Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে হুঙ্কার পাক সরকারের

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটাও ম্যাচ দেশ থেকে সরাতে দেওয়া হবে না। সাফ জানিয়ে দিল পাকিস্তান সরকার। ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না বলে ঘোষণা করার পরেই সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিল পিসিবি। আগামী দিনে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, সেই বিষয়ে শাহবাজ শরিফ সরকারের পরামর্শ চেয়েছিল পাক বোর্ড। পরামর্শ দিতে গিয়েই সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনওভাবেই দেশের মাটি থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ সরানো যাবে না।দীর্ঘ জল্পনার পরে রবিবার পাক বোর্ডের তরফে জানানো হয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যেতে চায় না ভারত। তার পরেই শোনা যায়, ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনি পরামর্শ নিতে পারে পিসিবি। এমনকী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নামও প্রত্যাহার করতে পারে পাকিস্তান। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের দ্বারস্থ হয় পাক বোর্ড। পিসিবি মুখপাত্র সামি উল হাসান বলেন, “আইসিসি থেকে একটি ইমেল পেয়েছে পাক বোর্ড। আপাতত ওই ইমেল ফরোয়ার্ড করে দেওয়া হয়েছে সরকারের কাছে। আগামী দিনে কী পদক্ষেপ করা উচিত সেই নিয়ে সরকারের পরামর্শ চাইবে পিসিবি।”শাহবাজ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কোনও ম্যাচ পাকিস্তান থেকে সরানো হবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পিসিবি কর্তা বলেন, “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের অধিকার রয়েছে আমাদের হাতে। তাই কোনওমতেই ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে সরানো যাবে না। আগামী দিনেও আমরা এই কথাই বলব। সরকারের তরফে আমাদের এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পিসিবির জন্য শুধু সম্মানের বিষয় নয়, পিসিবির আর্থিক ভবিষ্যৎও নির্ভর করছে এই টুর্নামেন্টের উপর। হিসাবে বলছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে না হলে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মার্কিন ডলার লোকসান হতে পারে পাক বোর্ডের। টিকিটের দাম, স্পনসরশিপ, সম্প্রচার স্বত্ত্ব সব মিলিয়ে এই বিপুল অর্থ লাভের আশায় পাক বোর্ড। যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলেও হয়, তাহলেও একটা বড় অঙ্কের লাভ কমে যাবে। তাই কোনও অবস্থাতেই পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে হাতছাড়া করতে চায় না।

Card image cap

মঞ্চে আচমকাই মোদিকে প্রণাম করতে গেলেন নীতীশ!

তৃতীয় বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণের আগে তাঁকে প্রণাম করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে তাঁকে বিরোধীদের খোঁচার মুখেও পড়তে হয়েছিল। ভোটের আগে এক জনসভাতেও একই কাজ তিনি করেছিলেন। সেই দৃশ্যেরই পুনরাবৃত্তি হল বুধবার। ফের মোদিকে প্রণাম করতে গেলেন তিনি। যা দেখে দ্রুত তাঁকে নিবৃত্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী। করমর্দন করলেন জেডিইউ নেতার সঙ্গে।ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভরা মঞ্চে একসঙ্গে বসে রয়েছেন মোদি ও আরও অনেকে। আচমকাই মঞ্চে প্রবেশ করেন নীতীশ কুমার। দ্রুত এগিয়ে এসে তিনি স্পর্শ করতে যান প্রধানমন্ত্রীর পা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হাত ধরে ফেলেন মোদি। পরিবর্তে করমর্দন করেন।এই প্রথম নয়। এর আগেও এই বছর এমন দৃশ্য দুবার দেখা গিয়েছে। গত জুন ও এপ্রিলে। জুনের প্রণামের পর ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর তাঁকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ”মানুষ আমার কাছে জানতে চায় কেন আমি নীতীশ কুমারের সমালোচনা করি, যেখানে আমি অতীতে ওঁর সঙ্গে কাজ করেছি। উনি আসলে তখন একেবারেই একদম অন্য একটা মানুষ ছিলেন। নিজের আত্মাকে বিক্রি করতে চাননি। একজন রাজ্যের প্রধানের জন্য মানুষ গর্বিত হয়। কিন্তু নীতীশ কুমার বিহারকে লজ্জিত করেছেন মোদির পা ছুঁয়ে।” সেই সঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ”উনি চান মোদির পা ধরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে।”
গত এপ্রিলে বিহারে এক জনসভায় তাঁদের একই মঞ্চে দেখা যায়। পাশে বসে থাকা মোদির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। তা নিয়ে সেই সময়ও চর্চা হয়েছিল। মজার বিষয়, মোদি ও নীতীশের বয়স প্রায় সমান। প্রধানমন্ত্রীর যেখানে বয়স ৭৪, সেখানে নীতীশের বয়স ৭৩। তবে নীতীশের এহেন প্রণাম-প্রীতি কেবল মোদির ক্ষেত্রেই নয়, অন্য ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি চিত্রগুপ্ত পুজো উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রবীণ বিজেপি নেতা আর কে সিংয়ের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন নীতীশ। এর পরই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দেন বর্ষীয়ান আর জে ডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। বলেন, “মানুষের পায়ে ধরাই তো ওর স্বভাব।”

Card image cap

দাদার খুনের প্রতিশোধ নিতে শুটআউট, খুন তৃণমূল নেতা?

