Last Update
NEET কেলেঙ্কারির মাঝেই গুরুতর অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টে পরীক্ষার্থী
অভিযোগ গুরুতর। সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা NEET-এ এক পরীক্ষার্থীকে ছেঁড়া ওএমআর শিট দেওয়া হয়েছে! শুধু তাই নয়, ওএমআর শিট বদলে দেওয়ার নামে তাঁকে দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় বলেও অভিযোগ তুলেছেন ওই পরীক্ষার্থী। পরে ওই উত্তরপত্র বদল তো করাই হয়নি, উপরন্তু সময় নষ্ট করে ছেঁড়া উত্তরপত্রেই তাঁকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়। এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলে পুনরায় পরীক্ষায় বসতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির বাসিন্দা পরীক্ষার্থী ফিয়োনা মজুমদার।
শুক্রবার পরীক্ষার্থীর আবেদন গ্রহণ করলেও তাঁর পরীক্ষায় বসতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেননি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এক বছরের জন্য ওই পরীক্ষার অরিজিনাল ওএমআর শিট এবং পরীক্ষা হলের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। যদিও এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি জানিয়েছেন, পুনরায় ওই পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। এই অবস্থায় এখনই হাই কোর্ট কোনও নির্দেশ দেবে না। মামলাকারী প্রয়োজন মনে করলে শনিবার শীর্ষ আদালতে যেতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে NEET-এ গ্রেস নম্বর পাওয়া ১৫৬৩ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। রবিবার পরীক্ষার্থীর পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতির পানিহাটির ফিয়োনার মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষাকেন্দ্রে মামলাকারী তথা পরীক্ষার্থীর সময় নষ্ট করা হয়েছে – এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এতে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আদালত মনে করছে।NTA-র দাবি, ওই ওএমআর শিট স্ক্যান করে দেওয়া হয়েছিল। ছেঁড়া ওএমআর শিট দেওয়া হয়নি। উপরের অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। পরীক্ষার্থী অভিযোগ জানালে তাঁকে ওই ওএমআর শিটেই পরীক্ষা দিতে বলা হয়েছে। কয়েক মিনিট নষ্ট হয়েছে। একজন পরীক্ষার্থী দেড় ঘণ্টা না লিখে শুধুমাত্র ছেঁড়া ওএমআর শিটের অজুহাতে বসে ছিল – এই যুক্তি ভিত্তিহীন। তবে সওয়াল-জবাব যাই হোক না কেন, NEET কেলেঙ্কারির মাঝে এই পরীক্ষার্থীর অভিযোগ যে বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলল, তা বলাই বাহুল্য।
TOP RELATED