Last Update
মোদি সরকারের বড় ঘোষণা, প্রতিটি অ্যাকাউন্টে আসবে দেড় লাখ টাকা
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দেশের সাধারণ জনগণের জন্য সময়-সময়ে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা চালু করা হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলির উদ্দেশ্য দেশের প্রতিটি স্তরের জনগণকে সুখী করা এবং গরিবদের শক্তিশালী করা, তাদের মৌলিক প্রয়োজন মেটানো।
এ ধরনের প্রকল্পগুলি কেবল কেন্দ্রীয় স্তরে নয়, বরং রাজ্য স্তরে চালানো হচ্ছে।
যার সুফল পাচ্ছেন কোটি কোটি মানুষ। এ রকম একটি প্রকল্পের অধীনে, মোদী সরকার ঘোষণা করেছে যে প্রতিটি খাতে ১.৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আসলে দীপাবলী দশমী উৎসবের আগে মানুষদের জন্য অনেক সুখবর এসেছে। চলুন জানি পুরো বিষয়টি কী।
কাদের মিলবে ১.৫ লাখ টাকা
সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণকে মৌলিক সুবিধা প্রদান করাই মূল লক্ষ্য। এই প্রেক্ষিতে, নিজের বাড়ি পাওয়াও সরকারের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে, জনগণকে নিজের বাড়ি কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সেই ধারায়, এখন সরকার ঘোষণা করেছে যে প্রতিটি খাতে ১.৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেকেই সুফল পাচ্ছেন। এই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এখন হিমাচল প্রদেশের জনগণও পাবেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে মোদী সরকার হামিরপুরের জনগণের খাতে ১.৫ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।
২০০০-এর বেশি পরিবারের মিলবে ১.৫ লাখ টাকা
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সবচেয়ে বড় সুফল গরিব শ্রেণির মানুষ পাচ্ছেন। যারা এখনও বাড়ি পাননি, তারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে বড় উপকার পাচ্ছেন। হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলার প্রায় ৩৮৯৬ পরিবারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৫ পরিবারের জন্য সরকার পাকা বাড়ি প্রদান করছে। পাশাপাশি, ১.৫ লাখ টাকা তাদের খাতে জমা করা হবে।
তিন কিস্তিতে পাঠানো হবে অর্থ
সরকারের পক্ষ থেকে যেসব পরিবারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে, তাদের উপকারের অর্থ তিন ভাগে, অর্থাৎ কিস্তিতে খাতে জমা করা হবে। প্রথম কিস্তি হিসেবে ৬৫০০০ টাকা দেওয়া হবে, দ্বিতীয় কিস্তি হবে ৫২০০০ টাকা এবং তৃতীয় এবং শেষ কিস্তি ৩৩০০০ টাকা হবে। পাশাপাশি, সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের সঙ্গে মনরেগা প্রকল্পে ১৫ হাজার টাকা মানুষের খাতে দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
২০১৬ থেকে চলছে প্রকল্পটি
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার শুরু ১ এপ্রিল ২০১৬ সালে হয়েছিল। এই প্রকল্পকে বিভিন্ন ধরনের মডেলে চালু করা হয়েছিল। প্রথমে গ্রামীণ আবাস প্রকল্প এবং পরে শহর উন্নয়ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে এখনও পর্যন্ত বহু সংখ্যক মানুষ পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে কোটি কোটি টাকা এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
TOP RELATED