Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

দিল্লি বিধানসভায় ‘অবনমন’ কেজরির

নতুন মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছে দিল্লি। তার পরেই বদলে গেল দিল্লি বিধানসভার আসন বিন্যাস। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আসন অনেকখানি পিছিয়ে দেওয়া হল। দিল্লি বিধানসভার নাম্বার ওয়ান হলেন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা। বিরোধী দলনেতা-সহ আরও বেশ কয়েকজন বিধায়কের আসন রদবদল করা হয়েছে দিল্লি বিধানসভায়। উল্লেখ্য, গত শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন অতিশী।আবগারি দুর্নীতি মামলায় মার্চ মাসে গ্রেপ্তার হন কেজরিওয়াল। তার পর জেল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীত্ব সামলেছিলেন আপ সুপ্রিমো। তবে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ফলে দীর্ঘ ৯ বছরের পুরনো কুর্সিও ছাড়তে হয়েছে কেজরিকে। এতদিন বিধানসভার এক নম্বর আসনটি বরাদ্দ ছিল তাঁর জন্য। এবার থেকে কেজরি বসবেন ৪১ নম্বর আসনে। প্রথম আসনে বসবেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। দ্বিতীয় স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজের জন্য।সদ্য মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া মুকেশ অহল্যাতকে ১৪ নম্বর আসন দেওয়া হয়েছে। আবগারি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বসবেন কেজরির পাশেই, অর্থাৎ ৪০ নম্বর আসনে। ২ নম্বর থেকে ৮ নম্বর আসনে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কৈলাস গেহলটকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ৯৪ নম্বর আসন থেকে ১০০ নম্বর আসনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা বিজেন্দর গুপ্তাকে।দিল্লি বিধানসভায় কেজরির আসনে বসলেও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে অবশ্য আপ সুপ্রিমোর চেয়ারে বসতে রাজি হননি অতিশী। গত সোমবার দপ্তরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন অতিশী। আপ নেত্রীর কথায়, “ভরতের মতো আজ আমিও একটা দায়িত্বভার বহন করছি। যেভাবে তিনি রামের পাদুকা সিংহাসনে রেখে রাজ্যশাসন করতেন, আমিও সেভাবেই আগামী চার মাস দিল্লিকে পরিচালনা করব।” অতিশীর বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি কেবলই কেজরিওয়ালের।

Card image cap

ভূত তাড়ানোর নামে কিশোরকে বেদম মার

ভূত তাড়ানোর নামে নাবালককে গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল ওঝার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে গোপালনগর মামুদপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। যুক্তিবাদী মঞ্চের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাতেই ওই বালককে উদ্ধার করে। বুধবার যুক্তিবাদী মঞ্চের পক্ষ থেকে গোপালনগর থানায় ওই ওঝার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে।পুলিশ ও যুক্তিবাদী মঞ্চের তরফে জানা গিয়েছে, বছর ১৫-র সম্প্রতি মাছ ধরতে গিয়ে পড়ে যায়। মাথায় আঘাত লেগে নার্ভের সমস্যা হয়। তার পর থেকে মাঝেমধ্যে চিৎকার করছিল, ভুল বকছিল। মঙ্গলবার পরিবারের লোকেরা তাকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে আনলে চিকিৎসকরা তাকে কলকাতায় রেফার করে। কিন্তু পরিবারের লোকজন কলকাতায় যাওয়ার বদলে গ্রামে ফিরে যায়। ছেলেটিকে মামুদপুরে অভিযুক্ত ওঝার কাছে নিয়ে যায়। অভিযোগ ওঝা বলেছিল, কিশোরকে ভূতে ধরেছে। ভূত তাড়াতে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।খবর পেয়ে যুক্তিবাদী মঞ্চের লোকজন নহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। তারা কিশোরকে উদ্ধার করে। ওঝার দাবি, “ছেলেটা দোষ পেয়েছিল। ওকে ভূতে ধরেছিল তাই ওকে ঝাড়িয়ে ঠিক করছিলাম। আগেও অনেককে ভূতে ধরেছিল। আমি এভাবেই তাদের ঝাড়িয়ে ভূত তাড়িয়ে দিয়েছি।” যুক্তিবাদী মঞ্চের সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, “মামুদপুর গ্রামে এক ওঝার ভূত ছাড়ানোর নাম করে ১৫ বছরের এক বালকের উপর নির্মম অত্যাচার করছে। গায়ে গরম জল ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। ছেলেটির স্নায়ু রোগের সমস্যা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বনগাঁ হাসপাতাল থেকে ট্রান্সফার করলে বাড়িতে এনে স্থানীয় ডাক্তার দেখায়। তিনিও কলকাতা নিয়ে যেতে বলেছিলেন। তা না করে বাড়ির লোকজন বাচ্চাটির উপর অমানবিক অত্যাচার করতে দিল। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিই।”

