Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

ছটপুজোয় বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ

কালীপুজো, ভাইফোঁটার পর ছটপুজো। এই রাজ্যে বসবাসকারী বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে আসা মানুষেরা মূলত ছটপুজোয় মাতেন। ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ পরবর্তী সময়ে ছটপুজোয় বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের।বৃহস্পতিবার রাতভর নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র দিকে নজর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ‘ডানা’ পরবর্তী পরিস্থিতিতে নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। ছটপুজো প্রসঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বারাকপুর, হাওড়া, হুগলি, চন্দননগরে অনেকগুলো ঘাট আছে। কলকাতার ঘাটগুলোতেও অনেক মানুষ যান। তাই প্রত্যেকটি ঘাট পরিষ্কার করতে হবে। ঘাটগুলির সিঁড়ি যাতে পিছল না থাকে, খেয়াল রাখতে হবে। ঘাটের কাছে ব্যারিকেড করতে হবে। পুলিশকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে একসঙ্গে সবাই না নামেন। যেহেতু ৭ নভেম্বর সন্ধেয় ছটপুজো, তাই ভালো করে ঘাটগুলিতে আলো লাগাতে হবে।” এছাড়া যাতে ঘাটের কাছে ভিড়ভাট্টায় কোনও সমস্যা না হয়, তাই ভিআইপিদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর মতো ছটপুজোও চলে চারদিন। প্রথম দিন নহায় খায়, দ্বিতীয় দিন খরনা, তৃতীয় দিন সন্ধ্যা অর্ঘ্য, শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্য। এই পুজোর রীতিনীতি বেশ কঠিন। সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে ছটের ডালা সাজানোই সবচেয়ে বড় কাজ। ‘ছটি’, ‘ছট পরব’, ‘ছট পূজা’, ‘ডালা ছট’, ‘ডালা পূজা’, ‘সূর্য ষষ্ঠী’র মতো নানা নামে পরিচিত ছটপুজো। বলা যায় সূর্যকে ধন্যবাদজ্ঞাপনের উৎসব ছটপুজো। তাই সূর্য দেবতার কাছে মানত করেন ভক্তরা। যাঁরা ব্রত রাখেন তাঁরা প্রায় ৪০ ঘন্টা একেবারে নির্জলা উপবাস করেন। উৎসবের শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্যর পর প্রসাদ খান। পুজো পার্বণের সময় আমিষ নৈব নৈব চ!উৎসবের প্রথম দিন সকালে স্নান সেরে পরিষ্কার কাপড় পরে রান্না করেন মহিলারা। এদিন দুপুরের খাবারে থাকে লাউ ভাত। অর্থাৎ ভাতের সঙ্গে লাউয়ের তরকারি। সঙ্গে চানা ডাল এবং নানারকম সবজি। তবে এই সব রান্নায় নুন ব্যবহার করা যাবে না। যিনি ব্রত রাখেন তিনি ছাড়া এদিন পরিবারের সকলকেই দুপুরে লাউয়ের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে হয়। তবে রাতে যেকোনও রকমের নিরামিষ খাবার খাওয়া যেতে পারে। উৎসবের দ্বিতীয় দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যিনি ব্রত রাখেন তিনি দিনভর উপবাস করেন। ওইদিন বাড়িতে সূর্য দেবতার পুজো করা হয়। উপাচার হিসাবে ক্ষীর, রুটি, কলা দেওয়া হয়। এরপর ছটপুজোর মূল উপকরণ ঠেকুয়া বানানোর কাজ শুরু হয়।
উৎসবের দ্বিতীয় রাত থেকে ছটের ডালা সাজানোর প্রস্তুতি চলে। তারপর বিকেলে জলাশয়ে গিয়ে ডুবন্ত সূর্যকে পুজো করা হয়। পুজো শেষে প্রদীপ জলাশয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। পুজোর ডালায় ফল ছাড়াও থাকে ঠেকুয়া। উৎসবের শেষ সকালে সূর্য ওঠার আগেই ব্রতপালনকারীরা আবার জলাশয়ে যান। সেখানে অর্ঘ্য দেন। তারপর পুজো শেষ হয়। পুজো শেষে বাড়ি আসার পরই খরনার সন্ধে থেকে প্রায় ৪০ ঘন্টা পর ঠেকুয়া, আদা, জল, গুড় খেয়ে উপবাস ভাঙেন।

Card image cap

৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নামবে জল’, আশ্বাস ফিরহাদের

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে রাতভর বৃষ্টি। তার প্রভাবে জলের তলায় বিস্তীর্ণ এলাকা। কলকাতায় বেশ কিছু জায়গায় ভেঙেছে গাছও। তবে জলযন্ত্রণা দূর করতে তৎপর কলকাতা পুরসভা। আগামী ৪ ঘণ্টা আর বৃষ্টি না হলে কলকাতার কোথাও জলমগ্ন হয়ে থাকবে না বলেই আশ্বাস মেয়র ফিরহাদ হাকিমের।ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র দিকে নজর রাখতে বৃহস্পতিবার রাতভর নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভায় ছিলেন মেয়র। শুক্রবার দুপুরে ‘ডানা’ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ফিরহাদ। বলেন, “বেলা ১২টা পর্যন্ত বালিগঞ্জে ১১৯ মিলিমিটার, চেতলায় ৯৯ মিলিমিটার, মোমিনপুরে ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঘণ্টায় ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত জল নামাতে পারে কলকাতা পুরসভা। তবে তার থেকে বেশি জল জমলে ৩-৪ ঘণ্টা সময় দিতেই হবে।” ঠনঠনিয়া-সহ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। তিলোত্তমার রাস্তায় কোথাও জমেছে গোড়ালি জল। আবার কোথাও কোথাও সকালের দিকে হাঁটুজল জমতেও দেখা গিয়েছে।ফিরহাদ আরও বলেন, “ঠনঠনিয়াতে গত ৫০ বছর ধরেই জল জমে। লো টাইডেও জল বিপদসীমার উপরে ছিল। তাই আমরা জল নামাতে লকগেট খুলতে পারিনি। পাম্পিং করা হয়েছে। এসএসকেএম থেকে বর্তমানে জল আর নেই। আর বৃষ্টি না হলে ৪ ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে যাবে। কারণ, লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।” জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানি রুখতে তৎপর পুরসভা। মেয়র জানান, “জল একেবারে না শুকনো পর্যন্ত কালীপুজোর জন্য লাগানো সমস্ত আলো বন্ধ থাকছে।” তবে বৃষ্টি না হলে আগামী ৩ ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে, মেয়রের এই আশ্বাসকে ‘ছেঁদো কথা’ বলে কটাক্ষ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। তিনি বলেন, “বাম আমলে কলকাতার নর্দমাগুলি পরিষ্কার করা হয়েছে। তাই আজকে কলকাতার মানুষ সুফল পাচ্ছেন। কলকাতার আদি বাসিন্দারা সব জানেন। মানুষ সব বোঝেন।”

Card image cap

প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর নবান্ন থেকে বেরলেন মুখ্যমন্ত্রী

পূর্বাভাস সত্যি করে বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ধামরা এবং ভিতরকণিকার মাঝামাঝি এলাকায় শুরু হয় ঘূর্ণিঝড় ডানার ল্যান্ডফল। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শেষ হয় প্রক্রিয়া। নজরদারিতে রাতভর নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডানার দাপটে রাত থেকেই বাংলা ও ওড়িশা জুড়ে চলছে প্রবল বৃষ্টি। একাধিক এলাকা জলমগ্ন।‘ডানা’র নজরদারিতে প্রায় ২৮ ঘণ্টার বেশি নবান্নে কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বেরিয়ে যান তিনি।জল থইথই লেক গার্ডেন্স থেকে সল্টলেক।বৃষ্টিভেজা কলকাতার পথঘাট একেবারে ফাঁকা। কার্যত ফিরে এসেছে লকডাউনের ছবি। জলমগ্ন এসএসকেএম, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। প্রবল সমস্যায় রোগীরা। সাউথ সিটির সামনে ভেঙে পড়ল গাছ। বন্ধ যান চলাচল।কালিপুজোয় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা দেখার নির্দেশ মমতার। আইবি, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের  সতর্ক করলেন তিনি।

