Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

শুভেন্দুকে হাতিয়ার করেই সংসদে ঝাঁজাল ভাষণ অভিষেকের

সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ বদলে হয়েছে ‘জো হামারা সাথ, হম উনকে সাথ’। স্পষ্ট ভাষায় এভাবেই বিজেপির নীতি স্পষ্ট করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃতীয় মোদি সরকারের পুর্ণাঙ্গ বাজেটকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর চড়িয়ে জানালেন, শরিক দলগুলিকে তুষ্ট করতেই এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই বাজেট আসলে দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা।

নির্মলার পেশ করা বাজেটে সার্বিকভাবে বিরাট কোনও ঘোষণা না করলেও এনডিএর দুই প্রধান শরিকদল টিডিপি এবং জেডিইউ শাসিত দুই রাজ্যের ঝুলি ভরে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বিরাট বিরাট আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে দুই রাজ্যের জন্য। এই ইস্যুতেই দেশের অবিজেপি রাজ্যগুলির প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অভিষেক বলেন, ‘এই বাজেটে বেছে বেছে ৩টি রাজ্যকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তা হল তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ ও কর্নাটক।’ অভিষেকের কথায় এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়, “এই তিন রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে অবিজেপি দল। তাই এই বঞ্চনা।” একইসঙ্গে ইংরেজি BUDGET শব্দের ৬টি অক্ষরের আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা তুলে ধরেন অভিষেক। ইংরাজি ‘B’ শব্দটির অর্থ ‘বিট্রেয়াল’ অর্থাৎ বিশ্বাসঘাতকতা।ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “আচ্ছে দিনের ১০ বছরে আজ ৪০ টাকা আলুর দাম, হাজার টাকা গ্যাসের দাম। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে বিজেপির আচ্ছে দিনে।”
এছাড়া ‘U’ অর্থে আনএমপ্লয়মেন্টকে তুলে ধরেন অভিষেক । বলেন, “বিজেপির ১০ বছরে বেকারত্ব ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। ৫টি প্রকল্প এবং ৪ কোটি ১০ লক্ষ যুবকের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রী ২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এর আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রতি বছর ২ কোটি চাকরি দেওয়ার। তা পূরণ করা হয়নি। এখন অবাস্তব লক্ষ্য নিয়ে দৌড়চ্ছে এরা।” ‘D’ বলতে তিনি বোঝান ডিপ্রাইড অর্থাৎ বঞ্চিত। তাঁর দাবি, “গত ১০ বছরে দেশের নারী থেকে শিশু এই সরকারের আমলে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ছাড়া সকলে শুধু বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলায় হেরে এরা ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকাও আটকে দিয়েছে। ‘G’ অর্থাৎ গ্যারেন্টি ও ঘোটালা।” এমন আক্রমণাত্মক বক্তব্যের মাঝেই শাসক শিবির থেকে অভিষেককে থামাতে আওয়াজ ওঠে।
এরই মাঝে অভিষেক বলেন, “বিজেপি সবকা সাথ সবকা বিকাশ-এর মন্ত্র ভুলে ‘জো হামারে সাথ, হম উনকে সাথ’ মন্ত্রে চলছে। বাংলার বিরোধী দলনেতা নিজেই একথা বলেছেন। লোকসভা, রাজ্যসভায় বিজেপির একজনও মুসলিম সদস্য নেই। সংসদে বৈচিত্রের অভাবে, সংসদে সংখ্যালঘুদের আকাঙ্খা পূরণ হচ্ছে না। সরকারি নীতি অসাম্যকে বাহবা দিচ্ছে। তাই লোকসভা নির্বাচনে মোদি সরকারকে তারা প্রত্যাখ্যান করেছে।” এছাড়া বাজেটের শেষ ‘T’-এর ব্যাখ্যা করে অভিষেক বলেন, “টি ফর ট্র্যাজেডি। এই সরকারের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হল কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করা। বিরোধী দলের লোক হলেই মুখ বন্ধ করতে এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

Card image cap

কংগ্রেস সাংসদকে নিশানা করে বিতর্কে অভিজিৎ

সংসদে প্রথমবার বক্তব্য রেখেই বিতর্কে জড়ালেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাজেট নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় ‘স্টুপিড’ বলেন বিজেপি সাংসদ। অভিজিতের কথার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “নির্বোধের মতো কথা বলবেন না।”