Card image cap

অবশেষে বঙ্গে এল পদ্মাপাড়ের ইলিশ

মহালয়ার বাকি এখনও এক সপ্তাহ। তার আগেই বঙ্গে এল পদ্মাপাড়ের ইলিশ! লক্ষ্মীবারে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বেশ কয়েকটন ইলিশ এসে পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, প্রথম গাড়িতে ৪ টন রুপোলি শস্যের আগমন ঘটেছে। পরবর্তী গাড়িগুলিতে প্রায় ২০ টন ইলিশ আসার কথা ছিল। বলা হচ্ছে, শুক্রবার থেকেই বাজারে মিলবে পদ্মার ইলিশ। দাম হতে পারে কেজি প্রতি ২০০০ টাকা বা তার বেশি।বেনাপোল বন্দর থেকে পাওয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০০০ টন ইলিশ রপ্তানির প্রথম চালানে ৪ টন অর্থাৎ ৪ হাজার কেজি মাছ এসেছে। দুটি ট্রাকে করে ইলিশবোঝাই ২০০ বক্স মাছ বুধবার বিকেলে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছে যায় রপ্তানির জন্য। মৎস্য দপ্তরের অনুমতি সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার পেট্রাপোল দিয়ে ঢুকেছে এপার বাংলায়। নতুন ও পুরনো সব আবেদনপত্র এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ইলিশ রপ্তানির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। শর্তে বলা হয়েছে, অনুমতির মেয়াদ কার্যকর থাকবে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।শুক্রবার থেকেই পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ পাতে পড়বে বঙ্গবাসীর। বলা হচ্ছে, কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের বাজারগুলিতে তা পাওয়া যাবে। বৃহস্পতিবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির মধ্যে প্রথম চালানে মোট ১৮ মেট্রিক টন অর্থাৎ ১৮ হাজার কেজি ইলিশ মাছ। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য পড়ছে ১০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২০০ টাকা। আর ভারতীয় মূল্যে ৮৪০ টাকা। সেই নিরিখে বাজারে পদ্মার ইলিশের দাম নির্ধারিত হবে। পরে আরও ইলিশ ঢুকবে। ফলে বাজারে জোগান বাড়বে। আর জোগান বাড়লে দামও খানিকটা কমতে পারে। ফলে উৎসবের মরশুমে বাঙালি পদ্মার রুপোলি শস্যের স্বাদ পেতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

Card image cap

মহালয়ার ভোর ও অষ্টমীর রাত দখলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ও সুবিচারের দাবি। পুজোতেও অভয়ার জন্য পথে থাকার সিদ্ধান্ত। মহালয়ার ভোর ও অষ্টমীর রাত দখলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।ঘটনার সূত্রপাত ৯ আগস্ট। আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনকে কেন্দ্র করে সেই থেকে উত্তাল বাংলা। অভয়ার দোষীদের শাস্তি, নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে রাজ্যের সবস্তরের মানুষ বারবার রাস্তায় নেমেছে। একাধিক দাবিতে দিনের পর দিন কর্মবিরতি চালিয়েছেন, স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনা দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও একাধিকবার তা ভেস্তে যায়। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে বৈঠক হয়। পরবর্তীতে ধরনা ও কর্মবিরতি তুলে কাজে যোগ দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে নিজেদের দাবি থেকে সরেননি আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।এবার অভয়ার সুবিচারের দাবিতে পুজোর রাতেও রাস্তায় থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন জুনিয়র ডক্টরস ফোরামের তরফে মহালয়ার ভোর ও অষ্টমীর দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে। আগের মতোই এবারও যাতে সবমহলের মানুষ এই ডাকে সাড়া দেন সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে।

