Last Update
আজ রাতেই কলকাতা আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কাল এক দিনে তিন জনসভা তাঁর!
এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রচারে আবার বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩ মে শুক্রবার রাজ্যে পর পর তিনটি জনসভা রয়েছে তাঁর। বর্ধমান-দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর এবং বোলপুর কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি কলকাতায় আসবেন ও রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। এরপর শুক্রবার সকালে হেলিকপ্টারে রওনা দেবেন বর্ধমানের উদ্দেশ্যে।
সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা মোদীর। বিমানবন্দর থেকে রাত ৯টা ১০ নাগাদ তিনি রাজভবনে পৌঁছবেন। সেখানেই রাত কাটাবেন। এরপর শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়ে গাড়ি করে তিনি পৌঁছবেন রেস কোর্সের হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে উড়ে যাবেন বর্ধমানের উদ্দেশ্যে। বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাঁই কমপ্লেক্সে তাঁর সভার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে মোদীর সভা হওয়ার কথা। বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এবং বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী অসীমকুমার সরকারের সমর্থনে প্রচার করবেন তিনি। দুই প্রার্থীরই সভায় উপস্থিত থাকার কথা।
বর্ধমানের সভা শেষ করে পুনরায় সেখান থেকে হেলিকপ্টারে উড়ে যাবেন তিনি কৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে। সেখানে তাঁর সভা হওয়ার কথা বেলা পৌনে ১টা থেকে। সভার আয়োজন করা হয়েছে শ্যামনগর ফুটবল মাঠে। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী তথা অমৃতা রায় এবং রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে প্রচার করবেন মোদী। দুই প্রার্থী সভায় থাকবেন বলে খবর।
কৃষ্ণনগরের সভা শেষ করার পরবর্তী গন্তব্য বোলপুরে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানে আমোদপুরের মেলার মাঠে তাঁর সভা রয়েছে। মঞ্চে থাকবেন বোলপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা এবং বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য। ৩টে ১০ মিনিটের মধ্যে এই সভা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। বাংলায় প্রচার শেষ করে মোদী এর পর উড়ে যাবেন ঝাড়খণ্ডে। সিংভূমে আরও একটি সভা করবেন তিনি। অর্থাৎ, এক দিনে মোট চারটি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।
প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর ঘিরে আজ কলকাতায় বিভিন্ন রাস্তায় যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কাল শুক্রবারও সকালে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কলকাতাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ১১টা এবং শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন ভারী যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বেঁধে দেওয়া সময় ছাড়াও প্রয়োজনে আরও কিছু ক্ষণ যান নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে বলে খবর কলকাতা পুলিশ সূত্রে। কয়েকটি রাস্তায় নিয়ন্ত্রিত হবে পার্কিংও। বন্ধ থাকবে ট্রাম।
TOP RELATED