Last Update
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তির পরও কৌশিক-শ্রাবন্তীর মনে বিষাদ
এ অদ্ভুত পরিস্থিতি। একদিকে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার আনন্দ, অন্যদিকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার বিষাদ। তাই তো ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ সেরা বাংলা ছবির জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরও সেলিব্রেশনের কোনও ইচ্ছে নেই পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের মনে।‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবি নিয়ে অনেক লড়াই করতে কয়েছে পরিচালক কৌশিক ও তাঁর টিমকে। কোভিড কালে ছবির শুটিং পিছিয়ে যাওয়া, মুক্তির সময় হল বন্ধ, এমন বাধা বিপত্তি পেরিয়ে দর্শকের দরবারে আসে ছবিটি। পায় সমালোচকদের প্রশংসা। এবার পেল জাতীয় পুরস্কার। সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পরিচালক জানান, জাতীয় পুরস্কার যে কোনও শিল্পীর কাছে অত্যন্ত গর্বের। আনন্দ আঢ্য (অপরাজিত ছবির জন্য সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন) এবং সোমনাথ কুণ্ডুর (সেরা মেকআপ) জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবেও খুশি। কিন্তু পরিচালকের এই সাফল্য উদযাপন করার কোনও ইচ্ছে নেই।কৌশিক জানান, একটা অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে সবাইকে যেতে হচ্ছে। কাবেরী আর নয়নতারার গল্পও অস্থির রাজনৈতিক সময়ের প্রেক্ষাপটে তৈরি। কোথাও যেন সিনেমা ও বাস্তব মিলেমিশে একাকার। এমন সময়ে পুরস্কার পাওয়া সম্মানের, গর্বও হচ্ছে কিন্তু উদযাপন করা হবে না। সেই উৎসাহ ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করছেন না তিনি।তাঁর অভিনীত ছবি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে এতে কৃতজ্ঞ শ্রাবন্তী। কিন্তু নায়িকারও সেলিব্রেশনের কোনও ইচ্ছে নেই। সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি জানান, মহিলা হিসেবে আর জি কর হাসাপাতালের তরুণী চিকিৎসকের এমন পরিণতি তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তাঁকেও নানা সময়ে সোশাল মিডিয়ায় ট্রোল হতে হয়ে। এটাও তো এক ধরনের নির্যাতন। “মেয়েরা যদি মেয়েদের পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে কে দাঁড়াবে আর! আমরা ভালভাবে বাঁচব কি করে?” বলেন অভিনেত্রী।
TOP RELATED