Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

টাকার গদিতে ৬ রাশি, আপনার ভাগ্যে কী?

আজকের রাশিফল মঙ্গলবার ২৫ জুন চন্দ্র আজ মকর রাশিতে যাত্রা সম্পন্ন করে কুম্ভ রাশিতে ভ্রমণ করবে। শনির থেকে চাঁদ দ্বিতীয় কক্ষে গোচর করছে। যার ফলে সুনফা যোগ নির্মিত হবে। আবার আজ অঙ্গারকী সংকষ্টী চতুর্থী। এই তিথিতে সুনফা যোগ, লক্ষ্মী নারায়ণ যোগ, ত্রিগ্রহী যোগ ও শ্রবণ নক্ষত্রের প্রভাব তাকবে। যার লাভ হবে ৬ রাশির জাতকদের। পুরনো ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন এই রাশির জাতকরা। ভাই-বোনের সম্পর্কে স্নেহ বাড়বে। আজকের দিনটি আপনার কেমন কাটবে, তা বিস্তারিত দেনে নিন।




আজকের মেষ রাশিফল


মেষ রাশির জাতকরা কর্মক্ষেত্রে কিছু নতুন অধিকার লাভ করবেন। সন্তানের বিবাহের ভালো প্রস্তাব পাবেন। জীবনসঙ্গী কোনও কারণে আপনার ওপর রেগে থাকতে পারেন। তবে তাঁর রাগ দূর করার চেষ্টা করতে হবে আপনাদের। ছাত্রছাত্রীরা নিজের কেরিয়ার সংক্রান্ত কারণে চিন্তিত থাকবেন।

ভাগ্য ৬৮ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। সরস্বতীর পুজো করুন।



আজকের বৃষ রাশিফল


বৃষ রাশির জাতকদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। বড়দের সঙ্গে কোনও কথা কাটাকাটি হতে পারে। কিন্তু তাঁদের পরামর্শ শুনলে ভবিষ্যতে লাভজনক প্রমাণিত হবে। শত্রু প্রবল হবে আজ। আইনি মামলায় সাফল্য লাভ করবেন। পারিবারিক ব্যবসায়ে জীবনসঙ্গীর কথা শুনে কাজ করুন। মনের মধ্যে ধর্মীয় চিন্তাভাবনা উৎপন্ন হবে।


৭৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। সাদা বস্তু দান করুন।


আজকের মিথুন রাশিফল


মিথুন রাশির জাতকরা আটকে থাকা টাকা ফিরে পাবেন। এর ফলে আপনাদের আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। ঋণের টাকা শোধ করে দিন। শান্তিপূর্ণ জীবন কাটাবেন। পারিবারিক ব্যবসায়ে সন্তানের সহযোগিতা লাভ করবেন। ব্যবসায়ে অংশীদার ও স্ত্রীর পূর্ণ সহযোগিতা অর্জন করবেন। ছাত্রছাত্রীরা কোনও প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিয়ে থাকলে সফল হবেন।


ভাগ্য ৮১ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। শিবলিঙ্গে দুধ নিবেদন করুন।



আজকের কর্কট রাশিফল



কর্কট রাশির জাতকদের দীর্ঘদিন ধরে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন ছিল, তা আজ পেতে পারেন। সন্ধ্যাবেলা পরিজনদের সঙ্গে শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতের ফলে আর্থিক লাভ হবে। রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত জাতকদের মনে নতুন চিন্তাভাবনা উৎপন্ন হবে। ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারেন।


আজ ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। মা-বাবার আশীর্বাদ গ্রহণ করুন।


আজকের সিংহ রাশিফল


সিংহ রাশির জাতকরা বাবার সাহায্যে চাকরি ও ব্যবসায়ে আগত গভীর সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। ভাই-বোনের সঙ্গে সম্পর্কে স্নেহ বাড়বে। প্রতিবেশী ও অন্য ব্যক্তির অনুভূতি বুঝতে হবে, তাঁদের অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করুন। কারও বলা উপযুক্ত কথা শুনতে কোনও দোষ নেই। বিবাহযোগ্য জাতকরা বিয়ের ভালো প্রস্তাব পাবেন। রোজগারের চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁরা সাফল্য অর্জন করবেন।


৭১ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনাদের পক্ষে। যোগ প্রাণায়াম অভ্যাস করুন।


আজকের কন্যা রাশিফল


কন্যা রাশির জাতকদের কর্মক্ষেত্রে শত্রুদের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে, অন্যথা লোকসানের শিকার হতে পারেন। শত্রুরা আপনাকে সমস্যায় ফেলার সমস্ত ধরনের চেষ্টা করবে। পরিবারে কোনও সদস্যের স্বাস্থ্য দুর্বল হবে। অধিক দৌড়ঝাপ করতে হবে, অর্থ ব্যয় হবে। তবে ভয় পাবেন না। সন্ধ্যা নাগাদ স্বাস্থ্যোন্নতি হবে এই রাশির জাতকদের। মহিলা সহকর্মী ও আধিকারিকদের সাহায্য পাবেন। ছাত্রছাত্রীরা প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করবেন।


ভাগ্য ৬২ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। অসহায়দের চাল দান করুন।


আজকের তুলা রাশিফল


তুলা রাশির জাতকরা শান্তিতে জীবন কাটাবেন। বাড়ির পুরনো আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে। অভিজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। সম্পত্তি ক্রয় করার আগে সমস্ত দিক ভালো ভাবে খতিয়ে দেখে নিন। কারও বিবাদে জড়াবেন না। বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে, এর ফলে ভবিষ্যৎ দুশ্চিন্তা কমবে।


ভাগ্য ৭৮ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। শিব জপ মালা পাঠ করুন।


আজকের বৃশ্চিক রাশিফল


বৃশ্চিক রাশির জাতকদের ব্যবসায়িক কারণে পরামর্শ নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিন। সাফল্যের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পূরণ করতে পারবেন। দুপুর নাগাদ মহিলাবন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাবেন। আজ সব স্থান থেকে প্রশংসা লাভ করবেন। প্রেম জীবন সুখে কাটবে।