চার বছর পর বদলা! দাদার খুনের প্রতিশোধ নিতে শুটআউট, বোমাবাজি এবং হত্যাকাণ্ড? তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অশোক সাউ খুনের নেপথ্যে এমনই কাহিনি শোনা গেল এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই খুন সুজল সাউ নামে এক সমাজবিরোধী ও তার গোষ্ঠীর কাজ। এই সুজলের দাদা আকাশ সাউ খুন হন ২০২০ সালে। সেসময় ভাটপাড়ার ১৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি অশোক সাউ। তার বদলা নিতেই আজকের হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এটা সমাজবিরোধীদের কাজ। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং কঠোরতম শাস্তির দাবি বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিকের।সালটা ২০২০। ভাটপাড়ার পালঘাট রোডে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছিল আকাশ সাউ নামে একজনের। সে এলাকায় দাগি দুষ্কৃতী বলে পরিচিত। মাদকের ব্যবসা থেকে শুরু করে পেশাদার খুনি, সবই ছিল এই আকাশ। কোনও একটা মামলায় আকাশকে হাতের কাছে পেয়ে গণপ্রহার করেন জনতা এবং তার মৃত্যু হয়। সেসময় ঘটনাস্থল অর্থাৎ ভাটপাড়ার ১৬ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন অশোক সাউ। তিনি ১২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আকাশের দলবল তাঁকেই টার্গেট করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, চারবছর ধরে সুদীর্ঘ পরিকল্পনা এবং নৈহাটি উপনির্বাচনের দিন সাতসকালে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।ভাটপাড়া তৃণমূল নেতৃত্ব সূত্রে জানা যাচ্ছে, হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারী বছর আঠাশের সুজল সাউ সম্পর্কে আকাশের ভাই। সেও কুখ্যাত সমাজবিরোধী বলে এলাকায় পরিচিত। বুধবার সকালে এলাকার চায়ের দোকানে তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অশোক বসে থাকার সময় তাঁর উপর হামলা চালায় ৭-৮ জনের একটি দুষ্কৃতী দল। কয়েক রাউন্ড গুলির পর বোমাও ছোড়া হয় বলে দাবি। এর পর দোকানে ঢুকে প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতিকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর দেহে চারটি গুলি লাগে। পরে হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় মৃত্যু হয় অশোকের। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, হত্যাকারী সুজল এবং তার দলবদল জগদ্দলের দাপুটে তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ। ফলে এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনাও হতে পারে।যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বলছে, এমন কোনও ব্যাপার নয়। অশোক খুন হয়েছে সমাজবিরোধীদের হাতেই। তাই হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারি ও কড়া শাস্তির দাবি করা হয়েছে। বারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিকের কথায়, ”খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের দলের একজন সক্রিয় নেতার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। তাও আবার আজকের ইলেকশনের দিন। আমরা ওদিকে ব্যস্ত ছিলাম। সেই সুযোগে এমনটা ঘটে গেল। আসলে বারাকপুর এলাকায় এতদিন ধরে অর্জুন সিং যে গুন্ডারাজের চাষ করেছে, তার রেশ হিসেবে এসব চলছে। অর্জুন সিং জেনে রাখুন, এই গুন্ডারাজ শেষ করবই। তখন তাকেও ভাটপাড়া ছেড়ে চলে যেতে হবে।”

Card image cap

বিষ্ণুপুরে অফিস ঘর থেকে উদ্ধার ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ

ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু বিষ্ণুপুরে! মঙ্গলবার বিকেলে অফিস ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ব্যবসায়ীর নাম শ্যামাপদ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিষ্ণুপুর শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। আত্মহত্যা না কি খুন? তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিষ্ণুপুরে শ্যামাপদের জামা, গেঞ্জির কারখানা রয়েছে। সঙ্গে রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসাও ছিল। এছাড়া প্রোমোটারিও করতেন। কিছুদিন আগে একটি বাংলা ছবিতে বিনিয়োগ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন যাবৎ ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। তা নিয়ে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ব্যবসায়ী আত্মঘাতী হয়েছেন।কর্মচারীদের থেকে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ১টার দিকে বাড়ির কাছের অফিসে আসতেন শ্যামাপদ। তবে মঙ্গলবারে ১১টার সময় অফিসে চলে আসেন তিনি। অফিসের পিছনে একটি আলাদা ঘরে তিনি বিশ্রাম নিতেন। ঘটনার দিন সেই ঘরেই কাজ করছিলেন। বিভাস রায় নামে এক কর্মচারী দুপুরে খেতে যাওয়ার আগে ওই ঘরেই মালিককে দেখেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, মালিক অফিসেই ছিলেন। সেই সময় সময় ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠ এক কর্মচারী অফিসে কাজ করছিলেন। তিনি অর্থনৈতিক দিকটি দেখেন। পরে ওই কর্মচারী খেতে বেরিয়ে যান বলে জানিয়েছেন বিভাস।বিকেল চারটে নাগাদ বিভাস ফিরে আসেন। সেই সময় দেখেন, অফিসের বাইরে শ্যামাপদবাবুর বাইক রয়েছে। তিনি ভিতরে যাওয়ার পর মালিকের কোনও সাড়াশব্দ পাননি। সন্দেহ হতেই তাঁর ঘরে গিয়ে দেখেন ওই ব্যবসায়ীর দেহ ঝুলছে। সেই সময় কেউ ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। খবর পাঠানো হয় পুলিশে। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।কর্মচারী বিভাস রায় বলেন, “দুপুর ২টোর দিকে আমি খেতে বেরিয়ে যাই। পার্থ চন্দ্র অফিসে ছিলেন। পরে তিনিও বেরিয়ে যান। সাড়ে চারটের দিকে ফির এসে দেখি বাইরে মালিকের বাইক রয়েছে। অন্যদিনের মতো অর্ধেক নামানো শাটার তুলে ভিতরে গিয়ে নিজের কাজ করছিলাম। অন্যদিন আমরা গেলে মালিক বুঝতে পারতেন। কিন্তু মঙ্গলবার কোনও সাড়াশব্দ পাইনি। সন্দেহ হতেই পাশের ঘরে গিয়ে দেখি ওঁর দেহ ঝুলছে। কেন এই রকম করল, জানি না। তবে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে একটি বাংলা মুভিও করেছিলেন। সেখানে অনেক টাকা লস হয়েছে শুনেছিলাম। আমাদের সেভাবে কিছু বলতেন না।” অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।

Card image cap

বিচারপর্বের শুরুতে সঞ্জয়কে নিয়ে বাড়তি সতর্ক পুলিশ

বাড়ানো হল নিরাপত্তা। পালটানো হল গাড়ি। অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এল আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের ‘বদ-আচরণ’। বন্ধ হল অকারণে চিৎকার করে ইচ্ছামতো সবাইকে দোষারোপ করা। বার বার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ও ‘ফাঁসানোর দাবি’ও এতে বন্ধ হয়েছে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।আদালতে চার্জ গঠনের দিন সঞ্জয় রায় প্রিজন ভ‌্যান থেকে চিৎকার করে সাফাই দেয় যে, তাকে ‘আসলদের বাঁচাতে’ ফাঁসানো হচ্ছে। সোমবার বিচারপর্বের প্রথম দিনের শুনানির পর শিয়ালদহ আদালত থেকে প্রিজন ভ‌্যানে করে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নিশানা করে। ফের তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করতে থাকে।সূত্রের খবর, বিশেষ নিরাপত্তার কারণেই এদিন দুপুরে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে সঞ্জয় রায়কে নিয়ে রওনা দেয় একটি ‘কনভয়’। ৬টি গাড়ির কনভয়ে ছিল প্রিজন ভ‌্যানও। যদিও পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ওই ‘ডামি’ প্রিজন ভ‌্যানে সঞ্জয় ছিল না। তার গাড়ি পাল্টানো হয়। একটি সাদা রঙের কাচতোলা গাড়িতে তাকে নিয়ে আসা হয়। কাচের উপর রয়েছে তারের জাল। সূত্রের খবর, বিশেষভাবে তৈরি ওই গাড়িতে গুরুত্বপূর্ণ মামলার অভিযুক্তদের নিয়ে যাতায়াত করা হয়। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সও ব‌্যবহার করে ওই গাড়ি। এদিন ওই গাড়ি থেকে শিয়ালদহ আদালত চত্বরে নামানোর পরই সঞ্জয় চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘‘আমার গাড়ি পালটানো হয়েছে।’’ যদিও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতের লকআপে। এদিন শুনানির শেষেও ওই গাড়ি করেই তাকে প্রেসিডেন্সি জেলে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়। গা়ড়ির কাচ বন্ধ ছিল। সঞ্জয়ের দু’পাশে ছিলেন দুই পুলিশকর্মী। কঠোর নিরাপত্তায় থাকা সঞ্জয়ের গাড়ির পিছনের সিটেও ছিলেন সশস্ত্র পুলিশকর্মীরা। তাই এদিন আদালত থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পথে সঞ্জয় রায় আর চিৎকার করে কিছু বলতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।এদিকে মঙ্গলবার আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিচারপর্ব। তারই অঙ্গ হিসাবে রুদ্ধদ্বার কক্ষে শুরু হয়েছে সাক্ষ‌্যগ্রহণ। সোমবার বিচারপর্বের প্রথম দিনেই সাক্ষ‌্য দেন নির্যাতিতার বাবা ও এক পারিবারিক বন্ধু। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে নির্যাতিতার সহকর্মী দুই ডাক্তারি পড়ুয়ার সাক্ষ‌্যগ্রহণ করা হয়। বুধবার ট্রায়ালের তৃতীয় দিনে আর জি করের চেস্ট বিভাগের এক চিকিৎসক ও অন‌্য এক মহিলা চিকিৎসক সাক্ষী দিতে পারেন। এদিনও অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারকের রুদ্ধদ্বার কক্ষে হাজির করা হয় অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে।আদালতের সূত্র অনুযায়ী, আদালত কক্ষেও সে নিজের মতো কিছু বলার চেষ্টা করে। যদিও বিচারপর্বে এই অবস্থায় তার কিছু বলার কথা নয়। সঞ্জয়ের দুই আইনজীবী সাক্ষীদের ‘ক্রস’ করেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে সঞ্জয় রায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে প্রিজন ভ‌্যানে বসে চিৎকার করে যে আচরণ করছিল, সেই ব‌্যাপারে এদিন আইনজীবীরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এদিন আদালতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেও সঞ্জয় রাইয়ের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশকর্মীদের বিশেষ সতর্ক করা হয়।