মঙ্গলবার বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তা নিয়ে বুধবার আলোচনা হয় সংসদে। বাজেট তেমন জনমোহিনী নয় বলেই দাবি বিরোধীদের। অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় এদিন এই ইস্যুতে ঝাঁজাল আক্রমণ করেন বিজেপিকে। সাংসদ হওয়ার পর বাজেট আলোচনা সভায় প্রথমবার বক্তব্য রাখেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সেই সময় বিরোধী শিবির থেকে নানা মন্তব্য শুরু হয়। তাতেই মেজাজ হারান প্রাক্তন বিচারপতি। তিনি আচমকাই ‘স্টুপিড’ শব্দ প্রয়োগ করেন। যার বাংলা তর্জমা ‘নির্বোধ’। এর পর রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করে তমলুকের বিজেপি সাংসদ বলেন, “ভগবান শিবের আশ্রয় না নিয়ে রাহুল গান্ধীর উচিত মানুষের আশ্রয় নেওয়া।”
তাতেই কার্যত উত্তেজিত হয়ে পড়েন কংগ্রেস সাংসদরা। প্রতিবাদ করতে গেলে অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন অভিজিৎ। তিনি বলেন, “গডসেও জানেন না, গান্ধীও না। (স্টুপিড) নির্বোধের মতো কথা বলবেন না।” ‘স্টুপিড’ অসংসদীয় শব্দ। স্পিকার ওম বিড়লার কাছে লোকসভার কার্যবিবরণী থেকে তা বাদ দেওয়ার দাবি জানান বিরোধীরা। প্রথমে বিবেচনার আশ্বাস। এবং পরে তা বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনী আবহে এক রবিবাসরীয় দুপুরে বোমা ফাটান। বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান। সেই মতো ইস্তফা দেন। তার কয়েকদিন পর হাতে তুলে নেন পদ্মশিবিরের পতাকা। লোকসভা নির্বাচনে তমলুক থেকে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। ভোটপর্ব চলাকালীন বিতর্কে জড়ান। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর আক্রমণ করেন। তার জল গড়ায় নির্বাচন কমিশনেও। যদিও শেষমেশ বিরোধীদের হারিয়ে তমলুকে জয়ী হন অভিজিৎই। জেতার পর প্রথমবার সংসদে বক্তব্য রেখেও বিতর্কে জড়ালেন তিনি। 

Card image cap

আজ গুরু মঙ্গল যোগে দুর্দান্ত লাভ ৪ রাশির

চন্দ্র আজ কুম্ভ রাশিতে নিজের যাত্রা সম্পন্ন করে মীন রাশিতে প্রবেশ করবে। বৃষ রাশিতে তৈরি হবে গুরু মঙ্গল যোগ। এই যোগ ছাড়াও এ দিন শোভন যোগ, শুক্রাদিত্য যোগ ও পূর্বাভাদ্রপদ নক্ষত্রের শুভ সংযোগ তৈরি হচ্ছে। জ্যোতিষ অনুযায়ী এই শুভ যোগের প্রভাবে মিথুন, কর্কট-সহ ৪ রাশির জাতকরা বিশেষ ভবে লাভবান হবেন। এই রাশির জাতকদের কিছু কাজ সহজে সম্পন্ন হতে পারে। ব্যক্তিত্বে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেবে। আজকের দিনটি কোন রাশির কেমন কাটবে, তা বিস্তারিত জেনে নিন।


মেষ রাশির জাতকরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে তাতে সাফল্য লাভ করবেন। চাকরিজীবী জাতকরা আধিকারিকদের কাছ থেকে সম্মান পাবেন। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হতে পারে। ভাই-বোনের সম্পর্ক মজবুত হবে। তবে ভাইয়ের স্বাস্থ্য চিন্তায় ফেলবে। সন্ধ্যাবেলা তীর্থস্থানে যেতে পারেন।


ভাগ্য ৭৮ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। বিষ্ণুর আরাধনা করুন।


বৃষ রাশির জাতকরা আজ ব্যস্ততায় দিন কাটাবেন। মানসিক ও শারীরিক শ্রমের কারণে ক্লান্তি অনুভব করবেন। অধিক দৌড়ঝাপ করতে হবে এই রাশির জাতকদের। নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতার দ্বারা লাভান্বিত হবেন। আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে। ভালো কাজের জন্য অর্থ লগ্নি করতে পারেন, ভবিষ্যতে এর দ্বারা ভালো লাভ অর্জন করতে পারবেন।