আজ ৮৮ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। তুলসী গাছে নিয়মিত জল নিবেদন করুন।


আজকের ধনু রাশিফল


ধনু রাশির জাতকরা পারিবারিক জিনিস ক্রয় করতে পারেন। ব্যয় বাড়বে। নিজের পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করুন। দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে। জীবনসঙ্গীর ভালোবাসা পাবেন। পুরোন ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ায় স্বস্তি অনুভব করবেন। তবে কোনও না-কোনও কারণে ঋণ নিতে হতে পারে, তা শোধ করে দিন, তা না-হলে সেই ঋণ শোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। ব্যবসায়ে নতুন সাধন ব্যবহার করবেন।


ভাগ্য ৭৭ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার পক্ষে। লক্ষ্মীকে পায়েসের ভোগ নিবেদন করুন।



আজকের মকর রাশিফল


মকর রাশির জাতকরা আজ ভেবেচিন্তে অর্থ ব্যয় করুন। কেউ আপনার কাছ থেকে টাকা ধার চাইলে ভেবেচিন্তে দিন, কারণ সেই টাকা আটকে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সন্তানের তরফে সুসংবাদ পেতে পারেন। পরিবারের সঙ্গে শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। বাড়িতে পুরনো বন্ধু বা কোনও অতিথি আগমন হতে পারে।


ভাগ্য আজ ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে থাকবে। দরিদ্র ও বরিষ্ঠদের আশীর্বাদ গ্রহণ করুন।


আজকের কুম্ভ রাশিফল

কুম্ভ রাশির যে জাতকরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা আজ সাফল্য লাভ করবেন। লগ্নির ইচ্ছা থাকলে ভালো মুনাফা হতে পারে। বিরোধীরা আপনাকে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করবেন, কিন্তু তাঁদের চেষ্টা অসফল হবে। ধর্মীয় ও শুভ কাজে অর্থ ব্যয় হবে। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষক ও সহপাঠীদের কাছ থেকে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।


ভাগ্য ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। গণেশকে লাড্ডুর ভোগ নিবেদন করুন।


আজকের মীন রাশিফল

মীন রাশির জাতকদের সম্পত্তি ক্রয়ের পরিকল্পনা থাকলে আজকের দিনে সাফল্য অর্জন করবেন। বাবার বাড়ির তরফে মান-সম্মান পাবেন। অধিক দায়িত্ব পেতে পারেন এই রাশির জাতক। ব্যবসায়িক কারণে শহরের বাইরে যেতে পারেন। যাত্রা সফল হবে। চাকরিতে গোপন শত্রু আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। সন্ধ্যা নাগাদ সমস্যায় জড়াবেন। স্ত্রীর সহযোগিতা পাবেন এই রাশির জাতকরা। মা-বাবার স্নেহ পাবেন।


আজ ৮৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। বিষ্ণুর আরাধনা করুন।




Card image cap

অজিদের হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে ভারত

 আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনাল হেরে চোখে জল এসেছিল ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার ।
সেন্ট লুসিয়ায় সেই হারের বদলা নিল টিম ইন্ডিয়া । সৌজন্যে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি একাই অস্ট্রেলিয়াকে এদিন নক আউট করে দিলেন। ভারতের পাহাড়প্রমাণ ২০৫ রান তাড়া করতে নেমে অজিরা থেমে যায় ১৮১ রানে। তবে বিশ্বকাপ অভিযান অজিদের এখনই শেষ হয়ে গেল কিনা তার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে নজর থাকবে অস্ট্রেলিয়ারও। আফগানরা জিতলে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ অভিযান শেষ। অন্যদিকে প্রবল শক্তিধর অস্ট্রেলিয়াকে ২৪ রানে মাটি ধরিয়ে ভারত পৌঁছে গেল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। গোটা দেশের প্রার্থনা এই স্বপ্নের দৌড় যেন না থামে।  সুপার এইটের ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পড়ছিল আহমেদাবাদের সেই অভিশপ্ত ফাইনালের ছায়া। সেদিন হেড ছিলেন নায়ক। এদিন তিনি ট্র্যাজিক নায়ক। একেই হয়তো বলে পোয়েটিক জাস্টিস! আহমেদাবাদের সেই ফাইনালে মারাত্মক হয়ে ওঠা রোহিত শর্মার ক্যাচ ধরেছিলেন ট্রাভিস হেড। তার পরে ভারতের রান তাড়া করতে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে হেড ম্যাচ নিয়ে চলে গিয়েছিলেন অজিদের সাজঘরে। রোহিতদের সামনে বিশ্বকাপ হাতে তুলেছিলেন প্যাট কামিন্সরা।  হেড ভারতের রান তাড়া করতে নেমে একসময়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু ম্যাচের মোক্ষম সময়ে বুমরাহর বলে হেডকে (৭৬) তালুবন্দি করলেন রোহিতই। ইতিহাসের পাতায় ধার-বাকি থাকে না কিছুই। এদিন খেলার মাঠেই ঋণ চুকিয়ে গেলেন রোহিত।
সুপার এইটে দুদ্দাড়িয়ে শুরু করেছিল টিম ইন্ডিয়া। অন্য দিকে আফগানিস্তানের কাছে হেরে হঠাৎই ব্যাকফুটে চলে যায় অজিরা। চাপ অনুভব করতে শুরু করেন প্যাট কামিন্সরা। ভারতের বিরুদ্ধে তাঁদের জেতা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। কিন্তু দিনটা যে ছিল রোহিত শর্মার (৪১ বলে ৯২)। মিচেল মার্শও ভয়ংকর হয়ে ওঠার ঈঙ্গিত দিতে থাকেন। কথায় বলে ক্যাচেস উইন ম্যাচেস। মার্শ ও হেড যখন আহমেদাবাদের সেই অভিশপ্ত রাত ফেরানোর চেষ্টায় মত্ত, ঠিক তখনই কুলদীপের বলে মার্শের দুর্ধর্ষ ক্যাচটি ধরেন অক্ষর প্যাটেল। ওই রকম ক্যাচ ভারতীয় দলের মনোবল বাড়িয়ে দিল কয়েকগুণ। ৮১ রানের পার্টনারশিপ ভাঙলেন কুলদীপ। ম্যাক্সওয়েল যে কোনও দিন, যে কোনও সময়ে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি ঘুরিয়ে দিতে পারেন। হেডের সঙ্গে ম্যাড ম্যাক্সও বিপজ্জনক হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু কুলদীপের ম্যাজিক ডেলিভারিতে ম্যাক্সওয়েলের (১৯) উইকেট ভেঙে গেল। মার্কাস স্টোয়নিসও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। কিন্তু ট্রাভিস হেড একাই লড়াই নিয়ে যাচ্ছিলেন ভারতের ক্যাম্পে। বুমরাহ থামিয়ে দিলেন হেডকে। তিনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ততক্ষণই শ্বাস ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তিনি ফিরতেই ম্যাচের দখল আরও নিয়ে নেয় ভারত। একে একে অজিদের দেউটি নিভল। ভারত শেষ চারের ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলল।

