Last Update
ফের রক্তাক্ত মণিপুর! পুলিশ ফাঁড়িতে কুকি জঙ্গিদের হানা!
এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মাঝেই মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে হামলা। শুক্রবার গভীর রাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেনায় জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের দুই জওয়ান। গুলি এবং গ্রেনেডের আঘাতে গুরুতর জখম চার জন। এটি সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। নতুন করে অশান্তি শুরু হতেই মণিপুর জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিষ্ণুপুরে নতুন করে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত সওয়া ২টো নাগাদ কুকি জঙ্গিদের একটি দল স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং গ্রেনেড নিয়ে নারানসেনা ফাঁড়িতে হামলা চালায়। ওই জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর একটি চেকপোস্ট রয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সেই চেকপোস্ট লক্ষ্য করেই গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সেখানে ছিলেন সিআরপিএফের ১২৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা। হঠাৎ হামলায় সেনারা একটু হকচকিয়ে গেলেও, তারাও পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করেন।
কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর দুষ্কৃতীরা আউটপোস্ট লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। ওই শক্তিশালী বিস্ফোরণেই আহত হন চারজন সিআরপিএফ জওয়ান। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হয়েছেন বাকি দুইজন। তাদের চিকিৎসা চলছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে মোরেকে ফাঁড়িতে একই কায়দায় ভোররাতে হামলা চালিয়েছিল কুকি জঙ্গিরা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার হিংসাদীর্ণ আউটার মণিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাংশে ভোট ছিল।
জানা গিয়েছে, গোটা এলাকা কর্ডন করে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেনা ও আধাসেনা। এলাকায় কুকি জঙ্গিদের বড়সড় ডেরা রয়েছে বলে ‘মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স’ থেকে নাকি আগেই খবর পেয়েছিল যৌথবাহিনী।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে মণিপুরে শুরু হয় মেতেই-কুকি জাতিদাঙ্গা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই সংঘাতে। এক হাজারেরও বেশি মানুষ আহত। নিখোঁজ ৩২ জন। প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া। দুষ্কৃতীরা পাঁচ হাজারেরও বেশি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। ৩৮৬টি ধর্মীয়স্থান মৌলবাদীদের রোষের মুখে পড়েছে। অশান্তি আগের তুলনায় কমলেও এবছরও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে পারেনি উত্তর-পূর্বের রাজ্যটি।
TOP RELATED