ভোটে জয়, প্রথমবার সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণ। এই পর্ব মিটে যাওয়ার পর আর তাঁকে সেভাবে দেখা যায়নি। আর তাতেই উঠেছিল প্রশ্ন। ‘বহিরাগত’ ক্রিকেটার কি তবে রাজনীতির মাঠে খেলতে ইচ্ছুক নন? বহরমপুরকে কতটাই বা চিনেছেন? সেখানকার মানুষজনের দাবিদাওয়া, চাহিদার জানেনই বা কী? কাজ করবেন কীভাবে? একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখের উপর জবাব দিয়ে দিল তাঁর উপস্থিতি। বুধবার বহরমপুরে পৌঁছে তৃণমূলের তারকা সাংসদ ইউসুফ পাঠান সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি নিখোঁজ নন, নিজের কাজ নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল, দায়বদ্ধ। প্রতিশ্রুতি যা দিয়েছেন, সবই রাখবেন। আর এই ‘পাঠানি’ জবাবে মুখে একেবারে তালা লেগে গিয়েছে নিন্দুকদের!
গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। ২৫ জুনের মধ্যে সাংসদ হিসেবে সংসদে গিয়ে শপথ নিয়েছেন। তার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ সময়। কিন্তু একবারও নিজের সংসদীয় এলাকায় যাননি ইউসুফ পাঠান। এমনিতেই তিনি ভোটের লড়াইয়ে নামার পর থেকে একাধিক আলোচনা-সমালোচনার শিকার হয়েছেন। ভোটে জেতার পর তাঁর অদর্শন সেই সমালোচনা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। দলের একাংশই পাঠানকে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বুধবার সেসবে জল ঢেলে দিলেন পাঠান। বহরমপুরের দলীয় কার্যালয়ে বেশ খোশমেজাজে দেখা গেল তাঁকে। জানালেন, ক্রিকেট খেলতে এতদিন লন্ডনে ছিলেন। তা শেষ হতেই ছুটে এসেছেন এলাকায়।
বহরমপুর তথা বাংলার রাজনীতিতে ‘জায়ান্ট কিলার’ তিনি। পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে দিল্লিতে গিয়েছেন। তার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ প্রশংসাও পেয়েছেন। ফলে কোনওরকম সমালোচনা মোটেই বরদাস্ত করবেন না। এখন বহরমপুরবাসীর কাজের ভার তাঁর উপর। তা ভালোই বুঝেছেন। তাই তাঁর বার্তা, সমস্ত ক্ষেত্রে কর্তব্য পালনের জন্য পৃথক দায়িত্ববোধ রয়েছে। আর তিনি জানেন কীভাবে তা পালন করতে হয়। ইউসুফের কথায়, ‘‘আমি নিখোঁজ নই। আগেই বলেছিলাম, আমি যেমন রাজনীতিতে দায়বদ্ধ, তেমনই পরিবারের প্রতিও দায়বদ্ধ। ঠিক তেমনই খেলা নিয়েও দায়িত্ব রয়েছে আমরা। আমি খেলেই এত বড় হয়েছি। তবে এখানকার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার আছে। এখানকার মানুষের কাজ আটকে যেতে কিছুতেই দেব না।’’