Last Update
মঞ্চে হিজড়ে বলে কটাক্ষ পৌষালীকে, কী করেছিলেন তারপর
বাংলা থেকে দেশের বাইরে সবক্ষেত্রেই পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। তাঁর গলায় লোকগান শুনে বিভোর হন হাজার হাজার দর্শক। তবে লাখ লাখ দর্শকের ভালোবাসা যেমন পেয়েছেন, তেমন হেনস্থাও হতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিলেন কীভাবে এক বয়ষ্ক ব্যক্তি তাঁকে হিজড়ে বলে সম্বোধন করেছিল, তাঁর গান শেষ হওয়ার পর।
শুধু তাই নয়, একবার তাঁর দিকে ভুট্টাও ছোঁড়া হয়েছিল ভরা মঞ্চে।
বর্তমান সময়ে অসহিষ্ণুতা কতটা মারাত্মক আকার নিয়েছে, তা স্পষ্ট হয় পৌষালীর কথা থেকেই। যেখানে জনসম্মুখে, মঞ্চে থাকা শিল্পীকে কটাক্ষ করার সুযোগও ছাড়ে না কিছু মানুষ। তেমনই এক ঘটনা আনন্দবাজারকে জানান পৌষালী। তিনি বলেন, 'একটা জায়গায় গান গাইতে গিয়েছি। আমি রাই জাগো গানটা দিয়েই শুরু করি। গানটা শেষ হয়েছে, সবাই হরিবোল হরিবোল করে উঠেছে। সামনে বসা এখ বৃদ্ধলোক, ভদ্রলোক বলতে পারছি না, বলে উঠল হিজড়া কোথাকার। এই ২০২৪-এ দাঁড়িয়ে আমি, এই কথাটা খারাপভাবে কখনো নেই না। কারণ ওটা একটা সম্প্রদায়। ওর মনে হয়েছে এটা বললে আমার খারাপ লাগবে বা আমি প্রতিক্রিয়া দেব। কিন্তু আমি নেইনি। এটা তো আশীর্বাদসূচক কথা। কিন্তু সেটা ওকে কে বোঝাবে। ও তো অশিক্ষিত। সুরাপান করে অন্য জগতে ছিলেন। তাকে ভালোমন্দ বোঝানোর ক্ষমতা তখন কারও নেই।'
এখানেই শেষ নয়, একদিন আধখাওয়া ভুট্টাও ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল পৌষালীর দিকে। কী না, এত আনন্দ পেয়েছিল সেই শ্রোতা গান শুনে, যে তেমনটা করেছিলেন তিনি। শাড়ি পরেই মঞ্চে ওঠেন পৌষালী। কখনও পারফর্ম করতে করতে একটু শাড়ির আঁচল সরে গেলেও, কঠাক্ষ শুনতে হয়েছে তাঁকে। ফেসবুক রে গিয়েছে নোংরা মন্তব্য। যাতে পৌষালীর মতামত, 'আগে ৬টা সেফটিপিন লাগাতাম শাড়িতে, এখন ভয়তে ১২টা লাগাই'।
লোক সংগীত নিয়েই কাজ করেছেন পৌষালী প্রথম থেকেই। সেটা নিয়েই ভবিষ্যতে আরও এগনোর ইচ্ছে আছে বলে জানালেন তিনি। আরও বেশি করে মাটির কাছাকাছি থাকতে চান।
TOP RELATED