Card image cap

‘সুপ্রিম’ নির্দেশ মেনে দ্রুত চালু হবে রাত্তিরের সাথী

দ্রুতই চালু হবে রাত্তিরের সাথী। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনে যাবতীয় সংশোধন করেই চালু হবে রাত্তিরের সাথী।আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেই নারী নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্য সরকারের প্রকল্প ‘রাত্তিরের সাথী’ চালুর পরিকল্পনা করা হয়। তবে এই প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক ছিল। সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি চলাকালীন চিকিৎসকদের যৌথমঞ্চের আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, “মহিলা চিকিৎসকদের ১২ ঘণ্টার বেশি ডিউটি না দেওয়া, নাইট শিফট না দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।”একথা শুনে প্রায় বিরক্তির সুরে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “কীভাবে বলেন রাতে মহিলারা কাজ করতে পারবেন না? মহিলা চিকিৎসকদের কেন এভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন? তাঁরা এই আলাদা ছাড় চান না। মহিলারা সমস্ত শিফটে কাজ করতে প্রস্তুত। কপিল সিব্বল এই বিষয়টিতে দেখুন। আপনাদের উপযুক্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতেই হবে।”তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘রাত্তিরের সাথী’র বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধন করতে হবে। এবার সেই নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে রাজ্যও। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমজনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুতই চালু হবে রাত্তিরের সাথী অ্যাপ। সেই নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনাও হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে। সংশোধনের পরে দ্রুতই এই অ্যাপ চালু হবে।

Card image cap

প্যান ডি, প্যারাসিটামল ছাড়া ৫০ টিরও বেশি ওষুধকে নিম্নমানের তকমা

rugs Failing Quality Tests: গ্য়াস হলেই প্যান ডি  খান ? মাথা ধরলে বা সামান্য জ্বরেই প্যারাসিটামল  হাতরান, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে খারাপ খবর। দেশের ওষুধের Medicines গুণমান নিরীক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, দেশের বাজারে চলছে এরকম ৫০ টিরও বেশি নিম্নমানের ওষুধ।


কোন-কোন পরিচিত ওষুধ নিন্মমানের ধরা পড়েছে

ভিটামিন সি এবং ডি 3 ট্যাবলেট শেলকাল, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি সফটজেল, অ্যান্টিঅ্যাসিড প্যান-ডি, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট আইপি 500 মিলিগ্রাম, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ড্রাগ গ্লিমিপিরাইড, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ টেলমিসার্টান এবং আরও মোট 53 টি সর্বাধিক বিক্রিত ওষুধ নিম্নমানের ধরা পড়েছে। সম্প্রতি ওষুধ নিয়ন্ত্রকের গুণমান পরীক্ষায় উথরোতে ব্যর্থ হয়েছে এই মেডিসিনগুলি।


এই নামী কোম্পানিগুলির ওষুধও নিম্নমানের বেরিয়েছে

এই ওষুধগুলি Hetero Drugs, Alkem Laboratories, Hindustan Antibiotics Limited , Karnataka Antibiotics & Pharmaceuticals Ltd, Meg Lifesciences, Pure & Cure Healthcare এবং আরও অনেক কোম্পানি তৈরি করে। দেশের ড্রাগ রেগুলেশন ওয়াচডগ সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন  প্রকাশিত আগস্টের "নট অফ স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি  সতর্কতা" অনুসারে 50 টিরও বেশি ওষুধকে NSQ বা নিম্নমানের ঘোষণা করা হয়েছে। NSQ-র মাসিক ভিত্তিতে অগোছাল নমুনা পরীক্ষার ফলস্বরূপ এই রিপোর্ট পাওয়া গেছে।


এই নিয়ে কী বলছে কোম্পানি

দেশের নামী কোম্পানিগুলির ওষুধ নিম্নমানের হওয়ায় ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছে কর্তৃপক্ষ। Hetero Drugs, Alkem Laboratories, Hindustan Antibiotics Limited  এবং কর্ণাটক অ্যান্টিবায়োটিকস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড সহ বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় ফার্মা কোম্পানি ওই ব্যাচের ওষুধগুলিকে জাল বলেছে। তাদের দাবি, এগুলি তারা তৈরি করেনি। 


জনপ্রিয় ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছে

সুপরিচিত উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ তেলমিসার্টনের একাধিক ব্যাচ মান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। এই ওষুধগুলি হরিদ্বার-ভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারী লাইফ ম্যাক্স ক্যান্সার ল্যাবরেটরি তৈরি করেছিল। 

পাকস্থলীর সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য একটি জনপ্রিয় ওষুধ, মেট্রোনিডাজল, PSU হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিক লিমিটেড  দ্বারা উত্পাদিত, পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়া ওষুধের অংশ। একইভাবে, শেলকাল, টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস দ্বারা বিক্রি করা এবং উত্তরাখণ্ড-ভিত্তিক পিওর অ্যান্ড কিউর হেলথকেয়ার দ্বারা উত্পাদিত, পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।


কোন-কোন ওষুধের নাম রয়েছে

অ্যালকেম হেলথ সায়েন্সের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রাগ ক্লাভাম 625 এবং প্যান ডি কলকাতার একটি ওষুধ-পরীক্ষা ল্যাবরেটরিতে জাল পাওয়া গেছে। একই ল্যাবে হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক হেটেরোর সেপোডেম এক্সপি 50 ড্রাই সাসপেনশনটি জাল পাওয়া গেছে। ওষুধটি শিশুদের গলা, ফুসফুস, মূত্রনালীর বা আরও কিছু গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করা হয়। কর্ণাটক অ্যান্টিবায়োটিকস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্যারাসিটামল ট্যাবলেটগুলিও নিম্নমানের তালিকায় রয়েছে।


