Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টি, কোনও কোনও অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা!

উত্তরবঙ্গের মতো না হলেও দক্ষিনবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। চলতি সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নদীয়া মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব পশ্চিম বর্ধমান দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বাঁকুড়া জেলাতে।


কলকাতা সহ সংলগ্ন অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, মৌসুমী অক্ষরেখা বিহার থেকে আসাম পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে এই অক্ষরেখা অবস্থান করায় সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। এছাড়াও বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এর প্রভাবেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির কারনে দূর্যোগ অব্যাহত। গত চব্বিশ ঘণ্টায় অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচটি জেলায়। বিশেষ করে দার্জিলিং এর সেবকে ২৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।আলিপুরদুয়ার ২১০ মিলিমিটার হয়েছে। দার্জিলিং ও গজলডোবাতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। নদীয়া জেলার দেবগ্রামে ৩২.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।


মঙ্গলবার কলকাতা এবং তৎপ্বার্শবর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯দশমিক চার ডিগ্রী সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন দশমিক দুই ডিগ্রী নিচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭দশমিক এক ডিগ্রী সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক চার ডিগ্রী বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ সর্বনিম্ন ৮৭ শতাংশ। গত চব্বিশ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩২দশমিক সাত মিলিমিটার। আজ বুধবার দিনের আকাশ মেঘলা। বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ডিগ্রী এবং ২৬ ডিগ্রীর আশেপাশে থাকবে।


আজ উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস । কোনও কোনও অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং কালিম্পংএ আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলাতে আজ বুধবার ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এই তিন জেলাতেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার পর্যন্ত এই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি চলবে।


Card image cap

লোকসভায় তৃণমূলকে কাঁদিয়ে ছাড়লেন সৌমিত্র খাঁ!

লোকসভা নির্বাচনের পর বিষ্ণুপুরের জয়ী বিজেপির সৌমিত্র খাঁয়ের বক্তব্য অনেকের মনেই আশা তৈরি করেছিল। তৃণমূলের একটা অংশ ভেবে নিয়েছিল যে, তিনি দলবদল করছেন‌। কিন্তু সৌমিত্রবাবু বিজেপিতে থেকেই এবার ভরা লোকসভায় তৃণমূলকে যেভাবে নাকানি চোবানি খাওয়ালেন, তাতে রীতিমত প্রেস্টিজ পামচার হয়ে গেল তৃণমূলের সাংসদদের।সূত্রের খবর, এদিন লোকসভায় বাংলার একের পর এক অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার হন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।


আর সেখানেই সম্প্রতি বাংলায় ঘটে যাওয়া কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা এবং চোপড়ার ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হন তিনি।


সৌমিত্র খাঁ বলেন, "কোচবিহারের মাথাভাঙ্গায় এক মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় ফেলে রেখেছে তৃণমূল।" আর সৌমিত্র বাবুর সংসদে এই সোচ্চার কণ্ঠ স্পষ্ট করে দিল যে, দলবদল তো পরের কথা, তিনি অতীতে যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন, এবার তার থেকেও বেশি শক্তি লাগিয়ে শাসকের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে চলেছেন। যার ফলে আজ বিজেপির বিরুদ্ধে গলা ছাড়তে গিয়ে একেবারে ভরা সংসদে তৃণমূল সাংসদরাই প্রেস্টিজে পড়ে গেলেন। তাদের একেবারে কাঁদিয়ে ছাড়লেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

Card image cap

ভারতীয়রা সারা জীবনের পড়াশোনার চেয়ে বিয়েতে দ্বিগুণ টাকা ওড়ায়

বিয়ে মানেই এলাহি কাণ্ড। বিশেষ করে ভারতীয়দের বিয়েতে অনেক দিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় তোড়জোর। বর-কনের সাজসজ্জা থেকে অতিথি আপ্যায়ন, বিয়ের আয়োজনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যা জড়িত তা হল খরচ।


সাধ্যের মধ্যে সকলেই কম-বেশি ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজনের চেষ্টা করেন। কিন্তু জানেন কি ভারতীয়রা বিয়েতে যে পরিমাণ টাকা খরচ করেন তা তাঁদের সারা জীবনের শিক্ষার খরচের প্রায় দ্বিগুণ! খানিকটা অবাক লাগলেও সম্প্রতি একটি রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।


গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম জেফারিজও এ বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষারই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে বিয়েকে কেন্দ্র করে ১৩০ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার বাজার রয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিয়ের বাজারের প্রায় দ্বিগুণ। 


রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এক একটি বিয়েতে ভারতীয়রা গড়ে প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা খরচ করেন। যা ওই দম্পতির প্রাক-বিদ্যালয় থেকে স্নাতক স্তরের শিক্ষার খরচের প্রায় দ্বিগুণ। অর্থাৎ ভারতীয় যুগলেরা প্রাক-প্রাথমিক থেকে স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করতে যত টাকা খরচ করেন তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ টাকা শুধু বিয়ের সময়ই খরচ করেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, ভারতে মাথাপিছু আয় আড়াই লক্ষ টাকা। অর্থাৎ এক একটি বিয়েতে খরচ করা হয় মাথাপিছু আয়ের পাঁচগুণ।


যদিও ভারতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অত্যাধিক জাঁকজমক করে বিয়ে করেন ধনীরাই। আর বিলাসবহুল বিবাহগুলির গড় খরচ থাকে ২০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে বিয়ের বিলাসবহুল বিয়েবাড়ি, একাধিক অনুষ্ঠান, অতিথিদের থাকার বিলাসবহুল জায়গা, ক্যাটারিং, বিয়েবাড়ির ডেকরেশন, বিনোদনের খরচ। তবে বিয়ের গয়না, পোশাক ও যাতায়াত ভাড়া নিয়ে কিন্তু খরচের পরিমাণ আরও বেশি।

সমীক্ষায় এও ধরা পড়েছে, বিয়ের মোট খরচের ২০ শতাংশ ক্যাটারিংয়ে ও ১৫ শতাংশ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে খরচ হয়। ভারতে যে পরিমাণ গয়না বিক্রি হয় তার অর্ধেকেরও বেশি কনের গয়না। পোশাকের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশেরও বেশি খরচ হয় বিয়ের জন্য।

Card image cap

ইডি-কে কত টাকা ফেরাতে চান ঋতুপর্ণা?

রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেই সূত্রেই এবার ইডি-কে ৭০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।


গত ১৯ জুন সিজিও কমপ্লেক্সে এসে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন ঋতুপর্ণা। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।


ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লেনদেনের সূত্র ধরেই রেশন দুর্নীতি মামলায় জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রীকে তলব করা হয় বলে ইডি সূত্রে খবর। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে এক অভিযুক্ত অভিনেত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছিলেন বলেই তাঁকে তলব করা হয়েছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল।


জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অবশ্য ঋতুপর্ণা জানিয়েছিলেন, তদন্তে তিনি সবরকম সহযোগিতা করবেন। ইডি যা যা নথি চেয়েছে তা তিনি দিয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী।


সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের পরেই ইডি আধিকারিকদের ৭০ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন ঋতুপর্ণা। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি ইডি।

Card image cap

৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ITR ফাইল না করলে মোটা অঙ্কের জরিমানা;

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩১ জুলাই ২০২৪ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আয়কর এমন একটি নথি যার অধীনে আর্থিক বছরে করদাতাদের আয় জানা যায়। যদি কোনও করদাতা আইটিআর ফাইল করতে অক্ষম হন তবে তাকে জরিমানা দিতে হবে। আয়কর বিভাগের বিভিন্ন আয়ের স্ল্যাবের জন্য অনেক করের হার রয়েছে।


এছাড়াও, আয়কর বিভাগ বারবার ব্যক্তিদের সময়মতো আয়কর রিটার্ন (আইটিআর ফাইলিং) ফাইল করার জন্য স্মরণ করায়। এক্ষেত্রে, আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে ভুলে যাওয়াকে অ-সম্মতি হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে, যেমন দায় নিষ্পত্তিতে ব্যর্থতা বা আইটিআর ফাইলে অবহেলা করলে জরিমানা হতে পারে।


আয়কর রিটার্ন (ITR) জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ মার্চ, ২০২৪-এ শেষ হওয়া আর্থিক বছরের জন্য ৩১ জুলাই, ২০২৪। আইটিআর ফাইল করার প্রক্রিয়াটি কিছুটা কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে স্বতন্ত্র করদাতাদের জন্য যারা তাদের আইটিআর ফাইল করার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিভাগ এবং জিনিসগুলি বোঝা কঠিন বলে মনে করেন।


