Last Update
'ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম' : মমতা
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা সর্বোচ্চ সাজার যোগ্য, এমনই মনে করেন অধিকাংশ নাগরিক। অথচ সোমবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক মৃত্যুদণ্ড নয়, দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে। তাতে নাগরিক সমাজে তুমুল আলোড়ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও তেমনই মত। এদিন সাজার খবর শুনে মালদহ থেকে তিনি বললেন, ”আমরা প্রথম দিন থেকে ফাঁসির দাবি করেছিলাম। এখনও তাই করছি। আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলব না। আমরা তো তিনটে মামলায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা করিয়ে দিয়েছি, ৫৪ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে। এই মামলাও আমাদের হাতে থাকলে অনেক আগেই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করিয়ে দিতাম। কিন্তু কেসটা আমাদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের নরপিশাচের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।”সোমবার থেকে জেলা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে মুর্শিদাবাদ রওনা হওয়ার আগেই তিনি বলেছিলেন, ”আমি তো ফাঁসির দাবিতে পথে নেমেছিলাম। আমরা চাই, ফাঁসি হোক। সবাই চাই চান। তবু বিচারককে অনেক দিক খতিয়ে দেখে তবে রায় দিতে হয়। তাই সময় লাগবে।” সবদিক খতিয়ে দেখে এদিন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস জানান, অপরাধ বিরলতম, তা বলা যাবে না। তাই আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল।সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার পর অনেকেরই মন ভেঙে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও আশাহত হয়েছেন। তা গোপনও করেননি। আমৃত্যু যাবজ্জীবনের সাজা শুনে মালদহে পৌঁছে কার্যত আক্ষেপ করলেন তিনি। বললেন, ”আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলব না। আমরা তো তিনটে মামলায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা করিয়ে দিয়েছি, ৫৪ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে। এই মামলাও আমাদের হাতে থাকলে অনেক আগেই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করিয়ে দিতাম। কিন্তু কেসটা আমাদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমি জানি না, কীভাবে কেসটা সাজানো হয়েছে। কীসের ভিত্তিতে সাজা ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের নরপিশাচের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি হলে আমরা মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।”
TOP RELATED