Card image cap

সংসদে সেলফি মুডে জুন-রচনা-সায়নীরা

সংসদের সবুজ কার্পেটে ফ্রেমবন্দি তৃণমূলের তারকা সাংসদদের রঙিন মুহূর্ত। শপথগ্রহণের আগে সোমবারই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। চব্বিশের লোকসভা ভোটে জিতে প্রথমবার সংসদে পা রাখলেন জুন মালিয়া, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষরা। সোমবার একদিকে যখন সংসদ চত্বর ইন্ডিয়া জোটের বিক্ষোভে উত্তাল, তখন ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল তৃণমূলের প্রমিলা বাহিনীর তারকা সাংসদদের।
সোমবার লোকসভায় প্রথমবার পা রাখলেন জুন, রচনা, সায়নীরা। আর পয়লা দিনেই ফটোসেশনে মেতে উঠতে দেখা গেল তাঁদের। কখনও সেলফিতে আড্ডার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ জুন। আবার কখনও বা ক্যামেরাম্যান অবতারে ধরা দিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে জুন-রচনাদের ছবি তুলে দিতে দেখা গেল শ্রীরামপুরের সাংসদকে।
প্রথমদিন সংসদে পা রাখার অভিজ্ঞতা কেমন? সায়নীর কথায়, “দারুণ! আমাদের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি বাঘিনী। আর তিনিই মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিয়েছেন আমাদের। এটা ভীষণ বড় পাওনা।” জুন মালিয়া বলছেন, “প্রথম দিন। তাই আমরা সবাই খুব এক্সাইটেড। আশা করি, আগামী ৫ বছর এমনই সুন্দর হবে।” এর পরই সংবিধান হাতে সায়নীর সংযোজন, “প্রথম দিন থেকেই আমরা ‘টোন’ সেট করতে চাইছি। কোনও রকম স্বৈরাচারীতা চলবে না।”জুন মালিয়ার পরনে ছিল আইভরি রঙের শাড়ি। সঙ্গে ম্যাচিং করে লাল ব্লাউজ। চোখে ছোট্ট টিপ। হালকা লিপস্টিক। গলায় মুক্তোর মালা। ছিমছাম সাজেই সেলফিবন্দি হলেন মেদিনীপুরের তারকা সাংসদ। অন্যদিকে যাদবপুরের সাংসদ হিসেবে শপথগ্রহণের আগে নিলাম্বরী সাজে সংসদে ধরা দিলেন সায়নী ঘোষ। প্রথমবার লোকসভা ভোটের প্রার্থী হয়েই বাজিমাত করেছেন তিনি। যাদবপুরের মতো সম্মানের আসনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে নিজের ঝাঁজ বুঝিয়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার সংসদে দাঁড়িয়ে সাংসদ হিসেবে নতুন ইনিংস শুরু তরবেন ‘বাজিগর’ সায়নী। দিদি নম্বর ওয়ান রচনাকে দেখা গেল নিজস্ব বুটিকের সবুজ রঙের শাড়ি পরনে। তবে তৃণমূলের প্রমিলা বাহিনির মধ্যে কমলা-গোলাপি কম্বিনেশনের পিওর সিল্ক শাড়িতে নজর কাড়লেন মহুয়া মৈত্রও।

Card image cap

তৃণমূলী নেতার দাপটে ৬ বছর স্কুলছাড়া শিক্ষক!

তৃণমূল নেতাদের বাধায় ৬ বছর স্কুলেই ঢুকতে পারেননি সহকারী প্রধান শিক্ষক। অবশেষে আদালতের নির্দেশে শাপমোচন। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির নির্দেশ, শিক্ষককে অবিলম্বে স্কুলে যোগদান করাতে হবে। ২০১৭ সাল থেকে সমস্ত বকেয়া সুদ সমেত শিক্ষককে মিটিয়ে দিতে হবে।
২০১২ সালে বীরভূমের তেঁতুলবেড়িয়া জুনিয়র হাই স্কুলে ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সৌমেন্দ্রনাথ মিয়া। ২০১৬ সালে ওই স্কুলেরই টিচার ইনচার্জের দায়িত্ব পান তিনি। সৌমেন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত পরিচালন কমিটির সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকেই তাঁর মতানৈক্য শুরু হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজারাম ঘোষ ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন। কমিটির কয়েকজন সদস্য মিলে স্কুলের খেলার মাঠে অবৈধ নির্মাণ শুরু করেন বলে অভিযোগ টিচার ইনচার্জের। তিনি বলেন, “আমি বাধা দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে। শুধু তাই নয়, থানাতেও প্রভাব খাটায়। পুলিশ শাসানি দেয় স্কুলে ঢুকলে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হবে।”
দিনের পর দিন স্কুলে এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজারাম ঘোষ রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তবে শিক্ষাদপ্তরও কোনওরকম পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি। স্থানীয় পুলিশও তাঁকে স্কুলে ঢুকতে সাহায্য করেনি। ওই শিক্ষকের অভিযোগ, পরবর্তী সময়ে পদত্যাগ করার জন্য তাঁর উপর চাপ তৈরি করা হয়। শেষমেষ তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। যদিও সেই ইস্তাফাপত্র নিয়ে স্কুল কোনও সিদ্ধান্তের কথা না জানানোয় তিনি পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেন। শিক্ষাদপ্তরের কাছে আবেদন করেন তাঁকে যেন স্কুলে যোগদান করানো হয়।

