Last Update
মোবাইল রিচার্জের দাম বাড়ার পর আরো এক নতুন ঝটকা দেশবাসীর
জুলাই মাস থেকে মোবাইল রিচার্জের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার পর এমনিতেই আঁতকে উঠেছেন মোবাইল ব্যবহারকারীরা।তবে এখন শুধু মোবাইল রিচার্জের খরচই বাড়লো না পাশাপাশি এবার আরও বেশি জটিল হয়ে উঠলো মোবাইলের সিম পোর্ট করার পদ্ধতিও। সম্প্রতি সিম কার্ড কেনা এবং মোবাইল নম্বর পোর্ট সংক্রান্ত নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
গত সপ্তাহেই সরকারের তরফ থেকে কার্যকর করা হয়েছে টেলিকম অ্যাক্ট ২০২৩। এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে সামান্য অসাবধান হলেই বিরাট মাসুল দিতে হতে পারে। তাই যারা এখনও পর্যন্ত ওই মোবাইলের সিম পোর্ট করার নতুন নিয়ম সম্পর্কে জানেন না তাদের এখনই তা জেনে নেওয়া জরুরী। প্রথমেই বলে রাখি এতদিন পর্যন্ত একজন গ্রাহক নিজের নামে একাধিক সিম কার্ড তুলতে পারতেন।
কিন্তু এবার থেকে তা আর হচ্ছে না এখন একজন ব্যবহারকারীর সর্বোচ্চ ৯ টির সিমকার্ড সক্রিয় রাখতে পারবেন। এর বেশি সিম কার্ড সক্রিয় থাকলে যেতে হবে জেলে। সেইসাথে জরিমানাও হবে মোটা অংকের। পাশাপাশি মোবাইল নম্বার পোর্ট করার ক্ষেত্রেও এবার চালু হয়েছে নতুন নিয়ম।
এতদিন মোবাইল নম্বর পোর্ট করা অনেক বেশি সহজ ছিল। তাই একটি টেলিকম কোম্পানি থেকে অন্য টেলিকম কোম্পানিতে নম্বর পোর্ট করতে কোনো সমস্যায় হত না গ্রাহকদের। কিন্তু এখন সে ক্ষেত্রেও তালা ঝুলিয়েছে সরকার। তবে এই মুহূর্তে নম্বর পোর্ট করতে চাইলে আগে থেকেই আবেদন করতে হবে। আর আবেদন করার পর বেশ কিছু সময় অপেক্ষাও করতে হবে। পরিচয় ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিবরণ যাচাই করতে হবে।
TRAI এর নিয়ম অনুসারে, ব্যবহারকারীরা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি MNP সুবিধাও বেছে নিতে পারবেন। যার ফলে ব্যবহারকারীদের আগের মোবাইল নম্বর বজায় থাকবে। জানা যাচ্ছে এই যাচাই করণের জন্য, আগের মতো, ব্যবহারকারীদের মোবাইল নম্বর পোর্ট করার ক্ষেত্রে একটি ওয়ান-টাইম-পাসওয়ার্ড OTP দেওয়া হবে।
এখানেই শেষ নয় জানা যাচ্ছে একটি নতুন সিম কার্ড পেতে, প্রয়োজনীয় শনাক্তকরণ ছাড়াও, এখন থেকে ঠিকানা সংক্রান্ত প্রমাণও জমা দিতে হবে। জানা যাচ্ছে, মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটির সময় বায়োমেট্রিক যাচাইকরণেরও প্রয়োজন হয়ে থাকে। এতদিন চুরি যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া সিম কার্ড পেতে গেলে সংশ্লিষ্ট টেলিকম কোম্পানির দোকানে যোগাযোগ করলেই নতুন সিম কার্ড পাওয়া যেত। কিন্তু এখন ব্যবহারকারীরা ৭ দিন অপেক্ষা করার পরেই একটি নতুন সিম কার্ড পাবেন।
TOP RELATED