Last Update
মন্ত্রিসভায় রদবদলের সিদ্ধান্ত মমতার
ন্ত্রিসভায় রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, দু'-একদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত তিনি কার্যকর করবেন। রদবদলের এই পর্ব আলোচিত হচ্ছে তিন ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে ঘিরে। এঁদের মধ্যে একজন উত্তরবঙ্গের, একজন দক্ষিণবঙ্গের এবং শেষজন দক্ষিণ কলকাতার।
এঁরা ছাড়াও সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে কেউ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান কি না, সেটা নিয়েও চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, রাজভবন-নবান্ন সংঘাত পর্বে নতুন কাউকে মন্ত্রিসভায় নিতে হলে, তাঁকে শপথ নেওয়াবেন রাজ্যপাল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, যতদিন সি ভি আনন্দ বোস সেখানকার বাসিন্দা থাকবেন, ততদিন তিনি রাজভবনে যাবেন না। তার উপরে আবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানির মামলা পরিস্থিতি আরও বিগড়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে রাজভবনে শপথ নেওয়াটা 'স্বপ্নেও ভাবেন না' তৃণমূলের কেউ। তাই এই মুহূর্তে নতুন কোনও মুখ মন্ত্রিসভায় না আসার সম্ভাবনাই প্রবল।
বারাকপুরের সাংসদ হওয়ার পর পরিষদীয় রীতি মেনে বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন পার্থ ভৌমিক। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ছিলেন সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী হিসেবে অভিজ্ঞ মানস ভুঁইয়ার নাম সর্বাধিক বিবেচনায় রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্প রূপায়ণ সহ সেচ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে মানসবাবুর। এমনকী বহু প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, যা রাজ্য নিজের কোষাগার থেকে খরচ করে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এসব মাথায় রেখেই সেচদপ্তরের জন্য আলোচিত হচ্ছে মানসবাবুর নাম।
রদবদল পর্বে উত্তরবঙ্গের এক ক্যাবিনেট মন্ত্রীর দপ্তর রদবদলও প্রায় চূড়ান্ত। বিপ্লব মিত্রকে ক্রেতা সুরক্ষা থেকে সরিয়ে অচিরাচরিত শক্তির মতো দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে বলছে সূত্র। এই দু'জন ছাড়াও দক্ষিণ কলকাতা থেকে নির্বাচিত এক মন্ত্রীরও দপ্তর বদল হতে পারে। সূত্রের খবর, তাঁর জন্য অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প পুনর্গঠন দপ্তর দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
TOP RELATED