Card image cap

শেষ হয়েছে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া, কমেছে গতি

রাত সাড়ে এগারোটায় শুরু হয়েছিল। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শেষ হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ডানার ল্যান্ডফল। ফলে গতি কমেছে। দুপুরের মধ্যে শক্তি হারিয়ে সাইক্লোন থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ডানা। পূর্বাভাস সত্যি করে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ডানার ফরওয়ার্ড সেক্টর স্থলভাগ স্পর্শ করে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র অর্থাৎ ‘আই’ দেড়টা থেকে ভোর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত স্থলভাগে প্রবেশ করে। লেজের অংশ সম্পূর্ণভাবে স্থলভাগে ঢুকে পড়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায়। এর পরই গতি কমেছে ঘূর্ণিঝড় ডানার। তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের আকারে থাকলেও গতিবেগ ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হয়েছে। যা ছিল সর্বোচ্চ একশো কুড়ি কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। দুপুরের মধ্যে এটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর পর আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁক নিতে পারে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।ডানার দাপটে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে প্রবল বৃষ্টি। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বাংলার সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। ভেঙে পড়েছে প্রচুর কাঁচাবাড়ি। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনাতেও চলছে তুমুল বৃষ্টি। বিভিন্ন জায়গায় জমেছে জল। প্রবল ভোগান্তির শিকার আমজনতা।

Card image cap

এখনও নবান্নেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী!

ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র গতিবিধি নজরে রাখতে রাতভর নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরেও তিনি সেখানেই রয়েছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে একাধিক বার নিজের ১৪ তলার দফতর থেকে কন্ট্রোল রুমে নেমে এসে দুর্যোগ-পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর ফের নিজের দফতরে ফিরে জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন বলে ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জেলায় ‘ডেনা’র প্রভাব কেমন, সেই সম্পর্কে এখনও খোঁজখবর নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও তিনি যোগাযোগ করছেন জেলাশাসকদের সঙ্গে, কখনও বা শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে তৎক্ষণাৎ প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিচ্ছেন তিনি। দুপুরেই সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং উদ্ধারকাজের বিষয়ে সবিস্তারে জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।বৃহস্পতিবার বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির দিকে নজর রাখতে সারা রাত নবান্নেই থাকবেন তিনি। সেই মতো তাঁর নজর ছিল নবান্নের কন্ট্রোল রুমে থাকা জায়ান্ট স্ক্রিনে। তবে প্রশাসনের তরফে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া থাকলেও ‘ডেনা’ তেমন প্রভাব ফেলতে না পারায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।

দুর্যোগ পরিস্থিতির উপরে নজরে রাখতে সারা রাত পুরসভাতেই ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রাতের দিকে এক বার পুরসভার ছাদে উঠে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। ঠনঠনিয়া কিংবা মোমিনপুরের মতো শহরের নিচু এলাকাগুলিতে বৃষ্টির কারণে জল জমেছে কি না, সেই সম্পর্কে খোঁজখবর নেন ফিরহাদ। বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি জানতে তিনি নিয়মিত খবর নেন মেয়র পারিষদ, বরো চেয়ারম্যান এবং অন্য পুর আধিকারিকদের কাছ থেকে। পরিস্থিতি মোটের উপরে নিয়ন্ত্রণে, এই খবর পাওয়ার পর ভোর ৫টা নাগাদ পুরসভা থেকে বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন মেয়র।

