Last Update
পোল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে ইউরোর নকআউটে ফ্রান্স
ইউরো কাপের গ্রুপ ডি-তে রোমহর্ষক সমাপ্তি। একই সঙ্গে জোড়া ম্যাচ। দুটিতেই অপ্রত্যাশিত ফলাফল। যা বদলে দিল পুরো গ্রুপের সমীকরণ। পোল্যান্ডের কাছে অনায়াসে জিতবে ফ্রান্স, ফুটবলপ্রেমীদের সেই প্রত্যাশা অনেকটা ভুল প্রমাণিত করে বিশ্বকাপের রানার্স আপ দলকে আটকে দিল পোল্যান্ড। তবে ১-১ গোলে ড্র করেও নকআউটে চলে গেলেন এমবাপেরা। অন্য ম্যাচে রীতিমতো অঘটন ঘটে গেল। অপ্রত্যাশিতভাবে অস্ট্রিয়ার কাছে হেরে নেদারল্যান্ডসের নকআউট ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে গেল। যদিও সেরা তৃতীয় দল হিসাবে শেষ পর্যন্ত নকআউটে চলে যেতে পারে ডাচরা। এদিন ডাচদের বিরুদ্ধে অস্ট্রিয়া জিতল ৩-২ গোলে। চমকপ্রদভাবে ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডসের গ্রুপ থেকে গ্রুপে শীর্ষস্থান পেল অস্ট্রিয়া।
চলতি ইউরোয় ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে গোলমুখে ব্যর্থতা। দলে বহু বিশ্বমানের ফরওয়ার্ড, সুযোগও তৈরি হচ্ছে বহু। কিন্তু গোল আসছে না। সেটাই এদিনও ভোগাল কন্তেদের। প্রথমার্ধে গোল করার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স। এমনকী এমবাপে নিজেও সুযোগ পান। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। গোলমুখ খুলতে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট দলকে অপেক্ষা করতে হয় ৫৬ মিনিট পর্যন্ত। তাও পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করেন এমবাপে। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই লিড ধরে রাখতে পারেননি ফরাসিরা। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেই সমতা ফেরায় পোল্যান্ড। পোলিসদের হয়ে গোল পেয়ে যান লেওয়নডস্কি। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে।
এদিকে নেদারল্যান্ডস-অস্ট্রিয়া ম্যাচে আবার উলটো ছবি দেখা গেল। ফুটবল যে গোলের খেলা বুঝিয়ে দিয়ে গেল দুই দল। এই ম্যাচে গোল এল পাঁচটি। ৩টি অস্ট্রিয়ার পক্ষে আর দুটি নেদারল্যান্ডসের পক্ষে। অস্ট্রিয়ার পক্ষে প্রথম গোলটি অবশ্য আসে ডাচ ডিফেন্ডার মালেনের পা থেকে। আত্মঘাতী গোল করে দলকে চাপে ফেলে দেন তিনি। সেই গোল প্রথমার্ধে শোধ করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে গোল শোধ করেন গাকপো। কিন্তু ৫৯ মিনিটে ফের গোল করেন অস্ট্রিয়ার রোমানো। সেই লিডও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৭৫ মিনিটে ফের সমতা ফেরান ডিপে। কিন্তু মিনিট পাঁচেক বাদে ফের অস্ট্রিয়াকে এগিয়ে দেন মার্সেল সবিৎজার। সেটিই দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। ৩-২ গোলে জেতে অস্ট্রিয়া।
TOP RELATED