এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সুগার-বিতর্ক দিল মাথাচাড়া। রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেশি, ইনসুলিনের প্রয়োজন। টাইপ-২ ডায়াবেটিক হওয়া সত্ত্বেও তিহাড় জেলে যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না— এমন অভিযোগ তুলে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর আবেদন সোমবার খারিজ করে দিল দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। পাশাপাশি খারিজ হয়েছে কেজরির ব্যক্তিগত ডাক্তারের সঙ্গে প্রতিদিন ভিডিও কলে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শের আর্জিও।
গত মাসের ২১ তারিখ আবগারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল। দু’দফায় ইডি হেফাজতের পর আদালতের নির্দেশে তিহাড় জেলেই এখন রয়েছেন তিনি। তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রার পরিমাণ অনেকটাই বেশি, প্রথম থেকেই এমন দাবি জানিয়ে আসছিলেন কেজরীওয়াল। তাই তাঁকে জেলে বাড়ির খাবার খেতে দেওয়া হোক, এমনও আবেদন করেন তিনি। আদালত সেই আবেদন মেনে নেয়। তবে আপের তরফে অভিযোগ করা হয়, ‘‘বার বার বলা সত্ত্বেও জেলে কেজরীওয়ালকে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে না।’’ একই অভিযোগ করে তাঁর স্ত্রী সুনীতাও বলেন “উনি একজন সুগারের রোগী। ১২ বছর ধরে ইনসুলিন নেন। কিন্তু জেলে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে না। ওরা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে মেরে ফেলতে চায়।” পাশাপাশি, আপ নেত্রী তথা দিল্লির মন্ত্রী অতিশী মারলেনা দাবি করেন, জেলে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে কেজরীওয়ালকে।
টালমাটাল এই পরিস্থিতির মাঝেই সোমবার কেজরীর আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক কাবেরী বাওয়েজা। তবে তিনি বলেন, ‘‘কেজরীওয়ালকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া উচিত। তাঁর সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ইনসুলিনের প্রয়োজন রয়েছে কি না এবং অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করার জন্য অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সকে (এইমস-দিল্লি) একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে।’’ এছাড়াও আদালতের নির্দেশ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির রান্না করা খাবার খেতে পারবেন, তবে সেটা ডায়েট চার্ট মেনে। যদি কোনওভাবে বাড়ির খাবারে ডায়েট চার্ট না মানা হয় সেক্ষেত্রে জেল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে আদালতকে বিষয়টি জানাবে। এবং ১৫ দিন অন্তর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষকে।