বাংলাদেশের সাংসদ ‘খুন’-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য, পাঁচ কোটি টাকা সুপারি দিয়ে আনা হয় কিলার!
এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: বাংলাদেশের সাংসদ ‘খুন’-এ প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীদের সন্দেহ, আওয়ামী লিগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম-এর খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার জন্য তাকে আনা হয়েছিল নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে। সিআইডি সূত্রে খবর, জাহির হাওলাদার নামক এক কসাইকে মুম্বাই থেকে আনা হয়েছিল এই কাজের জন্য। সাংসদ খুনে শাহিন আড়াই কোটি টাকা অগ্রীম দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। সিআইডি-র হাতে ধৃত জিহাদ মুম্বাই থেকে আসার পর চিনার পার্ক এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। শাহীন সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।
নিউটাউনের ফ্ল্যাটে বাংলাদেশি সুপারি কিলারদের হাতে খুন হয়েছেন আনোয়ারুল আজিম আনোয়ার। খুনের নেপথ্যে মূল চক্রী হিসাবে অভিযোগের তির আজিমের বন্ধু তথা বাংলাদেশের ব্যবসায়ী আখতারুজ্জামান শাহিনের দিকে। সে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে নিজেরই সুন্দরী বান্ধবী শিলাস্তি রহমানকে। বন্ধু সেজে সুপারি কিলাররাই আজিমকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে। বাংলাদেশ পুলিশের কাছ থেকে সিআইডির গোয়েন্দারা জেনেছেন, গত ১৩ মে বিকেল চারটে নাগাদ শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় সাংসদ আজিমকে। এর পর শাহিনের নির্দেশেই তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সিআইডি জিহাদ হাওলাদার (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। সিআইডি সূত্রে খবর, জিহাদ একজন কসাই। খুনের পর জিহাদই সাংসদের দেহ টুকরো টুকরো করেছিল। এই কাজের জন্য মুম্বই থেকে তাকে আনা হয়। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য শরীর থেকে তুলে ফেলা হয়েছিল চামড়াও। হাড় আলাদা করে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় দেহ। আখতারুজ্জামান দু’মাস আগেই জিহাদকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল। সিআইডি সূত্রে খবর, জিহাদ জেরায় স্বীকার করেছে সে ও আরও চারজন বাংলাদেশি নাগরিক মিলে সাংসদকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে খুন করে।