ থেকেও আপত্তি ওঠে। সোজা সেন্সর বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠিয়ে কঙ্গনা রানাউতের ছবি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।
কঙ্গনার ‘এমার্জেন্সি’ ছবি শিখ সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক। এই সম্প্রদায় সম্পর্কে ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই অভিযোগে চণ্ডীগড়ের জেলা আদালতে মামলা নথিভূক্ত করার আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী রবিন্দর সিং বাসসি। তার জেরে অভিনেত্রী তথা সাংসদকে নোটিসও পাঠানো হয়েছিল। আগস্ট মাসে প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছিলেন তারকা সাংসদ। তবে এবারে সেন্সরের ছাড়পত্র নিয়েই এমার্জেন্সি মুক্তি পাচ্ছে। আগামী বছরের শুরুতেই, ১৭ জানুয়ারি থেকে সিনেমা হলে দেখা যাবে ‘এমার্জেন্সি’।

Card image cap

বিরাটকে রুখতে স্লেজিংয়ের পথে হাঁটবে অস্ট্রেলিয়া!

আসন্ন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারত অধিনায়কের নাম রোহিত শর্মা ঠিকই। তবে অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে পয়লা নম্বর ‘শত্রু’ অবশ্য অন্য এক ভারতীয় ক্রিকেটার। বিরাট কোহলি। অজি-ভূমে দাঁড়িয়ে তাদের বোলিংকে শাসন করার পুরনো অভ্যাস রয়েছে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের। আর তাঁর আমলেই শেষ দু’টো সিরিজ অস্ট্রেলিয়া থেকে জিতে দেশে ফিরেছে ভারত।অতএব, সিরিজ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ান বোলিংয়ের মন্ত্র একটাই, ‘সব ব্যাটাকে ছেড়ে বেড়ে (পড়ুন বিরাট) ব্যাটাকে ধর!’ সে বর্তমান দলের সদস্য মিচেল মার্শই হোক বা অজি বোলিংয়ের প্রাক্তন মহাতারকা গ্নেন ম্যাকগ্রা। প্রত্যেকের মুখেই বিরাট-কথা। পারথে প্রথম টেস্টের দলে ঘরের ছেলে মার্শের থাকার সম্ভাবনায় এখনও সিলমোহর পড়েনি। তবে দলে থাকলে বিরাটকে কীভাবে রুখবেন, তার নীল-নকশা তৈরি করে ফেলেছেন অজি অলরাউন্ডার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলছিলেন, “যদি বিরাট ৩০ রান করে ফেলে, তবে আমি ওকে সোজা ধাক্কা মারব। যাতে ও মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়!” আইপিএলে খেলার সুবাদে খুব কাছ থেকে বিরাটকে দেখেছেন মার্শ। ফলে প্রাক্তন সতীর্থ একবার উইকেটে সেট হয়ে গেলে কতটা ভয়ংকর হতে পারেন, ভালোই জানেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বিরাটকে ‘স্লেজ’ করার পক্ষপাতী নন মার্শ। তাঁর বার্তা, “আইপিএলে বছর দুয়েক বিরাটের সঙ্গে খেলেছি। ফলে মাঠের ভেতরের পাশাপাশি বাইরেও ওকে দেখেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি কোনওভাবেই ওকে উত্তেজিত করতে চাই না। আগেও সেটা করিনি। এবারও নিখাদ ক্রিকেটীয় লড়াইয়ের মধ্যে বিষয়টি সীমাবদ্ধ রাখতে চাই।”অন্যদিকে ক’দিন আগেই ভারতীয় দলের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন জানিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে আউট করার অস্ত্র তাঁর জানা আছে। রবিবার অশ্বিনকে কীভাবে সামলানো যায়, তা নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিলেন স্মিথ। তিনি জানিয়েছেন যে, অশ্বিন তাঁকে অতীতে আউট করলেও ভারতীয় স্পিনারকে সামলানোর ক্ষমতা তাঁর আছে। প্রাক্তন অজি অধিনায়ক বলেছেন, “আমি অফ স্পিনে আউট হওয়া পছন্দ করি না। কিন্তু অশ্বিন দারুণ বোলার। ও আমাকে বেশ কয়েকবার আউট করেছে। তবে ওর বিরুদ্ধে সফল হওয়ার কৌশল জানি। ওকে কখনও থিতু হতে দেওয়া যাবে না। ওকে আক্রমণ করতে হবে।” উল্লেখ্য, অশ্বিন কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, স্মিথ কীভাবে ব্যাট করেন, তা তাঁর জানা আছে। সেভাবেই তিনি বোলিং করবেন।এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটারের মন্তব্য, “অশ্বিন এবং আমার মধ্যে বেশ কয়েকবার লড়াই হয়েছে। এই ধরনের লড়াইয়ে যে চাপে পড়ে, সে পিছিয়ে যায়। এটা সম্পূর্ণই মানসিক লড়াই।” তিনি আরও জানিয়েছেন যে, আসন্ন সিরিজে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তাঁর বক্তব্য, “আমি আমার সেরাটা দিতে চাই।” ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে স্মিথ তাঁর পছন্দের জায়গা চার নম্বরেই ব্যাট করবেন। স্মিথ জানিয়েছেন, শুরুটা ভালো হওয়া দরকার।

