Last Update
আড়িয়াদহর জয়ন্তর 'কীর্তি' জানতই না পুরসভা!
পুকুর বুজিয়ে প্রাসাদোপম বাড়ি! কামারহাটি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আড়িয়াদহের মৌসুমী মোড় সংলগ্ন এলাকায় জয়ন্ত সিংয়ের প্রাসাদ ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এই বাড়িটিকে বেআইনি বলেই জানান পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আড়িয়াদহের মৌসুমী মোড় সংলগ্ন প্রতাপ রুদ্র লেনে জয়ন্তর দুটি বাড়ি। একটি পৈতৃক, সেটিতে খাটাল রয়েছে। সম্প্রতি পৈতৃক বাড়ির কাছেই একটি জলাশয়ের পাশে আরেকটি প্রাসাদ তৈরি করেছে জয়ন্ত। অভিযোগ, সেখানে এই প্রাসাদ তৈরি হয়েছে সেই জমিটি একসময় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। বছর দুয়েক আগেই নাকি এই জমিটি নিজের কবজায় নেয় জয়ন্ত। এর পরই রাতারাতি সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বছরখানেকের মধ্যেই এই জমিতে তৈরি হয় চোখধাঁধানো তিনতলা প্রাসাদ।যে জলাশয়ের পাড়ে এই প্রাসাদ গড়ে উঠেছে, সেই জলাশয়ের অনেকটা অংশ বুজিয়েই বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি তৈরির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ প্রসঙ্গে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। তিনি জানান, জমিটি কার তা এখনও জানা যায়নি। তবে জমির দাগ নম্বর পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই জমির মালিকের খোঁজ পাওয়া যাবে। যে বাড়িটি তৈরি হয়েছে তার অনুমোদন পুরসভা দেয়নি, প্ল্যান পাশ করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর এর পরই প্রশ্ন উঠেছে, পুরসভার বৈধ ছাড়পত্র না থাকা সত্ত্বেও কোন জাদুবলে জয়ন্ত সিং এই বাড়ি তৈরি করতে পারল? কীভাবে গোটা বিষয় স্থানীয় পুরসভার নজরে এড়িয়ে গেল? নাকি সব কিছু জানার পরেও চোখ বুজে ছিল প্রশাসন?
যদিও এই প্রসঙ্গে চেয়ারম্যানের জবাব, কোথায় কত বড় বাড়ি হচ্ছে সেটা সবসময় পুরসভায় বসে জানা সম্ভব হয় না। তবে কেউ যদি পুরসভায় অভিযোগ করে আমরা ব্যবস্থা নেই। এর আগেও এমন অনেক অভিযোগের ভিত্তিতে পুরসভা ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিনও সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পরই খোঁজ নেওয়া হয়েছে। জমির মালিকের নাম জানার পরেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ওই বাড়িতে জলের লাইন কীভাবে এসেছে, সেটা আমার জানা নেই। যদি জলাশয় ভরাট হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
TOP RELATED