Card image cap

জেলায় জেলায় নামল পারদ!

পূর্বাভাস সত্যি করে মাঝ নভেম্বরে জেলায় জেলায় নামল তাপমাত্রার পারদ। পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১৬ ডিগ্রিতে। কিন্তু তিলোত্তমাবাসীদের এখনও বেলা গড়ালেই নাভিশ্বাস উঠছে। প্রশ্ন, কবে নিম্নমুখী হবে তাপমাত্রা? অনুভূত হবে শীতের আমেজ? হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সপ্তাহান্তে বদলাবে কলকাতার আবহাওয়া। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ২০ ডিগ্রিতে।আগামিকাল আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। উত্তর-পশ্চিমে হাওয়া বদলের ইঙ্গিত। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের অবস্থান। এই নিম্নচাপ ক্রমশ পশ্চিমমুখী অগ্রসর হবে। উত্তর তামিলনাডু ও দক্ষিণ অন্ধপ্রদেশ উপকূলে এর প্রভাব পড়বে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে নামবে তাপমাত্রার পারদ। সবজেলায় অনুভূত হবে শীতের আমেজ। পুরুলিয়াতে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা নেমেছে ১৬ ডিগ্রিতে। আগামী দু-তিন দিনে আরও কিছুটা নামবে তাপমাত্রা। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রিতে নামতে পারে চলতি সপ্তাহেই। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।এদিকে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির খুব সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি কোনও জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মূলত শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া। পার্বত্য এলাকায় জলীয় বাষ্প থাকায় বাতাসে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে। সকালের দিকে নিচের জেলা মালদহ ও দুই দিনাজপুরে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। উল্লেখ্য, আজ ও আগামিকাল কুয়াশা থাকবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডিগড়, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশে। পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে কুয়াশা দাপট বেশি থাকবে।

Card image cap

দক্ষিণ কলকাতার বেকারি বাজারে দাউদাউ আগুন

ভরদুপুরে ফের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড দক্ষিণ কলকাতায়। বুধবার দুপুরে লেক গার্ডেন্সের একটি ঝুপড়ি এলাকায় দাউদাউ আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। আতঙ্কে এলাকাবাসী।  পাশের আনোয়ার শাহ রোড দিয়ে যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ঘটনাস্থলে যায় যাদবপুর থানার পুলিশ। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাণহানি হয়নি। দিন কয়েক আগে লেক গার্ডেন্সের কাছে একটি বসতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দমকল দেরিতে পৌঁছয় বলে অভিযোগ। ঝুপড়ির বেশিরভাগ ভস্মীভূত হয়ে যায়। সেবার দমকল ও জনপ্রতিনিধিদের দিকে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। বুধবার এই এলাকারই বেকারি বাজারের মতো ঘিঞ্জি জায়গায় আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল। কালো ধোঁয়া দেখে প্রথম আগুনের খবর জানতে পারেন পথচারীরাই। খবর পাঠানো হয় দমকলে। তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে আরও ইঞ্জিন পাঠানো হয় বলে খবর। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে অনেকটা দূর। চারপাশ থেকে দোকানদাররাও বেরিয়ে আসেন আতঙ্কে। জানা গিয়েছে, বেকারি বাজারের অন্তত ১০ থেকে ১২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রচুর ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। লেক গার্ডেন্সের এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী দাস, বিধায়ক দেবাশিস কুমার। আগুন এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে আনোয়ার শাহ রোড দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ট্রাফিক পুলিশ। দক্ষিণ কলকাতার এমন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। 