যারা ৩১ জুলাই মিস করেন, তারা আরও একটি সুযোগ পাবেন

সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা এবং পূর্ববর্তী বছরে খরচের রেকর্ড বজায় রাখা কঠিন হতে পারে, যে কারণে ব্যক্তি ফাইল করার সময়সীমা মিস করতে পারে। ফলস্বরূপ, অনেক ব্যক্তির আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও প্রতিকূল পদক্ষেপ এড়াতে তাদের ট্যাক্স রিটার্ন পূরণ করতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হতে পারে। আইটি বিভাগ এই ধরনের করদাতাদের ৩১ ডিসেম্বরের আগে 'বিলেটেড' রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ দেয়।


'বিলেটেড' আইটিআর-এর জন্য জরিমানা

করদাতারা দেরিতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে, তাদের আয়ের স্তরের উপর নির্ভর করে জরিমানা দিতে হতে পারে। বিশেষ করে যদি আয় ৫ লক্ষ টাকার কম হলে তবে ১,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপরন্তু, দেরীতে রিটার্ন দাখিলকারীদের সুদের চার্জ এবং সময়মত রিটার্ন দাখিল করলে তাদের জন্য উপলব্ধ কিছু সুবিধা হারানোর আকারে জরিমানা হতে পারে।


Card image cap

কবে আসছে 'পদাতিক'?

মুক্তির আগেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘পদাতিক’ সিনেমার ঝুলিতে বিশেষ সম্মান। নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবি জিতে নিয়েছে সেরার সম্মান। সৃজিতের হাতে উঠে এসেছে সেরা স্ক্রিনপ্লের পুরস্কার। ট্রেলারও দেখেও আপ্লুত সিনেপ্রেমিরা। তবে অধীর আগ্রহে সবাই বসে ছিল এই ছবির মুক্তির তারিখ জানার জন্য। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। প্রকাশ্যে এল 'পদাতিক' ছবির মুক্তির তারিখ। আগামী ১৫ আগস্ট মুক্তি চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের তৈরি মৃণাল সেনের বায়োপিক 'পদাতিক'। এই ছবিতে মৃণাল সেনের চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।এই ছবি প্রসঙ্গে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জানিয়ে ছিলেন , ''মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করাটা একটা দুঃসাহসিক ব্যাপার। এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সাহস থাকতে হয়। সেই সাহসটি আমার আছে কিনা এবং সেই সঙ্গে যোগ্যতা, আমার আছে কিনা সেটা বলার আগে, একজন তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে বিষয়টা চিন্তা করলে আমার তো অবিশ্বাস্য লাগছে। তবুও দুঃসাহস নিয়ে, কাজের প্রতি একটা লোভ, স্বপ্ন থাকার কারণে এই কাজটি করা। তার উপর সৃজিত মুখোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কাজ করা। ওর যতগুলো কাজ দেখেছি। তা দেখে সৃজিতের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল।”

চঞ্চলের কথায়, ''মৃণাল সেন চলচ্চিত্র জগতের একজন দিকপাল। শ্রেষ্ঠতম একজন পরিচালকের চরিত্রে অভিনয় করা মানে একটা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকা। ভাল-মন্দ এটা পরের বিষয়।''

চঞ্চল চৌধুরী আরও জানান, ''সৃজিতের সঙ্গে আরও আগে কাজ করার কথা ছিল। কোভিড পিরিয়াডে একটা কাজ নিয়ে কথাও এগিয়ে ছিল। সৃজিতের ওয়েব সিরিজ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননিতে আমার কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাকালে ছবিটির শুটিং বাংলাদেশে না হওয়ায়, তা আর হল না। তবে শেষমেশ পদাতিক ছবির হাত ধরে সৃজিতের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হল।”

চঞ্চল আরও জানালেন, ''কলকাতার দর্শকরা আমার কাজ দেখতে চাইছেন। কলকাতার মানুষ আমাকে ভালবাসেন। সেখানকার কলাকুশলী, শিল্পীরা চাইছেন আমি কলকাতায় কাজ করি। এটা আমার জন্য খুবই সৌভাগ্যের ব্যাপার। সেটা সৃজিতের হাত ধরেই শুরু হচ্ছে। আশা করি ব্যাপারটা খুবই চমৎকার হবে। ”