Card image cap

হিমেল হাওয়ায় কমছে তাপমাত্রা

উৎসবের মরশুম শেষ হতে না হতেই বঙ্গে বেশ ঠান্ডার আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছিল। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে পারদ পতন হচ্ছিল হু হু করে। বিশেষত পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা দশের কাছাকাছি নেমেছিল। কলকাতাতেও ২০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা দেখা গিয়েছিল। মাঝ নভেম্বরে বাংলার হাওয়ায় এমন পরিবর্তন শেষ কবে দেখা গিয়েছিল, মনে করতে পারছেন না। তবে এত আয়োজন করেও শীত কিন্তু এখনও বেশ খানিকটা দূরে। সপ্তাহের প্রথম দিন এমনই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বলা হচ্ছে, পুরোপুরি শীতকাল আসতে আরও দেরি।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সকালে কুয়াশার দাপট থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে যাবে, সেইসঙ্গে সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে তাপমাত্রা। সামগ্রিকভাবে শুষ্ক আবহাওয়া রাজ্যের সর্বত্র। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই আপাতত। রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই সকালে  ও রাতে শীতল আমেজ। গ্রামাঞ্চলে কোথাও কোথাও শীতবস্ত্রের ব্যবহারও শুরু করেছেন মানুষজন। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী কয়েকদিন এমনই থাকবে রাজ্যের সামগ্রিক আবহাওয়া। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কুয়াশার দাপট এবং কনকনে উত্তুরে হাওয়ার পরশ টের পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই। দার্জিলিঙে দশ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা। মালদহ ও দুই দিনাজপুরে কুয়াশা সবচেয়ে বেশি। 
সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিনও কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ফের ২০ ডিগ্রির নিচে পারদ। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৩৮ থেকে ৯৩ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে কলকাতার আবহাওয়া এমনই থাকবে, জানিয়েছেন আবহবিদরা। সকাল-সন্ধেয় বাতাসে শীতল ছোঁয়া হেমন্তের জানান দিচ্ছে। তবে এত কিছুর পরও বঙ্গে শীতের আগমন এখনই হচ্ছে না। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এ মাসে নয়, বঙ্গে জাঁকিয়ে শীত পড়তে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। 

Card image cap

হাসপাতালের ছাদ থেকে মরণঝাঁপ রোগীর!

হাসপাতালের ছাদ থেকে মরণঝাঁপ রোগীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চন্দননগর হাসপাতালে। কিন্তু কেন এই ঘটনা? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও।জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম প্রকাশচন্দ্র বাইন। আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা তিনি। গত সাতবছর ধরে চন্দননগরের মহাডাঙা কলোনিতে থাকেন। তিনদিন আগে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, রবিরার রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎই হয়ে আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠেন প্রকাশ। টেবিল থেকে একটি কাঁচি নিয়ে অন্য রোগী ও নার্সদের দিকে তেড়ে যান। আচমকা ঢুকে পড়েন ফিমেল মেডিসিন বিভাগে। এর পর নার্সিং স্টাফদের ঘরের ভিতর দিয়ে গিয়ে সিঁড়ি বেয়ে সটান হাজির হন ছাদে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা ঝাঁপ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় জরুরি বিভাগে। রাত তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় প্রকাশবাবুর। খবর পেয়ে সোমবার ভোরে হাসপাতালে যান পরিবারের সদস্যরা।সকালেই হাসপাতালে যান হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি কর। সুপারকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। মৃতের স্ত্রী মিঠু বাইন বলেন, “হাসপাতাল থেকে ফোন করা হয় তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য। এমন কিছু হতে পারে ভাবিনি।” মৃতের শ্যালিকা জানান, প্রকাশবাবু নিয়মিত মদ্যপান করতেন। হাসপাতাল সুপার সন্তু ঘোষ বলেন, “তিনদিন আগে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। ক্রনিক অ্যালকহলিক রোগী ছিলেন। মদ না খেলে এইরকম আক্রমনাত্মক হয়ে উঠতেন। তার জেরেই এই ঘটনা।”

Card image cap

বীরভূমে হেনস্তার শিকার নার্স!

আর জি কর আবহে এবার বাংলায় হেনস্তার শিকার নার্স। দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে রীতমতো তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরকে। নার্সের সঙ্গে বচসা, তাঁর দিকে তেড়ে যাওয়ার অভিযোগ। ওই কাউন্সিলর হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ।বীরভূমের দুবরাজপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ নাজিরুদ্দিন। রবিবার গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বীরভূমের দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, উচ্চ রক্তচাপের জন্যই নাকি শ্বাসকষ্ট। প্রেসার মাপার জন্য নার্সের কাছে যেতে বলেন ডাক্তার। অভিযোগ, সেই সময়ই নাকি নার্সের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন কাউন্সিলর। মারধর করেন এক পুলিশ কর্মীকেও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে।কী সাফাই শেখ নাজিরুদ্দিনের? কাউন্সিলরের দাবি, তাঁকে প্রেসার মাপতে নার্সের কাছে যেতে বলেছিলেন চিকিৎসক। তিনি গিয়েওছিলেন। অভিযোগ, তাঁকে বসিয়ে রাখলেও প্রেসার মাপেননি নার্স। তাতেই একটা সময়ের পর মেজাজ হারান কাউন্সিলর। তিনি তেড়ে যান নার্সের দিকে। শেখ আসমাউল নামে কনস্টেবলকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সিএমওএইচ বলেন, “আমি বিষয়টা শুনেছি। বিএমওএইচের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।”