সান ফার্মার উত্পাদিত ওষুধের মধ্যে রয়েছে অ্যাসিড রিফ্লাক্স ড্রাগ প্যান্টোসিড, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ড্রাগ পুলমোসিল এবং পিত্তথলি দ্রবীভূতকারী ওষুধ উরসোকল 300। অন্যান্য ওষুধগুলি হল গ্লেনমার্কের টেলমা এইচ, একটি জনপ্রিয় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ এবং ম্যাক্লিওডস ফার্মার আর্থারাইটিসের ওষুধ ডিফকোর্ট 6।


ওইসব ওষুধ নকল বলছে নির্মাতারা

ওষুধ নিয়ন্ত্রক দ্বারা প্রকাশিত NSQ সতর্কতা তালিকার দ্বিতীয় অংশে দেশের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারকদের দ্বারা উত্পাদিত পাঁচটি ওষুধের তালিকা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সান ফার্মাসিউটিক্যালসের তিনটি ওষুধ, একটি গ্লেনমার্কের এবং অন্যটি ম্যাক্লিওডস ফার্মার। এই মাসে, CDSCO দুটি ভিন্ন তালিকা পোস্ট করেছে। 


সান ফার্মার একজন মুখপাত্রও একই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। “আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছি যে Pulmosil , ব্যাচ নং KFA0300; প্যান্টোসিড প্যান্টোপ্রাজল ট্যাবলেট আইপি, ব্যাচ নম্বর SID2041A, এবং Ursocol 300 Ursodeoxycholic অ্যাসিড ট্যাবলেট আইপি, ব্যাচ নম্বর GTE1350A নকল। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরীক্ষিত উল্লিখিত ব্যাচগুলি সান ফার্মা দ্বারা তৈরি করা হয়নি।"

Card image cap

পুজোর আগে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

দুর্গাপুজো আসন্ন, আর এর প্রস্তুতি তুঙ্গে। শহরের অলিগলিতে শুরু হয়ে গেছে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ, আর প্রতিমা গড়ার কাজও শেষের দিকে। এই উৎসবের মধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর নিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।



পুজোর বোনাস ঘোষণা


রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি কর্মীদের জন্য দুর্গাপুজোর বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে।


আগামী ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গোৎসব, আর এই উপলক্ষে সকল কর্মীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে চলেছে মোটা অঙ্কের টাকা।


মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা তার X হ্যান্ডেলে জানান, "রাজ্য সরকার এই বছর বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীদের জন্য উৎসব অনুদান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" তিনি আরও জানান, এর ফলে বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মীরা উপকৃত হবেন।


বোনাসের পরিমাণ


সরকারি কর্মীদের জন্য বোনাসের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এই রকম:


গ্ৰুপ সি কর্মীরা: ₹২০০০

গ্ৰুপ ডি কর্মীরা: ₹২০০০

অর্থ দফতরের কর্মীরা: ₹২০০০

চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা (PTWs): ₹২২০০

পেনশন প্রাপকরা: ₹২০০০

অঙ্গনওয়ারি/হেলপাররা: ₹২২০০

হোমগার্ড/SPOs: ₹২২০০

সরকার পরিচালিত মন্দিরের পুরোহিতরা: ₹২০০০

এই ঘোষণার ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে খুশির বন্যা বইবে বলেই আশা করা হচ্ছে। পুজোর আগে এই বোনাস কর্মীদের জন্য একটি বড় উপহার হবে, যা তাঁদের উৎসবের আনন্দে আরও যোগ করবে।


সবার জন্য আকাঙ্ক্ষা


এবারের দুর্গাপুজোয় সরকারি কর্মীরা উপভোগ করবেন এই বোনাসের সুবিধা, যা তাঁদের উৎসব উদযাপনে বড় ভূমিকা পালন করবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে প্রস্তুতি নিই এই পুজোকে আনন্দময় করে তোলার জন্য!

Card image cap

১৫ রাজ্য কাঁপাবে ঝড়-জল-বৃষ্টি-দুর্যোগ!

