Last Update
বিশেষ অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ অনেক। সংগঠিত করার লোকও অনেক। কিন্তু একজনকে সেনাপতি ঠিক করে না এগোলে আন্দোলন দিকভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের মূল সংগঠক হিসেবে একজনকে ঠিক করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। অবশ্যই এত বড় প্রতিবাদ এভাবে সংগঠিত করার দক্ষতার ভিত্তিতেই তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনি ঝাড়গ্রামের ভূমিপুত্র, আর জি করের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি অনিকেত মাহাতো। শনিবার স্বাস্থ্যভবনের বাইরে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর পর তাই অনিকেতকে মঞ্চে তুলে তাঁর পাশে দাঁড় করানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে রীতিমতো ‘বাবু’ বলে সম্বোধন করেন। পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা ভাবতে বলেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণ বুঝিয়ে দিল, আন্দোলনের নেতাকে ঠিক চিনে নিয়েছে তাঁর অভিজ্ঞ চোখ।শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনের মঞ্চে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী, জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে। সেখানে তাঁর বক্তব্য আগাগোড়া আন্তরিক। সহকর্মীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার দ্রুত সুবিচারের দাবি চেয়ে যে আন্দোলন জুনিয়র ডাক্তাররা শুরু করেছেন, তাকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ”আমিও বিচার চাই। সিবিআইয়ের কাছে আমার অনুরোধ, দ্রুত তদন্ত শেষ করুক, আদালতে দ্রুত বিচার হোক।” এর পর তিনি অনুরোধের সুরেই আন্দোলনকারীদের বলেন, আমরা আপনাদের দাবিদাওয়া নিয়ে ভাবব, পদক্ষেপ নেব। কথা দিচ্ছি, আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেব না। উত্তরপ্রদেশের পুলিশের মতো নয় আমাদের প্রশাসন। কিন্তু বলতে চাই, অনেক রোগী মারা যাচ্ছেন। আপনারা দয়া করে কাজে ফিরুন। নিজেদের মধ্যে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিন।”এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকা জনৈক পুলিশ আন্দোলনের অন্যতম নেতা ডাক্তার অনিকেত মাহাতোকে মঞ্চে ডেকে নেন। এর পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ”দেখো বাবু, তোমরা কী করবে।” পর অনিকেত নিজেই তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথোপকথন সংবাদমাধ্যমে জানান। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এখানে আসাটাকে আমরা সদর্থক ভূমিকা হিসেবে দেখছি। আমরা যে কোনো সময় আলোচনায় বসতে রাজি। উনি বলেছেন, আমি জানিয়েছি, আলোচনার জন্য বসতে রাজি আমরা। তবে সেই আলোচনা পাঁচ দফা দাবি নিয়েই হবে।’’
TOP RELATED