Card image cap

পরিষেবা নিয়ে ‘রণংদেহী’ মুখ্যমন্ত্রী

আমলা থেকে পুলিশ, রেহাই পাননি কেউ। সোমবার নবান্ন সভাঘরের প্রশাসনিক বৈঠকে পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এর পরই একাধিক পদে রদবদল ঘটাল নবান্ন। তিনি বনদপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব বিবেক কুমারকে ভূমি দপ্তর দেখার কথা বলেন। তার পরেই সচিব স্তরে রদবদলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তর।
বনদপ্তরের দায়িত্ব থেকে ভূমি দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিবেক কুমারকে। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে তাঁর কাছে প্রাণিসম্পদ দপ্তরটিও রইল। বনদপ্তরের দায়িত্বে এলেন অগ্নিনির্বাপণ ও আপৎকালীন পরিষেবা দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মনোজ কুমার আগরওয়াল। বনদপ্তরটি থাকছে তাঁর অতিরিক্ত দায়িত্বে।এদিন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিনোদ কুমারকে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব করা হয়েছে। আর এক অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক স্মারকি মহাপাত্রকে জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার দপ্তরের সচিব করা হল। সমবায়ের সঙ্গে এই দপ্তরেরও দায়িত্বে ছিলেন কৃষ্ণ গুপ্তা। তাঁকে শুধু সমবায় দপ্তরটি দেওয়া হয়েছে।

Card image cap

'মানুষকে যারা ভালবাসেনা, তাদের ছুড়ে ফেলতে আমার এক সেকেন্ডও লাগবে না'

পুরসভার কাজে তীব্র অসন্তোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। স্থানীয় স্তরে যে সব অভিযোগ বিরোধীদের মুখে শোনা যায়, আজ সেগুলোই শোনা গেল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। কাউন্সিলর, পুরমন্ত্রীকে সামনে বসিয়ে একের পর এক তোপ দাগলেন মমতা। একেবারে রণংদোহী মেজাজে দেখা গেল মমতাকে। জমি দখল, বেআইনি নির্মাণ, টেন্ডারের নামে টাকা খাওয়া, পার্কিং-এর নামে তোলাবাজির মতো অভিযোগ শোনা গেল তাঁর মুখে।


সোমবার রাজ্যের প্রায় সব পুরসভার পুরপিতাদের নিয়ে নবান্নে বৈঠকে বসেন মমতা। উপস্থিত ছিলেন একাধিক মন্ত্রী।


মমতা কী কী বললেন একনজরে


‘পুরসভা রাখার দরকার কী’-বৈঠকের শুরুতেই মমতা বলেন, “আমার কথা কিছুটা তিক্ত হলেও মনে রাখবেন পুরসভা কিন্তু মানুষকে পরিষেবা দেয়। আমি বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি, কোথাও যখন দখলদারি চলছে, তখনও কোনও অ্য়াকশন নেওয়া হচ্ছে না। কেউ টাকা খাওয়াচ্ছে, কেউ টাকা খাচ্ছে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছে রাজ্যের আইডেন্টিটিটা এটাতে নষ্ট হচ্ছে। মানুষ যদি উন্নয়নের কাজ না পায় তাহলে সেই পুরসভা বা পঞ্চায়েত রাখার দরকার কী!”


‘বাংলার আইডেন্টিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আপনাদের টাকা নেওয়ার জন্য’– বেআইনি নির্মাণের জেরে হাওড়ায় অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকার জায়গা হয় না। এমনটাই বললেন মমতা। তিনি বলেন, “হাওড়ায় প্রচুর বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। রথীন যখন চেয়ারম্যান ছিল, হাওড়াটাকে ১২টা বাজিয়ে দিয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার জায়গা নেই। নো অ্যাকশন। কারণ প্ল্যান পাশ করার জন্য মানুষকে অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অনলাইনে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। তাতেও কাজ হয়নি। আমি চাইনা কাউকে হেনস্থা হতে হোক। কিন্তু একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই লোক বসিয়ে দিচ্ছে। বাংলার আইডেন্টিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আপনাদের টাকা নেওয়ার জন্য, কেন বুঝতে পারছেন না? জমি পাচ্ছেন বেচে দিচ্ছেন। খুব খারাপ পারফরম্যান্স, কেন তৈরি করা হয়েছিল আমি জানি না।”

‘কে খাচ্ছেন না জানি না, নিশ্চয় দিয়েই খাচ্ছেন’- টেন্ডার নিয়েও চলছে দুর্নীতি! খোদ মমতার মুখেই এমন অভিযোগ। বললেন, “বালির এসডিও অমৃতা কী করছেন, কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নিজেরা টেন্ডার দিচ্ছেন, কার থেকে কতটা খাচ্ছেন জানি না। কে খাচ্ছেন, কে খাচ্ছেন না জানি না। নিশ্চয় দিয়েই খাচ্ছেন। আমি এই কথাগুলো বলার জন্য মোটেই খুশি নেই, আমি দুঃখিত।”

‘একটা ঢাকনা করলেও খুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন’ – পুরসভাগুলির পরিষেবা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ মমতার। তিনি উল্লেখ করেন, কোথাও কোথায়ও আলো জ্বলতেই থাকে, কোথাও জল বন্ধ করা হয় না। রাস্তা সারানো হয় না। তিনি বলেন, ‘একটা ঢাকনা করলেও কেউ খুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন।’

‘আমার বাড়ি থেকে শুরু করুন’– বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব মমতা। বলেন, “হাতিবাগান, গড়িয়াহাটের অবস্থা খারাপ। ওয়েবেলের কাছে দেখলাম কত দোকান বসেছে, সবাই আউটসাইডার। নোংরা করে রেখে দিয়েছে। কেন নতুন একটা জোন করা হচ্ছে না? বেআইনিভাবে চারতলা-পাঁচ তলা তোলা হচ্ছে, কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। দুএকজনকে গ্রেফতার করুন, দু-একটা নির্মাণ ভাঙুন। আমার বাড়ি থেকে শুরু করুন। কেন বেআইনি কোনও জিনিস আমরা মানব।”

