বিয়েবাড়ি আর রাজনৈতিক কর্মসূচি - এক ঢিলে বেশ কয়েকটি পাখির মারার লক্ষ্যে ছিল দুদিনের মুম্বইযাত্রা। শনিবার বিকেলে কলকাতায় ফিরে সেই সফর নিয়ে বেশ কিছু কথা প্রকাশ্যে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, তাঁর সঙ্গে যেমন একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ব্যক্তিগত স্তরে দেখা-সাক্ষাৎ, আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তেমনই বিয়েবাড়িতেও বলিউডের বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটির সঙ্গে দীর্ঘদিন পর দেখা হয়েছে। উষ্ণ ভাব বিনিময় হয়েছে। তাঁদের সকলকে বাংলায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই তালিকায় অনেকে থাকলেও একজনের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় খানিকটা যেন আক্ষেপ ঝরে পড়ল মমতার গলায়।
শনিবার বিকেলে মুম্বই থেকে ফিরে দমদম বিমানবন্দরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, ''উদ্ধব, শরদজি আমার অনেক পুরনো পরিচিত। অনেকদিন আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। আমি সাতবারের সাংসদ ছিল, মন্ত্রীও ছিলাম। মুম্বই যাব আর শরদজির সঙ্গে দেখা করব না, এটা ভাবাই যায় না। উদ্ধব তো পরিবারের সদস্যের মতো, অখিলেশও তাই। ওঁদের সবার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়ে গেল। ভোটের পর তো দেখা হয়নি, শুভেচ্ছাও জানানো হয়নি।''
আম্বানিপুত্র অনন্তের বিয়ের অনুষ্ঠানেও তাঁর সঙ্গে একাধিক ব্যক্তিত্বের দেখা হয়েছে বলে জানান। মমতার কথায়, ''বিয়েবাড়িতে মুকেশজি আমাদের খুব সম্মান দিয়েছেন, ওঁর গোটা পরিবার খুব আন্তরিক। ওখানেও আমার অনেকের সঙ্গে দেখা হল। অমিতজি (অমিতাভ বচ্চন) - আমি আবার ওঁকে বাংলায় আসতে বললাম। উনি বললেন, আমার সব ভাষণ তো শেষ, আর কী বলব? আমি বললাম, আপনি কবিতা বলবেন, কিন্তু আসুন আবার। দেখা হল জাভেদজি-শাবানার সঙ্গে। তাঁরা আসবেন বলে জানালেন।''
এর পরই মমতার কথায় ধরা পড়ল প্রিয় শাহরুখের প্রসঙ্গ। বললেন, ''শাহরুখ খানকে দেখতে পাইনি। আসলে ওঁদের ১২,১৩,১৪ তিনদিনের অনুষ্ঠানে তো অনেকেই আমন্ত্রিত। তাই দেখা হল না হয়ত। তবে অনেকদিন পর আমার পুরনো বন্ধু বসুন্ধরার (বসুন্ধরা রাজে) সঙ্গে দেখা হল। কথা বললাম বেশ কিছুক্ষণ। এছাড়া লালুজি, তেজস্বীকেও দেখলাম। সকলের সাক্ষাৎ পেয়ে বেশ ভালো লাগল।'' তবে বাংলার প্রাক্তন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর তথা 'দিদি'র বলিউডের 'ভাই' কিং খানের সঙ্গে দেখা না হওয়ার বিষয়টা যেন আলাদাভাবেই উঠে এল মমতার কথায়। খুব মিস করলেন কি?