Card image cap

ডেনা’র প্রভাব কোথায় কেমন পড়ল

ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় 'ডেনা'। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চলেছে 'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশায় রাত থেকে ঝড়ের গতি ছিল ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সর্বোচ্চ একশো কুড়ি কিলোমিটার বেগেও ঝড় বয়ে গিয়েছে কোথাও কোথাও। পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকাতেও ঝড় হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ভারী বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকাতেও ঝড়ের প্রভাব পড়বে বলে জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী উপকূল এলাকায় রাত থেকে চলছে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। যদিও এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সে ভাবে পড়তে দেখা যায়নি কলকাতায়। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত, এমনকি ল্যান্ডফলের সময়েও কলকাতায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি ছাড়া কিছু দেখা যায়নি। তবে ভোর থেকে বৃষ্টি বেড়েছে। টানা বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রামেও একই সর্তকতা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টি চলতে পারে শনিবার পর্যন্ত।

Card image cap

কার্তিক কৃষ্ণা নবমীতে সুখবর পাবেন বৃষের জাতকরা

চাঁদ আজ সারা দিন রাত ধরে কর্কট রাশিতে বিরাজ করবে। এই সময় সূর্য রয়েছে তুলা রাশিতে। আজ কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথি। এই তিথিতে শুক্ল যোগ ও জ্বালামুখী যোগের প্রভাব থাকছে। এর পাশাপাশি আজ থাকবে প্রথমে পুষ্য নক্ষত্র ও পরে অশ্লেষা নক্ষত্রের প্রভাব। আজ সকাল ৬টা ২৮ মিনিটে সূর্যোদয় ও সন্ধে ৫টা ৪১ মিনিটে সূর্যাস্ত হবে। হিন্দুধর্ম অনুসারে শুক্রবার হল মা লক্ষ্মীর প্রিয় দিন। এই সব শুভ যোগের প্রভাবে আজকের দিনটি কোনও কোনও রাশির জাতকদের খুব ভালো কাটতে চলেছে। অন্যান্য রাশির জাতকদের আজ নানা ছোট বড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে। আজ লক্ষ্মীর আশীর্বাদ কোন রাশির জাতকদের ওপর কী ভাবে পড়বে, তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।


আজকের মেষ রাশিফল

মেষ রাশির জাতকদের কর্মক্ষেত্রে উন্নতি দেখে শত্রুদের হিংসা হবে। অন্যদের কথায় কান দেবেন না, নিজের কাজে মনোনিবেশ করুন। আজ পরের সেবায় দিন কাটাবেন, এর ফলে মানসিক শান্তি লাভ সম্ভব। চাকরিজীবীদের ওপর চাপ বাড়তে পারে।

আজকের বৃষ রাশিফল

বৃষ রাশির জাতকরা পরিজনদের সঙ্গে আনন্দপূর্ণ সময় কাটাবেন। দুপুরের পর সুসংবাদ পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা। নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। সমাজে আপনার মান-সম্মান বাড়বে। প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা হবে আজ। ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের আশীর্বাদ পাবেন।

আজকের মিথুন রাশিফল

মিথুন রাশির জাতকরা মা-বাবার আশীর্বাদ পাবেন। আনন্দে দিন কাটবে এই রাশির জাতকদের। চাকরিতে সিনিয়রদের আশীর্বাদে পদোন্নতি সম্ভব। কোনও দামী জিনিস কিনতে পারেন। সন্ধেবেলা সাবধানে গাড়ি চালান। জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা লাভ করবেন।

আজকের কর্কট রাশিফল

কর্কট রাশির জাতকরা অংশীদারীর ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে থাকলে আজকের দিনটি ভালো। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে তা সহজে পাবেন। মান-সম্মান ও প্রতিষ্ঠা বাড়বে। তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না, তা না হলে ভবিষ্যতে লোকসান হতে পারে।

আজকের সিংহ রাশিফল

সিংহ রাশির যে জাতকরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তাঁদের আজকের দিনটি ভালো কাটবে। ইচ্ছে অনুসারে ফলাফল পাবেন। কোনও সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে বজায় থাকলে কষ্ট বাড়তে পারে। সন্ধেবেলা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাবেন। আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে।