Card image cap

ট্যাব দুর্নীতির তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখছে পুলিশ

পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার জন্য টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্কুল থেকে এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী আসরে নেমে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নেমেছে। ইতিমধ্যে তাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ১০ জন। কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত ২ জন। কীভাবে এই দুর্নীতি ঘটল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কোথাও কোথাও ‘সর্ষের মধ্যে ভূত’ আছে বলেও তদন্তে উঠে এসেছে। অর্থাৎ ট্যাব দুর্নীতিতে স্কুলে কোনও কোনও কর্মীরা জড়িত থাকতে পারেন। হাতে আসা তথ্য দেখে প্রাথমিকভাবে তা মনে করছে পুলিশ।বুধবার প্রেস বিবৃতিতে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ট্যাব দুর্নীতি নিয়ে ৫৬ টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানে ৫, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ এবং চোপড়া থেকে কলকাতা পুলিশের জালে দুজন ধরা পড়েছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সরাসরি কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ খতিয়ে দেখছে, এরা একই গোষ্ঠীর সদস্য নাকি প্রত্যেকে পৃথকভাবে এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ব্যাঙ্কের লেনদেন। ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড কীভাবে এবং কাদের মাধ্যমে অভিযুক্তরা পেয়েছিল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেলাগুলি থেকে অহরহ এই অভিযোগ আসছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ঝাড়গ্রামে।উল্লেখ্য, স্কুলের উচ্চশিক্ষা অর্থাৎ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু হয়েছে সেই করোনাকাল থেকে। প্রত্যেক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় সরকারের তরফে। তা দিয়ে ট্যাব কিনে অনলাইন ক্লাস করতে পারে পড়ুয়ারা। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই ট্যাব কেনার টাকাতেই বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। মূলত অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রেই এই গরমিল চোখে পড়েছে। বর্ধমানের একটি স্কুলে এই ঘটনা প্রথম চোখে পড়ে। সেখানে ২৮ জনের অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা গায়েব। বর্ধমান সাইবার থানায় অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু হয়। এর পর অন্যান্য জেলা থেকেও এক অভিযোগ ওঠে। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নজরে পড়তেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি পড়ুয়াদের জন্য প্রকল্পের অর্থ নিয়ে কারা জালিয়াতি করেছে, তার জন্য তদন্ত শুরু হয়।

Card image cap

আচমকা অর্থলাভ হবে ৪ রাশির

চাঁদ আজ মীন রাশি ছেড়ে মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে। এই সময় সূর্য অবস্থান করছে তুলা রাশিতে। পঞ্জিকা অনুসারে আজ কার্তিক শুক্লা দ্বাদশী তিথি। আজ বিকেল ৩টে ২৬ মিনিটের পর ত্রয়োদশী তিথি পড়ে যাচ্ছে। এই তিথিতে বজ্র যোগ ও সিদ্ধি যোগের প্রভাব থাকছে। এর পাশাপাশি আজ রাত ৩টে ১১ মিনিট পর্যন্ত থাকবে রেবতী নক্ষত্র, তারপর থাকবে অশ্বিনী নক্ষত্র। আজ সকাল ৬টা ৪২ মিনিটে সূর্যোদয় ও সন্ধে ৫টা ২৮ মিনিটে সূর্যাস্ত হবে। হিন্দুধর্ম অনুসারে বুধবার হল গণপতির প্রিয় দিন। এই সব শুভ যোগের প্রভাবে আজকের দিনটি কোনও কোনও রাশির জাতকদের খুব ভালো কাটতে চলেছে। অন্যান্য রাশির জাতকদের আজ নানা ছোট বড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে। আজ কোন রাশির সময় ভালো, কাদের সাবধান থাকতে হবে, তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।


মেষ রাশি

মেষ রাশির জাতকদের যশবৃদ্ধি হবে। প্রেম জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে দূরে কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন। সন্তানের কারণে আজ মন খারাপ হবে। তবে ভয় পাবেন না। বাবার সহযোগিতায় সন্ধের মধ্যে দুশ্চিন্তার অবসান হবে। দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে। উপার্জন ভালো হবে এই রাশির জাতকদের।