Card image cap

ভবানীপুরের কাছে আটকে গেল মোহনবাগান

কলকাতা লিগে আশা জাগিয়ে শুরু করতে পারল না মোহনবাগান । ভবানীপুরের  কাছে থেমে গেল সবুজ-মেরুন শিবির। নব্বই মিনিটের শেষে খেলার স্কোরলাইন বলছে মোহনবাগান ১ ভবানীপুর ১। তবে খেলার ফলাফল অন্যরকম হলেও হতেও পারত। ম্যাচে নজর কাড়ল ভবানীপুর। যদিও দিল্লি এখনও ঢের দেরি। কলকাতা লিগে এখনও ঢের ম্যাচ বাকি রয়েছে। সবে প্রথম ম্যাচ খেলল মোহনবাগান। লিগ যত গড়াবে, ততই উজ্জ্বল হবে টাইসন-সুহেলদের খেলা। ভক্ত-সমর্থকদের আশা এমনটাই।শিবাজিতের ফ্রিকিক থেকে মোহনবাগান এগিয়ে যাওয়ার পরে ভবানীপুরের হয়ে সমতা ফেরান জিতেন মুর্মু। ভাগ্য সহায় থাকলে এদিন জিতেন মুর্মু  একাই হ্যাটট্রিক করতে পারতেন। এতেই পরিষ্কার ম্যাচে ভবানীপুরের কতটা দাপট ছিল। শিশির ঘোষ, মানস ভট্টাচার্যের মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা মনে করছেন, প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেল মোহনবাগান। কোনওরকমে এক পয়েন্ট সংগ্রহ করল তারা। শেষ পাঁচ মিনিট ছাড়া মোহনবাগানের আক্রমণে সেই কামড় কোথায়! সুহেল-শিবাজিতরা কেন এত কুঁকড়ে থাকলেন? কেন তাঁদের ফুটবল দৃষ্টিনন্দন হল না? ঘটনা হল, ভবানীপুরের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি মোহনবাগান। একটা সময়ে প্রতিটি বিভাগেই মোহনবাগানের উপরে প্রাধান্য দেখিয়ে গিয়েছে ভবানীপুর। তাদের দলেও রয়েছেন কলকাতা ময়দানের পোড়খাওয়া সব ফুটবলাররা। বর্ষাস্নাত, ভিজে মাঠে কীভাবে খেলতে হয়, তা তাঁদের হাতের তালুর মতো জানা। সবুজ-মেরুন শিবির প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায়। শিবাজিৎ সিং ফ্রি কিক থেকে এগিয়ে দেন মোহনবাগানকে। গোলটির ক্ষেত্রে ভবানীপুর গোলকিপার শংকর রায়ই দোষী। অতীতে শংকর রায় মোহনবাগানের গোল আগলেছেন। সেই তিনিই পাঁচিল সাজিয়ে নিজে দাঁড়ালেন মাঝমাঝি জায়গায়। শিবাজিতের বাঁক খাওয়ানো ফ্রিকিকের নাগালও পাননি তিনি।  
দিনের শুরু দেখে সবসময়ে বোঝা যায় না গোটা দিনটা কেমন যাবে। এই গোল হজম করার পরই ভবানীপুরের জার্সি আরও উজ্জ্বল দেখাতে শুরু করে। মোহনবাগান রক্ষণের বাঁ দিক ছিল তাদের মিসিং লিঙ্ক। আর ওই প্রান্ত দিয়েই বারংবার আক্রমণ করছিল ভবানীপুর। সইফুল-উমের-জোজো, এই থ্রি মাস্কেটিয়ার্স মিলে মোহনবাগানের রক্ষণে কাঁপুনি ধরাচ্ছিল। ডান দিক থেকেই গড়ানে ক্রস বিপদ ডেকে এনেছিল মোহনবাগানের পেনাল্টি বক্সে। কিন্তু সেই যাত্রায় অভিজ্ঞ জিতেন শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পেরে পড়ে যান। বলের সঙ্গেও সংযোগ ঘটাতে পারেননি। ফলে সমতা ফেরানোর সুযোগ নষ্ট করেন জিতেন।সেই জিতেনই ভবানীপুরের ত্রাতা হয়ে ধরা দেন। যদিও তাঁর গোলটার ক্ষেত্রে সবুজ-মেরুন রক্ষণের রক্তাল্পতাই চোখে পড়ল। ডান দিক থেকে উমেরের বাঁক খাওয়ানো সেন্টার বুঝতেই পারলেন না সবুজ-মেরুনের দুই সেন্টার ব্যাক সৌরভ ও সায়ন। বর্ষাভেজা মাঠে বল পড়লে তা আরও দ্রুতগতিতে ছুটে আসে। মোহনবাগানের দুই ডিফেন্ডার সেটাই উপলব্ধি করতে পারেননি। বল জিতেনের কাছে এলে তিনিও প্রথম টাচে ভালো করে বলটা ট্র্যাপ করতে পারেননি। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জিতেন মোহনবাগানের জালে বল জড়িয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে অন্য এক মোহনবাগানকে দেখা যাবে বলেই ধরে নিয়েছিলেন ভক্তরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ছবিটাও প্রথমার্ধের মতোই। ভবানীপুর একাধিকবার আক্রমণ শানায়। সবুজ-মেরুনের রক্ষণ কেঁপে গেলেও সেই সব আক্রমণ থেকে ভবানীপুর গোল করতে পারেনি। তবে শেষ পাঁচ মিনিট মোহনবাগান মরণকামড় দেয়। ততক্ষণে অবশ্য অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। এই তাগিদটা আরও আগে দেখাতে পারতেন টাইসন-সুহেল-শিবাজিতরা। কলকাতা লিগে শেষের দিকে তেড়েফুঁড়ে খেলে গোল করতে দেখা গিয়েছে অনেক দলকেই। এদিন আরও আগে থেকে জেতার খিদে দেখাতেই পারত মোহনবাগান। শংকরের পরিবর্ত হিসেবে নামা গোলকিপার প্রিয়ন্ত সজাগ থাকায় মোহনবাগান শেষমেশ তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি। ওইটুকু সময়তেই মোহনবাগানকে উজ্জ্বল দেখিয়েছে। বাকি সময়টায় ভবানীপুর ভেজা মাঠে ফুল ফুটিয়ে গেল। 