আজকের কন্যা রাশিফল

কন্যা রাশির জাতকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সুখের সময় কাটাবেন। শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। দীর্ঘদিনের পারিবারিক সমস্যার সমাধান হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। বন্ধুদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা করে সময় কাটাবেন।

আজকের তুলা রাশিফল

তুলা রাশির জাতকরা প্রতিযোগিতায় বিশেষ অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। আয়ের নতুন উৎস পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা, এর ফলে লাভবান হবেন। অধিক ব্যস্ততা এবং দৌড়ঝাপের কারণে স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা কোনও সুসংবাদ পেতে পারেন।

আজকের বৃশ্চিক রাশিফল

বৃশ্চিক রাশির জাতকরা আটকে থাকা টাকা ফিরে পেতে পারেন। আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। কোনও বিপদগ্রস্ত বন্ধুর সাহায্য করার কথা ভাববেন। প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়ায় আনন্দিত হবেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদ এড়িয়ে যান।

আজকের ধনু রাশিফল

ধনু রাশির জাতকরা বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিসে অর্থ ব্যয় করবেন। সুখ-সুবিধায় দিন কাটবে। কারও সঙ্গে টাকা-পয়সার লেনদেন করবেন না, সেই টাকা ফেঁসে যেতে পারে। আইনি মামলার কারণে আদালতে আনাগোনা লেগে থাকবে।

আজকের মকর রাশিফল

মকর রাশির জাতকরা চাকরি ও ব্যবসায় কাঙ্খিত ফল অর্জন করবেন। সন্ধেবেলা কোনও বন্ধুর কাছ থেকে উপহার পেতে পারেন। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হবে। আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। ব্যবসায় জরুরি পরিবর্তন করার কথা চিন্তা করবেন।

আজকের কুম্ভ রাশিফল

কুম্ভ রাশির জাতকদের শারীরিক কষ্ট হতে পারে। সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের আগে সমস্ত দিক ভালো ভাবে খতিয়ে দেখে নিন। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করুন, তা না হলে সমস্যায় জড়াতে পারেন। সন্তানের জন্য কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

আজকের মীন রাশিফল

মীন রাশির জাতকরা দাম্পত্য জীবনের আনন্দ উপভোগ করবেন। সহজে সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে। ব্যবসায় সাফল্য লাভের ফলে আনন্দিত হবেন। বিদেশ যাত্রার যোগ রয়েছে। সন্ধেবেলা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পেতে পারেন। মা-বাবার পরামর্শ কাজে লাগবে।

Card image cap

'দানা' পরিস্থিতি মোকাবিলায় নবান্নে হেল্পলাইন নম্বর

'দানা' পরিস্থিতি মোকাবিলায় নবান্নে হেল্পলাইন নম্বর। নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২২১৪৩৫২৬, ১০৭০। ধেয়ে আসছে 'দানা', আতঙ্কে প্রহর গুণছে বাংলা! পুরী-সাগরদ্বীপের মাঝেই ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা, ঝড় বইতে পারে ১২০ কিমি গতিতে!ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে 'দানা', দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।পারাদ্বীপ থেকে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র দূরত্ব ২১০ কিমি। ধামারা থেকে 'দানা'র দূরত্ব ২৪০ কিমি। সাগরদ্বীপ থেকে ৩১০ কিমি দূরে অবস্থান করছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'পারাদ্বীপ থেকে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র দূরত্ব ২১০ কিমি। ধামারা থেকে 'দানা'র দূরত্ব ২৪০ কিমি। সাগরদ্বীপ থেকে ৩১০ কিমি দূরে অবস্থান করছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'আকাশ থেকে রেলপথ, ঘূর্ণিঝড় 'দানা'-র জেরে সর্বত্র শাটডাউন। স্থলভাগের আরও কাছে এগিয়ে এসেছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। আজ মধ্যরাতের মধ্যে ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার মধ্যে তার আছড়ে পড়ার কথা।