বৃষ রাশি

বৃষ রাশির জাতকদের প্রেম জীবন ভালো কাটবে। কর্মক্ষেত্রে নতুন প্রকল্পে মনোনিবেশ করতে হবে। পরিজনদের সঙ্গে মন্দির দর্শনের জন্য যেতে পারেন। এর ফলে মানসিক শান্তি লাভ করবেন। পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারবেন। ব্যবসায় বন্ধুদের পরামর্শে লাভ হবে।

মিথুন রাশি

মিথুন রাশির জাতকরা প্রবীণদের সহযোগিতা লাভ করবেন। সহকর্মীরা আপনার পরামর্শে কাজ করবেন। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা মজবুত হবে। সম্পূর্ণ হতে পারে এমন কাজই করুন। জীবনসঙ্গীর স্বাস্থ্য দুর্বল হবে, তাই সতর্ক থাকুন।

কর্কট রাশি

কর্কট রাশির জাতকদের চিন্তাভাবনা আজ ভালো থাকবে। ভাই-বোনের সঙ্গে ভালো সময় কাটাবেন। প্রেম জীবনে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে। সন্ধেবেলা শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। বাড়ির সমস্ত অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখুন।

সিংহ রাশি

সিংহ রাশির জাতকদের শত্রুরা আপনার সামনে শুভাকাঙ্খী সেজদে থাকবেন এবং পেছনে আপনার কাজে বাধা সৃষ্টি করবেন। ব্যস্ততায় দিন কাটবে। জীবনসঙ্গীর জন্য সময় বের করতে পারবেন এই রাশির জাতকরা। ছাত্রছাত্রীরা অপ্রিয় সংবাদ শুনবেন। একাগ্র হয়ে পড়াশোনা করতে হবে।

কন্যা রাশি

কন্যা রাশির জাতকরা ব্যবসায় পরিশ্রমের ফল না পাওয়ায় হতাশ হবেন। মুখের ভাষা ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ব্যবসায় লাভের সম্ভাবনা থাকলেও কাজে বাধা আসবে। এখনই কাউকে টাকা ধার দেবেন না। সন্ধেবেলা বন্ধুদের সাহায্যে আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

তুলা রাশি

তুলা রাশির জাতকদের কর্মক্ষেত্রে কোনও বিবাদ চললে তার সমাধান খুঁজে পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে নতুন প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পাবেন। ভবিষ্যতে এর দ্বারা লাভ হবে। জমি-সম্পত্তির কাগজপত্রের কারণে কিছু সমস্যা হতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন। ব্যবসায় ওঠাপড়া দেখা দেবে।

বৃশ্চিক রাশি

বৃশ্চিক রাশির জাতকদের পরিবারের সদস্যরা আপনার নিয়মনীতির কারণে রুষ্ট হতে পারেন। কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য সময় বের করতে হবে। ধর্মীয় আবেগ প্রবল হবে। ব্যবসায় নতুন পরিকল্পনা আনতে পারেন। ভবিষ্যতে এর দ্বারা লাভবান হবেন।

ধনু রাশি

ধনু রাশির জাতকদের স্বাস্থ্য আজ দুর্বল হতে পারে। তাই শীঘ্র চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। কর্মক্ষেত্রে কাজ করার সময় সতর্ক থাকুন। কারণ শত্রু আপনার লোকসান করতে পারে। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ গ্রহণের জন্য আজকের দিনটি শুভ। অর্থ উপার্জনের জন্য পার্ট টাইম কাজ করতে পারেন।

মকর রাশি

মকর রাশির জাতকদের ভাই-বোনের বিয়েতে কোনও বাধা আসতে পারে। অংশীদারির ব্যবসা করে থাকলে ভালো মুনাফা পাবেন। সন্তানের পড়াশোনা সংক্রান্ত জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সরকারি চাকরিজীবীরা সততার সঙ্গে কাজ করুন। আলস্য ত্যাগ করতে হবে।

কুম্ভ রাশি

কুম্ভ রাশির জাতকদের স্বাস্থ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাইরের খাওয়া-দাওয়া এড়িয়ে যান, না হলে পেটে ব্যথা হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করে কোনও কাজ করবেন না। পরিবারের কোনও সদস্যের ব্যবহারের কারণে পরিবেশ নষ্ট হবে। জীবনসঙ্গীর পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন।

মীন রাশি

মীন রাশির জাতকরা আজ ব্যবসায় ঝুঁকি নিতে পারেন। ভাই-বোনের সহযোগিতা লাভ করবেন। আর্থিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো থাকবে না। ব্যয় বাড়বে ও আয় কমবে। ধৈর্য্য ও নরম ব্যবহারের কারণে পারিবারিক বিবাদের সমাধান করতে পারেন। নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

Card image cap

চিরশান্তির দেশে ‘বাঞ্ছারাম’