  আবহাওয়ার তুমুল ভোলবদলে বিধ্বস্ত দেশের একাধিক রাজ্য। বর্ষা বিদায়ের মুখেই নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্তের ধাক্কায় এলোমেলো সিস্টেম। আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, আগামী ৩ দিনের জন্য দেশের রাজ্যে রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। খুব স্বস্তির খবর নেই বাংলার কপালেও। যা জানাচ্ছে আইএমডি, উদ্বেগজনক।


তবে কি এবার ভাসবে পুজোর বাংলা?


  বর্ষা এখন উত্তর ভারতে দুর্বল হয়ে পড়েছে, কিন্তু এবার ফিরতে দেরিই হচ্ছে বর্ষারানীর। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু রাজস্থান, পঞ্জাব ও হরিয়ানার কিছু অংশ থেকে সরে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে বৃষ্টি কমেছে, কিন্তু বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের কারণে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে।


  আর এই কারণে উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাতে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে, অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে আগামী দু'দিনে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।


  দিল্লিতেও আর্দ্রতা থেকে স্বস্তি মিলবে। তবে মহারাষ্ট্র ও বাংলায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এবার ১ জুন থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৮০.৮ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৮৩৭.৭ মিমি বেশি। ৬ অক্টোবরের মধ্যে বর্ষা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বুধবার ও বৃহস্পতিবার সারাদেশের আবহাওয়া কেমন থাকবে।


  দিল্লির আবহাওয়া কেমন থাকবে?

বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গত তিন দিন ধরে রাজধানীতে প্রচণ্ড গরমে কাহিল হয়ে পড়েছিলেন মানুষ। তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি ছাড়িয়েছিল। তবে আজ বুধবার দিল্লিবাসী স্বস্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।


  আকাশ মেঘলা থাকবে এবং কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি হতে পারে। এছাড়াও, ঘণ্টায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।


  উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের আবহাওয়ার আপডেট:

আবহাওয়া দফতরের মতে, সক্রিয় ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্সের কারণে উত্তরাখণ্ডে আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার পার্বত্য অঞ্চলে ভাল বৃষ্টি হয়েছে, এবং বুধবারও কুমায়ুনের পাহাড়ি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


  অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশে গত তিন দিন ধরে আবহাওয়া শুষ্ক ছিল, তবে বুধবার সিমলা, সোলান এবং সিরমাউরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী দুই দিন ছয় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। এবার হিমাচলে স্বাভাবিক ৭২৩.১০ মিমি বৃষ্টিপাতের তুলনায় মাত্র ৫৭৩.৭০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


  দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টির সতর্কতা:

আবহাওয়া দফতরের মতে, ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্ণাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫ থেকে ২৯ এবং ৩০ সেপ্টেম্বর কেরলে বৃষ্টি হতে পারে।


  ২৫ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর গুজরাতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২-৩ দিন বাংলার ১১টি জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা ও ওড়িশার ২০টি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিহারেও আগামী ৩ দিনে ভাল বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে বিহারের ১২টি জেলা এখনও বন্যার কবলে রয়েছে। বন্যা বিধ্বস্ত বাংলাও।


  বুধ ও বৃহস্পতিবার কোঙ্কন-গোয়া, মধ্য মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয় এবং সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অঞ্চলেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


  অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, বিদর্ভ (মহারাষ্ট্র), ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ (গঙ্গা সংলগ্ন অংশ), বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং দক্ষিণ কর্ণাটকে হালকা পরিমানে বৃষ্টি হতে পারে।

Card image cap

৮ বছরের বাচ্চা বরকে মনে ধরছে না নেহার?

তারকা মানেই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন সবসময় আসে উঠে লাইমলাইটে। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল গায়িকা নেহা কক্কর এবং রোহনপ্রীত সিংয়ের বিবাহিত জীবন নাকি একেবারেই ঠিক চলছে না। সম্প্রতি, অনেক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হচ্ছে যে নেহা এবং রোহানের মধ্যে আর মোটেও সব ঠিকঠাক নেই। দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের গুজব দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।


এবার অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন নেহা কক্করের স্বামী রোহনপ্রীত সিং।


নেহা কক্করের সঙ্গে ডিভোর্সের গুঞ্জনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রোহনপ্রীত সিং। তার বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে। চলুন দেখা যাক কী বললেন তিনি। 


রোহনপ্রীত সিং ইনস্ট্যান্ট বলিউডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'দেখুন, গুজব মানে গুজবই, সেগুলি সত্য নয়। এগুলো বানানো জিনিস। আগামীকাল কেউ কিছু বলবে, পরশু কেউ কিছু বলবে... তবে এই জিনিসগুলি আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে না। আপনার এক কানে শোনা উচিত এবং অন্য কান দিয়ে বের করে দেওয়া উচিত। ... অথবা আপনার শোনাও উচিত নয়।


সঙ্গে রোহনপ্রীত আরও যোগ করেন, 'আলোচনা তাকে নিয়েই হয়, মানুষ যার ব্যাপারে কথা বলতে বেশি ভালোবাসে। তাই বলুক কথা লোকে আমাদের নিয়ে। মানুষের মনে তো আছি।' তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নেহা কক্করের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের খবরে কোনও সত্যতা নেই।


একবার কপিল শর্মার শো'তে এসে নেহা জানিয়েছিলেন, রোহনপ্রীত শুরুতে বিয়ের জন্য রাজি ছিলেন না। কারণ মাত্র ২৫ বছরেই বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়তে মন থেকে তৈরি ছিলেন না রোহন। আবার ৩৩ বছরের নেহা এই বয়সে প্রেম করতে রাজি ছিলেন না। শুরুতেই তিনি বলে দিয়েছিলেন, 'এবার প্রেম সম্পর্ক নয়, আমি বিয়ে করব'। এরপর নাকি ব্রেক আপ হয়ে যায় 'নেহুপ্রীত'-এর। কিন্তু কয়েকদিনের ব্যাবধানেই রোহন বুঝতে পারেন নেহাকে ছাড়া তাঁর জীবন অচল। এরপর মদ্যপ অবস্থায় ফোন করে নেহাকে সোজাসুজি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রোহনপ্রীত।


২০২১ সালের অগস্ট মাসে 'নেহু দা বিহা' মিউজিক ভিডিয়োর সেটে প্রথম পরিচয় এই জুটির। তিন মাসের মধ্যেই বিয়ের পর্ব সেরে ফেলেছিলেন রোহন-নেহা। তবে হ্যাঁ, বিয়ের পর যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়া রাঙাতেন তাঁরা প্রেমের রঙে, এখন তাতে অনেকটাই ভাঁটা এসেছে। যা থেকেই হয়তোআলোচনার সূত্রপাত! নেহা শেষ দেখা গিয়েছে সুপারস্টার সিঙ্গারে বিচারক হিসেবে।

Card image cap

বয়স' অনুযায়ী কতটুকু হাঁটা 'পারফেক্ট'...? আপনি 'বেশি' হাঁটছেন না 'কম'?

  ওজন কমাতে আর ডায়াবেটিস-কোলেস্টেরল কন্ট্রোলে রাখতে রোজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটছেন? ভাবছেন মাইলের পর মাইল হাঁটলেই সুস্থ থাকবেন? আগে জানুন বয়স অনুয়ায়ী কতটা হাঁটা উচিত। এই রইল আসল হিসেব। তালিকা দেখে বুঝে নিন চটপট।


  সুস্থ জীবনের আকাঙ্ক্ষা সবার মনেই থাকে, কিন্তু বর্তমান জীবনের ব্যস্ততার কারণে তা বজায় রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।


বস্তুত বর্তমান লাইফস্টাইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে কাজ, শরীরচর্চায় অবহেলা আর ব্যাপক অর্থে ভুল খাদ্যাভাস ইত্যাদি বাড়িয়ে দিচ্ছে শরীরে রোগের ঝুঁকি।


  স্থূলতার মতো রোগ তাই বাড়ছে ঘরে ঘরে। ভুল জীবনধারা ডেকে আনছে সুগার-কোলেস্টেরলের মতো একাধিক সমস্যাও। সুস্থ থাকতে তাই প্রতিদিন হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। হাঁটা নিঃসন্দেহে সবথেকে সহজ ও কার্যকরী ব্যায়াম।


  বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দিনের যে কোনও সময়ে হাঁটা মাস্ট। তবে অনেকেরই আক্ষেপ থাকে, নির্দিষ্ট পরিমাণ হাঁটার পরও ওজন কমছে না। সেক্ষেত্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটাহাঁটির আগে জানুন বয়স অনুযায়ী আপনার ঠিক কতটা হাঁটা উচিত।


  সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, প্রত্যেক মানুষের রোজ ৮ কিলোমিটার হাঁটা উচিত। আবার ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের পরামর্শ, নিয়মিত ১৫০ মিনিট মাঝারি থেকে বেশি এক্সারসাইজ শরীরের জন্য ভাল। অর্থাৎ সেই হিসেবে ৩০ মিনিট হাঁটা জরুরি।


  এখন প্রশ্ন হল কোন বয়সে কতটুকু হাঁটা 'সঠিক'। এক্ষেত্রে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে সপ্তাহে অন্তত তিনবার ৫,০০০-এর বেশি কদম হাঁটা উচিত। এই ভাবে হাঁটলে তা শুধু আমাদের আয়ু বাড়াতে পারে না বরং জীবনধারা সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।


  আপনার বয়স অনুযায়ী হাঁটুন: লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রতি সপ্তাহে তিনবার ৫,০০০ পা হাঁটা একজন ব্যক্তির আয়ু তিন বছর বাড়িয়ে দিতে পারে।


  একজন ব্যক্তিকে প্রতিদিন কত পদক্ষেপ হাঁটা উচিত?

