Last Update
কীভাবে ট্যাবের টাকা চুরি?মুখ খুললেন মমতা
ট্যাব ‘কেলেঙ্কারি’ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আঙুল তুললেন ভিনরাজ্যের হ্যাকারদের দিকে। তবে তদন্তে প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করে মমতার আশ্বাস, টাকা যারা পায়নি তাদের টাকা দেবে রাজ্য।শুক্রবার দার্জিলিং থেকে ফেরার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা ‘চুরি’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। বলেন, “ট্যাব নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। এটা প্রশাসনের কাজ, প্রশাসন করুক। এটা মিডিয়া ট্রায়ালের ব্যাপার নয়।” তাঁর দাবি, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের প্রকল্পের টাকাও হাইজ্যাক করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের প্রশংসা করে মমতার দাবি, “আমরাই একমাত্র এই গ্রুপের ছজনকে ধরতে পেরেছি। আমাদের প্রশাসন যথেষ্ট স্ট্রং, রাফ অ্যান্ড টাফ। ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি যা করার ওরা করবে।” রাজ্যের প্রায় হাজার পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা উধাও হয়েছে। তারা কি সেই টাকা ফেরত পাবে, তা নিয়ে চিন্তা ছিল। এদিন সেই চিন্তা দূর করে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, “যারা ট্যাবের টাকা পায়নি, তাদের ট্যাবের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের সুবিধার জন্য ট্যাব কিনতে ১০ হাজার টাকা দেয় রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের নাম ‘তরুণের স্বপ্ন’। এবছর থেকে দুর্গাপুজোর আগে ওই অর্থ পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু অনেক পড়ুয়াই ট্যাবের টাকা পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, সরকারি কোনও কর্মী এই চক্রের মাথাকে তথ্য দিচ্ছে। এটি স্পষ্ট করতে ফরেনসিক অডিট করা হবে এবং সবকটি দপ্তরের কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস খতিয়ে দেখা হবে। কলকাতায় দায়ের হওয়া অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চোপড়া, ইসলামপুর ও তার আশপাশের এলাকার বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকাগুলো ঢুকেছে। বছরখানেক আগে আধার কার্ডের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা এইপিএস জালিয়াতি করে টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটছিল। সেই চক্রটি আবার সক্রিয় হয়ে এভাবে জালিয়াতি করে থাকতে পারে বলেও অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের উপরই আস্থা রাখলেন মমতা।
TOP RELATED