Last Update
ধর্ষণ-খুনে মাত্র দুমাসেই দোষীর ফাঁসির রায় নজিরবিহীন, পুলিশকে ধন্যবাদ মমতার
জয়নগর খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দিল নিম্ন আদালত। ৬২ দিনের মধ্যেই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হল বারুইপুরের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন ফাস্ট ট্রাক কোর্টে। এবার সেই বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিক্রিয়া জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা সকল ব্যক্তিকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই ঘটনায় টুইট করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।জয়নগর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচার চেয়েছিলেন। ঘটনার ৬১ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় মুস্তাকিন সর্দারকে। আজ শুক্রবার তাকে ফাঁসির সাজা শোনানো হল। আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে সিবিআই। চার মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনও বিচার মেলেনি। সেখানে জয়নগর কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের সক্রিয়তা প্রশংসা কুড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, অক্টোবর মাসের চার তারিখে জয়নগরে এক নাবালিকা মেয়েকে নৃশংস ধর্ষণ ও খুন করা হয়। এই নৃশংস ঘটনার মাত্র ৬২ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে আজ বারুইপুরের পকসো আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। মাত্র দুই মাসের মধ্যে এমন একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া, রাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন।মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, “এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য আমি রাজ্য পুলিশ এবং প্রসিকিউশন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সকলকে অভিনন্দন জানাই। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রতি সরকারের জিরো টলারেন্স রয়েছে। ন্যায়বিচার যাতে বিলম্বিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনায় টুইট করেছেন। অভিষেক লিখেছেন, “যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার হতে হবে দ্রুত ও কঠোর! আজ, বারুইপুরের পকসো আদালত জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ৬২ দিনের মধ্যে অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে।”পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সাংসদ। পুলিশ সুপার পলাশ ঢালীর নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছিল। তাদের অসাধারণ কাজের জন্য ২৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করা হয়। সেই কথাও উল্লেখ করেছেন অভিষেক। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে আরও লেখেন, পরবর্তী বড় পদক্ষেপ হল অপরাজিতা অ্যান্টি-রেপ বিলের দেশব্যাপী বাস্তবায়ন। কারণ, শক্তিশালী আইন এই ধরনের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করার একমাত্র উপায়।
TOP RELATED