‘আইসি হলে ইনকাম করে নেবেন, এসব আর করবেন না’– প্রশাসনিক কর্তাদের কড়া বার্তা মমতার। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ‘কারও কারও অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, আইসি হলে যতটা পারি ইনকাম করে নিই, এসডিও হলে একটা সঞ্চয় করে নিই, ডিএ হলে সঞ্চয় করে নেব- এগুলো অনেক হয়েছে, আর করবেন না প্লিজ, এবার বড্ড চোখে লাগছে।’

‘সুজিত বসু লোক বসাচ্ছেন কম্পিটিশন করে-হোয়াই হোয়াই…’- সল্টলেক-রাজার হাট চত্বর নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ মমতার। নাম নিলেন মন্ত্রী সুজিত বসুর। বললেন, “সল্টলেক দেখে আমার লজ্জা লাগছে। বেআইনি দখল বাড়ছে। ইচ্ছামতো সুজিত বসু লোক বসাচ্ছেন কম্পিটিশন করে। কেন বাইরের লোক বসাবেন। ছবি দেখালে নিজেরা লজ্জা পাবেন। সবাই ত্রিপল লাগিয়ে বসে পড়ছেন, কেন কেন কেন… আমি জানতে চাই। কত টাকার বিনিময়ে এসব হচ্ছে, কারা নিয়েছে টাকা। সল্টলেকের কাউন্সিলররা কেন কাজ করে না? রাস্তা ঝাঁট দেয় না। এবার কি আমাকে রাস্তা ঝাঁট দিতে হবে?”

টেন্ডার নিয়ে কড়া মমতা- মমতা স্পষ্ট বলেন, ‘আজ থেকে লোকালি কোনও টেন্ডার করতে দেব না, সব কেন্দ্রীয়ভাবে হবে। এর জন্য আমি কমিটি তৈরি করে দিচ্ছে। কমিটিতে থাকবেন- মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, সেচ দফতরের সচিব, সিপি, ডিজি, এডিজি আইন-শৃঙ্খলা।’

উন্নয়ন পর্ষদগুলিতে কী কাজ হয় প্রশ্ন মমতার। “আর্বান ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি… কী কাজ তাঁর! কতকগুলো বোর্ড রেখে দিয়েছে। দফতরটা রাখার দরকার কী। ৪০০-৫০০ লোক রেখেছে। দিঘা উন্নয়ন অথরিটির আর কোনও প্রয়োজন আছে কি? বিরাট বাড়িতে ৪০০-৫০০ লোক, কারও গা টিপছে, কারও পা টিপছে। আরাম করছে। তাঁদের যেখানে সরকারি কর্মী নেই, সেখানে কাজে লাগিয়ে দাও। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদও তাই। পুরসভা আছে তো কাজ করার জন্য।”

অফিসারদের স্বচ্ছতা নিয়ে কড়া নজরদারি– মমতা বলেন, “অফিসাররা ভাবছে, আমি ২ বছর থাকব কোনও রকমে কাটিয়ে দেব। তা হয় না। আপনার পিরিয়ডটা রিভিউ করা হবে। এবার থেকে রিভিউ কমিটি তৈরি করা হবে। স্বচ্ছতা রেখেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।”

‘কাঁচা রাস্তা-নিকাশির হাল খারাপ’- কলকাতা পুরনিগমকে বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, “অ্যাডেড এরিয়ায় কোনও প্ল্যানিং নেই। পুরসভার মধ্যে তাই কাঁচা রাস্তা রয়ে গিয়েছে। তর্ক করার আগে ভাল করে দেখে নিন। নিকাশি নালা পরিষ্কারের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হলেও কোনও কাজ হচ্ছে না।”

পার্কিং থেকে তোলাবাজির অভিযোগ খোদ মমতার- মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘শালিমার স্টেশনে মারামারি হয় সম্প্রতি। পার্কিং-এর নামে অনেক জায়গায় অবৈধভাবে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে তোলাবাজি করে। সরকার কেন এর বদনাম নেবে? এর থেকে কি সরকার কোনও টাকা পায়? নাকি দল পায়? যে ব্যক্তি পায়, তার পকেটে যায়। আমি কাউকে পুষতে আসিনি। এরকম হলে পুলিশ অ্যাকশন নেবে।’

‘নেতার কথা না শুনে কাজ করবেন’- ‘পুলিশ দুর্বল হলে অনেকে সুবিধা পেয়ে যায়। কোন পার্টির কোন এমএলএ, কী বলছে শুনবে না। নিজের কাজ দায়িত্বের সঙ্গে করবে। স্পষ্ট বলে দিচ্ছি।’

আর্বান ডিপার্টমেন্ট নিয়ে কড়া মমতা– মমতা বলেন, “আমি কোনও অবহেলা শুনব না। আমি অনেক ভদ্রতা দেখিয়েছি। কিন্তু ভদ্রতা দেখানো মানে এই নয়, কেউ কাজ করবে না, গায়ের জোরে জমি দখল হবে। ৫১,৫০০ কোটি টাকা দিয়েছি। যা চাওয়া হয়েছে তাই দিয়েছি। অথচ দায় হবে সরকারের, মানুষ পরিষেবা পাবে না, এটা আমি মেনে নিতে পাচ্ছি না। “

মমতা বলেন, ‘ভাগাভাগি ছাড়া লোভ করবেন না। যারা লোভ করবেন, তাদের মুখে ললিপপ দিয়ে অথবা লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে বন্ধ করে দিন। কত লাগবে জীবনে বাঁচতে গেলে। কত চাই। আপনারা করছে জমি বিক্রি, ওরা (কেন্দ্রীয় সরকার) বাংলাকে বিক্রি করছে।’

পুকুর ভরাট হলে সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে দিতে হবে। সে যত বড় নেতারই হোক আর যে পুলিশই এর মধ্যে জড়িত থাকুক। বেআইনি নির্মাণ উঠছে। বাড়ি ভেঙে পড়লে দোষ হচ্ছে আমাদের। একটা অ্যাকশন থাকা দরকার: মমতা।