৯২ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। অশ্বত্থ গাছের তলায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করুন।


মিথুন রাশির জাতকদের চাকরিতে শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ তাঁরা আপনার লোকসান করার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু নিজের চতুরবুদ্ধির সাহায্যে তাঁদের সফল হতে দেবেন না। শারীরিক কষ্ট হতে পারে। শ্বশুরবাড়ির তরফে ধনলাভ হতে পারে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন। সন্তানের তরফে বিশেষ সংবাদ পাবেন।

ভাগ্য ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। সরস্বতীর পুজো করুন।


কর্কট রাশির জাতকরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায় যে পরিশ্রম করছেন এবার তার ফলাফল পাবেন। সন্তানের ওপর বিশ্বাস মজবুত হবে। মায়ের স্নেহ পাবেন। মায়ের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে হবে এই রাশির জাতকদের। মান-সম্মান রক্ষার্থে কিছু অর্থ ব্যয় করতে পারেন। শত্রু চিন্তিত হবে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় আগত বাধা দূর করার জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।



আজ ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। কৃষ্ণের পুজো করুন।


সিংহ রাশির জাতকদের মনে শ্বশুরবাড়ির প্রতি ক্ষোভ থাকবে, তবে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন, তা না-হলে সম্পর্কে বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে। চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। ব্যবসায় উন্নতির জন্য কোনও রণনীতি তৈরি করার সময় বাবার পরামর্শ নিন। সন্তানের জন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। প্রেম জীবন আনন্দে কাটবে। সন্ধ্যাবেলা জীবনসঙ্গীকে ঘোরাতে নিয়ে যেতে পারেন।



৭৭ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনাদের পক্ষে। উমার পুজো করুন।


কন্যা রাশির জাতকরা মা-বাবার সহযোগিতা পাবেন। জীবনসঙ্গীর শারীরিক কষ্ট সম্ভব। ব্যবসায়ীরা নতুন অর্ডার পেতে পারেন। অকুতোভয় হয়ে কঠিন থেকে কঠিনতর কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। পারিবারিক বিবাদ বাড়তে পারে। মা-বাবার পরামর্শে সন্ধ্যার মধ্যে এই বিবাদ মিটে যাবে।

ভাগ্য ৬৮ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। দরিদ্র ও বরিষ্ঠদের আশীর্বাদ গ্রহণ করুন।           

তুলা রাশির জাতকদের অধিকার ও সম্পত্তি বৃদ্ধি হবে। যা দেখে সন্তান ও জীবনসঙ্গী আনন্দিত হবেন। নতুন কাজে লগ্নির জন্য সময় শুভ। দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে। পরিবারে ছোট্ট সদস্যের আগমন হতে পারে। চাকরিজীবী জাতকরা রোজগারের নতুন সুযোগ পাবেন। সন্ধ্যাবেলা আপনজনদের সঙ্গে আলোচনা করে আনন্দিত হবেন।                   

বৃশ্চিক রাশির জাতকরা কোনও কারণে চিন্তি থাকবেন, আপনাদের মন ব্যাকুল হবে। ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য কোনও চেষ্টা করে থাকলে তাতে সফল হবেন। আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। বিবাদে জয়ী হতে পারেন। জীবনসঙ্গীর স্বাস্থ্য দুর্বল হবে। এর জন্য অধিক দৌড়ঝাপ ও অর্থ ব্যয় করতে হবে।আজ ৮৮ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। সাদা বস্তু দান করু

ধনু রাশির জাতকদের স্বাস্থ্য দুর্বল থাকবে আজ। পেটে ব্যথা, গ্যাস হতে পারে, সতর্ক থাকুন। পরিবারে শুভ অনুষ্ঠানের বিষয় আলোচনা হতে পারে। পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের পরামর্শ মেনে চলবেন। ধর্মীয় কাজে রুচি থাকবে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে সাহায্য করবেন।

ভাগ্য ৬৪ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার পক্ষে। শিবলিঙ্গে দুধ নিবেদন করুন।

মকর রাশির জাতকরা আজ কিছু উপহার পেতে পারেন। অনাবশ্যক ব্যয় উঠে আসবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেই ব্যয়ভার বহন করতে হবে। মামাবাড়ির তরফে সম্মান পাবেন। জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা। আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন করার জন্য সময় বের করবেন। নতুন ব্যবসায় লগ্নি করতে পারেন। এর দ্বারা ভবিষ্যতে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

