Last Update
নিজের কেন্দ্রে প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে অধীর!
এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: প্রার্থীকে ঘিরে স্লোগান নতুন নয়। নির্বাচনী আবহে এমন ঘটনা আকছার ঘটে থাকে। তবে কোন প্রার্থী কীভাবে এই বিরোধিতা সামলাচ্ছেন, সেটাই দেখার। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শনিবার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্র বহরমপুরে প্রচারে বেরিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনেই মেজাজ হারালেন বহরমপুরের হেভিওয়েট প্রার্থী। এক যুবকের অভিযোগ, উত্তেজনার বশে তাঁকে চড় মেরেছেন অধীর। যদিও, এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অধীর। তাঁকে প্রচার করতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেশ খোশমেজাজেই ভোটের প্রচারে বেরিয়েছিলেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। কিন্তু আচমকাই ‘ছন্দপতন’। বহরমপুর পুর এলাকার গান্ধী কলোনি থেকে বিটি কলেজ মোড় পর্যন্ত জনসংযোগ করার সময় এল ‘বাধা’। পাঁচ বারের সাংসদকে ঘিরে উঠল ‘গো ব্যাক’ আওয়াজ। তাতে মেজাজ হারিয়ে বিভান দে নামে এক যুবকেকে চড় কষানোর অভিযোগ উঠল কংগ্রেস প্রার্থী অধীরের বিরুদ্ধে।
কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচারে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড় করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। আর প্রিজন ভ্যানে উঠতে উঠতেও বিভান চিৎকার করে বারবার বলতে থাকেন যে তাঁকে চড় মেরেছেন অধীর। সিসিটিভি ফুটেজই তার প্রমাণ। যদিও এই ঘটনা নিয়ে অধীরের পালটা কটাক্ষ, ”তৃণমূলের ‘চুল্লুখোর’রা বিরক্ত করছিল, প্রতিবাদ জানিয়েছি। নেশা করে ‘গো ব্যাক’ বলবে, প্রতিবাদ তো করবই। আর সেটাই করেছি। চার দিকে সিসিটিভি আছে, দেখলেই প্রমাণ পাবেন, আদৌ গায়ে হাত দিয়েছি কি না।” কিন্তু নিজের গড়ে প্রচারে বেরিয়েই এভাবে অধীরের বিক্ষোভের মুখে পড়া কি অন্য কোনও অশনি সংকেত? প্রশ্ন উঠছেই।
এই গন্ডগোল নিয়ে বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গান্ধী কলোনির মতো জায়গায় যেখানে এক সময় অধীর চৌধুরীকে ‘মসিহা’ মনে করতেন মানুষজন, সেখানে আজ তিনি বিক্ষোভের মুখে। তাই অধীর চৌধুরীর জনভিত্তি শুধু তলানিতে নয়, মাটিতে মিশে গিয়েছে।’’
TOP RELATED