সাধারণত, দিনে ১০,০০০ কদম হাঁটা আদর্শ বলে মনে করা হয়। তবে বয়স ও স্বাস্থ্য অনুযায়ী এই সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে সপ্তাহে তিনবার ৫,০০০ কদম হাঁটাও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।


  একইসঙ্গে আবার সায়েন্টিফিক আমেরিকানের রিপোর্ট বলছে, ৬০ বছরের কম বয়স হলে ৮০০০ থেকে ১০০০০ স্টেপ হাঁটতে হবে। যদিও রোজ একই নিয়মে হাঁটা সম্ভব নাও হতে পারে। তবে ১০ হাজার পা হাঁটার লক্ষ্যপূরণ করার চেষ্টা করা যেতেই পারে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার স্টেপ হাঁটা হৃদরোগ-সহ সার্বিক সুস্থতায় সাহায্য করবে।


  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত ৩-৪ কিলোমিটার হাঁটা শরীরের জন্য ভাল। বয়স ৬০ বছরের কম হলে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার হাঁটা উচিত। ধীরে ধীরে হাঁটার পরিমাণ বাড়াতে পারেন।


  ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের অন্তত এক ঘণ্টা এক্সারসাইজ অথবা ৩-৪ কিলোমিটার হাঁটা বা অন্য এক্সারসাইজ করতে হবে। হাঁটার বদলে খেলাধুলা করাও যেতে পারে।


  আবার একইসঙ্গে গবেষণা বলছে যে কোনও বয়সের জন্যই ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটা ভাল। নিয়মিত হাঁটলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা পাওয়া যায়। শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, স্ট্রেস কমে, মন ফুরফুরে থাকে। ফলত এনার্জি বেড়ে যায়। রোজ হাঁটাহাঁটি করলে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।


  শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: হাঁটা হার্টবিট উন্নত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি জয়েন্টের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়। এ ছাড়া নিয়মিত হাঁটা শরীরকে সচল রাখে এবং সারাদিনের কাজকর্ম সহজ করে।


  হাঁটা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার মতো মানসিক সমস্যাগুলি কমাতে সহায়ক, যাতে আপনি একটি সুখী এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন।


  আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা

স্মার্ট ওয়াচের ভূমিকা: আজকাল আধুনিক প্রযুক্তি, স্মার্ট ঘড়ির মতো গ্যাজেট হাঁটার অভ্যাসকে আরও সুবিধাজনক করে তুলেছে। এই ডিভাইসগুলি কেবল সময়ই বলে দেয় না, আপনি যে পদক্ষেপগুলি নিয়েছেন তার রেকর্ডও রাখে, যাতে আপনি সহজেই আপনার শারীরিক অগ্রগতি ট্র্যাক করতে পারেন।

Card image cap

জেল থেকে বেরিয়েই মমতাকে নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত!


প্রায় দু'বছরের অপেক্ষার অবসান! অবশেষে নিজের বাড়ি ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। মঙ্গলবার সকালেই কন্যা সুকন্যাকে নিয়ে নিচুপট্টির বাড়িতে ফেরেন কেষ্ট । জয়ধ্বনি, পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে।


মমতাকে নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত 


আজ সাতসকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন অনুব্রত, সুকন্যা। এরপর সেখান থেকে রওনা দেন বীরভূমের উদ্দেশে। গাড়ি যখন বীরভূমে এসে পৌঁছয়, চারিদিকে তখন উৎসবের মেজাজ। অনুগামীদের স্লোগান, পুষ্পবৃষ্টির মাঝেই গাড়ি থেকে নামেন তিনি। কন্যা সুকন্যাকে নিয়ে ঢুকে যান বাড়িতে। এরপর সেখানে দাঁড়িয়েই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তৃণমূল  নেতা।


শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি এদিন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  প্রতি নিজের ভালোবাসা জাহির করেন কেষ্ট। বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন… মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি ভালোবাসি। গোটা বাংলা, গোটা দেশের মানুষ ভালোবাসে। আমার পায়ের অবস্থা ভালো নয়। শরীর যদি ভালো থাকে, দিদির সঙ্গে দেখা করব'।