ভাগ্য আজ ৭১ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে থাকবে। গোরুকে সবুজ ঘাস খাওয়ান।

কুম্ভ রাশির জাতকরা আজ নিজের কাজে সাফল্য লাভ করবেন। আপনার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে শত্রু মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, কিন্তু ভয় পাবেন না। আয় সীমিত থাকবে। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যয় করুন, তা না-হলে আর্থিক পরিস্থিতি দুর্বল হবে। ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় ভালো সাফল্য লাভ করতে পারবেন। ব্যবসায়িক কারণে যাত্রা সম্ভব। দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে।

ভাগ্য ৭৩ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। অশ্বত্থ গাছে দুধ মিশ্রিত জল নিবেদন করুন।

মীন রাশির জাতকদের পুত্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনও বিবাদ চললে, তা এবার সমাপ্ত হবে। বন্ধুদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা করে সময় কাটাবেন। সামাজিক সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা। এর ফলে আপনাদের আত্মবিশ্বাস ও মনোবল বাড়বে। আপনার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের কারণে অন্যেরা আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইবেন। ব্যবসায় ওঠা-পড়া থাকবে, কিন্তু ভয় পাবেন না। আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হবে।

আজ ৮২ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। গায়ত্রী চালিসা পাঠ করুন।





Card image cap

কিছুক্ষণেই আবহাওয়ার বড় বদল! তুলকালাম বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গের এই সব জেলায়

আজও উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। উপকূলবর্তী অঞ্চলে চলছে ভারী বৃষ্টি। সেই সঙ্গে আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। সকাল থেকেই কলকাতা সহ একাধিক জেলায় মেঘলা আকাশ। এরই মাঝে ঝড়-বর্ষণের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দপ্তর।


ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে 


বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমানে। পাশাপাশি কলকাতাতেও বৃষ্টি চলবে। তবে শহরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ বৃষ্টি চলবে।


আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে আগামী সাতদিন দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিসের আপডেট অনুযায়ী, বর্তমানে মৌসুমী অক্ষরেখার অনুকূল অবস্থানের ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে। যার জেরেই বৃষ্টি হচ্ছে। এই সিলসিলাই জারি থাকবে সপ্তাহভর।


যদিও শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ফের বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস রয়েছে। যার জেরে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা। বুধবার দিনভর শহরে মেঘলা আকাশ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও আপেক্ষিক আর্দ্রতার জন্য অস্বস্তি বজায় থাকবে।


আজ উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি,কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। আগামী সাতদিন উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে শনিবার থেকে অধিক বর্ষণের সম্ভাবনা।

Card image cap

বাজারে হাতে ছ্যাঁকা দিচ্ছে আলুর দর

কর্মবিরতির দু'দিন পার। বাজারে চড়ছে আলুর দাম। যা কিনতে পকেট হালকা মধ‌্যবিত্তের। বুধবার অধিকাংশ বাজারেই জ্যোতি আলুর দাম দাঁড়িয়ে ৪২ টাকা প্রতি কেজি। চন্দ্রমুখী তো হাই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। কোথাও কোথাও দাম হয়তো ৩৮-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে আলু। এই পরিস্থিতিতে আজ বুধবার রাজ্যের তরফে আলু ব‌্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক ডাকা হয়েছে।


আলোচনা ফলপ্রসূ হলে এই কর্মবিরতি প্রত‌্যাহার করতে পারেন বলে জানিয়েছেন ব‌্যবসায়ীরা। তবে সাধারণ মানুষের সুবিধায় আজ থেকে ১০০টি সুফল বাংলার স্টল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ‌্য সরকার। এর পাশাপাশি আলুচাষিদের থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের দিয়ে আলুর বন্ড কেনানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আলুর দাম নিয়েও আলোচনা হয়। গোটা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং কৃষি বিপণণমন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে উদ্যোগী হতে বলেন। সূত্রর খবর, বৈঠকে মমতা জানিয়ে দেন কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে। কোনও ক্রাইসিস যেন না হয়। আর যতদিন না আলুর দাম কমবে, ততদিন ভিনরাজ্যে আলু রপ্তানি করা যাবে না। তৃণমূল সূত্রে খবর, এবিষয়ে একটি আলাদা সংগঠন তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বেচারাম জানিয়েছেন, “আমরা আলাদা একটা সংগঠন তৈরি করব আলু ব‌্যবসায়ীদের নিয়ে। ভবিষ‌্যতে যাতে কেউ একতরফাভাবে কর্মবিরতি ডেকে সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় ফেলতে না পারেন, তাই এই সিদ্ধান্ত।” তিনি জানান, বর্তমানে ৪৯৩টা সুফল বাংলার স্টল রয়েছে। আরও ১০০টা বাড়ানো হবে। তার মধ্যে ২৫টা হবে কলকাতায়। তাছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলকেও কাজে লাগাতে হবে।