না ফেরার দেশে থিয়েটার ও চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি শিল্পী মনোজ মিত্র। বাঙালিকে নস্ট্যালজিয়ায় ভাসিয়ে চিরশান্তির দেশে বাঞ্ছারাম। মঙ্গলবার দুপুর ৩ টে নাগাদ শিল্পীর মরদেহ শায়িত থাকে রবীন্দ্রসদনে। প্রিয়শিল্পীকে শেষ দেখা দেখতে সেখানে হাজির হয়েছিলেন অসংখ্য অনুরাগী। সন্ধ্যায় নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় মনোজ মিত্রর।৮৫ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ‘বাঞ্ছারামার বাগান’, ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ খ্যাত অভিনেতা। সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার জয়ী নট ও নাট্যকারের প্রয়াণে বাংলা সংস্কৃতি জগতে বিরাট শূন্যতা তৈরি হল। সল্টলেকের ক্যালকাটা হার্ট ইন্সিটিউটে ভর্তি ছিলেন থিয়েটার, টেলিভিশন, সিনেমা জগতের দাপুটে শিল্পী। ভর্তির সময় হাসপাতাল জানিয়েছিল, তাঁর হৃদযন্ত্র ঠিক মতো কাজ করছে না। হার্ট পাম্পের সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই। ক্রিয়েটিনিনও বিপজ্জনক মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। সোডিয়াম-পটাসিয়ামেরও সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রবীণ অভিনেতার চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। যদিও চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা বৃথা গেল!মনোজ মিত্রের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের সাতক্ষিরা জেলার ধূলিহর গ্রামে। ১৯৫৮ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে অনার্স-সহ স্নাতক হন তিনি। এই কলেজেই থিয়েটারে দীক্ষিত হন। সঙ্গী হিসেবে পান বাদল সরকার, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের মতো ব্যক্তিত্বদের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে এমএ করেন। ডক্টরেটের জন্য গবেষণা শুরু করেছিলেন।
১৯৫৭ সালে কলকাতায় মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু মনোজ মিত্রর। ১৯৭৯ সালে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে বিভিন্ন কলেজে দর্শন বিষয়েও শিক্ষকতা করেন। যদিও প্রথম নাটক ‘মৃত্যুর চোখে জল’ লেখেন ১৯৫৯ সালে কিন্তু ১৯৭২-এ ‘চাক ভাঙা মধু’ নাটকের মাধ্যমে তিনি পরিচিতি তৈরি হন। ওই নাটকটির মঞ্চ নির্দেশনা করেন বিভাস চক্রবর্তী। নাট্যগোষ্ঠী ‘সুন্দরম’ প্রতিষ্ঠাতাও মনোজ মিত্র। থিয়েটারের মতোই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও খ্যাতি অর্জন করেন কিংবদন্তি শিল্পী। সারা জীবনে বহু পুরস্কার, সম্মান পেয়েছেন এই শিল্পী। বলা বাহুল্য, মনোজ মিত্রের মৃত্যু একটি যুগের অবসান।

Card image cap

রনজিতেই মাঠে ফিরছেন শামি

দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে দেখা যায়নি। মহাগুরুত্বপূর্ণ বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতেও দলে রাখা হয়নি তাঁকে। দেশের মাটিতে গত নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আর মাঠে নামা হয়নি মহম্মদ শামির। একের পর এক চোটআঘাত ধাওয়া করেছে ভারতীয় পেসারকে। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। ৩৫৯ দিন পর মাঠে ফিরতে চলেছেন মহম্মদ শামি । আর সেটা বাংলার জার্সিতেই। সেই বিষয়ে নিশ্চিত করেছে সিএবি।নাটকের পর নাটক চলেছে শামিকে নিয়ে। চোট, ফিরে আসার মরিয়া চেষ্টা। ফের চোটের জন্য কামব্যাক পিছিয়ে যাওয়া। বর্ডার গাভাসকর দলে সুযোগ না পাওয়া। সবকিছুর শেষে সুখবর ক্রিকেটভক্তদের জন্য। বুধবার রনজি ট্রফিতে বাংলার ম্যাচ রয়েছে মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে। সেখানে ফের শামিকে চেনা রান আপে ছুটে আসতে দেখা যাবে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় ইন্দোর পৌঁছচ্ছেন শামি। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র চলে এসেছে। সূত্রের খবর ছিল আসন্ন সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে নামতে পারেন শামি। কিন্তু নাটকীয় পালাবদলে অতদিন অপেক্ষা করার প্রয়োজন পড়বে না ক্রিকেটভক্তদের। সিএবি থেকে জানানো হয়েছে, “তারকা পেসার মহম্মদ শামি বুধবার রনজির এলিট সি গ্রুপে মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে বাংলার ম্যাচে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন। যা বাংলা রনজি দল ও ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য বিরাট সুখবর। বাংলা দলে শামির অন্তর্ভুক্তি দলের তাগিদ আরও বাড়িয়ে দেবে।”সুবিধা পাবে বাংলা দলও। কারণ মধ্যপ্রদেশ ম্যাচের আগে বাংলা চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। দু’জন পেসারের চোট রয়েছে। ঈশান পোড়েলের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট। কর্নাটকের বিরুদ্ধে রনজি অভিষেক ম্যাচে দুরন্ত বোলিং করা ঋষভ বিবেক ভুগছেন সাইড স্ট্রেন সমস্যায়। ঈশান আর ঋষভ, দু’জনকেই এই ম্যাচে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আর সেটা যে শামির প্রত্যাবর্তনের জন্য আদর্শ মঞ্চ হয়ে উঠবে, সে কথা বলাই বাহুল্য।

Card image cap

পাকিস্তানের অনড় মনোভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জট অ‌ব‌্যাহত

 চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে মহাসমস‌্যায় পড়ে গিয়েছে আইসিসি। বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ভারতীয় টিম কোনও অবস্থাতেই পাকিস্তানে গিয়ে চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে না। ভাবা হচ্ছিল গতবার এশিয়া কাপ যেমন হাইব্রিড মডেলে হয়েছিল, সেভাবেই চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হয়তো হবে। এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্যায়ে পাাকিস্তান নিজেদের মাঠে নিজেদের ম‌্যাচগুলো খেলেছিল। আর ভারত খেলেছিল শ্রীলঙ্কাতে। সেক্ষেত্রে চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভারতের সব ম‌্যাচ দুবাইয়ে আয়োজনের ব‌্যবস্থা হবে, সেরকমই ভেবে রাখা হয়েছিল কিন্তু সেখানেও বেঁকে বসেছে পাকিস্তান।পিসিবির তরফ থেকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু আয়োজকের দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে, তাই তারা কোনওভাবেই হাইব্রিড মডেলে সম্মতি দেবে না। অন‌্যথা তারা চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নাম প্রত‌্যাহার করে নেবে। ঠিক এখানেই সমস‌্যায় পড়েছে আইসিসি। এদিন সকাল থেকে একটা খবর ছড়িয়ে যায় যে হাইব্রিড মডেলে যদি পিসিবি রাজি না হয়, তাহলে পুরো টুর্নামেন্টটাই দক্ষিণ আফ্রিকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তবে আইসিসির অন্দরমহলে খবর নিয়ে জানা গেল যে এরকম কোনও সম্ভাবনা এদিন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। যে কোনও আইসিসি ইভেন্টের জন‌্যই বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি করে রাখে ইন্টারন‌্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্ল‌্যানিং বদলানোই যায়। ঠিক যেভাবে বাংলাদেশ থেকে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরিয়ে সংযুক্ত আরবআমিরশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আইসিসির কারও কারও মতে, নতুন ভেনু চূড়ান্ত করার ব‌্যাপারটা আইসিসির কাছে সমস‌্যা নয়। সেটা টুর্নামেন্টের এক মাস আগেও করা যেতে পারে। আইসিসির সমস‌্যাটা অন‌্য জায়গায়।আইসিসির অন্দরমহলে খবর নিয়ে জানা গেল যে, পাকিস্তান বোর্ডের তরফ থেকে যেরকম কড়া মনোভাব পেশ করা হয়েছে, তাতে জটিলতা আরও বেড়ে গিয়েছে। শুধু পিসিবি নয়, এই ব‌্যাপারটায় মধ্যে ঢুকে পড়েছে পাকিস্তান সরকারও। পিসিবির থেকে স্পষ্টভাবে আইসিসিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন‌্য তিনটে স্টেডিয়ামের আমূল সংস্কার করা হয়েছে। যার জন‌্য বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে। এখন যদি হাইব্রিড মডেলে এই টুর্নামেন্ট হয়, তাহলে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাছাড়া বহুবছর পর পাকিস্তান আবার আইসিসি ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। কোনও অবস্থাতেই তারা সেটা হাতছাড়া করতে চায় না। পাকিস্তানের তরফ থেকে নাকি আইসিসিকে পাল্টা হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কারও কারও মনে হয়েছে, চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রে ভারতকে যেমন দরকার। তেমনই আইসিসির পাকিস্তানকেও দরকার। সেটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়ে গিয়েছেন আইসিসি কর্তারা। শোনা গেল, পাকিস্তানের তরফ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে ইংল‌্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো টিম তাদের দেশে এসে সিরিজ খেলে গিয়েছে। ফলে নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস‌্যা হওয়ার কথা নয়। তবে ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতে যাবে না কি না, সেটা বিসিসিআইয়ের হাতে নেই। সরকারি ছাড়পত্রের দরকার।