Last Update
সকাল সকাল স্নান করলেই মিলবে উপকার,
রীর সুস্থ ও সতেজ রাখতে নিয়মিত স্নান বিকল্প নেই। স্নান শুধু রোগ প্রতিরোধ বাড়ায় না বরং শরীর ও মনকে আরও ফুরফুরে করে তোলে। যদি প্রশ্ন করা হয় আপনি কখন স্নান করেন?
তাহলে বেশিরভাগ মানুষই উত্তর দেবেন দুপুরে। তবে কর্মজীবীরা আবার সকালে কিংবা রাতেই স্নান সারেন। আবার অনেকেই দিনের দিনের বিভিন্ন সময়ে কিংবা একাধিকবার স্নান করেন।
তবে স্নান সঠিক সময় কখন, এ বিষয়ে অনেকেরই ধারণা নেই।
আয়ুর্বেদের তথ্যমতে, দিনের যে কোনো সময়ের চেয়ে সকালে স্নান করা বেশি উপকারী। সকালে স্নান করলে একাধিক রোগ থেকে রক্ষা মেলে। একই সঙ্গে সারাদিন সতেজ থাকতেও সাহায্য করে। সকালে স্নান অনেক বৈজ্ঞানিক উপকারিতা আছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল ইনফরমেশনে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, স্নান মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। যারা নিয়মিত স্নান করেন তাদের তুলনায় যারা প্রতিদিন স্নান করেন তাদের মধ্যে ব্যথা, মানসিক চাপ ও বিষণ্নতার মতো উপসর্গ কম দেখা যায়।
ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ঐশ্বরিয়া সন্তোষ সম্প্রতি ইনস্টাতে একটি পোস্টের মাধ্যমে স্নান সঠিক সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, স্নান আয়ুর্বেদের একটি থেরাপিউটিক কার্যকলাপ। যা শরীর ও মনকে সতেজ রাখতে কাজ করে।
এই চিকিৎসক জানান, আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে সকালে স্নান করলে একাধিক উপকার মেলে। সকালে শরীরচর্চা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনই এরপর স্নানও জরুরি। সকালে সূর্যোদয়ের আগে বা সূর্যাস্তের আগে স্নান করা সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়।
প্রতিদিন স্নান করলে কী হয়?
>> হৃদরোগের ঝুঁকি কমে
>> শ্বাসযন্ত্র শক্তিশালী হয়
>> হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে
>> ত্বকের জন্য উপকারী
>> অস্টিওআর্থারাইটিসের ঝুঁকি কমায় ও
>> শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অনেকেই খাওয়ার পরে স্নান করেন, যা একেবারেই ভুল কাজ। খাওয়ার পর স্নান করলে খাবার হজমে সাহায্যকারী এনজাইমগুলো বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে খাবার হজম হয় না ও পেট সংক্রান্ত নানা রোগের জটিলতা বাড়ে।
আবার রাতে স্নান করাও বেশ কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে যাদের চুল ঘন ও লম্বা তারা রাতে স্নান করলে চুল ঠিকমতো শুকায় না ও মায়োসাইটিস নামক রোগের ঝুঁকি থাকে। তাই চুল সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করুন।
TOP RELATED