Card image cap

আসছে দানা, নদীবাঁধ নিয়ে চিন্তায় বসিরহাট

ফের ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। বাঁধের চিন্তায় তাঁরা। কোথাও দরমার বেড়া দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের উপর পলিথিন দিয়ে বাঁধে ধস রোখার চেষ্টা চলছে।বুধবার সকাল থেকে সুন্দরবন লাগোয়া এলাকা হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ, বসিরহাটের ব্লকগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসনের লোকজন। ত্রাণ শিবিরে খাবার মজুত রাখা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরাও আছেন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।এর আগে আয়লা, ইয়াস, উম্পুন, বুলবুল, ফণীর দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এলাকার বাঁধগুলি। একের পর এক ঘূর্ণিঝড় ঘর-রোজগার কেড়েছিল মানুষের। সেই ক্ষত এখনও ভুলতে পারেনি এই এলাকার লোকজন। এ দিন সকাল থেকেই এলাকার লোকজন দানা কোথায়, কখন তার ল্যান্ডফল হচ্ছে— সে বিষয়ে নজর রেখেছেন। এই এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী, ইছামতী, কালিন্দী, রায়মঙ্গল, কলাগাছি, ডাঁসা-সহ একাধিক নদী। সদ্য বর্ষা ও নিম্নচাপের প্রভাবে সেই নদীগুলি ফুঁসছে।সন্দেশখালির আতাপুর, তালতলারঘাট, মণিপুর, ভাঙা তুষখালি, ধামাখালি, হিঙ্গলগঞ্জের সর্দারপাড়া, যোগেশগঞ্জ, গোপালেরঘাট, সাহেবখালি, দুলদুল, হাসনাবাদের ট্যাংরামারি, বিশপুর, বাঁশতলি, বসিরহাটের আখারপুর, বাগুণ্ডি এলাকার বাঁধের অবস্থা খারাপ। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় চিন্তায় মানুষজন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সেচ দপ্তরের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের উপর মাটি দেওয়ার কাজ চলছে। বুধবার সকাল থেকে বসিরহাট মহকুমার ধামাখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ও হাসনাবাদে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের লোকজন মাইকে প্রচার করছেন। নদীর গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলিতে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তর, সেচ ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ও বসিরহাটে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।বসিরহাটের মহকুমাশাসক আশিস কুমার বলেন, ‘পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ব্লকে রাখা আছে। প্রয়োজন হলে ত্রিপল, খাবার পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গবাদি পশুদের খাবারও মজুত আছে। মহকুমার বহুমুখী সাইক্লোন সেল্টার-সহ ত্রাণ শিবিরগুলিকে পরিষ্কার করে বাসযোগ্য করে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে নিচু এলাকার মানুষকে এনে রাখা হবে।’

Card image cap

‘ডানা’র ঝাপটায় বন্ধ থাকবে মেট্রো?

সময় যত গড়াচ্ছে, ততই যেন শক্তি বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র। ধীরে ধীরে ক্রমশ এগিয়ে আসছে ল্যান্ডফলের সময়সীমা। বিপদ এড়াতে লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন, বিমান পরিষেবা বেশ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক থাকবে মেট্রো পরিষেবা।বৃহস্পতিবার মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “মেট্রো রেল কলকাতার লাইফলাইন। ঝড়ের সময়ে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে কিনা, তা নিয়ে সকলের মনেই হাজার প্রশ্ন। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, মেট্রো পরিষেবা সমস্ত রুটেই একেবারে স্বাভাবিক থাকবে। কোথাও কোনও বদল করা হচ্ছে না।” তিনি আরও জানান, “দমদম থেকে কবি সুভাষ, কবি সুভাষ থেকে দমদম, হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা, ধর্মতলা থেকে হাওড়া ময়দান, সল্টলেক থেকে শিয়ালদহ, শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে কবি সুভাষ, কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, জোকা থেকে মাঝেরহাট, মাঝেরহাট থেকে জোকা – সমস্ত রুটে নির্দিষ্ট সময়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু এবং শেষ হবে।”প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। ল্যান্ডফলের সময় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন। নবান্নে রাত জাগবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চালু হয়েছে একাধিক হেল্পলাইন নম্বর। খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে শিয়ালদহ ডিভিশনে ১৯০টি এবং হাওড়া ডিভিশনে ৬২টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১৫ ঘণ্টা বন্ধ বিমান পরিষেবা। ফেরি পরিষেবায় বন্ধ রাখা হয়েছে।