‘আমি টাকা তোলার মাস্টার চাই না’– মমতা বলেন, “গরুর টাকা, কয়লার টাকা সবথেকে বেশি খায় বিজেপি। বালি পাথরের টাকাও খায়। টাকা যায় পুলিশের মাধ্যমে। ওভারলোডিং ট্রাক থেকে মোটা টাকা যায় পুলিশের মাধ্যমে। আমাদেরও কিছু লোক আছে। ইডি-সিবিআই কে ভয় পায়। সব টাকা তোলার মাস্টার হয়ে গিয়েছে। আমি টাকা তোলার মাস্টার চাই না। জনসেবক চাই। যারা পারবেন, তারা টিকিট পাবেন, না পারলে বের করে দেব। কারও কথা শুনব না, সে যত বড় নেতা-নেত্রী হোক।”

মমতা বলেন, “বিকেল সাড়ে ৫টার জন্য যদি আলো জ্বলে, সেই দফতরকে টাকাই দেব না। ৭ কোটি লোককে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ দিই। এতে অনেক খরচ হয়। অনেকেই জানেন না।”

অরূপ বিশ্বাসকে মমতা বলেন, ‘শর্ট সার্কিট হচ্ছে বেশি। কারণ কেউ দেখে না। অবহেলা। অরূপ সিনসিয়ারলি দেখতে হবে। পুরসভাকে দেবে না। তোমরা দেখবে। পুরসভা, যারা ময়লা তোলে না, তারা বিদ্য়ুৎ দেখবে! তারা তো টাকা খেতে ব্যস্ত।’

মমতা বলেন, “আমার যা বলার বলেছি। আমি এর জন্য কোনও ব্যাখ্যা কারও কাছে চাইব না। আমি যা বললাম সেটা মানুষের কথা। আমাকে কেউ ভয় দেখাবেন না। আমি মানুষকে ভালবাসি। যারা মানুষকে ভালবাসে না, তাদের ছুড়ে ফেলতে এক মিনিটও সময় লাগবে না। বাংলার আইডেন্টিটি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। বিধায়কদের বলব এই সব কাজে নাক না গলাতে। আমার কাছে সব রিপোর্ট আছে।”

সব শেষে মমতা বলেন, ‘মানুষের কাছ থেকে যে অভিযোগ শুনেছি, সেগুলো নিয়ে সার্ভে করে যা জেনেছি সেটাই বললাম। এটা বকাবকি হিসেবে নেবেন না।’

Card image cap

বারাসতে নাবালক খুনের পুনর্নির্মাণ আঞ্জিবের

বারাসতে নাবালক খুন ও ঘটনা পরবর্তী বাচ্চাচুরি গুজবের পর্দাফাঁস ইতিমধ্যেই করেছে পুলিশ। এবার ধৃত আঞ্জিব নবিকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হল। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে সোমবার বারাসাত থানার পুলিশ আঞ্জিব নবিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ১১ বছরের ওই শিশুকে প্রতিহিংসার বশে খুন করে কীভাবে প্রতিবেশীর বাড়ির বাথরুমে ঝুলিয়ে দিয়েছিল, তা পুনর্নির্মাণ করে দেখায় অঞ্জিব। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও ও বারাসাত এবং মধ্যমগ্রাম থানার আধিকারিকরা। তাঁদের সামনেই গোটা ঘটনার পুননির্মাণ করে দেখায় নিহত শিশুর জেঠু।


অভিযুক্তকে নিয়ে পুলিশ এদিন এলাকায় পৌঁছতেই ভিড় জমায় উৎসাহী জনতা। পুলিশ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে পারিবারিক একটি সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ এবং তাল বিক্রির টাকা নিয়ে বচসার জেরে ওই নাবালককে খুন করেছে আঞ্জিব। আর খুনের পর পুলিশকে ভুল পথে পরিচালনা করতে ও নিজেকে সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখতে শিশুচুরির গুজব ছড়ায় সে। এমনকী ধর্মীয় স্থানকে কেন্দ্র করে মানুষকে উস্কানিও দেয় আঞ্জিব। সেক্ষেত্রে এদিন অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে শিশুচুরির গুজবে পুলিশ পুরোপুরি জল ঢেলে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, আরও বেশ কিছুদিন বিভিন্ন থানা এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার ও মাইকিং চলবে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবারে পর থেকে এখনও পর্যন্ত আর বাচ্চাচুরির গুজবকে কেন্দ্র করে কোনওরকম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়নি।


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বারাসতের কাজিপাড়ায় একটি নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। আর তারপরেই এলাকায় ছড়ায় শিশুচুরির গুজব। ঘটে যায় একাধিক গণপ্রহারের ঘটনা। এই বিষয়ে রবিবার বারাসত পুলিশ জেলার এসপি প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া জানান, আঞ্জিব নবি ধর্মীয় স্থানকে ব্যবহার করে পুলিশ ও যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন তাঁদের সবাইকে আক্রমণ করার জন্য উস্কানি দিত। আর সেই কথা অভিযুক্ত স্বীকার করেছে। খুনের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গুজব ছড়ানোর যাবতীয় প্ল্যানও ওই ব্যক্তিই করেছে।


পুলিশ সুপার আরও জানান, আঞ্জিবের উপরে প্রথমে পুলিশের সন্দেহ ছিল না। কিন্তু যখনই পুলিশ ওই এলাকায় ঢুকতে যেত আঞ্জিব চলে আসত। এমনকী পুলিশের স্পেশ্যাল টিমের সঙ্গেও সে ঢুকে যেতে চাইত। আর আঞ্জিবের এই সমস্ত আচরণ দেখেই সন্দেহ তৈরি হয় পুলিশের। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে আসল সত্য।

Card image cap

গরিবের পার্টির' তকমা খুইয়েছে সিপিএম?

