এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: কম সময়ে ওজন কমানো মুখের কথা নয়। রোগা হওয়ার চটজলদি কোনও উপায়ও নেই। রোগা হওয়ার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। সেগুলি একটার পর একটা পেরোতে হয়। শরীরচর্চা থেকে ডায়েট— খুব সতর্ক হয়ে না করলে রোগা হওয়া সহজ নয়। তবে শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা করছে না মানেই রোগা হওয়ার ইচ্ছায় জল ঢেলে দেওয়া, তা কিন্তু নয়। মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রেও শরীরচর্চার কিছু বিকল্প কাজ রয়েছে। শরীরচর্চা বদলে কয়েকটি নিয়ম যদি মেনে চলতে পারেন, তা হলে শরীরচর্চা না করেও রোগা হওয়া সম্ভব।
১)রান্নাঘরে বদল আনুন
ওজন কমাতে যে আপনি প্রস্তুত প্রথমে এটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। সেই মত মানসিক ভাবেও নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। তাই হাতের কাছে থাকা প্রসেসড ফুড, চিনি, ক্রিম মিল্ক, চকোলেট, কার্বোহাইড্রেট এসব একেবারেই সরিয়ে দিতে হবে। কেননা আমাদের পেটের খিদের থেকেও চোখের খিদে অনেক বেশি। তাই মুখরোচক খাবার চোখের সামনে থেকে সরিয়ে নিন। সেই জায়গায় ফল, ডাল, ওটস, কর্নফ্লেক্স, ড্রাই ফ্রুটস এসব রাখুন। যাতে খিদে পেলে এসব ছাড়া অন্য কিছুতে আপনার হাত না যায়।
২) গ্রিন টী পান করুন
দিনের শুরু করুন হেলদি কোনও খাবার দিয়ে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলের মধ্যে মধু এবং লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া যদি আপনি মধু লেবু মিশিয়ে গ্রিন টীও খেতে পারেন। এই খাবার খেলে অতিরিক্ত টক্সিন আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে।
৩) খাবার ধীরে ও চিবিয়ে খান
খুব তাড়াতাড়ি খাবার খেলে যেমন হজম হয় না তেমনই খাবারের স্বাদও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেলে তা শরীরকে বেশি খাবার খেতে বাধা দেয় এবং মস্তিস্ককে একটা নির্দেশনা প্রেরণ করে যে আমার পেট ভর্তি হয়ে গেছে। এছাড়াও এটি পাচন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। কেননা আপনি খাবার যত ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবেন সেটা খুব দ্রুত হজম হতে সহায়তা করবে। এছাড়াও কোন খাবার যদি প্রতিবার মুখে ৩৫ থেকে ৫০ বার চিবিয়ে খাওয়া যায় এতে আপনার মুখের মেদও যেমন কমতে থাকবে, এর পাশাপাশি খাবারটি ও ভালো করে মিশিয়ে আপনার পেটে যাবে।
৪) খাওয়ার আগে জল খান
দ্রুত রোগা হওয়ার আরও একটি উপায় হল প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া। তবে জল খাওয়ারও নিয়ম আছে। নিয়ম মেনে জল খেলে খিদে কম পাবে এবং হজমের সমস্যাও মিটবে। তাতে ওজন কমার সুযোগ থাকবে বেশি। বিশেষ করে দুপুর বা রাতের খাবার খাওয়ার আগে জল খেতে পারেন। তাতে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমবে।
৫) প্রোটিন বেশি খান
শুধু ডায়েট করলেই হবে না। ডায়েটে কী ধরনের খাবার থাকছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমানোর পর্বে প্রোটিন খেতে হবে বেশি পরিমাণে। দুধ, ওট্সের বদলে ডিম, মাংসের মতো প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খান বেশি করে। শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ যত বেশি হবে, মেদ ঝরানোর পরিশ্রম তত সহজ হবে। তা ছাড়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করলে খিদে কম পায় এবং বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমবে।
৬) পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বডি মাস ইন্ডেক্স (বিএমআই) বেড়ে যেতে পারে। আর বডি মাস ইনডেক্স বেড়ে যাওয়ায় অর্থ ওজন বৃদ্ধি। চিকিৎসকেদের মতে, এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ছ’ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। ঘুম পর্যাপ্ত হলে শুধু ভিতর থেকে ফিট থাকবে শরীর। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজনও।