Last Update
দাদার খুনের প্রতিশোধ নিতে শুটআউট, খুন তৃণমূল নেতা?
চার বছর পর বদলা! দাদার খুনের প্রতিশোধ নিতে শুটআউট, বোমাবাজি এবং হত্যাকাণ্ড? তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অশোক সাউ খুনের নেপথ্যে এমনই কাহিনি শোনা গেল এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই খুন সুজল সাউ নামে এক সমাজবিরোধী ও তার গোষ্ঠীর কাজ। এই সুজলের দাদা আকাশ সাউ খুন হন ২০২০ সালে। সেসময় ভাটপাড়ার ১৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি অশোক সাউ। তার বদলা নিতেই আজকের হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এটা সমাজবিরোধীদের কাজ। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং কঠোরতম শাস্তির দাবি বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিকের।সালটা ২০২০। ভাটপাড়ার পালঘাট রোডে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছিল আকাশ সাউ নামে একজনের। সে এলাকায় দাগি দুষ্কৃতী বলে পরিচিত। মাদকের ব্যবসা থেকে শুরু করে পেশাদার খুনি, সবই ছিল এই আকাশ। কোনও একটা মামলায় আকাশকে হাতের কাছে পেয়ে গণপ্রহার করেন জনতা এবং তার মৃত্যু হয়। সেসময় ঘটনাস্থল অর্থাৎ ভাটপাড়ার ১৬ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন অশোক সাউ। তিনি ১২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আকাশের দলবল তাঁকেই টার্গেট করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, চারবছর ধরে সুদীর্ঘ পরিকল্পনা এবং নৈহাটি উপনির্বাচনের দিন সাতসকালে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।ভাটপাড়া তৃণমূল নেতৃত্ব সূত্রে জানা যাচ্ছে, হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারী বছর আঠাশের সুজল সাউ সম্পর্কে আকাশের ভাই। সেও কুখ্যাত সমাজবিরোধী বলে এলাকায় পরিচিত। বুধবার সকালে এলাকার চায়ের দোকানে তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অশোক বসে থাকার সময় তাঁর উপর হামলা চালায় ৭-৮ জনের একটি দুষ্কৃতী দল। কয়েক রাউন্ড গুলির পর বোমাও ছোড়া হয় বলে দাবি। এর পর দোকানে ঢুকে প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতিকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর দেহে চারটি গুলি লাগে। পরে হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় মৃত্যু হয় অশোকের। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, হত্যাকারী সুজল এবং তার দলবদল জগদ্দলের দাপুটে তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ। ফলে এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনাও হতে পারে।যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বলছে, এমন কোনও ব্যাপার নয়। অশোক খুন হয়েছে সমাজবিরোধীদের হাতেই। তাই হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারি ও কড়া শাস্তির দাবি করা হয়েছে। বারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিকের কথায়, ”খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের দলের একজন সক্রিয় নেতার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। তাও আবার আজকের ইলেকশনের দিন। আমরা ওদিকে ব্যস্ত ছিলাম। সেই সুযোগে এমনটা ঘটে গেল। আসলে বারাকপুর এলাকায় এতদিন ধরে অর্জুন সিং যে গুন্ডারাজের চাষ করেছে, তার রেশ হিসেবে এসব চলছে। অর্জুন সিং জেনে রাখুন, এই গুন্ডারাজ শেষ করবই। তখন তাকেও ভাটপাড়া ছেড়ে চলে যেতে হবে।”
TOP RELATED