একসময় 'গরিবের পার্টি' বলে পরিচিত সিপিএমের উপরে আর আস্থা নেই দরিদ্র এবং নিম্নবিত্তদেরই! লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে আবার বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে সিপিএম। এবারেও একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি দল। মুর্শিদাবাদ আসনে দাড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। দমদমে হেরেছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।


বাকি আসনগুলির অধিকাংশেই জামানত জব্দ হয়েছে।


এরকম বিপর্যয়ের পর্যলোচনা করতে বুধবার দু'দিনের বৈঠকে বসেছিল সিপিএমের রাজ্য কমিটি। সেখানেই আলোচনায় উঠে আসে যে গরিব মানুষ ভোট না দেওয়ায় এই শোচনীয় ফল হয়েছে। গরিব মানুষের কাছে এখনও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি দল। সে কারণেই এবারের নির্বাচনেও বিপর্যয় আটকানো যায়নি। লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথম দিন এটাই ছিল মূল নির্যাস।


একই সঙ্গে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের রিপোর্টের স্বীকার করা হয়েছে, তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি এবং বিজেপির বিকল্প তৃণমূল- এই বিশ্বাস থেকে এখনও মানুষকে বের করে আনা যায়নি। আর সে কারণেই এবারের নির্বাচনে বিজেপি অনেক বেশি নিষ্ক্রিয় থাকলেও ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। বেশ কিছু কেন্দ্রে বিজেপি এতটা ভোট পাবে তা ধারণার বাইরে ছিল। বেশ কিছু জেলায় সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টিও সামনে উঠে এসেছে।


রাজ্যে লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে হয়েছে সিপিএমের দু'দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সিপিএম সূত্রের খবর, রাজ্য সম্পাদক স্বীকার করেছেন কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে বেশ কিছুটা দেরি হয়েছে। আইএসএফ ও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে প্রার্থী ঘোষণা করতে অনেকটা সময় লেগেছে। শরিক দলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বৈঠকে।


ফলাফলে বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে মূলত যে বিষয়গুলি আলোচনায় উঠে এসেছে তা হল, সরকারি সামাজিক প্রকল্পে উপকৃত মানুষ তৃণমূলের উপর আস্থা রেখেছেন।গ্রামবাংলায় সংগঠন এখনও ভোটে জেতার মতো জায়গায় নিজেদের তুলে ধরতে পারেনি। তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি এবং বিজেপির বিকল্প তৃণমূল, এই তত্ত্বেই সিলমোহর দিয়েছেন ভোটাররা। কিছু জেলার নেতৃত্বের ভূমিকাও যথেষ্ট ইতিবাচক ছিল না। গরিব মানুষের কাছে এখনও দলকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলে ধরা যাচ্ছে না। ইন্ডিয়া জোটে একই মঞ্চে তৃণমূলের সঙ্গে থাকা নিয়েও ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সীতারাম ইয়েচুরি। শাখা স্তর থেকে আলোচনা তুলে নিয়ে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য কমিটি।

Card image cap

ঋণে জর্জরিত বাংলা! কেরলের থেকেও খারাপ অবস্থা

সরকারি অফিসে ইলেকট্রিক অপচয় বন্ধের বিষয়ে সম্প্রতি নবান্নের বৈঠকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে রাজ্যের প্রতিটি স্কুলকে বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।


রবিবার ওই প্রসঙ্গ টেনে বড় অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, "কেরলের থেকে খারাপ অবস্থা বাংলার। ঋণের সীমা পার করে গেছে। আর তো ঋণ পাবে না। তাই চিৎকার শুরু করেছে। কতটা দেউলিয়া অবস্থা হলে স্কুলকে বলছে ইলেকট্রিক অপচয় করবেন না!"


একই সঙ্গে অনুপ্রবেশের প্রশ্নে রাজ্যকে দুষেছেন বিরোধী দলনেতা। রবিবার হুগলির শ্রীরামপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি দাবি করেন, "গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকার অনুমোদিত মাদ্রাসা মুসলিম ছেলেকে হিন্দুনামে সার্টিফিকেট দিয়েছে। এটা মারাত্মক ঘটনা।"


শুভেন্দু এও বলেন, "আমাদের লড়াইটা কোনও ধর্ম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু বাংলায় কঠিন সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলা হচ্ছে। অনু্প্রবেশকারীদের মদত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গটাকে কার্যত ভারতবর্ষের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।" 


তবে নন্দীগ্রামের ৭০ শতাংশ হিন্দুকে তিনি একত্রিত করতে পেরেছেন বলে দাবি করে শুভেন্দু বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত খুশি, নন্দীগ্রাম বিধানসভাতে আমি ৭০ শতাংশ হিন্দুকে একত্রিত করতে পেরেছি। এটা যেদিন গোটা পশ্চিমবঙ্গে যেদিন হবে সেদিনকে রাষ্ট্রবাদী সরকার হবে।"


নিট ও ইউজিসি-নেট দুর্নীতি প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার দাবি, "রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতি হলে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করে রাজ্য সরকার। আর কেন্দ্রে দুর্নীতি হলে শাস্তির ব্যবস্থা করে মোদী সরকার। বিজেপি তৃণমূলের তফাত এখানেই।"

Card image cap

ফের নিউটাউনে গতির বলি!

নিউটাউনে ফের গতির বলি। দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাক্সিতে ধাক্কা মারে একটি বাইক। শনিবার রাতে ইকো পার্কের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ধাক্কার অভিঘাতে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় আরোহী তরুণীর। বাইক চালক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। নো পার্কিং জোনে দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগে ট্যাক্সির চালককে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম প্রিয়াসী পাল। বয়স ২২ বছর। তিনি হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা। শহরের একটি কলেজের সাংবাদিকতার ছাত্রী ছিলেন প্রিয়াসী। শনিবার বাড়ি থেকে নিউটাউনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
মোবাইলের সাহায্যে একটি বাইক ভাড়া করে নারকেল বাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দ্রুত গতিতে চলা বাইকটি ইকো পার্কের ১ নম্বর গেটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাক্সিতে সজোরে ধাক্কা মারে। চালক ও প্রিয়াসীকে উদ্ধার করে চিনার পার্কের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাতেই হাসপাতালে উদ্দেশে রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা। তরুণীর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া পরিবারে।
গত বছরের শুরুতে আলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সামনে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় এক ছাত্রের মৃত্য়ু হয়েছিল। ক্যাম্পাসের গেট থেকে বেরতেই একটি বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কা মারে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের স্নাতক স্তরের পড়ুয়া শাকিল আহমেদকে। তাঁকে ধাক্কা মেরেই সেখান থেকে চম্পট দিয়েছিল ঘাতক গাড়িটি। শাকিলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত হয়েছিল। 

