Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি গবেষকরা বিপাকে

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি গবেষকরা বিপাকে

Published on: Published on 2024-12-03 06:57 PM

Share on:

অগ্নিগর্ভ পদ্মাপার। বিদেশে গবেষণার ভিসা সরবরাহ প্রক্রিয়া বন্ধ বাংলাদেশে। ফলে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধীনে মৌলিক আবিষ্কারের লক্ষ্যে নিরন্তর গবেষণা আচমকাই থমকে গিয়েছে। যার জেরে বিপাকে কাঁটাতারের ওপারের উচ্চশিক্ষিতরা। স্বাভাবিকভাবেই পিএইচডি ডিগ্রি লাভের সুযোগ হাতছাড়া ওপার বাংলার একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থীর।প্রায় এক দশক আগে চালু হওয়া উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করতে ওপার বাংলার আগ্রহী মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা আসেন। ইতিমধ্যে ওপারের অনেক কৌতূহলী শিক্ষার্থী পিএইচডি করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অনেকে নতুন করে গবেষণার কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি উত্তাল বাংলাদেশ থেকে আর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসতে পারছেন না বাংলাদেশের পড়য়ারা। এই আবহে এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গবেষণা করার ভিসা দেওয়া কার্যত স্তব্ধ।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩৫ জন গবেষক বাংলাদেশের পড়ুয়া। কিন্তু অধিকাংশ ফাইনাল অ্যাওয়ার্ড হাতে পাননি। বছর দুয়েক আগে ওপারের সুভাষ রায় ইংরেজি বিভাগে গবেষণা করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কোর্স ইন ওয়ার্কে’ ভর্তি হয়েছিলেন। গবেষণার কাজ শুরু করেও বর্তমানে ভিসা না মেলায় এপারের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না তিনি। মাঝপথে বন্ধ তাঁর গবেষণা। একই অবস্থা ওপারের অর্থনীতি বিভাগের সরিফুল ইসলামের। গবেষণার কাজ প্রায় শেষ করেও ভিসা না মেলায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল অ্যাওয়ার্ড সংগ্রহ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গবেষণার থিসিস পেপার জমা দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আর এ দেশে আসতে পারছেন না।এ বিষয় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য দীপককুমার রায় বলেন, “অর্থনীতি থেকে শুরু করে ইতিহাস-সহ বাংলা ও ইংরেজি কিংবা বাণিজ্য শাখায় উচ্চতর গবেষণা করতে গত কয়েক বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতেন বাংলাদেশের অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী। কিন্তু এখন ওপারের অশান্তির জেরে ভিসা বন্ধ। ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের গবেষক ছাত্রছাত্রীরা আসতে পারছেন না।” ওই উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্রের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, “বাংলাদেশের রিসার্চ ভিসা না মেলায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গবেষণারত ওপারের দশ ছাত্রছাত্রী এ দেশে আসতে পারছেন না। অন্ততপক্ষে আরও দশজনের গবেষণা কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”

TOP RELATED