Last Update
বিজেপির বন্ধে বিক্ষিপ্ত অশান্তি
আর জি কর ইস্যুতে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র ডাকে মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। তার প্রতিবাদে আজ, বুধবার বিজেপি রাজ্যে ১২ ঘন্টা ধর্মঘট পালন করছে। সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এর প্রভাব পড়েছে। ট্রেন, বাস চলছে না অনেক জায়গায়। কাজে বেরিয়ে বিপাকে নিত্যযাত্রীরা।অশান্তিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্ত মজুমদারের। বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে নবান্ন অভিযান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় থাকবেন, আর বাংলাকে বদনাম করবেন, এটা আমি মেনে নেব না। কখনও কখনও মানুষকে সহ্য করতে হয়। কিন্তু আমার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে, আমি কী করতে পারি আপনারা জানেন না। আমাকে ছোঁয়া অত সহজ নয়।” আইন নিজের হাতে না তুলে নিলেও কর্মীরা যাতে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার বার্তাও দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই পদক্ষেপের আর্জি জানান সুকান্ত। বনধের বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেেন, “বাংলার জনগণকে নত মস্তকে প্রণাম জানাই। মানুষ বনধ সফল করেছে। এটা মানুষের বনধ। অনেকের হয়তো ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ক্ষমা চাইছি। ধরনার অনুমতির জন্য আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” পুলিশকে নিশানাও করেছেন তিনি।সুতির নিমতিতা স্টেশনে রেললাইনে শুয়ে বিক্ষোভ ধর্মঘটীদের। প্রবল উত্তেজনা। রঘুনাথগঞ্জের দাদাঠাকুর মোড়ে লালগোলা-রঘুনাথগঞ্জ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির।পরিকল্পনামাফিক আজকে বনধ ডেকেছে বিজেপি। তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ‘আগামী দিনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন যখন হবে সেখানে ৫৫ শতাংশ আসনে মেয়েরা যাতে লড়াই করতে পারে তা নিশ্চিত করব’, প্রতিশ্রুতি অভিষেকের।‘যারা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি হোক। ৪ মাসের মধ্যে আইন না আনলে দিল্লিতে বৃহত্তর আন্দোলন করব। মানুষ রাস্তায় নামলে কেউ আটকাতে পারবে না। আমরা দলগতভাবে চিঠি লিখব কেন্দ্রকে’, চ্যালেঞ্জ অভিষেকের। কেন্দ্রের সরকার আইন না আনলে প্রাইভেট মেম্বার বিলের মাধ্যমে এই বিল আনব সংসদে।‘দাবি এক দফা এক, ধর্ষণ বিরোধী আইন আনুক কেন্দ্রীয় সরকার। রাতারাতি লকডাউন, নোটবন্দি হলে ধর্ষণ বিরোধী আইন নয় কেন?’ প্রশ্ন অভিষেকের।‘আমরা ২০১১ সাল থেকে বলে আসছি, আমরা বন্ধের রাজনীতির বিরুদ্ধে। এই কর্মনাশা, সর্বনাশা বন্ধের বিরুদ্ধে আমরা। আমি বিজেপির বাংলার নেতৃত্বকে অনুরোধ করব, প্রতি ২৮ অগস্ট একটি করে বন্ধ ডাকুন। তা কী ভাবে প্রতিহত করতে হয়, বাংলার মানুষ জানে।‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিয়ে লাশের রাজনীতি। মহিলাদের উপর অত্যাচার উত্তরপ্রদেশে বেশি। বাংলায় পদত্যাগের দাবি উঠলে সেখানে পদত্যাগের দাবি উঠছে না কেন?’ ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তোপ অভিষেকের।বিজেপির ডাকা ১২ বন্ধ সকাল থেকেই উত্তেজনা কোচবিহারে। কোচবিহার বাস টার্মিনাসে বিজেপির দুই বিধায়ক এবং বিজেপি কর্মীরা সরকারি বাস আটকে দিলে পুলিশ তাদের আটক করে। বেসরকারি কিছু বাস রাস্তায় থাকলে বেশিরভাগ বেসরকারি বাস বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় মোতায়ন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
TOP RELATED