Card image cap

১১১ ফুটের ফাইবারের প্রতিমা!

দুই বিঘা জমি। চারিদিক খোলা। জমির অনেকটা অংশে বাঁশের অস্থায়ী তাঁবু। দিনের শুরুতে প্রায় ১০-১২ জন প্রতিমা শিল্পী পরিকল্পনায় ব্যস্ত। তার পরেই কাজ শুরু। রূপ দেওয়া হচ্ছে দুর্গা প্রতিমার। না অনেকগুলো প্রতিমা নয়। একটি প্রতিমা তৈরিতে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন শিল্পীরা। এক বিরাট যজ্ঞে সামিল তাঁরা! গড়ে উঠছে প্রায় ১১১ ফুটের দুর্গা প্রতিমা।রানাঘাটের কামালপুর এলাকায় অভিযান সংঘ তৈরি করছে বাংলার সবথেকে বড় প্রতিমা! এবারের তাঁদের দুর্গা পুজোর ৫৫ তম বর্ষ। গতবছরের পুজোর পর থেকেই পুজো কমিটি ভাবতে থাকে বিশেষ কিছু করার। সেই থেকেই এই সিদ্ধান্ত। প্রায় ১ বছর ধরে আলোচনা। বাংলা নববর্ষের দিন থেকে কাজ শুরু। শুধু মাটির তৈরির অত বড় প্রতিমা দাঁড় করানো কঠিন। তাই থাকবে ফাইবারের কাজ। প্রাথমিক উচ্চতা যা বলা হচ্ছে, তার থেকেও উচ্চতা বাড়বে বলে দাবি শিল্পীদের।

Card image cap

হাথরাস কাণ্ডে মৃত বেড়ে ১১৬, সৎগুরুর বিরুদ্ধে FIR

উত্তরপ্রদেশের হাথরসের সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবরে এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬। মৃতদের বেশিরভাগই শিশু ও মহিলা। যে ধর্মগুরুর ডাকে এই সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেই সুরজ পাল ওরফে ভোলে বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে তিনি।এদিকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার জন্য সৎসঙ্গের আয়োজক কমিটিকেই দায়ী করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের একাংশের দাবি, সৎসঙ্গের জন্য যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তা ঘেরা ছিল। সেখানে কোনও পাখার ব্যবস্থা ছিল না। প্রচণ্ড গরমের কারণে প্যান্ডেলের ভেতর হাঁসফাঁস করছিলেন ভক্তরা। অনুষ্ঠান শেষের পর ভক্তরা হুড়মুড়িয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বেরনোর জন্য যে গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেটিও ছিল অত্যন্ত সংকীর্ণ। ফলে বের হওয়ার সময় আগে যাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এই অবস্থায় পড়ে যান অনেকেই বাকিরা তাঁদের উপর দিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করে।গোটা ঘটনায় ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে ভোলে বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, যাঁদের গাফিলতির জেরে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘটনার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছেন। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

