এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: প্রথম পর্বের ভোটে দফায় দফায় উত্তেজনা উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। পিছিয়ে নেই জলপাইগুড়িও। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একাধিক এলাকা শিলিগুড়ি পুরসভার আওতায় পড়ে। তেমনই একটি ওয়ার্ডে ঘোরার সময় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ধুন্ধুমার বাধল। তাঁর গাড়ি আটকানোরও অভিযোগ উঠেছে। মুহূর্তেই তপ্ত হয়ে যায় এলাকা। পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
প্রথম দফার ভোট চলাকালীন বিজেপির বিধায়িকা শিখা চট্টোপাধ্যায় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির পশ্চিম ধানতলার ৩০১ নম্বর বুথ চত্বরে যান। তাঁর দাবি, বুকে ঘাসফুল প্রতীক লাগিয়ে তৃণমূলের এক কর্মী ঘোরাফেরা করছেন। তিনি বুথে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলেই অভিযোগ। বিষয়টি তাঁর নজরে আসতেই প্রতিবাদ করেন তিনি৷ উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে বিধায়ক ভোটকেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করেন। ওই বুথের ভোটার না হওয়ায় তাঁকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বিধায়কের। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করুক, এই দাবি জানান খোদ বিধায়ক। আসরে নামেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা তুমুল অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এর পর পুলিশ একটি গাড়িতে তুলে নেন বিধায়ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ প্রসঙ্গে শিখা বলেন, “৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে দেখি দুনিয়ার পুলিশ চলে এল, আমাকে গ্রেপ্তার করতে। পুলিশের দাবি, আমি নাকি বুথের মধ্যে ঢুকেছি। তাহলে যখন বুথে ঢুকেছিলাম তখনই কেন গ্রেপ্তার করল না? আসল ব্যাপার হল, ওই ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড হল মেয়রের ওয়ার্ড। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী পিছিয়ে পড়লে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছেড়ে দেবেন গৌতম দেবকে? তাই শিখাকে আটকাতে হবে। আমাকে নিয়ে গোলমাল করে বুথ ফাঁকা করিয়ে ফলস ভোট দেবে তৃণমূল, এটাই ছিল পরিকল্পনা।’’
এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন গৌতম দেব বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই উনি প্ররোচনার সৃষ্টি করছেন। প্রার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন বুথের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছেন! নিয়ম অনুযায়ী, উনি সেটা পারেন না। ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি বিধায়ক। সকাল থেকেই নিয়ম ভঙ্গ করছেন। যাতে পুলিশ ওঁকে গ্রেফতার করে, সেই জন্যই সকাল থেকে এত নাটক!’’