ব‌্যবসায়ী সমিতির ডাকা কর্মবিরতির জেরে মঙ্গলবার থেকে খুচরো বাজারে আলুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। আলুর জোগানে পড়ছে টান। চন্দ্রমুখীর দেখা মিলছে না বহু বাজারে। দাম চড়ছে জ্যোতি আলুরও। ব‌্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারে জোগান বাড়িয়ে আলুর দাম কমাতে গিয়ে কোনও রকম লিখিত নির্দেশ ছাড়াই আলুবোঝাই ট্রাক রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে আটকে রাখা হচ্ছে। আর তারই প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি ও পশ্চিমবঙ্গ হিমঘর অ্যাসোসিয়েশন অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ''আমরা যে বাজারে আলু সরবরাহের কাজ করি, সেটা সোমবার থেকে বন্ধ আছে কর্মবিরতির কারণে। ফলে জোগান কমেছে খুচরো বাজারে। তবে রাজ্যের দুই মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং বেচারাম মান্নার সঙ্গে বুধবার বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে সমস‌্যা মেটে কিনা দেখা যাক।''

Card image cap

রোজ ভিজছেন বৃষ্টিতে? সকালে খালি পেটে চুমুক দিন তুলসীর চায়ে,

বাঙালির বাড়িতে আলাদা করেই স্থাপন করা থাকে তুলসীর মঞ্চ। তুলসী গাছের ঔষধি গুণ প্রায় সকলেরই জানা। রোগ সারাতে অনেকেই সকালে তুলসী পাতা চিবিয়ে খান। আবার অনেকে বাচ্চাদের জ্বর-সর্দি থেকে রক্ষা করতে তুলসী পাতার রস ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খাইয়ে থাকেন। তুলসীর আয়ুর্বেদিক গুণের কোনও বিকল্প নেই।


বর্ষার সময় তুলসী পাতার রস দিয়ে তৈরি চা অত্যন্ত কার্যকরী। রোদ-বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে প্রতিদিনই বাড়িতে ফিরছেন? তারপরই গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, নাক দিয়ে সর্দি পড়া, জ্বর জ্বর ভাব, খুসখুসে কাশির সম্ভাবনা তৈরি হয়। বর্ষার বৃষ্টিতে ভেজার পরই অনেকেই ভাইরাল ফিভারের কোপে পড়ছেন। হাতের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘরোয়া টোটকায় যদি রোগভোগ থেকে মুক্তি পেতে চান , তাহলে তুলসীর চা হল মোক্ষম দাওয়াই।


ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীর ফিট রাখা বেশ চ্যালেঞ্জের। অ্যালার্জি, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। বৃষ্টির দিনে হার্বাল চায়ে চুমুক দিলে মন-প্রাণ সবটাই পরিশ্রান্ত হয়। তবে কোন হার্বাল কোন রোগের জন্য উপযুক্ত তা জানেন না অনেকেই।


 

বর্ষার দিন তুলসীর চা-ই হল একমাত্র স্বাস্থ্যকর সঙ্গী। এর পুষ্টির গুণ রয়েছে হাজারো। ফিট থাকার পাশাপাশি শরীরকে হাইড্রেটিং রাখতে ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার সেরা দাওয়াই হল এই তুলসীর চা। বর্ষার সময় তুলসীর চা কেন খাবেন?


তুলসীতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। স্যাঁতসেঁতে, আর্দ্র আবহাওয়ায় সাধারণ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আরও শক্তিশালী করতে এই হার্বাল চায়ের কোনও তুলনা হয় না।


 

তুলসীতে থাকা অপরিহার্য তেলে এক্সপেক্টোরেন্ট ও ডিকনজেস্ট্যান্ট প্রভাব রয়েছে। শ্বাসকষ্ট, কাশি ও সাইনাসের সমস্যাগুলি উপশম করতে সাহায্য করে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শারীরিক সমস্যাগুলি উবে যায় এক নিমেষের মধ্যে।


বর্ষার সময় শুধু শারীরিক অসুস্থতাই নয়, মানসিক চাপের মাত্রাও বেড়ে যায়। এই হার্বাল চায়ে রয়েছে অ্যাডাপ্টোজেন গুণ, যা স্ট্রেসকে হ্রাস করতে সাহায্য করে। সকালে গরম গরম তুলসী চায়ের এক চুমুক দিলেই আরামের অনুভূতি জাগবে সারা শরীরে। সারাদিন মন ও শরীর চাঙ্গা রাখতেও এই চায়ের জুড়ি মেলা ভার।


 

বর্ষার বৃষ্টির কারণে কখনও কখনও হজমের সমস্যা হতে পারে। হামেশাই এই সময় বদহজম বা পেট ফোলার সমস্যা দেখা যায়। সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নীত করতে সাহায্য করে এই ভেষজ চা। গ্যাস, ফোলাভাব ও বদহজম কমাতে সাহায্য বৃষ্টির দিনে এই চা খেতে পারেন রোজ।


বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত ঘাম হলে তুলসীর চায়ের কাপে চমুক দিতে পারেন। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে ও ইলেক্টোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই ভেষজ চা। সমাগ্রিকভাবে শরীরকে তরতাজা রাখতে ও ফিট রাখতে এই চা আপনি সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। ফল মিলবে হাতেনাতে।

Card image cap

এশিয়া কাপের সেমিতে ভারতের মেয়েরা

পাকিস্তান, আমিরশাহীকে ধরাশায়ী করার পর এবার নেপাল। শ্রীলঙ্কার মাটিতে আপাত দুর্বল প্রতিপক্ষকে কার্যত দুরমুশ করে এশিয়া কাপের সেমিতে উঠল ভারতের মেয়েরা। শেফালির ঝোড়ো ইনিংসের উপর ভর করে নেপালকে এদিন ১৭৯ রানের টার্গেট দেয় ভারত। জবাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে নেপাল। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৩ রান তোলে তাঁরা। ৮২ রানে জয়ী হয় ভারত।

শ্রীলঙ্কার রণগিরি দাম্বুল্লা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই নেপালের বোলিং লাইন আপকে নিয়ে কার্যত ছিনিমিনি খেলেন শেফালি বর্মা ও হেমলথা। হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় গিয়ে ১৩ ওভারের শেষ বলে ৪২ বলে ৪৭ রান করে আউট হন হেমলতা। তবে আক্রমণের ঝাঁঝ কমাননি শেফালি। ৪৮ বল খেলে ১২ টি চার ও ১টি ছয়ের দৌলতে ৮১ রান করেন শেফালি। ১৫.৩ ওভারে তিনি আউট হওয়ার পর বাকি দায়িত্ব সামলান রডরিগেজ (২৮ নটআউট)। মোট ৩ উইকেটের পতনে নেপালের সামনে ১৭৮ রানের পাহাড় খাঁড়া করে ভারত।

১৭৯ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে কার্যত ছন্নছাড়া দেখায় নেপালকে। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে প্রতিপক্ষের প্রথম উইকেট ভেঙে দেন অরুন্ধতী। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে আরও একটি উইকেট তুলে নেন তিনি। এর পর ভারতের সামনে আর দাঁড়াতেই পারেনি নেপাল। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। ১১ জন ব্যাটারের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেছেন সীতা মাগার। তাঁর রান সংখ্যা মাত্র ১৮। শেষের দিকে আর জয় নয়, ভারতের আগুন বোলিংয়ের সামনে কোনওমতে অলআউট না হওয়ার লড়াই চালায় নেপাল।

ভারতের হয়ে এদিন ৩টি উইকেট নেন দীপ্তি। দুটি করে উইকেট নেন অরুন্ধুতি ও রাধা। একটি উইকেট যোগ হয় রেনুকা সিংয়ের খাতায়। সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশ অথবা থাইল্যান্ডের মেয়েরা। গ্রুপ ডির পরিস্থিতির দিকে নজর থাকবে হরমনপ্রীতদের। 

Card image cap

স্টেশনে মহিলাদের গা ঘেঁষে ছবি তোলার চেষ্টা

মহিলাদের গা ঘেঁষে ছবি তোলার চেষ্টা যুবকের। মঙ্গলবার হিন্দমোটর স্টেশনে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। শেষমেশ যুবককে ধরে আরপিএফের হাতে তুলে দেয় যাত্রীরা। এর পর রেল পুলিশের হাতে তাঁকে তুলে দেয় আরপিএফ।