Card image cap

নিমন্ত্রণ পেয়েও শ্বশুরবাড়ি গেলেন না অভিষেক!

এবারটি কি তাহলে বিচ্ছেদ পাকা! তাহলে কী সত্যিই ঐশ্বর্যকে ছেড়ে নিম্রত কৌরকে জীবনে আনছেন অভিষেক! জুনিয়ার বচ্চন এসব নিয়ে মুখ না খুললেও, ঘটনা প্রবাহ যেন এদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর তার নতুন প্রমাণ মঙ্গলবার ঐশ্বর্যর মায়ের বাড়ির পার্টিতে অভিষেকের অনুপস্থিতি। হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে সম্প্রতি।সোশাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, ঐশ্বর্য, আরাধ্যাকে নিয়ে তাঁর মায়ের বাড়িতে হাজির এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে। কিন্তু সেই ফ্রেমে অভিষেক নেই। সূত্রের খবর, নিমন্ত্রণ পেলেও, অভিষেক নাকি ইচ্ছে করেই যাননি সেই পার্টিতে। বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝে অভিষেকের এমন পদক্ষেপ রীতিমতো ভাবাচ্ছে অভিষেক ও ঐশ্বর্যর অনুরাগীদের।একদিকে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে বিচ্ছেদের জল্পনা। অন্যদিকে নায়িকা নিমরত কৌরের সঙ্গে পরকীয়ার রটনা। এই দুই জোড়া ফলায় বিদ্ধ অভিষেক বচ্চন। সম্প্রতি বিমানবন্দরে দেখা গেল তাঁকে। একটু যেন তিক্ত মেজাজেই ছিলেন বচ্চনপুত্র। পাপারাজ্জি দেখেই হাতজোড় করে ছবি তুলতে বারণ করেন তিনি।সদ্য প্রো কবাডি লিগ শুরু হয়েছে। তাতে রয়েছে অভিষেকের দল ‘জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্স’। নিজের দলকে উৎসাহ দিতে প্রায় সময়ই গ্যালারিতে থাকেন জুনিয়র বচ্চন। গত মরশুমে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছিল অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও আরাধ্যাকে। কিন্তু এবারে অভিষেকের সঙ্গী বিজনেস পার্টনার বান্টি ওয়ালিয়া। এমনিতে মিডিয়া ফ্রেন্ডলি অভিষেক। কিন্তু এবার হাতজোড় করে তিনি বললেন, “ব্যস দাদা হয়ে গেয়েছে। ধন্যবাদ।” কেন এত বিরক্ত তারকা? প্রশ্ন নেটদুনিয়ায়।
প্রসঙ্গত, বচ্চন পরিবারের অশান্তির পাশাপাশি অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সম্পর্ক নিয়েও নানা জল্পনা শোনা যায়। একসময় সলমন খানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ঐশ্বর্য। তা ভাঙার পরই নাকি বিবেক ওবেরয়ের প্রেমে পড়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। তবে সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। ২০০৭ সালে অভিষেক ও ঐশ্বর্যর বিয়ে হয়। বচ্চন পরিবারের বধূ হন অভিনেত্রী। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর অভিষেক-ঐশ্বর্যর একমাত্র মেয়ে আরাধ্যার জন্ম হয়।
গত এপ্রিল মাসে স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করেছিলেন ঐশ্বর্য। এর পর আর দুজনের কোনও ছবি অভিনেত্রীর ভেরিফায়েড প্রোফাইলে নেই। এর আগে শোনা গিয়েছিল, শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতার সঙ্গে নাকি ঐশ্বর্যর একেবারেই বনিবনা নেই। মেয়েকে নিয়ে নাকি মা বৃন্দা রাইয়ের সঙ্গে থাকছেন অভিনেত্রী। বার রটনা, নিজের ‘দশভি’ সিনেমার নায়িকা নিমরত কৌরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিষেক। আর তার জেরেই ঐশ্বর্যর সঙ্গে অশান্তি চরমে। সেই কারণেই নাকি মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান প্রাক্তন নায়িকা। যদিও রটনা, পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন অভিষেক। কিন্তু তাতে ঐশ্বর্যর সঙ্গে অমিতাভপুত্রর দূরত্ব কমেনি।