মঙ্গলে বীরভূমে ফিরেছেন অনুব্রত , এদিকে আজই সেখানে সভা রয়েছে মমতার। 'কেষ্ট গড়ে' একটি প্রশাসনিক সভা করার কথা আছে মুখ্যমন্ত্রীর। জানা যাচ্ছে, আরও একটি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। তবে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলে সেই সভা হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। তার মাঝে কি আজ অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করবেন মমতা? আপাতত সেই জল্পনা তুঙ্গে।


উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও বরাবর অনুব্রতর  পাশে থেকেছেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, কেষ্টকে ফাঁসানো হয়েছে। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, দল তাঁর পাশে আছে। স্বাভাবিকভাবেই অনুব্রতর 'ঘর ওয়াপসি'র দিন মমতা বীরভূম আসায় দু'জনের সাক্ষাতের জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে।


এই বিষয়ে সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, 'দেখা করবেন কিনা সেটা উনিই ঠিক করবেন। এখনও এই বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী যখন এখানে আছেন, তখন দেখা হতেই পারে'। শেষ অবধি মমতা-কেষ্ট সাক্ষাৎ হয় কিনা তা জানতে এখনও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।




Card image cap

আগামী ২৪ ঘণ্টায় কী হতে চলেছে বাংলায়? আইএমডি দিল বড় আপডেট

  বঙ্গোপসাগরে জোড়া ঘূর্ণাবর্তের দাপট। একটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাছে রয়েছে, দ্বিতীয়টি দক্ষিণ আরাকানের নীচে বাংলার খাড়ির উপর তৈরি হয়েছে।


  আইএমডি সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, উভয় ঘূর্ণাবর্তের একসঙ্গে মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং এই দুই ঘূর্ণাবর্তের যৌথ প্রভাব থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপের ক্ষেত্র তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।


  IMD রিপোর্ট অনুযায়ী, জোড়া ঘুর্নাবর্ত দুটি দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে একসঙ্গে মিশেছে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়। নিম্নচাপ প্রাথমিকভাবে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে।


  এদিকে সেপ্টেম্বরের শেষে বিদায় পর্বে সক্রিয় বর্ষা। তবে খুব শক্তিশালী আবহাওয়া সিস্টেম এই মুহূর্তে হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। যদিও, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ধীরে-ধীরে এগিয়ে যাওয়ার ফলে নিম্নচাপের ক্ষেত্র তৈরি হবে।


  পূর্ব-পশ্চিম ভারতে ছড়িয়ে পড়া শিয়ার জোন: -পশ্চিম ভারতে একটি শিয়ার জোন তৈরি হয়েছে, যা প্রায় ২০°N অক্ষাংশের উপর ওডিশা সংলগ্ন সমুদ্র থেকে কোঙ্কণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। অসন্ন্য নিম্নচাপ এই শিয়ার জোনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।


  তাই উভয় সিস্টেমের যৌথ প্রভাব থেকে বৃদ্ধি পাবে মৌসুমী সক্রিয়তা। এই দুই সিস্টেমের কার্যকলাপের জেরেই দেশের একাধিক অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা আগামী কয়েক ঘণ্টায়।


  আগামী দু'দিন, শিয়ার জোন পূর্ব-দক্ষিণ ওড়িশা, উপকূলীয় আন্ধ্র প্রদেশ এবং দক্ষিণ ছত্তীসগঢ়ে মাঝারি পর্যায়ের বৃষ্টি বাড়াবে। অন্যদিকে, মধ্য মহারাষ্ট্র, কোঙ্কণ এবং দক্ষিণ গুজরাতে বৃষ্টির তীব্রতা এবং ব্যাপকতা আরও বেশি থাকবে।


  পরবর্তী দু'দিনে, আবহাওয়ার কার্যকলাপ আরও বৃদ্ধি পাবে। রাজ্যে রাজ্যে দুর্যোগ বাড়ার সম্ভাবনা বুধ-বৃহস্পতিবার। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং দক্ষিণ রাজস্থানের বেশ কিছু অঞ্চলে একসঙ্গে এর প্রভাব দেখা যাবে।


  কোঙ্কণীয় সমুদ্রের উপর ভারী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ এবং উত্তর মধ্যপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিস্তৃত থাকবে এই আবহাওয়া।


  ২৬ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের দেশের বেশিরভাগ অংশে বিশেষভাবে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। দক্ষিণ রাজস্থানে দুর্যোগের আশঙ্কা থেকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।


  কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া?

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সম্ভবত আজই অর্থাৎ মঙ্গলবার নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। আরও ২৪ ঘণ্টা গরম এবং অস্বস্তি আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে রাজ্যজুড়ে।


  বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশ বাড়বে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে ।


  পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘন্টায় দমকা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।