ধৃতের নাম কিষাননন্দন দ্বিবেদী। বিহারের বাসিন্দা হলেও এখন উত্তরপাড়ায় থাকে ওই যুবক। অভিযোগ, দুপুরে হিন্দমোটর স্টেশনে মহিলাদের গা ঘেঁষে ছবি তুলে যাচ্ছিল সে। যার জেরে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল। অনেকেই সরে গেলেও শেষমেশ হিন্দমোটরবাসী এক যুবতী প্রতিবাদ করেন। সঙ্গে তাঁর মা-ও ছিলেন। তিনিও রেগে যান।

এর পর যুবক সেই ছবি মুছে দেয়। যদিও ততক্ষণে জড়ো হয়ে যান অনেক যাত্রী। মারধর করার পর আরপিএফে এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। বেলুড় রেল পুলিশ যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে।


Card image cap

বাজেটে শিকে ছিঁড়ল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর

তৃতীয় মোদি সরকারের বাজেটে এনডিএ শরিক নীতীশ কুমারের বিহার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর অন্ধ্রপ্রদেশ বিরাট আর্থিক প্যাকেজ পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। ব্যতিক্রম কলকাতার মেট্রো  প্রকল্পগুলি। বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট-সহ একাধিক প্রকল্পে। কোন প্রকল্পে কত কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ল?

কপাল খুলেছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর। ৬০০ কোটি থেকে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৯০৬ কোটি টাকা। দমদম এয়ারপোর্ট-নিউগড়িয়া ভায়া রাজারহাট প্রকল্পে ৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। গতবার ১,৭৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ ছিল, এবার তা বেড়ে হল ১,৭৯১.৩৯ টাকা। অন্যদিকে জোকা বিবাদী বাগ ভায়া মাঝেরহাট মেট্রোতেও বেড়েছে বরাদ্দ। ৪০০ কোটি টাকার বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গতবার বরাদ্দ ছিল ৮০০ কোটি টাকা, এবার তা হয়েছে ১,২০৮.৬১ কোটি টাকা।
তবে মেট্রো প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ বাড়লেও কোনও নতুন ট্রেন পায়নি রাজ্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ নিয়ম মাফিক ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রেলে বরাদ্দ ঘোষণা করেন। সেই পরিমাণ হল ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বিগত অর্থবর্ষে যা ছিল ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বাজেটে সামগ্রিকভাবে যে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে তাও যথেষ্ট নয় বলে দাবি বিরোধীদের। বিশেষত একের পর এক রেল দুর্ঘটনার পরে রেল সুরক্ষায় 'কবচ' ব্যবস্থা আনতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ হবে আশা করেছিল আমজনতা। যদিও হতাশ করলেন নির্মলা সীতারমণ। 

Card image cap

বাজারে আশঙ্কার মাঝেই কড়া নির্দেশ মমতার

অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আলু ব্যবসায়ীরা। যার জেরে বাজারে কিছুটা হলেও টান পড়েছে আলুর। ফলে ঊর্ধ্বমুখী দামও। সবমিলিয়ে মাথায় হাত মধ্যবিত্তর। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্পষ্ট নির্দেশ, আলু নিয়ে যাতে কোনও 'ক্রাইসিস' না হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা প্রাক্তন কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মমতা। সেখানে আলুর মূল্যবৃদ্ধি, জোগানে সংকট নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আলু নিয়ে যাতে কোনও ক্রাইসিস না হয়। একইসঙ্গে নির্দেশ, যতক্ষণ না দাম কমছে ততক্ষণ ভিনরাজ্য়ে আলু রপ্তানি করা যাবে না। উল্লেখ্য, অনির্দিষ্টকালের বন্‌ধের ডাক দিয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। এবার এই সমিতি সরিয়ে নতুন সংগঠন তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সপ্তমে চড়েছে আলুর দাম। রাজ্য় সরকারের একাধিক নির্দেশিকা জারি, কড়া পদক্ষেপের পরও খুব বেশি লাভ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ নির্দেশ ছিল, রাজ্যের চাহিদা পূরণ ও দাম নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত ভিনরাজ্যে আলু রপ্তানি চলবে না। রপ্তানি বন্ধে কড়া নজর রাখতে বিভিন্ন সীমানায় কড়া পাহারা বসেছে। যা নিয়ে ঘোর আপত্তি আলু ব্যবসায়ীদের। আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎবরণ প্রতিহার জানান, রাজ্য সরকার রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্‌ধের ডাক দিয়েছেন আলু ব্যবসায়ীরা।