Card image cap

দেবের পা ছুঁয়ে প্রণাম অঙ্কুশের

দেব এবং অঙ্কুশ। টলিউডের দুই অভিনেতা। একে অপরের সহকর্মী এবং প্রতিদ্বন্দ্বী তো বটেই। আবার প্রয়োজনে একে অপরের পাশে দাঁড়াতেও দ্বিধা করেন না। ঠিক যেমন দেবের ছবি ‘কিশমিশ’-এ অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অঙ্কুশ। সূত্রের খবর, দেবের  ‘খাদান’-এও ক্যামিও চরিত্রে থাকবেন অঙ্কুশ। ঠিক যেন টলিউডের ‘করণ-অর্জুন’! শাহরুখ-সলমনের পথে হেঁটেই একে-অপরের ছবিতে ক্যামিও। আর বুধবার রাতে ‘টেক্কা’র স্ক্রিনিংয়ে অভূতপূর্ব এক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল সকলে।প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ করেই ‘অগ্রজ’ দেবের পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন অঙ্কুশ । তিনি বরাবরই টলিউড সুপারস্টারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যখন যেখানেই দেখা হয়েছে, একেবারে দাদা-ভাইয়ের মতোই একে-অপরের রসায়ন নজর কেড়েছেন। কখনও বা আবার বুকে টেনে নিয়েছেন দুজন দুজনকে। দেব-অঙ্কুশের এহেন রসায়ন দেখে বরাবর অনুরাগীরা ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন,পর্দায় বড় পরিসরে তাঁদের একসঙ্গে দেখার জন্য। চলতি বছর মে মাসে ‘মির্জা’ কোটির ক্লাবে ঢুকতেই দেব-অঙ্কুশকে একফ্রেমে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ভক্তরা। অঙ্কুশ অবশ্য তাতে সায় দিয়েছিলেন বটে! টলিউডের ‘করণ-অর্জুন’ এবার একসঙ্গে পর্দায় কবে ধরা দেন? সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে। তবে ‘টেক্কা’র স্ক্রিনিংয়ে দেবের পা ছুঁয়ে অঙ্কুশের প্রণাম করার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি ফটোশিকারিরা। যে ভিডিও দেখে অঙ্কুশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুরাগীরা।শুধু তাই নয়, এই ভিডিও দেখেও অনুরাগীদের একটাই প্রশ্ন, কবে দেব-অঙ্কুশকে এক ছবিতে দেখা যাবে? বুধ সন্ধ্যায় ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে টেক্কার স্ক্রিনিংয়ে হাজির হয়েছিলেন অঙ্কুশ। অভিনেত্রীকেও আলিঙ্গন করে কুশল-মঙ্গল বিনিময় করেন সুপারস্টার। পুজোর মরশুমে পঞ্চমীর দিন রিলিজ করে ‘টেক্কা’। বক্স অফিসে ‘বহুরূপী’ এগিয়ে গেলেও টেক্কাও ব্যবসায় ছক্কা হাঁকাচ্ছে।