Last Update
অন্ধ্রেও ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’র প্রভাব
গুজরাট উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’। তার আগেই মোদি-শাহর রাজ্য দুর্যোগের বলি ৪৫ জন। একই সময় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় শুরু হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাতে। অন্ধ্রের একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। একই অবস্থা তেলেঙ্গানারও। বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু অন্ধ্রেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। লাগাতার দুর্যোগের জেরে দক্ষিণ-মধ্য রেল এখনও পর্যন্ত ২০টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে। আরও ৩০টি ট্রেনকে অন্য পথে ঘোরানো হয়েছে বলে খবর।ভারী বর্ষণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিজয়ওয়াড়া জেলার গ্রামীণ অংশে। এখানকার আম্বাপুরম, নয়নাভরম, নুন্না এবং পাথাপাডু ভেসে গিয়েছে। পুলিশ এবং এনডিআরএফ উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয়দের অন্যত্র সরাচ্ছে প্রশাসন। এর মধ্যেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এখনই বৃষ্টি থামবে না, বরং ‘আসনা’র প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও ভারী বৃষ্টি চলবে অন্ধ্র এবং তেলেঙ্গানায়।অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু নিজে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। রাজ্য প্রশাসনকে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ত্রাণ বিলি করতে আধুনিক প্রযুক্তি, ড্রোন ব্যবহার করতে বলেছেন তিনি। এদিকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতি দিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দুর্যোগগ্রস্ত পাঁচটি জেলার ২৯৪টি গ্রামের ১৩, ২২৭ জনকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। যদিও এর মধ্যেই বন্যার বলি হয়েছেন ৯ জন।তেলেঙ্গানার অবস্থাও তথৈবচ। জলে ভাসছে হায়দরাবাদ-সহ রাজ্যের বহু অংশ। একাধিক সড়ক জলের তলায় চলে গিয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রান্তিক জেলাগুলির বহু গ্রাম। জরুরি বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি নির্দেশ দিয়েছেন, যে পরিস্থিতিই হোক, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা নিজের এলাকা ছাড়তে পারবেন না। নিয়মিত রিপোর্ট দেবেন সরকারকে। ইতিমধ্যে জলে ভেসে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে মেহবুবাবাদের বাসিন্দা তরুণ বৈজ্ঞানিকের। সব মিলিয়ে অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে অন্ধ্র-তেলেঙ্গানা দুই রাজ্যে।
TOP RELATED