Card image cap

নতুন করে NEET-UG নয়

নিট-ইউজি পরীক্ষা বাতিল করল না সুপ্রিম কোর্ট৷ ফলে নতুন করে নিট পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নতুন করে এবছরের NEET-UG পরীক্ষা নেওয়া হলে তা ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থীর জন্য তা ভয়ংকর ক্ষতিকর হবে।  

এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি খারিজ করে দেয়। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত এমন কোনও ত্রুটির প্রমাণ নেই যার ভিত্তিতে বলা যায় যে পরীক্ষায় বিরাট মাপের কারচুপি হয়েছে।

সেই সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়,  প্রায় ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই কয়েকশো কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এসে পরীক্ষা দেন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, কয়েক জায়গায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের কারণে পুরো পরীক্ষাটাই বাতিল করে দেওয়া হলে তা ওই পরীক্ষার্থীদের জন্য ভয়ংকর হবে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল বিরাট মাত্রায় কারচুপি হলে তবেই নতুন করে নিট পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, যারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করছে তারা খুব বড় পরিসরে কাজ করে না। যদি বিরাট মাত্রায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মেলে, তবে আগের পরীক্ষা বাতিল করে নতুনভাবে পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত।

গত ৫ মে NEET-UG পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। পরে গ্রেস মার্কস দেওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে নেয় পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। তবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ মানতে নারাজ তারা।

Card image cap

পুজোয় ক্লাবগুলির জন্য ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান

দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান আরও বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭০ হাজার থেকে অনুদান একলাফে বেড়ে হল ৮৫ হাজার টাকা। আগামী বছর এই অনুদান বেড়ে হতে পারে ১ লক্ষ টাকা। এদিন তেমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা। শুধু অনুদান বৃদ্ধি নয়, বাড়ল বিদ্যুতের ছাড়ও। 


মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পুজো নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিলেন। ঘোষণা করলেন অনুদান বৃদ্ধির কথা। পুজোকর্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন. "গতবার কত পেয়েছিলেন?" উত্তর দেওয়ার পর তিনি মজার ছলে বলেন, "এবার তাহলে কমিয়ে ৬০ হাজার করে দি!" পালটা পুজোকর্তারা বলে ওঠেন, ১ লক্ষ টাকা অনুদানের কথা। উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একলাফে এক লক্ষ হয় না। একটা স্ল্যাব আছে তো। এবার ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছি।" একইসঙ্গে পরের বছর অনুদান ১ লক্ষ টাকা করার ইঙ্গিত দেন। শুধু অনুদান বৃদ্ধি নয়। পুজোয় বিদ্যুতের বিলে ছাড় বেড়ে ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ফায়ার লাইসেন্স-সহ অন্যান্য সরকারি অনুমতিও মিলবে বিনামূল্যে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার পুজোর কার্নিভাল ১৫ অক্টোবর। বিসর্জন শুরু হবে দশমী থেকেই। ১৩ ও ১৪ তারিখ বিসর্জন চলবে।

পুজোকর্তাদের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, পুজোকর্তাদের পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। অতিরিক্ত ভলান্টিয়ার মোতায়েন করতে হবে। ঢোকা-বেরনোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। রাখতে হবে উপযুক্ত মেডিক্যাল ব্যবস্থা। পুজোর ভিড়ের জন্য রাস্তায় যানজট সহ্য করা হবে না, শ্রীভূমির নাম করে কড়া ভাষায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরের পাশাপাশি জেলার পুজোতেও কড়া নজরদারি চলবে। 

প্রসঙ্গত,  ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া শুরু করেন মুখ‌্যমন্ত্রী। প্রথম বছর ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল ক্লাবগুলিকে। তার পর করোনার পরে এক ধাক্কায় অনুদানের অঙ্ক দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়।  ২০২২ ও ২০২৩ সালে ১০ হাজার টাকা করে বাড়ে অনুদান। গত বছর ক্লাবগুলি ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান পায়। সেই সঙ্গে মেলে বিদ্যুৎ বিলে ৬৬.৬৬ শতাংশ  ছাড়।