Last Update
সোশ্যাল মিডিয়ায় রহস্য জনক পোস্ট, তারপরেই মৃত্যু! ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার জনপ্রিয় নায়িকার!
এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ২০২০ সালে সুশান্ত সিং রাজপুত, তারপর তুনিশা খান থেকে শুরু জিয়া খান—তালিকাটা লম্বা। গ্ল্যামার জগতে আত্মহত্যার ঘটনা নতুন নয়। টলিউড থেকে বলিউড– উদাহরণ ভুরি ভুরি। আবারও ঘটে গেল এক অনভিপ্রেত ঘটনা। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল ভোজপুরি অভিনেত্রী অমৃতা পান্ডের নিথর দেহ।
শনিবার ২৭ তারিখ বিহারের ভাগলপুরের জোগসার থানা এলাকার আদমপুর জাহাজ ঘাটে অবস্থিত একটি অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় অভিনেত্রীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কিন্তু কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন অমৃতা? তা এখনও জানা যায়নি।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় অ্যাপার্টমেন্টে এক মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ খবর পেয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসএইচও কৃষ্ণ নন্দন কুমার সিং, এসআই রাজীব রঞ্জন ও শক্তি পাসওয়ান। ফ্ল্যাটে পৌঁছে অমৃতার লাশ পড়ে আছে বিছানায়। অভিনেত্রীর মৃতদেহ দেখার পর তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, হাসপাতালে আনা হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মুম্বইয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন অমৃতা। দুই বছর আগে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরের বাসিন্দা চন্দ্রমণি ঝাংদেকে বিয়ে করেছিলেন অমৃতা পান্ডে। বিয়ের পর দু’জনেই মুম্বইয়ে একসঙ্গে থাকতেন। অমৃতার বোনের বিয়ে ছিল, তাই ১২ এপ্রিল অমৃতা এবং তাঁর স্বামী চন্দ্রমণি ভাগলপুরে আসেন। বিয়ের পর, ১৮ এপ্রিল চন্দ্রমণি মুম্বই ফিরে আসেন। কিন্তু অমৃতার এখানেই কিছু দিন থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। মৃত্যুর দিন হোয়াটসঅ্যাপে এক রহস্যজনকে স্টেটাস দিতেও দেখা যায় তাঁকে। অমৃতা লেখেন, “দুই নৌকায় পা দিয়ে ও চলছিল। আমি নৌকো ডুবিয়ে ওর যাত্রা সহজ করে দিলাম।”
যদিও ঘটনাস্থলে এখনও পর্যন্ত কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। পরিবার সূত্রে খবর, হতাশায় ভুগছিলেন অভিনেত্রী, চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সাবইনস্পেক্টর আনন্দ কুমারের নেতৃত্বে তৈরি হয়ে বিশেষ টিমও। তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। কী কারণে এই চরম পদক্ষেপ করলেন তিনি তাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
TOP RELATED