Last Update
বাংলাদেশের উপর চাপ বাড়াল ভারত
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি আরও জানান, যেভাবে বাংলাদেশে চরমপন্থী ভাবধারা ছড়িয়ে পড়ছে, ভারত তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ সরকার যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ করে, সেই বার্তাও দেন জয়সওয়াল।হিন্দুদের উপর লাগাতার নির্যাতন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন- নানা কারণে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। যেভাবে প্রত্যেক দিন আঘাত নেমে আসছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর, সেই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে ভারত, ব্রিটেন। প্রতিবেশী দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এহেন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশকে আরও একবার রাষ্ট্রীয় কর্তব্য মনে করিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়সওয়াল বলেন, “হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা হচ্ছে, তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়গুলো বারবার বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরেছে ভারত। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষিত রাখাটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব, সেটা পালন করা উচিত। বাংলাদেশে হিংসার ঘটনাগুলোকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাচ্ছে সংবাদমাধ্যম, এই ধারণা আঁকড়ে ধরে রাখা মোটেই ঠিক নয়। সংখ্যালঘুদের নিরাপদ রাখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে মহম্মদ ইউনুস সরকারকে।”ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিতে জ্বলছে বাংলাদেশ। দিকে দিকে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছেন হিন্দুরা। এই নিয়ে আগেও বিবৃতি দিয়েছিল কেন্দ্র। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রণধীর বলেন, “আশা করি প্রত্যেককে যথাযথ সম্মান দিয়ে বিচার করা হবে। স্বচ্ছ পদ্ধতিতে বিচার হবে বলে আশা করি।” ইসকনকে নিষিদ্ধ করার মামলা নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া, গোটা বিশ্বে সমাজসেবার জন্য বিখ্যাত ইসকন। উল্লেখ্য, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের আদালতে।
TOP RELATED