এদিকে দিনকয়েক আগেই রাতের শহরে বেপরোয়া গতির বলি হন এক তরুণ। ঘটনাস্থল পাটুলি থানা এলাকার বাঘাযতীন উড়ালপুল। রাত ১টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম সমীর গায়েন। বছর কুড়ির তরুণ শহিদ স্মৃতি কলোনির বাসিন্দা। সেই ঘটনায় রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গতির বলি হলেন এই ছাত্রী। 

Card image cap

বন্ধ হচ্ছে বিখ্যাত পুঁটিরাম

দিন তিনেক ধরেই শাটার বন্ধ। ঝুলছে তালা। মিষ্টি কিনতে এসে ফিরে গিয়েছেন ক্রেতারা। এলাকায় কান পাতলেই ফিসফাস। বন্ধ হওয়ার পথে অর্ধশতাব্দীরও বেশি পুরনো পুঁটিরাম। পুরনো কলকাতার নামজাদা মিষ্টির দোকান বলতে যে নামগুলো উঠে আসে তার মধ্যে অন‌্যতম পুঁটিরাম। ৪৬/৪ মহাত্মা গান্ধী রোডে আশি বছরের পুরনো দোকানটি আপাতত বন্ধ। হয়তো খুলবে না কোনওদিন। চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে মালিকের অসুস্থতা। সূত্রের খবর, শারীরিক ভাবে অসুস্থ আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকার পুঁটিরামের মালিক পরেশ মোদক। তাঁর একমাত্র পুত্র মুম্বাই নিবাসী। দোকান চালাবে কে? পাকাপাকি ভাবে তাই পুঁটিরাম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিক পরেশ মোদক। আর্মহাস্ট স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দাদের মন খারাপ। বিগত পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের রসনা তৃপ্তি করেছে পুঁটিরাম। এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ দে জানিয়েছেন, পুঁটিরাম বন্ধ হয়ে গেলে তার সঙ্গেই হারিয়ে যাবে প্রাণহরা, সরভাজা, সরপুরিয়ার সেই অনবদ‌্য স্বাদ।
সুখবর একটাই। কলেজস্ট্রিটের পুঁটিরাম স্বমহিমায় বিরাজমান। আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দারা বাধ‌্য হয়ে একটু বেশি হেঁটে কলেজস্ট্রিটেই আসছেন। শহরে পুঁটিরামের কটা শাখা? কলেজ স্ট্রিট পুঁটিরামের মালিক ইন্দ্রজিৎ মোদক জানিয়েছেন, “দুই দোকানের মালিকানা আলাদা। আলাদা ছিল কারখানাও। কলেজস্ট্রিটের পুঁটিরামের বয়স একশোর ওপর হলেও আমহার্স্ট স্ট্রিট পুঁটিরামও নেহাত কম নয়। এই ২০২৪ সালে ৮০ বছরে পড়েছে ৪৬/৪ মহাত্মা গান্ধী রোডের পুঁটিরাম। তাঁর সংযোজন, ঠাকুরদা জীতেন্দ্রনাথ মোদক ওই দোকান যৌতুক হিসেবে এটাই দিয়েছিলেন মেয়ে-জামাইয়ের বিয়েতে। সেই থেকেই পথ চলা শুরু। দিন তিনেক আগেই যাতে দাঁড়ি পড়েছে।
পুরনো কলকাতার একাধিক ঐতিহ‌্যশালী একাধিক দোকান এখন টিম টিম করছে। এমন হওয়ার কারণ? কলেজস্ট্রিট পুঁটিরামের মালিক ইন্দ্রজিৎ মোদক জানিয়েছেন, এই প্রজন্মকে ব‌্যবসায় আসতে হবে। তারা যদি শুধু চাকরির সন্ধান করে তাহলে মুশকিল। আমাদেরও তো বয়স হচ্ছে।

Card image cap

সোনাক্ষী সিনহার রিসেপশন লুকে মন্ত্রমুগ্ধ নেটপাড়া

আইনি বিয়ে মিটেছে সকালে। সন্ধ্যেয় অন্য লুকে ধরা দিলেন সোনাক্ষী সিনহা। হাতে আলতা, সিঁথি রাঙিয়েছেন সিঁদুরে।শিল্পা শেট্টির বিলাসবহুল হোটেল বাস্তিয়ানে আয়োজিত গ্র্যান্ড রিসেপশনে সোনাক্ষীর পরনে টুকটুকে লাল শাড়ি, হাতে চূড়া। সঙ্গে পান্নার গয়না। স্বামী জাহির ইকবাল বেছে নিয়েছিলেন সাদা শেরওয়ানি স্যুট।বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে খোশমেজাজে ধরা দিলেন নবদম্পতি। ভেসে গেলেন শুভেচ্ছার জোয়ারে।স্বরা ভাস্করের মতোই ‘স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট’-এ চার হাত এক হয়েছে সোনাক্ষী সিনহার। সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ে নিয়ে অনুরাগীদের উন্মাদনা তুঙ্গে। রবিবার সকাল থেকেই অনুষ্ঠানের ছবি-ভিডিও একের পর এক প্রকাশ্যে আসছে।রেজিস্ট্রি বিয়ের ছবি শেয়ার করে এদিন সোনাক্ষী লিখেছিলেন, “২০১৭ সালের জুন মাসের ঠিক ২৩ তারিখেই আমরা একে-অপরের চোখে ভালোবাসা দেখে আগলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে সেই ভালোবাসাই আজ আমাদের এখানে নিয়ে এল। ঈশ্বর আর দুই পরিবারের আশীর্বাদ সাক্ষী রইল এই মুহুর্তের। আমরা এখন নবদম্পতি। এখন থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত আমি তোমারই।….”