Card image cap

গণপিটুনিতে কড়া রাজ্য

কখনও বাচ্চা চুরির গুজব তো কখনও মোবাইল চুরির অভিযোগ। কখনও স্রেফ সন্দেহের বশে রাজ্যে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। যার জেরে ইতিমধ্যে প্রাণও হারিয়েছেন কয়েকজন। এবার সেই ঘটনা কড়া হাতে মোকাবিলার বার্তা দিল রাজ্য প্রশাসন। একইসঙ্গে গণপ্রহারের ঘটনায় স্বজনহারাদের পাশে থাকার বার্তাও দিল রাজ্য। মৃত ব্যক্তির পরিবারের এক সদস্যকে হোম গার্ডের চাকরি ও ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এডিজি  মনোজ ভার্মা।নবান্নে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ভিজিল্যান্স বসানো হচ্ছে। পুলিশকে সর্বাধিক সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে স্পেশাল হোম গার্ডের চাকরি এবং দু লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, "যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। অর্থ বা চাকরি দিয়ে সেই ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে সরকারের তরফে পরিবারগুলির পাশে থাকার জন্য এই সিদ্ধান্ত।"কড়া বার্তা দিয়েছেন মনোজ ভার্মা। আমজনতার উদ্দেশে তাঁর বার্তা, "আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না। কোনও সমস্যা থাকলে পুলিশকে জানান। কিন্তু তা না করে, আইন নিজের হাতে তুলে নিলে আমরা তা বরদাস্ত করব না।" এর পাশাপাশি সতর্ক করতে বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।

Card image cap

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মানহানির মামলা রাজ্যপালের

বেনজির প্রশাসনিক সংঘাত বাংলায়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মানহানির মামলা করলেন খোদ রাজ্যপাল। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার বিচারপতি কৃষ্ণা রাও-এর এজলাসে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক ইস্যুতে রাজ্য-রাজভবনের সংঘাত চলছে। তবে সম্প্রতি উপনির্বাচনে নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজভবন-বিধানসভার জটিলতা আরও বেড়েছে। রাজ্যের শাসকদল ও বিধানসভার স্পিকার জটিলতা কাটাতে নানাভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর দাবি, রাজভবনে গিয়েই শপথ নিতে হবে বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে। আর দুই বিধায়ক চান, রাজভবনে নয়, রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে শপথ পড়ান। এসবের মাঝে শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করতে চান বলে আগেই জানিয়েছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার দিল্লিতে  কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর নিজেই তা জানিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার হাই কোর্টে সেই মামলা দায়ের করলেন বোস। বুধবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

Card image cap

হাথরাস কাণ্ডে ভাষণ থামিয়ে সংসদে শোকপ্রকাশ মোদির

শোকগ্রস্ত গোটা দেশ। উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের। আহত ১০০ জন। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন যোগী। পাশাপাশি দুর্ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন। তথাপি গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। প্রথম প্রশ্ন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে না দেখে বিরাট ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অনুমতি দেওয়া হল কেন? দ্বিতীয়ত, ভিড় সামলানোর জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবক ছিল কি?২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর যে হাথরাসের এক দলিত কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। মঙ্গলবার সেই হাথরাসের ছিল আরও একটি শোকের দিন। রতিভানপুরের মুঘলাগড়ি গ্রামে ভোলেবাবা নামের এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান ছিল। আনুষ্ঠানিক উদ্যোক্তা- মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাবনা কমিটি। যেখানে মঙ্গলবার কয়েক হাজার ভক্তের জমায়েত হয়েছিল। যে ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, সঙ্কীর্ণ পরিসরে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে শয়ে শয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর প্রথম প্রশ্ন উঠছে, অনুষ্ঠানের অনুমোদন ছিল?হাথরসের জেলাশাসক আশিস কুমার জানিয়েছেন, অনুমোদন দিয়েছিল মহকুমা শাসকের দপ্তর। পরের ধোঁয়াশা, বিরাট ভিড় সামলোনোর মতো পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন ছিল কি না সমাবেশে! এর উত্তর এখনও সামনে না এলেও একটি বিষয় স্পষ্ট, অনুষ্ঠান শেষের হুড়োহুড়ি সামলাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকাতেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রাজেশ কুমার নামের এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।