এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ভোট-প্রচারে গিয়ে এবার মেজাজ হারালেন বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। বুধবার দুবরাজপুরের বালিজুড়িতে খাগেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। সেখানে পুজো দেওয়ার পর স্থানীয় এক বাসিন্দার প্রশ্ন শুনেই বেজায় বিরক্ত শতাব্দী। ভোটারকে ‘ইডিয়ট! ’ বললেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। পরিস্থিতি সামলাতে শেষে শতাব্দীর সামনে থাকা অন্য একজন দলীয় সমর্থককে দেখা যায়, নেত্রীর কাছে হাতজোড় করে পরিস্থিতি সামলাতে। তারপর মন্দির চত্বর থেকে বেরিয়ে যান বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী।
উল্লেখ্য ২০০৯ সাল থেকে এই বীরভূমের সাংসদ তিনি। হ্যাটট্রিক করে ফেলেছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন বিদায়ী সাংসদ? যাঁর প্রশ্নে শতাব্দী মেজাজ হারিয়েছিলেন, তাঁর নাম সুনীল মণ্ডল। এদিন মন্দির চত্বরের ঘটনার পর সুনীলবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চেয়েছিলাম, তিনি যে কাজ করেছেন, তার কোনও প্রচার নেই কেন? আমি সেটাই জিজ্ঞাসা করছিলাম। আসল কথাটাই আমাকে বলতে দেওয়া হল না। উনি কী দিয়েছেন, সেই উত্তর আমাকে দিয়ে দিয়েছেন।’
খাগেশ্বর শিব মন্দির চত্বরে মেজাজ হারানোর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল শতাব্দী রায়কেও। বিদায়ী সাংসদ হাসতে হাসতে বললেন, ‘ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেছিলেন ট্যাঙ্কের জন্য যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা রাতের অন্ধকারে ফেরত নিয়ে গিয়েছে। এটা তো হয় না। এটা তো ব্যাঙ্ক-টু-ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার হয়। এটা তো নগদ টাকা নয়। তাই আমি বললাম, আপনি ভুল কথা কেন বলছেন।’ যদিও শতাব্দীর বক্তব্য, ওই ব্যক্তি পরে তাঁর কাছে এসেছিলেন এবং বিদায়ী সাংসদকে বলেছেন তিনি সেটা বোঝাতে চাননি। পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন শতাব্দী।
শতাব্দীর মন্তব্যে কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। বীরভূমের কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদের কথায়, ‘বীরভূমের মানুষ ইডিয়ট নয়। বীরভূমের মানুষ সত্যি খুব বোকা। বীরভূমের মানুষ বোকা না হলে আপনাকে পর পর তিনবার সাংসদ করত না। বীরভূমের মানুষ এবং বিজেপি বোকা না হলে বিজেপির বহিরাগত প্রার্থীকে গ্রহণ করত না। বীরভূমের মানুষকে অনুরোধ করব আপনাদের ইডিয়টই বলুন আর বিজেপি যাই বলুক আপনারা ব্যালেটে তার প্রতিফলন করবেন।’